স্বরচিত কবিতা " নষ্ট সামাজিকতার নিপীড়ন "
১১ মে,২০২২, বুধবার ।
আস সালামু অলাইকুম/নমস্বকার,
একি আজব দুনিয়ায় বাস করছি আজ,
নির্লজ্জ সামাজিকতার ভয়ে আড়ষ্ট আজ ঘুনে ধরা সমাজ।
সকল কাজে অদৃষ্ট দেয়াল, অন্যে কি ভাবে মানসিকতা,
সকল কাজে ভয় না জানি পাছে লোক কি বলে
থাাকে শম্কা না জানি মানুষ কি মনে করে
এ কোন সমাজে বসবাস করছি আমরা
এ কোন সভ্য জাতি
এ কোন আধুনিকতা
নষ্ট এ সমাজ, খাচাঁয় আবদ্ধ আজ মানুষের চিন্তার স্বাধীনতা।
সামাজিকতার যে কি ভীষণ চাপ
যায়না সহা, যায়না কাউকে বলা,
কারণ প্রকাশে আত্মসম্মান যে বাঁচেনা
কেবল নিরব দুশ্চিন্তা; রক্তবিন্দু কপালে চিন্তার ছাপ।
হায়রে মানুষ, শুধুই বেহুশ,
অসহায় জাতি নেই তার সহজ সমাধান
সামাজিকতার দায়ে ঋণগ্রস্ত বেসামাল মানুষ।
সামাজিকতার নামে চলছে একি বেহায়াপনা
মেয়েকে বিয়ে দিতে ছেলের বাপের সাথে করতে হয় সমাঝোতা
দিতে হবে হাজার টাকা পণ
উপহারের নামে দিতে হয় ফার্নিচার গহনা ঘাঁটি
খাওয়াতে হবে মানুষ শ’খানেক
আর মেয়ের জামাইকে একখান হুন্ডা
নতুবা সমাজে সম্মান যে বাঁচেনা
দায়গ্রস্ত পিতার নিদারুন টেনশন
খড়ের বিছানায় পায়চারি সারা রাত ঘুম আসেনা
ওহে বাপু কর কেন এত দুশ্চিন্তা?
সবই তো আপনার মেয়েকে দিবেন
কি দুষ্ট কথা
মধ্যবিত্ত সমাজে কন্যাদানে চলে এ নগ্ন প্রতিযোগিতা।
এখানে শেষ হলেও মন্দ হতো না গুরু
নিজে কুরবান না দিলেও মেয়ের বাড়ি পাঠাতে হয় কোরবানির গরু
রমজানে পুরো মাসের ইফতারি
পহেলা বৈশাখে দিতে হয় বড় একখান কাতল মাছ
বৈশাখে আম-কাঁঠালের দাওয়াত নতুবা চলবে খবরধারী ।
সামাজিকতার নামে চলছে আজ এ দুঃসহ নিপীড়ন
সামাজিকতা চাপে মধ্যবিত্ত হয়ে পড়েছে নিঃস্ব সহায় সম্বলহীন।
হাযরে সমাজ রক্ষা, হায়রে সামাজিকতা
যত্তসব বেজন্মা লোক দেখানো ভন্ডামী
ঘরেতে খাবার নেই তবু যায়না তোর ফুটানি
শকুনের শ্যেন দৃষ্টি অসহায় জাতির উপর
ঋণের যাঁতাকলে পিষ্ট পিতার মধ্যরাতে ভেসে উঠে আহত চিৎকার।
কাল মেয়ের জন্ম আজ অভিশাপ
কুসংস্কারে আচ্ছন্ন সমাজ নারীকে ভাবে অচ্ছুৎ
এর জন্য দায়ী কে?
এটা তো তার নিজের কোন দোষ নয়
এতে তার কোন হাত নেই
তবে কেন সে আজ পরিবারে সবার বোঝা
এ যে নষ্ট সমাজের জারজ চিন্তার ফসল
এটা কি নয় আইয়ামে জাহেলিয়া ?
এরই নাম নিষিদ্ধ সামাজিকতা অন্য নামে জাহেলিয়া
যুগ যুগ ধরে রয়েছে তার বিচরণ
একেক সময় একেক নাম ধরে হয় তার পদার্পণ।
সামাজিকতা!
আজ সামাজিকতার নামে শোষিত হচ্ছে মানুষ
শোষিত হচ্ছে মধ্যবিত্ত
শোষিত হচ্ছে অসহায় নারীরা
শোষিত হচ্ছে শিশু , বৃদ্ধ আর অবলা বালিকারা
নষ্ট সমাজ কে ঠিক করতে হবে
একে রুখে দিতে হবে
নতুবা যে সব যাবে নষ্টদের অধিকারে।
মানুষের যা আছে তাই নিয়ে সে বাঁচবে
মানুষের দ্বারা যা সম্ভব তাই সে করবে
নিজের মত করে চিন্তা করবে
নিজের মত করে চলবে
নিজের মত করে পরিকল্পনা করবে।
সমাজকে নোংরা সামাজিকতার বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে
এ লড়াইয়ে সবার আগে তরুনরা শামিল হবে
তবে জয় হবে মানবতার, জয় হবে সাম্যের।
আসবে মুক্তি, মানুষ বাঁচবে বাঁচার মত করে।
ভাল লাগবে আমার লেখা পূর্বের কবিতাগুলো একবার চোখ বুলিয়ে আসতে পারেন।
কবিতা | শিরোনাম |
---|---|
০১. | কবিতা হলো এলোমেলো ভাবনা |
০২. | মায়ের মত আপন কেউ হয় না |
০৩. | নীরবতা , আমার কল্পনার পৃথিবী থেকে |
০৪. | না বলা কথা |
০৫. | আমার ফাঁসি চাই |
০৬. | ক্ষুধা |
০৭. | মানুষ |
০৮. | বড় অভিমানী তুমি |
০৯. | মানুষ তুমি ঝিনুক হতে পারনা |
১০. | প্রিয়জন হারানোর ব্যথা |
১১. | বাবা নেই (১ম পর্ব) |
১২. | নিজের মাঝে অচেনা এক আমি |
১৩. | পড়ন্ত বিকেল |
১৪. | ভালোবাসি তোমায় আজো |
১৫. | শব্দহীন প্রতিবাদ |
আপনার কবিতাটি অনেক সুন্দর হয়।অনেক অর্থ প্রকাশ পায়।যদিও আমি কবিতা সম্পর্কে বুঝিনা।নাম টা বেশ সুন্দর। বাস্তবতার সাথে মিল আছে।ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ আপনাকে আপনার গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য।
আপনার কবিতাটি অস্ভব সুন্দর হয়েছে বিশেষ করে বর্তমানে সময় উপযোগি কথা প্রকাশ পেয়েছে আপনার এই কবিতায়।
উপরোক্ত চারণগুলি সময় উপযোগি কথা নিয়ে লেখা।আপনার জন্য শুভ কামনা রইল।
চেষ্টা করি সময়োপযুগী লেখার জন্য।আপনার জন্য শুভ কামনাও রইল।
আপনার কবিতার প্রত্যেকটা লাইনে অনেক কিছু অর্থ বুঝিয়েছে। বর্তমান সামাজিকতার দৃষ্টি নিয়ে আপনি পুরো কবিতাটি লিখেছেন। বর্তমান সামাজিকতার কিছু সত্যিই তুলে ধরেছেন আপনার কবিতার লাইনগুলো তে। আপনার কবিতার প্রশংসা না করে থাকতে পারলাম না। এত সুন্দর একটি কবিতা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
এত সুন্দর করে আপনার মূল্যবান মতামত প্রকাশ করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ বোন।
আমি কিছুদিন যাবৎ লক্ষ্য করছি আপনার পোস্টগুলো বেশিরভাগ জনসচেতনামূলক। আসলে আমাদের সমাজে জনসচেতনামূলক কথাবাত্রা বলার লোক খুবই কম। তাই আপনার কবিতা সহ অন্যান্য পোস্টগুলো আমার খুব ভালো লাগে, আর এজন্য আপনাকে শ্রদ্ধা জানাই।
লেখালেখিতে ভুলত্রুটি শোধরিয়ে ক্রমান্বয়ে ভাল করতে চাই।
আপনার কবিতাটি পড়ে আসলেই খুবই ভালো লাগলো। আপনি খুব সুন্দর কবিতা লেখেন এটা কিন্তু বলতেই হবে। অর্থবহ একটি কবিতা আমাদেরকে উপহার দিয়েছেন। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে বাস্তবতার সাথে মিল রেখে এই কবিতাটি আমাদেরকে উপহার দেওয়ার জন্য।
বাস্তবতার সাথে মিল রেখে কবিতা লেখার চেষ্টা করি সবসময়।
আপনি সময় উপযোগী একটা কবিতা লিখেছেন খুবই ভালো লাগলো আপনার কবিতাটি পড়ে।
সামাজিকতার যে কি ভীষণ চাপ
যায়না সহা, যায়না কাউকে বলা,
কারণ প্রকাশে আত্মসম্মান যে বাঁচেনা
এ কথাগুলি আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
সামনের দিন আরো সুন্দর সুন্দর কবিতার আশায় থাকলাম।
আপনার কমেন্টটি পড়ে অনেক মজা পেলাম ভাইয়া। আশাকরি আপনার কাছ থেকে এ ধরনের মজার মজার কমেন্ট পরবর্তীতে আরো অনেক দেখতে পাবো
আপনার লেখা প্রতিটি কবিতায় বাস্তবতার অন্তর্নিহিত বিষয় লুকিয়ে আছে। যেটা পরে আমি বুঝতে পেরেছি খুব ভালো লাগে ।এভাবে লিখতে থাকলে আরো ভালো লিখতে পারবেন আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য আপনাকে জানাচ্ছি অসংখ্য ধন্যবাদ। সেই সাথে আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইলো।
আপনার কবিতাটি আমার ভীষণ ভালো লেগেছে। এর আগেও আপনি খুব অসাধারণ অসাধারণ কবিতা আমাদের মাঝে উপহার দিয়েছেন। কবিতা লেখার দক্ষতা আপনার অনেক বেশি। আমি নিজেও মাঝে মাঝে কবিতা লেখার চেষ্টা করি। অপ্রতুল ও শুভকামনা রইল
এত সুন্দর করে আপনার মূল্যবান মতামত প্রকাশ করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া
আসল ভাই আমি কি বলবো আপনার কবিতাটি পড়ে আমি খুব মুগ্ধ হলাম। এত বড় কবিতা এত চমৎকার ভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। সত্যিই আপনি প্রশংসার যোগ্য। সামাজিকতা বিভিন্ন পেক্ষাপট কবিতার মাধ্যমে খুব সুন্দর ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন। এতো অসাধারণ কবিতা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই।
আপনার প্রশংসায় একেবারে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। আসলে আমরা সামাজিকতার ভয়ে অনেক কিছুই করতে পারিনা