কবিতা "কবিতার জন্য বেঁচে আছি"
১৭ জুন,২০২২, শুক্রবার ।
আসসালামু আলাইকুম/ নমস্কার
পৃথিবীতে যা কিছু সৃষ্টি চির মহান
তা কবিতার মাঝে খুঁজে পাই
যখন কবিতা পড়ি তখন মনে হয়
যেন কোন ঐশী বাণী পড়ছি
কোন স্বর্গীয় সুধা পান করছি
কবিতার মাঝে খুঁজে পাই জীবনের স্বাদ সৌন্দর্য
কবিতার মাঝে জুটে প্রিয়ার গোপন পরস
যখন কবিতা পড়ি
তখন মনে হয় আমি পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি সুখী
মনে হয় জন্ম আমার আজন্ম সার্থক
মনে হয় পৃথিবীতে পদার্পণ আমার বৃথা যায়নি
মনের হয় এটাই মর্ত্যলোকের সেরা উপহার
মনে হয় কবিতার জন্যই বেঁচে আছি।
যে কবিতা পড়তে জানে তার শত্রু থাকেনা
যে কবিতা পড়তে জানে তার কাছে অবসর থাকেনা।
যে কবিতা পড়তে জানে তার সময় অযথা কাটেনা
যে কবিতা পড়তে জানে তার বন্ধুর অভাব হয় না।
যে কবিতা পড়তে জানে তার সুখের অভাব হয় না
কবিতা ভাষাগুলো যেন প্রিয়ার মিষ্টি মধুর কথা
যা শুনে শুনে কখনো ক্লান্ত অনুভূতি আসেনা
তা যেন গভীর রাতে টেলিফোনের গোপন আলাপ
যা শেষ হয়েও শেষ হতে হয় না।
কবিতা পড়তে না পারলে পাগল হয়ে যাই
কবিতা পড়া আমার কাছে নেশার মত হয়ে গেছে
আপনি নিশ্চয়ই চরম নেশাখোর দেখেছেন
যে নেশা করতে না পারলে উন্মাদ হয়ে যায়
বড্ড পাগল হয়ে যায়
মানুষ পর্যন্ত খুন করে ফেলে
কবিতা না পড়লে আমি তেমনি বাতিকগ্রস্ত হয়ে পড়ি।
হাতের মুঠোয় থাকা কবুতর যেমন উড়ার জন্য
প্রাণভরে নিঃশ্বাস নেয়ার জন্যে
ধপাস ধপাস পাখা ঝাপটাতে থাকে
ঠিক তেমনি কবিতাহীন আমার সময়
মনটা করে আনচান
প্রাণটা আর আমার মাঝে থাকেনা।
কবিতা পড়ার মাঝে মায়ের স্নেহভরা আদর পাই
তার শরীরের গন্ধ পাই
ঠিক যেন নতুন বইয়ের মলাটের নেয়া গন্ধ
ভালবাসার সন্তানের দেহের শিশুসুলভ কাঁচা
গন্ধ পাই, যেন দীর্ঘ নিঃশাসে শুষে নেই।
বাবার শাসন মায়ের ডাক বোনের স্নেহভরা আদর
যেন শব্দহীন শ্রুতিময় কবিতার বই।
জীবনে সংসারে চলতে গিয়ে যখন ক্লান্ত হয়ে পড়ি
যখন চরম ভাবে বিরক্ত হয়ে বিতৃষ্ণা আসে কাজের প্রতি
যখন বেঁচে থাকার শেষ ইচ্ছাটুকু হারিয়ে ফেলি
যখন রাগে ক্ষোভে অপমানে সবকিছু শেষ হয়ে যেতে বসে
যখন মনে হয় মায়াবী পৃথিবী ছেড়ে দূরে কোথাও চলে যাই
তখন আমি কবিতার পানে ছুটে যাই।
কবিতার মাঝে নিজেকে সুধাই
সবকিছু ভুলে অসম্ভব মনোযোগ দিয়ে কবিতা পড়ি
আবৃত্তি করি, কবিতার শব্দগুলোর মাঝে ডুবে যাই
পুনরায় স্বর্গীয় সুধা ফিরে পাই
যেমন সিগারেটের সুখটান শেষে
মাথাটা চরমভাবে হালকা হয়ে যায়
যেমন শৈশবের স্কুলের শেষ ঘন্টা শেষেে
উদ্দাম আনন্দে খুলা জামায় দৈাড়ে বাড়ি ফিরে আসা
যেন এটা পার্থিব সৈান্দর্য্যের দেবীর সাথে
উষ্ণ মিলনের শেষক্ষণ।
ভাল লাগবে আমার লেখা পূর্বের কবিতাগুলো একবার চোখ বুলিয়ে আসতে পারেন।
আমি মোঃ সাইদুর রহমান সরকার পেশায় একজন ব্যাংকার। হাই স্কুল জীবনে ছড়া, ছোট গল্প ও কবিতা লেখার হাতেখড়ি ছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিকতা বিষয়ে পড়াশোনা করেছি, তাই লেখালেখির কাজটি অবহ্যাত রাখতে পেরেছিলাম। বই পড়া এবং বই সংগ্রহ করতে আমার ভালো লাগে । আমি জীবনে একজন ভালো মনের মানুষ এবং ভালো মানের একজন লেখক হতে চাই । আমি প্রতিদিন ভুল থেকে শিক্ষা নিতে চাই। প্রতিদিন একটু একটু করে আমার কাঙ্ক্ষিত স্বপ্নের পানে এগিয়ে যেতে চাই। আমার সমস্ত কর্ম তৎপরতা আমার স্বপ্নকে ঘিরে। এটা আমার আজন্ম সাধনা। আমার জন্য দোয়া করবেন।
সামান্য মাথায় ,ভারী ভারী কথা ধারণ করতে পারে না ,তাই না বুঝলেও শুধু এতটুকু বলতে পারি লেখাটি ভাল ছিল।
আপনার লেখা ও কথা দুটাই আমার ভাল লাগে।
আপনাকে সব সময় স্বাগতম।
কেন জানি আমিও কবিতাকে খুবই বেশি ভালোবাসি। যদি বাংলা ব্লক থেকে আমাকে বলা হয় কবিতা লেখা নিষিদ্ধ, তাহলে হয়তো আর এখানে কাজ করা হবে না। আশা করি ভুল বুঝবেন না ।এর মধ্য থেকে বোঝাতে চাচ্ছি কবিতাকে আমি কতটা ভালোবাসি। তাই কবিতা পড়তে ও কবিতা লিখতে আমি সর্বদা প্রস্তুত।
আমিও আপনার সাথে সহমত পোষণ করছি।