বই হোক শ্রেষ্ট উপহার || বিজয় দিবসে উপহার হিসেবে বই বিতরণ || Book as a best gift [10% for @shy-fox]
বই আমাদের অকৃত্রিম বন্ধু। বই আমাদের কে খুলে দেয় অনেক গুলো বন্ধ দরজা। আমরা যত বেশি বই পড়ি আমাদের চিন্তাশক্তির পরিধি ততই বৃদ্ধি পায়। তাই নিয়মিত বই পড়া অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু বর্তমান ভার্চুয়াল জগতের এই সময়ে যখন আমাদের হাতে অনেক পিডিএফ বই রয়েছে তারপরও আমাদের খুব বেশি একটা বই পড়া হয়না। যেখানে প্রযুক্তি আমাদেরকে বই পড়া সহজ করে দিয়েছে এবং বই প্রাপ্যতা সহজলভ্য করে দিয়েছে সেখানে আমাদের বই পড়ার পরিমাণ অনেক কমে গেছে। বিষয়টি সত্যিই অনেক উদ্বেগজনক। কারণ দিনশেষে জ্ঞান-ই হচ্ছে পাওয়ার বা ক্ষমতা।
গত পরশু বাংলাদেশের পালিত হলো মহান বিজয় দিবস এবং এটি হচ্ছে ৫০ তম বিজয় দিবস। পঞ্চাশ তম বিজয় দিবস কে ঘিরে বর্ণাঢ্য আয়োজন হয়েছে সারা দেশব্যাপী এবং আমার প্রতিষ্ঠান এর ব্যতিক্রম নয়। দিনব্যাপী বিভিন্ন আয়োজনের মধ্য দিয়ে বিজয় দিবস উদযাপিত হয়েছে আমার কর্মস্থলেও। এখানে ৮ টি প্রতিযোগিতা রাখা হয়েছিল। আর প্রতিযোগিতাগুলো আয়োজন এবং সমন্বয় করার দায়িত্বে আমি ও আমার এক সহকর্মী ছিলাম। আর এই কারণে গত এক সপ্তাহ ধরে অনেক ব্যস্ত সময় পার করেছি।
এই সময়টাতে প্রতিযোগিতা আয়োজনের জন্য যে পুরস্কার নির্বাচন করা হয়েছে সেখানে আমরা বইকে অগ্রাধিকার দিয়েছি এবং প্রত্যেকটি পুরস্কার বই দিয়েছি। অনেকের প্রস্তাবনা ছিল বিভিন্ন ব্যবহারে উপকরণ দেয়ার জন্য কিন্তু আমি এবং আরেকজন সহকর্মী মিলে আমরা অনড় ছিলাম যে, আমরা কেবল মাত্র বই উপহার দিব। এবং সেই সুবাদে প্রায় ৪০ জনকে চল্লিশটি বই আমরা উপহার দিতে পেরেছি। বই যেমন পড়ার মধ্যে আনন্দ রয়েছে তেমনি বই আসলে উপহার দেয়ার মধ্যেও একটা আনন্দ রয়েছে।
বই কেনা থেকে শুরু করে রেপিং করা পর্যন্ত পুরো সময় আমাকে থাকতে হয়েছে এবং নির্বাচনের ক্ষেত্রে আমরা দুইজন প্রধান ভূমিকা পালন করেছি। বিভিন্ন ইভেন্টের বিচারক এবং বই নির্বাচন ও বিতরণসহ সত্যি মুহূর্তগুলো অনেক আনন্দের ছিল কারণ এর মাধ্যমে অনেক আনন্দঘন এবং ফলপ্রসূ একটি দিন উদযাপন করা সম্ভব হয়েছে যা থেকে সবাই খুশি কারণ মহান বিজয় দিবসে এর থেকে ভালো কিছু আর হইয়ত হতে পারে না।
আমার কর্মস্থলের ছাত্র শিক্ষক এবং অন্যান্য সহকর্মীরা সভায় প্রাণভরে উপভোগ করেছে দিনটিকে কারণঃ বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় প্রায় সবাই অংশগ্রহণ করার সুযোগ পেয়েছে। নতুন ছাত্র থেকে প্রতিষ্ঠান প্রধান পর্যন্ত সবাই। আমি আজকে আপনাদের মাঝে বই কিনে সেগুলো রেপিং করার সময় এর কিছু ছবি শেয়ার করলাম যেখানে আমি আমার মেয়েকে নিয়ে গিয়েছিলাম। এই ছবিগুলো তোলা হয়েছে ১৫ ডিসেম্বর রাতে যখন আমরা বইগুলোকে বিভিন্ন ইভেন্টের ভিত্তিতে সাজিয়ে দিচ্ছিলাম।
ধন্যবাদ সবাইকে
Camera Specification
Realme 6i Smartphone
Main Camera: (Quad)
- 48 MP, f/1.8, 26mm (wide), 1/2.0", 0.8µm, PDAF
- 8 MP, f/2.3, 119˚ (ultrawide), 1/4.0", 1.12µm
- 2 MP, f/2.4, (macro)
- 2 MP B/W, f/2.4
Selfie Camera
- 16 MP, f/2.0, 26mm (wide), 1/3.06", 1.0µm
এই পোস্টের সম্পূর্ন লিখা আমার নিজস্ব ও কোথায় থেকে কপি করা হয়নি। কোথাও হতে কোন তথ্য বা ছবি নিয়ে থাকলে সোর্স দেয়া হয়েছে
আমি কে
আমি সাইফুল বাংলাদেশ থেকে। পেশায় শিক্ষক, সাবেক ব্যাংকার। আমি আমার চিন্তাভাবনা এবং ধারণাগুলি ব্লগে শেয়ার করতে ভালবাসি। প্রকৃতির মাঝে ঘুরে বেড়ানো এবং ক্রিকেট খেলা আমার শখ। আমি সর্বদা একজন শিক্ষানবিস এবং সবার থেকে শিখতে চাই। আমি বিশ্বাস করি, আমার লেখা থেকে কেউ যদি উপকৃত হয় বা নতুন কিছু শিখতে পারে তবেই আমার লেখালেখি সার্থক। |
---|
আপনার মেয়েকে দেখতে মাশাল্লাহ খুব কিউট। সে বেশ মনোযোগ দিয়েই ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে আছে।
এটা ঠিক বলেছেন ভাইয়া আপনি, আসলে ইন্টারনেট এ বই পাওয়া সহজ হয়ে গিয়েছে তবে এখন পড়ি কম আমরা।
আসলে ভাই আপনি খুবই সুন্দর কথা বলেছেন বই বৈশিষ্ট্য উপহার। এই বিজয়ের মাসে একমাত্র বই আমার কাছে মনে হয় সবচাইতে সেরা উপহার। আপনি খুবই সুন্দর চিন্তাধারার মাধ্যমে এই বইয়ের উপহার এর ব্যবস্থা করেছেন। আপনার জন্য রইল শুভকামনা।
বই সবসময় মানুষের জন্য একটি শ্রেষ্ঠ উপহার এবং মানুষের সবসময়ের জন্য সেরা মানের বন্ধু। বিজয় দিবস উপলক্ষে বই বিতরণ খুবই ভালো মানের একটি কাজ। আপনার ফটোগ্রাফি করে অসাধারণ হয়েছে বিশেষ করে আপনার এবং আপনার সন্তানের ফটোগ্রাফিকে আমার কাছে সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে।
ধন্যবাদ আপনাকে আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য