প্রাসঙ্গিক প্রসঙ্গঃ পর্ব ৪৯ || দুই বছর পর আবার... || Again after two years... [10% @shy-fox]
ভূমিকাঃ
মাঝে মাঝে আমাদের চারপাশের জীবন, প্রকৃতি, পরিবেশ, সৌন্দর্য্য ও নানাবিধ বিষয় নিয়ে লিখতে ইচ্ছে হয় যেসব লিখার বিষয়বস্তুকে কোন নির্দিষ্ট গন্ডীর মধ্যে ফেলা যায় না। এরকম বিষয়বস্তুগুলোকে নিয়ে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি
-তে আমি একটি সিরিজ লিখছি যার নাম দিয়েছি প্রাসঙ্গিক প্রসঙ্গ
যেখানে কোন বিষয় বা প্রসঙ্গ নিয়ে ব্যাক্তিগত মতামত ও পর্যালোচনা করে থাকি। এই লিখার বিষয়গুলো হচ্ছে ব্যাক্তিগত শিক্ষা, অভিজ্ঞতা ও উপলব্ধির সমন্বয়। পড়ে দেখুন, আশা করি ভাল লাগবে।
করোনা পরিস্থিতি সবকিছু থমকে দিয়েছে এবং এ কারণে বিভিন্ন ভ্রমণ ও উদযাপনের কাজগুলো অনেকটা স্থবির হয়ে পড়েছিল গত দুই বছর। মাঝখানে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলেও বর্তমানে আবার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। কিন্তু আশার কথা হচ্ছে করোনা পরিস্থিতি অনেকটা উন্নতির দিকে। তাই খুব ভালো লাগছে যে, আগের মতো আবার কর্মস্থলে যাওয়া যাবে এবং আনন্দঘন মুহূর্ত গুলো উপভোগ করা যাবে।
আমার কর্মস্থল হচ্ছে একটি আনন্দঘন পরিবেশ কারণ সেখানে আমরা একটা বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক নিয়ে সবাই কাজ করে থাকি। এছাড়াও কাজের ফাঁকে ফাঁকে বিকেলে কিংবা সন্ধ্যায় আমরা বিভিন্ন ধরনের খেলাধুলার আয়োজন করি যেখানে সত্যিই খুব আনন্দঘন পরিবেশ আমাদের মাঝে বিরাজ করে। এছাড়াও আশেপাশের বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানে যেমন আমরা বেড়াতে যাই পাশাপাশি মাঝে মাঝে হঠাৎ করেই রেস্টুরেন্টে গিয়ে খাবার গ্রহণ করি।
আসলে গত দুই বছর ধরে সবকিছুই খুব ভালোভাবে অর্থাৎ স্বাভাবিক ভাবে চলছে না। করোনা পরিস্থিতির আগে আমরা প্রায় নিয়মিতই একেকজনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন উপলক্ষ করে রেস্টুরেন্টে খেতে যেতাম এবং মাসে প্রায় দুই একবার আমরা এরকম যেতাম। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পরে আবার অনেক দিন পরে অর্থাৎ প্রায় দুই বছর পরে একসাথে সহকর্মীদের নিয়ে রেস্টুরেন্টে গেলাম এবং আগের মত উদযাপন করলাম।
আসলে গত দুই বছরে অনেকগুলো উপলক্ষ তৈরী হয়েছে অর্থাৎ কারো বিয়ে হয়েছে, আবার কারো সন্তান জন্মগ্রহণ করেছে, কারো ভাই বা ছেলে ভাল রেজাল্ট করেছে এভাবে করে অনেকের বিভিন্ন উপলক্ষ তৈরী হয়েছে। তাই সব কিছু মিলিয়ে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম সবাই মিলে রেস্টুরেন্টে খেতে যাব বিশেষ করে আমরা যারা সহকর্মীরা খুব কাছাকাছি একটা বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের মধ্যে রয়েছি তারা। এছাড়াও অনেক দিন ধরে আগের মত একসাথে রেস্টুরেন্টে খেতে যাওয়া হয় না এবং উপভোগ্য সময়গুলো খুব মিস করা হচ্ছে।
তো যেই চিন্তা সেই কাজ এবং অনেকদিন পর আবার আমরা তেরো জনের মতো রেস্টুরেন্টে খেতে গেলাম দুপুরে। সব থেকে মজার বিষয় হচ্ছে, এই রেস্টুরেন্টটি আগে ছিল না বরং এই করোনা পরিস্থিতির মাঝখানে নতুন এই রেস্টুরেন্টে হয়েছে যার নাম দেয়া হয়েছে শেরাটন রেষ্টুরেন্ট। অনেকটা হাস্যকর কারণ এই নামে বাংলাদেশে একটি নামকরা ফাইভ স্টার হোটেল রয়েছে (আসলে একসময় ছিল কিন্তু এখন নাম পরিবর্তন করে দেয়া হয়েছে)
সে যাই হোক, এটি আমাদের জন্য আরেকটি সারপ্রাইজ ছিল কারণ নতুন রেস্টুরেন্টের খাবার চেক করে দেখার সু্যোগ পেয়ে গিয়েছিলাম। আমরা যখন সবাই মিলে রেস্টুরেন্টে পৌঁছলাম এটি প্রায় ৮ কিলোমিটার দূরত্ব ছিল আমাদের কর্মস্থল থেকে। তো আমরা সবাই মিলে আলোচনা করে ওখানকার মেনু থেকে কাচ্চি বিরিয়ানি পছন্দ করলাম। আমরা যেহেতু ২য় তলায় বসেছিলাম তাই চারপাশের পরিবেশ গুলো খুব সুন্দর ভাবে দেখা যাচ্ছিল যেমনটি আপনার ছবিতে দেখতে পাচ্ছেন।
যেমন আমরা অনেকদিন পর বেড়াতে গিয়েছি তেমনি এর স্বাদ অতুলনীয় ছিল এবং দেখতেও খুব ভাল দেখাচ্ছিল। তাই অনেকদিন পরে আমাদের জন্য আবার উপভোগ্য সময় কাটানোর মুহূর্তটি চলে এসেছিল। সব মিলিয়ে এ সপ্তাহে খুব চমৎকার সময় অতিবাহিত করেছি যেটি আমাদের সবার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ ছিল কারণ আমরা অনেক দিন পরে আবার একসাথে মিলিত হয়েছিলাম। ভালোলাগার এসকল অনুভূতিগুলো ব্লকচেইন এর মাধ্যমে এখানে রেখে দিচ্ছি এবং আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। ধন্যবাদ।
প্রাসঙ্গিক প্রসঙ্গ সিরিজে পূর্বের পোস্টগুলোর তালিকাঃ
প্রাসঙ্গিক প্রসঙ্গ সিরিজে পূর্বের পোস্টগুলোর তালিকাঃ
আমি কেঃ
আমি সাইফুল বাংলাদেশ থেকে। পেশায় শিক্ষক ও সাবেক ব্যাংকার। পড়াশুনা করেছি প্রকৌশলবিদ্যায়। আমি আমার চিন্তাভাবনা এবং ধারণাগুলি ব্লগে শেয়ার করতে ভালবাসি। প্রকৃতির মাঝে ঘুরে বেড়ানো এবং ক্রিকেট খেলা আমার শখ। আমি বিশ্বাস করি, আমার পোস্ট হতে একজনও যদি উপকৃত হতে পারেন বা নতুন কিছু শিখতে পারেন তাহলেই এই লেখালেখি সার্থক
করোনা পরিস্থিতি আমরা সবাই খুব উদ্বিগ্ন ছিলাম বা এখনো আছি তবে আসার কথা হচ্ছে শনাক্তের হার কমে আসছে। গত দুই বছরে আমাদের জীবন থেকে পারিপার্শিক আনন্দ উদযাপন গুলোতো মুছেই গিয়েছিলো। আপনার কলিগদের নিয়ে খাওয়া দাওয়া আনন্দ করার মুহূর্তটি দেখে আমার খুব ভালো লাগলো। ধন্যবাদ ভাইয়া ব্যস্ততার মাঝেও আমাদের শেয়ার করার জন্য।
আপনাকেও ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য
এখনো করোনা পরিস্থিতি অনুকূলে আসেনি।গত দুই বছর যাবৎ জীবনের গতিবিধি অনেকটাই নষ্ট হয়ে গিয়েছে। সবাই এখনো কমবেশি ঝামেলার মধ্যেই আছে। আপনার বন্ধুদের সাথে কাটানো মুহূর্ত অসাধারণ ছিল। দুই বছর একসাথে আড্ডা ও খাওয়া দাওয়া সেরা মুহুর্ত পার করলেন। আমার কাছে ভালো লেগেছে ভাই। ❤️❤️
ধন্যবাদ
প্লেটের গায়ে লেখা হোটেলের নাম দেখে আমিও কিছুটা অবাক হয়েছিলাম। ডেকোরেশন এবং পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতির সঙ্গে মেলাতে পারছিলাম না। যাই হোক কর্মস্থলে বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশ না থাকলে সত্যিকার অর্থেই কাজে কোন আনন্দ পাওয়া যায় না। ভালো লাগলো এতদিন পরে আপনারা আবার আগের মত একটি দিন উদযাপন করতে পেরেছেন জেনে। পোস্টটি শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
কর্মস্থলে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক না থাকলে বা ভালো না থাকলে কাজ করার মাঝে আনন্দ খুঁজে পাওয়া যায় না আর এতে কাজের ইফিসিয়েন্সি অনেক কমে যায়
এই নিউজটা আমিও দেখলাম। খুব শীঘ্রই নাকী আবার স্কুল কলেজ খুলে দেবে। এটা আমাদের জন্য খুবই আনন্দের সংবাদ। এবং নিজের কর্মস্থলে যখন কেউ আনন্দের সহিত কাজ করে সবার সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তোলে এর থেকে ভালো আর কিছু হতে পারে না। কয়েকবছর পর সবাই মিলে রেস্টুরেন্টে গিয়ে বেশ ভালো সময় অতিবাহিত করেছেন।
ধন্যবাদ আপনাকে আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য
আসলে 2 বছরে সবকিছু অফ ছিল এবং মানুষের ভিতরে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়ে গেছিল। আসলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নিয়ে ছিনিমিনি করছে যা বোঝা যাচ্ছে। কারণ সবকিছু চলছে শুধু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বেলায় বন্ধ। যাক দুই বছর পর আবারও একসাথে সহকর্মীদের সাথে রেস্টুরেন্টে সুন্দর একটি মুহূর্ত উদযাপন করেছেন। অনেক ভালো লাগলো। আসলে বন্ধুবান্ধবের সাথে অনেকদিন পরে মিলিত হওয়ার মুহূর্ত কখনো ভোলা যায়না। সবথেকে আনন্দময় একটি মুহূর্ত।
আসলে কর্পোরেট লাইফের বন্ধু পাওয়া অনেক ভাগ্যের ব্যাপার।এখন তো মানুষ কাকে নিচে রেখে নিজে উপরে ওঠবে এই মানসিকতা। তবে আপনার প্রাসঙ্গিক প্রসঙ্গ গল্পে সবার বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। আসলে মাঝে কর্পোরেট লাইফ থেকে দূরে থাকো তো খারাপ লাগে।ধন্যবাদ।আর কাচ্চি ছবিটা বেশ ভালো এসেছে,খাইনি তাই বলতে পারলাম না খেতে কেমন।😜😜।ধন্যবাদ
আমাদের পরিবেশ টা একেবারে বন্ধুত্বপূর্ণ এবং খুব মজা হয়
দুই বছর পর এক সঙ্গে মিলিত হয়েছেন রেস্টুরেন্টে খাবার খেয়েছেন আনন্দ-ফুর্তি করেছেন। এটা একটা খুব ভালো মুহূর্ত ছিল অসাধারন মুহুর্ত ।এরকম সবার জন্য সবসময় আসেনা। আপনি এই মুহূর্তগুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন । ধন্যবাদ খুব ভালো লেগেছে ।আরো আশায় থাকবো এ রকম মুহুর্ত দেখার জন্য ধন্যবাদ ভাই।
যেকোনো কর্মস্থলেই যদি বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশ গড়ে তুলা যায় তাহলে কাজ করতেও অনেক ভালো লাগে। করোনা আমাদের দেখে চিরতরে বিদায় নিক এই কামনা করি।
আপনারা অনেক ভালো সময় কাটিয়েছেন কাচ্চি খেয়ে তো সেই অবস্থা সবার। বাশমতি চালের কাচ্চির মজাই আলাদা।
যাইহোক, আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আপনার সুন্দর একটি মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইলো।
করোনাকালীন সময় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলো যেন একদম নির্জীব হয়ে গেছে। গত দুই বছর পর আপনার সাথে একসাথে কাজ করার সবাইকে নিয়ে এভাবে রেস্টুরেন্টে খেতে গিয়েছেন দেখে খুবই ভালো লাগলো। বিশেষ করে সব খাবার থেকে কাচ্চি বিরিয়ানি পছন্দ করেছেন দেখে আরো ভালো লাগলো। এটি অনেক পছন্দের একটি রেসিপি। নিশ্চয়ই সবার সাথে অনেক ভালো সময় কাটিয়েছেন। আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
জি, সময়টা অনেক উপভোগ্য ছিল। ধন্যবাদ।
আসলেই এইরকম বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেওয়া অনেক মজার। আসলে এই পরিস্থিতি মধ্যে ঘুরা ফেরা খুবই কষ্টকর হয়ে গেছে।এর মধ্যে এইরকম বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেওয়ার মজাটা বেশ আনন্দের। ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে।
সত্যি অনেক মজা। ধন্যবাদ।