স্বরচিত কবিতা " হারিয়ে গেছে যে নারী "
১৯ আগস্ট ২০২২, শুক্রবার
আসসালামু অলাইকু/নমস্কার
হারিয়ে গেছে যে নারী আসবেনা সে আর ফিরে
হবে না আর তোমাদের হাস্যরসের পাত্র
একি হত্যা নাকি আত্মহত্যা
হায়রে হলুদ সাংবাদিকতা
মিডিয়ার চটুল সংবাদ
কেড়ে নিল তার জীবন।
হাজার প্রাণের বিনিময়েও ফিরে পাবেনা একটি প্রাণ
কি দোষ ছিল তার
কি অপরাধ ছিল তার
বিয়ের বয়সে ভারসাম্যহীনতা
কেন ইতিহাসে তো রয়েছে এমন ঘটনাবলি
অবজ্ঞা নয় অবহেলা নয় চরম সম্মানে বলি
নবী মুহাম্মদ (স) এর স্ত্রীও ছিলেন বয়সে বড়
এটাতো দৃষ্টান্ত শিল্প সৌন্দর্য সাহিত্য
ভালোবাসার বিচিত্র খেলা।
অথচ তোমরা মিডিয়ারা
শুরু করলে এমন নোংরা প্রচারণা
হায়রে বেচারা
তার জীবনটা হয়ে গেল বন্দী খানা
তোমরা তাকে পাগল বানিয়েছো বাধ্য করেছো
দিতে নিজেকে বলিদান।
দোকানে পাটে হাটে বাজারে মুখে মুখে রটে
তাকে নিয়ে তোমরা খেলছো কোন হোলি খেলা
হায়রে অবলা নারী
তোর ঠাই নাই এই নষ্ট সমাজে
তাইতো জীবন দিয়ে প্রমাণ করে গেলি
তোমরা নিজেদের সভ্য ভাবো ধিক্কার তোমাদের
অমানুষ হিজড়া নপুংসক ছদ্মবেশী মুখোশধারী।
যে জাতি নারীকে করিতে পারেনা সম্মান
তারা কি করে বুঝবে ভালবাসার প্রতিদান
আর কতদিন জ্বলবে চিতার আগুন
লোকমুখে কত নিন্দা
মিডিয়ার হাতে আর কোন খাবার নাই
বিকৃত মিডিয়া
তাইতো শুরু করলো ঘেউ ঘেউ
তোমরা আর কোন সংবাদ পাওনা
আমরা বুঝি সে কথা
দ্রব্যমূল্যের লাগামহীনতা জনতার রোষ দিতে ধামাচাপা
করছো হলুদ সাংবাদিকতার নির্লজ্জ খেলা
মানুষের হাতে তুলে দিলে নতুন সংবাদ
অসম বিবাহ
ঘুরিয়ে দিলে মানুষের চিন্তার মোড়
এভাবে চলবে আর কতদিন
আমরা কাউকে বলবোনা কে কার পাচাটা কুকুর।
দুঃখের লোনাজল আকাশে বাতাসে বহে বেড়ায়
তার ভালোবাসার কথা কেউ বুঝলোনা
তাইতো ভালোবেসে সুখের ঘর বাধতে দিল্ না
এভাবে প্ররোচিত করে মানুষ হত্যা করবে
আর কত বলিদান হলে তোমাদের টনক নড়বে
বিধাতা সত্য তার বিচার সত্য
একদিন তোমাদেরও হবে এমন বলিদান।
আজ কোথায় সেই মানবতাবাদ
কোথায় মানবতার ধব্জাজারিরা
কোথায় নারীবাদী সমাজ
কোথায় সু শীল সমাজ
কোথায় শাহবাগের মিছিল কারীরা
তোমরা বড়ই সুবিধাবাদী স্বার্থান্বেষী
ইতিহাস তোমাদেরও করবেনা ক্ষমা।
নিশ্চিত জেনে রেখো মনে রেখো
তোমাদের উপর আসবে অভিশাপ
তোমাদের উপর এসেছেও অভিশাপ।
তোমরা বুঝতে পারোনি যদি ভাবো পাবে তার জবাব
অসহায় মানুষের হাহাকার বৃথা যাবেনা।
তোমাদের জীবনেও ঘটবে এমন ঘটনা অন্যভাবে
অন্য সময়ে
জীবনে চলার পথে ।
এ কথা মনে রেখো
তোমরাও পাবে না পার
বিধাতা কাউকে ছাড় দিলেও ছেড়ে দেন না।
ভাল লাগবে আমার লেখা পূর্বের কবিতাগুলো একবার চোখ বুলিয়ে আসতে পারেন।
আমি মোঃ সাইদুর রহমান সরকার পেশায় একজন ব্যাংকার। হাই স্কুল জীবনে ছড়া, ছোট গল্প ও কবিতা লেখার হাতেখড়ি ছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিকতা বিষয়ে পড়াশোনা করেছি, তাই লেখালেখির কাজটি অবহ্যাত রাখতে পেরেছিলাম। বই পড়া এবং বই সংগ্রহ করতে আমার ভালো লাগে । আমি জীবনে একজন ভালো মনের মানুষ এবং ভালো মানের একজন লেখক হতে চাই । আমি প্রতিদিন ভুল থেকে শিক্ষা নিতে চাই। প্রতিদিন একটু একটু করে আমার কাঙ্ক্ষিত স্বপ্নের পানে এগিয়ে যেতে চাই। আমার সমস্ত কর্ম তৎপরতা আমার স্বপ্নকে ঘিরে। এটা আমার আজন্ম সাধনা। আমার জন্য দোয়া করবেন।
ভাইরে কবিতার লাইনগুলো যেন অপরাধী করে গেল সমাজকে সাথে আমাকেও। আসলেই আমাদের সমাজ অতি স্বাভাবিক বিষয়টি কখনোই স্বাভাবিকভাবে নিতে পারে না। যার প্রমাণ বহুবার পেয়েছি। দারুণ ছিল কবিতা টা ভাই।।
সুন্দর একটি কবিতা আপনি আমাদের মাঝে রচনা করেছেন হ্যাংআউটের সাথী আপুর কবিতা আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছিল। আর এখন আপনার কবিতাটি শুনে সত্যিই আমার কাছে এতটা বেশি ভালো লাগলো বলে বোঝাতে পারবো না। শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
জীবনের কিছু বাস্তবতা আপনার কবিতার মধ্যে খুঁজে পেয়েছি। আপনি বাস্তবতাকে কেন্দ্র করে কবিতাটি লেখার চেষ্টা করেছেন দেখি আমার ভালো লাগলো। অবশ্য কবিতার মধ্যে মানুষের অব্যক্ত হওয়া কথাগুলো ব্যক্ত হয়।