স্বরচিত কবিতা " দুর্বিষহ জীবন "
১৩ জুন,২০২২, সোমবার ।
আসসালামু আলাইকুম/ নমস্কার
মাঝে মাঝে জীবনে চলার পথে চরম বিতৃষ্ণা নেমে আসে
হিমালয় হয়ে গ্রাস করে দুঃখের অমানিশা
ব্যর্থতার জোড়ালো মিছিলে আকাশ-বাতাস প্রকম্পিত
প্রিয় মানুষগুলোর অচেনা আচাড়ণে মন থাকে বিষন্ন।
বেচেঁ থাকার শেষ ইচ্ছেটাও যায় মরে
মনে হয় সব কিছু ছেড়ে দূরে কোথাও হারিয়ে যাই
নির্জন কোন বনে, জনশূণ্য স্থানে
বহুদূরে নির্মক্ষিক কোন স্থানে
সাত সমুদ্র তেরো নদীর ওপারে।
যেখানে থাকবে না দুখের দহন
যেখানে থাকবে না যন্ত্রণার বিষবাষ্প
যেখানে থাকবে না মানুষরুপি গিরগিটির বহুরুপ।
মাঝে মাঝে মনে হয় কেন এই ধরণীতে আসলাম?
জন্মই আমার আজন্ম ব্যর্থতা।
বহু কষ্টে বহু অভিমানে বিনিদ্র রাত কাটে
প্রিয়ার চকিত চাহনি আহত হৃদয়ে তোলেনা আন্দোলন
চরম নিপীড়রনের বিষাক্ত ছোবলে
জীবনটা দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে
ক্ষুধা যন্ত্রণা বেদনা বিধুর আমার এ জীবন।
মনে হয় নিজেকে নিঃশেষ করে দেই
চলন্ত ট্রেনের নিচে ঝাঁপিয়ে নিজেকে ছিন্ন ভিন্ন করে দেই
নতুবা আহত বাঘের নেয় সবকিছু লন্ডভন্ড করে দেই
নিজেকে ক্ষতবিক্ষত করে রক্তাক্ত করে ফেলি
দিনের পর দিন অন্তর্নীল অস্থিরতা আমাকে বিগড়ে দিচ্ছে
আর কত?
মানুষের আরো চাই প্রতিযোগিতা
আমাকে অন্তহীন অনিশ্চয়তার পথে ঠেলে দিয়েছে
জীবনের সোনালী স্বপ্ন গুলো ক্রমান্বয় ধোঁয়াশা হয়ে যাচ্ছে
মানুষের প্রয়োজন মেটাতে গিয়ে
নিজে কখন যে অমানুষ হয়ে পড়েছি
তার ইয়ত্তা নেই।
সবুজ প্রকৃতি এখন আর ভালো লাগেনা
শিশুর মিষ্টি মধুর চাহনি
ভালোবাসা সৃষ্টি করে না
দখিনা হাওয়া হৃদয় শীতল করে না
বাবার মৃত্যুর সংবাদ হৃদয়ে নাড়া দেয় না
মায়ের চোখের জলে
পাষাণ হৃদয় গলে না
সবকিছু চরম এলোমেলো অন্তঃসারশূন্য হয়ে গেল।
এর জন্য দায়ী কে ?
আমি তো এমন ছিলাম না
মানুষের কটু কথা
মানুষের অযত্ন অবহেলা
সমাজের অসম প্রতিযোগিতা
সংসারের প্রতিনিয়ত ঘ্যানর ঘ্যানর
আমার সৃজনশীলতা কুরে কুরে খাচ্ছে
পাইনা কোন ফুরসত কোন অবকাশ
তাই কালের যাত্রায় নিজেকে অসহায় আত্মসমর্পণ করে
নিজে হলাম বলির পাঠা সুখের পাটাতনে দুর্বিষহ দাস।
সবকিছু শেষে ভাল-মন্দ মিলিয়ে
যদি সাপের নেয় নিজের খোলস বদলে
নতুর করে সবকিছু শুরু করতে পারতাম
যদি বৃক্ষের নেয় শীতের জরাজীর্ণতা ধুয়েমুছে
বসন্তে এসে নতুন পাতা গজানোর নেয়
জীবনটা নতুন উদ্যমে নতুনভাবে শুর করা যেত
পৃথিবীটা কত না মধুময় হতো।
ভাল লাগবে আমার লেখা পূর্বের কবিতাগুলো একবার চোখ বুলিয়ে আসতে পারেন।
আমি মোঃ সাইদুর রহমান সরকার পেশায় একজন ব্যাংকার। হাই স্কুল জীবনে ছড়া, ছোট গল্প ও কবিতা লেখার হাতেখড়ি ছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিকতা বিষয়ে পড়াশোনা করেছি, তাই লেখালেখির কাজটি অবহ্যাত রাখতে পেরেছিলাম। বই পড়া এবং বই সংগ্রহ করতে আমার ভালো লাগে । আমি জীবনে একজন ভালো মনের মানুষ এবং ভালো মানের একজন লেখক হতে চাই । আমি প্রতিদিন ভুল থেকে শিক্ষা নিতে চাই। প্রতিদিন একটু একটু করে আমার কাঙ্ক্ষিত স্বপ্নের পানে এগিয়ে যেতে চাই। আমার সমস্ত কর্ম তৎপরতা আমার স্বপ্নকে ঘিরে। এটা আমার আজন্ম সাধনা। আমার জন্য দোয়া করবেন।
আপনি ঠিকই বলেছেন ভাইয়া যদি আমরা এভাবে আমাদের অতীতটাকে মুছে দিতে পারতাম তাহলে কতই না ভালো হতো। আমাদের যত দুঃখ রয়েছে এবং যত ভুল আমরা জীবনে করেছি সেটা যদি আবার বদলানো যেত তাহলে আমাদের জীবন আরো বেশি সুন্দর যে ভরে যেত। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি কবিতা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনার জন্য শুভেচ্ছা রইল।
অতীতের দুঃস্বপ্নের দিনগুলি যদি ভুলে গিয়ে নতুন ভাবে সামনের দিনগুলো সাজানো যায় তাহলে জীবনটা অনেক সুন্দর ও মধুময় হয়ে ওঠে।
আসলে আপনার কবিতাটি পড়ে খুব ভালো লাগলো। জীবনের বাস্তবতা নিয়ে খুব চমৎকার অনুভূতি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন কবিতার মাধ্যমে। এত দুর্দান্ত কবিতা আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই।
হ্যাঁ ভাই আপনি ঠিক ধরেছেন কবিতাটি বাস্তবতার আলোকে লিখেছি।
রঙের দুনিয়াতে আমরা সবাই সঙ। যথার্থ কথাগুলো সমাজ বিবেচনায় তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন।
বাস্তবতার আলোকে বিভিন্ন প্রেক্ষাপট নিয়ে কবিতাটি লেখার চেষ্টা করেছি।
দাদা, লেখা ভালো হয়েছে, কিন্তু প্রচুর জায়গায় বানান ভুল আছে। একটু ঠিক করে নেবেন , ভালো লাগবে তাহলে। এরকম লিখতে থাকুন। লিখতে লিখতেই আরও হাত খোলে।