আমাদের সম্মিলিত খুদ্র প্রয়াসে এগিয়ে যাক বাংলাদেশ
আমাদের সবার খুদ্র অবদানে এগিয়ে যাক বাংলাদেশ
প্রকৃতির আশেপাশে থাকা এবং প্রকৃতির কাছাকাছি থেকে প্রকৃতিকে উপভোগ করার মাঝেই আনন্দ। আমি সব সময় এবং বরাবরের মতই একজন প্রকৃতিপ্রেমী মানুষ। আমি যখনই সুযোগ পাই প্রকৃতির আশেপাশের ছুটে যায় সেটা সকালে বিকেলে কিংবা কোন ভ্রমণে। যখনই আমি হাতে সময় পায় বিশেষ করে বিকেলবেলা আমার সহকর্মীদের কে সবসময় আমন্ত্রণ জানায় গ্রামের মেঠোপথে প্রকৃতির মাঝে হেঁটে আসার জন্য। অনেক সময় তারা আমাকে সাড়া দেয় আবার অনেক সময় আমি একলাই হেঁটে চলি দূর-দূরান্তে গ্রামের মেঠোপথ ধরে। এবং আপনার মাধ্যমে আমি অনেক নতুন নতুন জিনিস দেখতে পায় বিশেষ করে গ্রাম বাংলার অপরুপ সৌন্দর্য এবং পাশাপাশি চাষাবাদ।
চাষাবাদ অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি কাজ এবং আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষ চাষাবাদের সাথে জড়িত বিশেষ করে কৃষির সাথে। কেউবা ধান চাষ করে কেউ সবজি চাষ করে কেউ বা মাছ চাষ করে এভাবে করে কেউ না কেউ কোন না কোন পেশি কার্ডের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত আছে। এবং এ জড়িয়ে থাকাটা আমাদের জন্য সুখকর কারণ এর মাধ্যমে আমরা আমাদের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি যোজনা আনতে পারছি পাশাপাশি খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করতে পারছি। আর খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ একটা জাতি চাইলে যে কোন দেশের সাথে পাল্লা দিয়ে এগিয়ে যেতে পারে। একথা আমি আগেও বলেছি পৃথিবীর এই যুগে আপনি প্রযুক্তিগতভাবে যত উন্নত হোন না কেন আপনাদের যদি জনসংখ্যা না থাকে এবং কৃষিতে আপনি সমৃদ্ধ না হন তাহলে আপনার জন্য অদূর ভবিষ্যতে বিপদ রয়েছে। তাই আমার দেশের কৃষি অর্থনীতি এবং আমার দেশের খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা আমার জন্য একটা বড় সুবিধার জায়গা। আমরা যেহেতু ছোটবেলা থেকেই কষ্টকর পরিবেশে বড় হচ্ছি এবং কৃষি কাজের সাথে জড়িত আশা করি আমরা হয়তো বা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা ধরে রাখতে পারব এবং পৃথিবীর মানচিত্রে বাংলাদেশ একটি গুরুত্বপূর্ণ দেশ হিসেবে ভূমিকা পালন করে আসছে সেটা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাবে।
শুধু চাষাবাদ নয় আমার দেশের শহর অঞ্চলে বসবাস করা অনেকেই তাদের ছাদে ব্যালকনিতে এবং আঙিনায় সবজি সহ নানাবিদ শাকসবজি এবং ফুলের চাষ আবাদ করতে অভ্যস্ত। এটা আগে ছিল না কিন্তু বর্তমান সময়ে এই ট্রেন্ড ব্যাপক আকারে দেখা যাচ্ছে যেটা আমাদের জন্য অবশ্যই খুব ভালো একটা দিক। যখনই আমি কাউকে ব্যালকনিতে কিংবা ছাদে ছোট ছোট পরিসরে কিছু চাষাবাদ করতে দেখি তখন আমার কাছে ব্যক্তিগতভাবে খুব ভালো লাগে কারণ এই ছোট ছোট কন্ট্রিবিউশন গুলোই ভবিষ্যতে আমাদের জন্য একটা বড় মাইলফলক হিসেবে দাঁড়াবে। তাই এটা সময়ের ব্যাপার যে আমরা আমাদের সমৃদ্ধিকে কতটা এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবো।
আমাদের দেশের পরিবেশগতভাবে প্রকৃতিগতভাবে বিভিন্ন সমস্যা রয়েছে দুর্নীতি কত কিছু সমস্যা হয়তো রয়েছে আবার কারও ক্ষেত্রে আমরা হয়তো বা এগিয়ে নেই কিন্তু যে বিষয়টাতে আমরা এগিয়ে সেই বিষয়গুলো নিয়ে আমাদের আরো বেশি কাজ করা উচিত। আর এটা করার মাধ্যমে আমরা আমাদের সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট অর্জন করতে পারব। যেমন আমরা কৃষি এবং টেক্সটাইলে অনেক উন্নত এবং আস্তে আস্তে ফার্মাসিউটিক্যালস খাতেও আমরা উন্নত করছি। তাই আমাদের উচিত হবে এই সেক্টর গুলোকে পেট্রোনাইজ এর মাধ্যমে শক্ত অবস্থানে এনে তারপর পাশাপাশি অন্যান্য আরও কিছু ডেভলপ করার জন্য কাজ করা। দেশের মানুষের কথা চিন্তা করে বিদেশি চক্রান্ত নস্যাৎ করার জন্য সরকার যখন পলিসি নেয় সেই সাথে আমাদেরও উচিত আমাদের প্রত্যেকের জায়গা থেকে নিজ নিজ দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে এই পরিবেশ প্রকৃতি এবং দেশের জন্য অবদান রেখে উন্নতিতে ভূমিকা রাখা।
আজকের এই পোস্টে আমি যে ছবিগুলো দেখেছি সেগুলো হচ্ছে এই লকডাউনে আমার শুরু করা ছাদ বাগানের কিছু অংশ। ছাদে বাগান করার অভিজ্ঞতা আমার আগে ছিল না তবে এবার লকডাউনে শখ করেই বাগান করেছি কারণ বাড়িতে একটা পর্যাপ্ত সময় একা একা ছিলাম। যেহেতু বাসা থেকে বের হওয়ার তেমন সুযোগ ছিল না বিশেষ করে গত বছরের এই সময়টাতে তখনই মূলত আমি এই কাজটাতে আত্মনিয়োগ করি এবং আমার সাধ্যমত চেষ্টা করে আমি এই কাজটাকে পেরেছি এগিয়ে নিয়ে এসেছি কিন্তু একটা সময় পরে যখন আমি কর্মস্থলে ফিরে এসেছি তখন পরিচর্যার অভাবে আমার গাছ গুলো নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। সে যাই হোক তবে প্রকৃতির জন্য পরিবেশের জন্য এবং নিজের জন্য কিছু করতে পারলে ভালো লাগে বিশেষ করে যখন আমি কোনো কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকে অর্থাৎ একটি থাকি তখন আমার কাছে খুব ভালো লাগে কারণ আমি মোটেও অলস জীবন যাপন এবং কিছু না করা যে জীবন যাপন বেলায় ছেলেটা পছন্দ করিনা। সবচেয়ে খারাপ লাগে যখন আমি দেখি মানুষ অবসর সময়কে খুব রিলাক্স ওয়েতে ব্যয় করে এবং অযথা ঘন্টার পর ঘন্টা চায়ের দোকানে সময় কাটিয়ে দেয়। ছোট-বড় যে কোনো কাজই মানুষ করুক না কেন সেটা আমার খুব ভালো লাগে এবং আমি মূল্যায়ন করি। তাই আমরা যে যেখানে আছি যেভাবেই আছি আমরা আমাদের জায়গা থেকে আমাদের যে সময় গুলো আছে সেগুলো কে কাজে লাগান এতে করে আমাদের নিজেদের যেমন সমৃদ্ধি আসবে তাতে করে কমান্ডারের সমাজ এবং দেশের পরিবর্তন আসতে বাধ্য। কিন্তু আমরা যদি নিজের জায়গায় নিজের কাজটা ঠিকমতো না করি অযথা অলস সময় করে কাটিয়ে দেই দিনকে দিন মাস কি মাস বছর বছর তাহলে কোনোভাবেই এদেশের এগিয়ে যাওয়ার পথ সুগম হয়েছে তা মসৃণ হবে না।
Who I am
Upvote, Resteem and Follow me on steemit @engrsayful
This is Saiful’s Classroom from @engrsayful
Find me on
Youtube | ThreeSpeak | DTube |
কমিউনিটিতে ঢুকে কোন ইন্ট্রোডাকশন পোস্ট ছাড়াই ডিরেক্ট পোস্ট করেছেন ,এটা কিভাবে আপনি একজন পুরাতন ইউজার হিসাবে করলেন , আমার ভীষণ চিন্তা হচ্ছে। যাইহোক আপনি ভালো লিখেছেন ।তবে আপনার এখানে পরিচিতি পর্বটা আগে জরুরী। আগে কমিউনিটি সম্পর্কে নিয়মকানুনগুলো জানুন ।তারপরে পোস্ট করার সিদ্ধান্ত নিন। ধন্যবাদ
শুভ ভাই, আপনার ভীষন চিন্তার জন্য দুঃখিত। পরিচয় ফুটারে দেয়া আছে, তবুও পরবর্তী কোন পোস্টে বিস্তারিত দিব ।