আমার ডিজিটাল আর্টের সংগ্রহশালা || পর্ব- ৩২
হে লো আমার বাংলা ব্লগ বাসী। কেমন আছেন সবাই। আশা করি ভালো আছেন। আমিও অনেক ভালো আছি। আবার ও হাজির হলাম একটি পোস্ট নিয়ে। আশা করি সবার ভালো লাগবে।
সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি আমার আজকের পোস্ট। আজ সকালে অফিস গিয়েছিলাম একটু দেড়ি করে। কারন এখন বাইকে করে যাই আর আজ অবরোধ ও ছিলো। আর তাই জ্যাম থাকবেনা তেমন জানতাম। আসলে এখন যে জ্যাম লাগে এটা মূলত বাসওয়ালা দের জন্য। কারন জ্যাম কেটে সামনে যেতেই দেখি সিগন্যাল নাই। তাইলে জ্যাম লাগলো কিভাবে? পরে দেখি দুই বাস বাকা করে যাত্রী উঠাচ্ছে ফলে অন্য গাড়ি যেতে পারছেনা। বাইক হওয়াতে সুবিধা হচ্ছে চিপা চাপা দিয়ে বের হয়ে যেতে পারছি এখন। তবে জ্যাম এ বসে একটু একটু করে আগাতে গেলে ক্লাচ চেপে চেপে আমার হাত শেষ। যাক আজ আপনাদের সাথে আমার কিছু ডিজিটাল আর্ট এর সংগ্রহশালা শেয়ার করবো। আশা করি ভালো লাগবে।
#১
নিস্তব্দ রাতের দৃশ্য অঙ্কন || ডিজিটাল আর্ট #166
নিস্তব্দ রাত আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। বিশেষ করে রাতের পরিবেশটা। পাইন বাগান পার হয়ে আকাশের চাঁদ এই কল্পনা থেকেই ছবিটি করা। আসলে আমাদের চিন্তা ধারা কাজ করে অনেক কিছু বিষয় এর উপর। কখনো ভাবনা গুলো মেলে ধরা যায় আর্টের মাধ্যমে। কখনো বা পারা যায়না। তবে আমি চেষ্টা করি ফুটিয়ে তুলতে সব কিছু সুন্দর ভাবেই।
#২
পাহাড় ও সূর্য মামার দৃশ্য অঙ্কন || ডিজিটাল আর্ট #167
এ যেনো নিস্তব্ধ এক রাতের ছবি। পেছনে পাহাড় সারির পেছনে চাঁদ মামার হাসি যেনো ছবিকে করে তুলেছে আরো অতুলনীয়। চাঁদের উজ্জ্বলতা তৈরি করতে যেয়ে একটু বিপদেই পরতে হয়েছিলো। আমার অরিনিক প্লাগিন কাজ করতেছিলোনা তখন। যেহেতু ফটোশপ এ পদ্ধতির অভাব নাই তাই সেদিন অন্য পদ্ধতি অবলম্বন করেছিলাম চাঁদের এই উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির জন্য। এবং সফল ও হয়েছিলাম।
#৩
সূর্যাস্তের দৃশ্য অঙ্কন || ডিজিটাল আর্ট #168
সাধারন এক সন্ধ্যা। দুই পাহাড় এর মাঝে দিয়ে সূর্য মামার ডুব ডুব হাসি। এমন পরিবেশ উপভোগ করতে বেশ ভালো লাগে। যদিও এমন দৃশ্য উপভোগ করা খুবই ব্যয়বহুল। হয়তো একদিন সামর্থ হবে সামনে বসে এমন দৃশ্য উপভোগ করার। সেদিন করবো। আল্লাহ যেনো সেই তৌফিক শিগ্রই দেন। তবে যাই হোক ছবিটি আমার নিজের কাছে ভালো লেগেছিলো অনেক।
#৪
উজ্জ্বল এক চাঁদ এর দৃশ্য অঙ্কন || ডিজিটাল আর্ট #169
চাঁদনী রাত টা কেমন লাগে আপনাদের? আমার কাছে কিন্তু ভালো লাগে খুবই। শুধু ভাবুন চাঁদনী রাত দু পাশে পাহাড় চুড়া। দেখতেও কেমন ভয় ভয়। কিন্তু আকাশ এর চাঁদটার দিকে তাকালে যেনো সব ভয় কই চলে যায়। চাঁদের উজ্জ্বলতা যেনো মনকে আরো প্রাণবন্ত করে তোলে। একদিন এডভেঞ্চার করে এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি হবো। জানিনা সাহসে কুলাবে কিনা। কিন্তু চেষ্টা করতে দোষের কি।
#৫
রক্তিম এক সন্ধ্যার দৃশ্য অঙ্কন || ডিজিটাল আর্ট #170
আমার কাছে সূর্যাস্ত বলতেই দারুণ এক দৃশ্য কল্পনায় এসে যায়। এই দৃশ্যটা আলাদা ভাবে আকার ট্রাই করেছি। পাইন বাগানে কিন্তু বেশির ভাগ সূর্য দেখা যায়না। এগুলো বেশির ভাগ থাকে মেরু অঞ্চলে। যেখানে সারা বছর বরফ এর চাঁদরে ঢাকা থাকে। সূর্যের দেখা মেলা ভার। কিন্তু আর্ট এর ক্ষেত্রে তো আমি যা কল্পনা করবো তাই ফুটিয়ে তুলতে পারবো। এঁকে দিলাম সূর্যাস্ত। জানিনা কেমন হয়েছে।
তো এই ছিলো আমার আজকের সংগ্রহশালার ছবি। পরবর্তী কোনো এক পোস্ট এ আবার দেখা হবে। ততদিন ভালো থাকবেন সবাই ।
পূর্ববর্তী পর্ব গুলো- পর্ব-১, পর্ব-২, পর্ব-৩, পর্ব-৪, পর্ব-৫, পর্ব-৬, পর্ব-৭, পর্ব-৬, পর্ব-৮, পর্ব-৯,পর্ব-১০, পর্ব-১১, পর্ব-১২,পর্ব-১৩,পর্ব-১৪,পর্ব-১৫,পর্ব-১৭। পর্ব -১৮,পর্ব-১৯,পর্ব-২০,পর্ব-২১, পর্ব-২২,পর্ব-২৩,পর্ব-২৪,পর্ব-২৫,পর্ব-২৬,পর্ব-২৭, পর্ব-২৮,পর্ব-২৯পর্ব-৩০,পর্ব-৩১
░▒▓█►─═ ধন্যবাদ ═─◄█▓▒░
আমি রাজু আহমেদ। আমি একজন ডিপ্লোমা ইন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ছি সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটি থেকে। আমি বাঙ্গালী তাই বাংলা ভাষায় লিখতে ও পড়তে পছন্দ করি। ফোন দিয়ে ছোটখাট ছবি তোলাই আমার সখ। এছাড়াও ঘুরতে অনেক ভালো লাগে।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
আপনার সবগুলো ডিজিটাল আর্টই আমি অনেক বেশি পরিমাণে পছন্দ করি৷ আর আজকে আপনার এই আর্টের সংগ্রহশালা দেখে আরো ভালো লাগলো৷ সবগুলো পছন্দের আর্ট যখন এখানে একসাথে দেখতে পেলাম তখন একটি আলাদা শান্তি কাজ করছে লাগলো৷ আর শেষের দিকে আপনি যে রক্তিম সূর্যের আর্টটি শেয়ার করেছেন তা একদম অসাধারণ হয়েছে৷ সব সময় এরকম সুন্দর সুন্দর আর্ট শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ৷
আসলে আর্ট এর সংগ্রহশালা করার উদ্দেশ্যে একটাই সেটা হচ্ছে আমার সব গুলো আর্ট যেনো এক পোস্টের মাধ্যমে এক্সেস করতে পারি।
আপনার ডিজিটাল আর্ট গুলো আমার কাছে বরাবরই ভালো লাগে। খুব সুন্দর ভাবে আপনি আর্ট গুলো করেন। আর্টের দৃশ্যগুলো মুগ্ধ করার মত। সংগ্রহশালা পোষ্টের মাধ্যমে অনেকগুলো ডিজিটাল আর্ট একসাথে বেশ ভালো লাগছে দেখতে। আমার কাছে চাঁদনী রাত এবং সূর্যাস্তের দৃশ্য গুলো বেশি ভালো লেগেছে।
২ এবং ৩ নম্বর আর্টের বর্ণনাগুলো কিছুটা এলোমেলো হয়ে গিয়েছে মনে হচ্ছে
আসলে আগের পোস্ট থেকে মার্কডাউন গুলো কপি করার কারণে এমনটা হয়েছিলো। ঠিক করে নিয়েছি পরে।
আপনি দেখছি অনেক সুন্দর ডিজিটাল আর্ট করে থাকেন। প্রত্যেকটা ডিজিটাল আর্ট আমার কাছে ভালো লেগেছে। অনেক সুন্দর সুন্দর দৃশ্য। খুবই ভালো লাগলো আপনার এই কাজের প্রতিভা দেখে।
চেষ্টা করি সুন্দর করে সব গুলো আর্ট করার।
ডিজিটাল আর্টগুলো আমার কাছে অসম্ভব ভালো লাগে। আজকে আপনি কিছু ডিজিটাল আর্টের সংগ্রহশালা করেছেন। এবং এই ডিজিটাল আর্ট গুলো কিছু আমি আগে দেখেছিলাম। তবে ডিজিটাল আর্ট অসাধারণ হয়েছে। সত্যি বলতে এতগুলো ডিজিটাল আর্ট একসাথে দেখে অনেক ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর করে ডিজিটাল আর্টের সংগ্রহশালা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আসলে ডিজিটাল আর্ট আমার করতে অনেক ভালো লাগে। তাই সব গুলো ডিজিটাল আর্ট এক পোস্টের মধ্যে এনেছি।
ডিজিটাল আর্ট এর সংগ্রহশালা দেখে সত্যি অনেক ভালো লাগলো। আসলে ডিজিটাল আর্ট আমার কাছে এমনিতে বেশ ভালো লাগে। আপনার সংগ্রহশালা এর ডিজিটাল আর্ট কিছু আমি আগে দেখেছিলাম। তবে ডিজিটাল আর্টের মধ্যে আলাদা একটা সৌন্দর্য লুকিয়ে থাকে। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে এতগুলো ডিজিটাল আর্ট এর সংগ্রহশালা শেয়ার করার জন্য।
জ্বি ভাই। সংগ্রহশালা করেছি এই কারনেই। যেনো সব এক সাথে থাকে।