শিক্ষামূলকঃ পর্ব ২৫ || স্টিম ব্লকচেইন বিস্তারিত || Details about Steem blockchain [10% for shy-fox]

in আমার বাংলা ব্লগ3 years ago

ভূমিকাঃ

শিক্ষামূলক সিরিজের পূর্ববর্তী পোস্টে আমি ব্লকচেইন প্রযুক্তির খুটিনাটি বিষয় নিয়ে আপনাদের মাঝে আলোচনা করেছিলাম। আশা করি ব্লকচেইন সম্বন্ধে আপনারা একটা সম্যক ধারণা লাভ করতে পেরেছেন। তাই আজকে আমি স্টিম ব্লকচেইন এর খুঁটিনাটি বিষয়গুলো নিয়ে আপনাদের মাঝে শেয়ার করব। বিগত পোস্টে আমি বেশ কিছু জায়গায় বলেছিলাম যে, একেক ব্লকচেইনে কোন ব্যাপারটি একেক রকম হয়। তাই স্টিম ব্লকচেইনের সাথে অন্যান্য ব্লকচেইন এর কিছু পার্থক্য থাকবে। আমরা যে স্টিমিট (https://steemit.com/) প্লাটফর্মে কাজ করি সেটি স্টিম ব্লকচেইন ভিত্তিক একটি প্ল্যাটফর্ম বা সাইট অর্থাৎ স্টিম ব্লকচেইন কে কাজে লাগিয়ে তৈরি করা একটি ইন্টারফেস বা অ্যাপ্লিকেশন। তাই চলুন স্টিম ব্লক চেইন সম্বন্ধে খুঁটিনাটি কিছু বিষয়ে বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক।




Thumbnails.jpg

Line Break Steem.png

পর্ব ২৫: স্টিম ব্লকচেইন কি বিস্তারিত বুঝে নিন

Line Break Steem.png

স্টিম ব্লকচেইন কিঃ

অন্যান্য ব্লকচেইন প্রযুক্তির মতোই স্টিম ব্লকচেইন একটি প্রযুক্তি তবে এই ব্লকচেইন প্রযুক্তিতে শুধুমাত্র লেনদেনকে লিপিবদ্ধ করা হয় না বরং পোস্ট, কমেন্ট অর্থাৎ ব্লগিং সংক্রান্ত কার্যক্রম লিপিবদ্ধ করা হয়, লেনদেনের পাশাপাশি। অর্থাৎ এই ব্লকচেইনের যে ডিস্ট্রিবিউটেড লেজার রয়েছে সেখানে লেনদেনের তথ্যের পাশাপাশি ব্লগিং সংক্রান্ত কার্যক্রমগুলোও (যা সচরাচর আমরা করে থাকি যেমন পোস্ট, কমেন্ট, লাইক ইত্যাদি) রেকর্ড থাকছে।




সাধারণভাবে মাইনিং কিঃ

একটা ব্লকচেইন নিয়ন্ত্রিত হয় একটা সিস্টেমে। অর্থাৎ গত আলোচনায় যে node এর কথা বলেছিলাম সেই নোডগুলো বিভিন্ন জায়গা থেকে কম্পিউটারের মাধ্যমে সম্পন্ন হচ্ছে। যেমন বিটকয়েন এর ক্ষেত্রে যেসব কম্পিউটার (নোডগুলো) এই লেনদেনগুলোকে ভেরিফাই করছে তাদের মধ্যে নতুনভাবে তৈরি হওয়া সমস্ত বিটকয়েন শেয়ার করে দেয়া হয়। এই পদ্ধতিকে মাইনিং বলা হয়।

অর্থাৎ যেহেতু এখানে কোন কেন্দ্রীয় ব্যক্তি বা কম্পিউটার নেই তাই সারা বিশ্ব থেকে যে কোনো কম্পিউটার অথবা যে কোন ব্যক্তি সেই লেনদেনকে ভেরিফাই করার কাজটা করতে পারবে এবং যিনি আগে করতে পারবেন এবং ভালোভাবে করতে পারবেন তার ভেরিফিকেশনের জন্য লেনদেনটি সম্পন্ন হবে। লেনদেনের জন্য যতটুকু নতুন করে বিটকয়েন তৈরি হবে সেটা ও কম্পিউটার বা তার মালিককেই দেয়া হবে। অর্থাৎ নতুন করে খনি (মাইন) হতে উৎপন্ন হওয়ার মতই ব্যপারটা তাই মাইনিং বলা হচ্ছে। বিটকয়েন এর ক্ষেত্রে একটি অ্যালগরিদম সেট করা আছে আর সেই অ্যালগরিদমটি একটু জটিল এবং এই জটিল আলগরিদমটি যে কম্পিউটার যত দ্রুততার সাথে সমাধান করতে পারবে সেই কম্পিউটার তত বেশি বিটকয়েন লেনদেনের বৈধতা দিতে পারবে এবং অর্থাৎ মাইনিং করতে পারবে।
cryptocurrency-6560735_1280.png
Source: Image by mohamed Hassan from Pixabay

এটা হচ্ছে বিটকয়েন এর ক্ষেত্রে কিন্তু স্টিমিট এর ক্ষেত্রে ব্যাপারটা ভিন্ন। স্টিমিটিল যেকোনো কম্পিউটার আপনি এই অপারেশন অর্থাৎ নোট হিসেবে ব্যবহার করে ব্লক ভ্যালিডিটি ভেরিফিকেশনের জন্য ট্রানজেকশন এডিট করার জন্য ব্যবহার করতে পারবেন। যারা এই কাজটি করবেন তাদেরকে বলা হয় উইটনেস অর্থাৎ যে সকল কম্পিউটার থেকে এই কাজ করা হচ্ছে সেগুলো একেকটা উইটনেস। মূলত স্টিম ব্লক চেনে উইটনেস এই ব্লগ ভেরিফিকেশন এর কাজটা করে থাকে। যত উইটনেস রয়েছে সবাই কিন্তু এই কাজে অংশগ্রহণ করতে পারে না। প্রথম 20 জন এই কাজে অংশগ্রহণ করতে পারে। এবং 21 তম ব্যক্তিকে ওয়েটিংয়ে রাখা হয়।কিভাবে প্রথম 20 জন নির্বাচিত হয় এই ব্যাপারটা বোঝার জন্য ব্লক চেনে এই মাইনিং' পদ্ধতির তিনটি ধর্ম আপনাকে বুঝতে হবে।




মাইনিং এর ধরনঃ

সাধারণভাবে তিন ধরনের পদ্ধতি আপনারা বিভিন্ন ব্লকচেইনে দেখতে পারবেন। চলুন আগে তিনটি ধরণ জেনে নেওয়া যাক।

Proof of Work (প্রুফ অফ ওয়ার্ক)

উপরের আলোচিত পদ্ধতিটি ছিল বিটকয়েন এর জন্য এবং সেখানে যেসব কম্পিউটার সবার আগে গাণিতিক সমস্যা সমাধান করতে পারবে সেই সব কম্পিউটার ওই লেনদেনগুলোকে বৈধতা দিতে পারছে তাই মাইনিং করা কয়েনগুলো ওই কম্পিউটারগুলোকে দেওয়া হয়। এ কারণে দেখবেন বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে অনেক ভালো প্রসেসর ও গ্রাফিক্স কার্ড সম্বলিত কম্পিউটারকে বসিয়ে রেখে মাইনিং এর কাজটা করা হয়ে থাকে। যেই কম্পিউটার যত বেশি পরিমাণে অ্যালগরিদম এবং গাণিতিক প্রবলেম (যেটা ধারণা করা হয় satoshi Nakamoto কতৃক ডেভ্লপ করা আছে) সলভ করতে পারছে সেই কম্পিউটারগুলো ততবেশি মাইনিং করতে পারবে। এখানে আপনাকে মাইনিং এ অংশগ্রহণ করার জন্য ভালো প্রসেসর এবং গ্রাফিক্স কার্ডের কম্পিউটার দরকার হবে। এটি হচ্ছে প্রুফ অফ ওয়ার্ক।


Proof of Stake (প্রুফ অফ স্টেক)

দ্বিতীয় এই পদ্ধতিতে তারাই মাইনিং করতে পারে অর্থাৎ ব্লক প্রোডাকশনে ভূমিকা রাখতে পারে যাদের এই প্ল্যাটফর্মের বেশি পরিমাণ কারেন্সি ক্রয় করা আছে। যেমন স্টিম যদি এমন হত তাহলে যার কাছে সবচেয়ে বেশি পরিমাণ স্টিম পাওয়ার রয়েছে তারাই মাইনিং করতে পারত এবং এই হিসেবে প্রথম ২০ জন যাদের স্টিম পাওয়ার আছে তারা মাইনিং করতে পারার কথা ছিল। কিন্তু স্টিম ব্লকচেইন এই পদ্ধতিতে চলে না।


Delegated Proof of Stake (ডেলিগেটেড প্রুফ অফ স্টেক)

তৃতীয় যে পদ্ধতিতে সেটি অনেকটাই ফেয়ার এবং আধুনিক পদ্ধতি। এখানে গণতন্ত্রের মত একটা ভোটাভুটির সিস্টেম আছে। অর্থাৎ যারা ব্যক্তি হিসেবে ভাল এবং জনপ্রিয়তা আছে তারা এই উইটনেস বা ব্লগ প্রোডাকশনের কাজে নিজেদেরকে আত্মনিয়োগ করতে পারবে। যারা যারা উইটনেস হতে চায় তারা সবাই কম্পিউটার নিয়ে লিস্টে থাকবে তবে প্লাটফর্মের সাধারণ ব্যবহারকারীরা ভোট দিবে। যিনি যত বেশি ভোট পাবেন তিনি ততবেশি উপরের দিকে থাকবেন র‍্যাংকিং এ এবং প্রথম বিশজনের মধ্যে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হবে।

এক্ষেত্রে উইটনেস দেরকে যারা ভোট দিবে (যে সাধারণ ব্যবহারকারীরা) তাদের স্টিম পাওয়ার একটি বড় ফ্যাক্টর এজন্য এটাকে ডেলিগেটেড প্রুফ অফ ওয়ার্ক বলা হয়েছে। যিনি বেশি পাওয়ার সম্বলিট ব্যবহারকারীর ভোট পাবেন তিনি বেশি এগিয়ে থাকবেন। যেমন ৫০ জন ব্যবহারকারীর মোট স্টিম পাওয়ার যদি ১০,০০০ হয় আর ১ জন ব্যবহারকারীর স্টিম পাওয়ার যদি ১০,০০০ হয় তাহলে একজন ভোট দিলে যে পরিমাণ র‍্যাঙ্ক পাওয়া যাবে ওই ৫০ জন ভোট দিলেও একই পরিমাণ র‍্যাঙ্ক পাওয়া যাবে।

এই পদ্ধতিতে দুইটা বিষয় নিশ্চিত হচ্ছে। একঃ যারা পুরাতন ও বড় ব্যবহারকারী তারা সাপোর্ট পাবেন ও ব্লক প্রোডাকশনের কাজে নিজেদেরকে আত্মনিয়োগ করতে পারবেন। বেশি পাওয়ার সম্বলিত ব্যবহারকারীরা তাদেরকেই ভোট দিবেন যাদের কোডিং, ব্লকচেইন এবং এই প্ল্যাটফর্মের প্রতি সহানুভূতি, ভালোবাসা ও কন্ট্রিবিউশন রয়েছে। যেমন, কোন দেশের সরকার নির্বাচনের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র দল না দেখে বরং ওই ব্যক্তিকে দেখে যে, তিনি কি রকম কাজ করতে পারেন। তাই এই পদ্ধতিটা অনেক বেশি যৌক্তিক। দুইঃ পাওয়ারটা একটা ফ্যাক্টর না হলে অনেকে একাউন্ট করে নিজেদেরকে উইটনেস হিসেবে ভোট দিত আর স্প্যামিং করত। তাই এটা একেবারে গণতান্ত্রিক এর মত সবার ভোট সমান না করে যাদের পাওয়ার বেশি তাদেরকে ওয়েটেজ দেয়া হয়েছে। স্টিম ব্লকচেইন এই পদ্ধতিতে মাইনার অথবা ওয়েটনেস নির্ধারণ করে থাকে। যারা প্রথম ২০ জনের মধ্যে থাকে তারা এই ব্লক প্রোডাকশনের কাজ করে থাকে যাদেরকে উইটনেস (Witness) বলা হয়ে থাকে। নতুন মাইনিং হওয়া স্টিম তাদের মাঝে একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ শেয়ার করা হয় যেটা আমি নিচে আপনাদেরকে ব্রেকডাউন সহ দেখিয়ে দিচ্ছি।




স্টিম ব্লকচেইন এর উইটনেস, এর গুরুত্ব, কাজ, কিভাবে উইটনেস ভোট দিতে হয় ইত্যাদি যাবতীয় খুঁটিনাটি বিষয় নিয়ে আমি আরেকটা পোস্টে আপনাদের মাঝে বিস্তারিত শেয়ার করব।




স্টিম ব্লকচেইনের আরো কিছু খুঁটিনাটি বিষয়ঃ

প্রতি ৩ সেকেন্ডে এখানে একটি ব্লক তৈরি হয়। একটি ব্লক একজন উইটনেস কর্তৃক গৃহীত হয়। যে উইটনেস কম্পিউটার যে ব্লক তৈরি করল সেই উইটনেস সেই ব্লকের জন্য রিওয়ার্ড পাবেন। প্রত্যেকটা ব্লকে যে পরিমাণ রিওয়ার্ড নতুন করে অর্থাৎ স্টিম নতুন করে এই প্লাটফর্মে আসে সেটাকে নিচের পদ্ধতি মোতাবেক বন্টন করে দেওয়া হয়।

  • সবচেয়ে বেশি পরিমাণ ৬৫% দেয়া হয় রিওয়ার্ড পুলে অর্থাৎ আমরা যারা অথর এবং কিউরেটর হিসেবে কাজ করে যাচ্ছি।
  • ১৫% চলে যায় স্টিম পাওয়ার যারা অর্জন করেছেন তাদেরকে ইন্টারেস্ট দেয়ার ক্ষেত্রে।
  • ১০% যায় স্টিম ব্লকচেইনভিত্তিক বিভিন্ন প্রপোজালে।
  • বাকি ১০% পান হচ্ছে উইটনেসরা।

যেখানে বিটকয়েন ব্লকচেইন-এ যা মাইনিং হয় তার পুরোটাই (১০০%) মাইনার-রা পেয়ে যায় সেখানে স্টিম ব্লকচেইনএ মাত্র ১০% পেয়ে থাকেন হচ্ছে উইটনেসরা। এ কারণেই আমি আগেই বলেছি এটি একটি ব্লগিং ভিত্তিক ব্লকচেইন যেখানে ব্লগিং সংক্রান্ত ডাটা যেমন থাকে তেমনি লেনদেন সংক্রান্ত ডাটাও থাকে। আর সর্বাধিক পরিমাণ পাচ্ছেন হচ্ছে যারা লিখছেন আর ভোট দিচ্ছেন।

আগে ব্লকচেইন এর প্রাথমিক ধারণাতে আমি এ কথা বলেছিলাম যে, একটা সিস্টেম ডেভলপ করে একটা প্ল্যাটফর্ম এর ভ্যালু তৈরি করা হয়। এখানে দেখুন, এটাই হচ্ছে সেই সিস্টেম অর্থাৎ নতুন করে কিছু টোকেন এই সিস্টেমে আসছে যেটা সবাই কেনাবেচা করে একটা ভ্যালু তৈরি করছেন এবং প্ল্যাটফর্মকে সমৃদ্ধ করে সেই ভ্যালুটা ধরে রাখছেন। তাই সবাই বুঝতে পারছেন এই প্ল্যাটফর্মের ভ্যালু ধরে রাখার জন্য আমাদের সবাইকে কোয়ালিটি কনটেন্ট তৈরি করতে হবে যাতে করে স্টিমিট আস্তে আস্তে উন্নতি লাভ করে।

প্রতিবছর ৯.৫% মুদ্রাস্ফীতি ধরে নতুন টোকেন তৈরি হচ্ছে স্টিম ব্লকচেইনে যা আবার একটা ক্যালকুলেশন মোতাবেক নির্দিষ্ট সময় পরপর কমছে। সে বিষয়ে আপনারা বিস্তারিত জানতে চাইলে FAQ সেকশনটা দেখে আসতে পারেন।

স্টিম ব্লকচেইনের রিওয়ার্ড পুল হতে রিওয়ার্ড দুই ভাগে ভাগ করে ডিস্ট্রিবিউট করা হয় যেটা আমি পূর্ববর্তী একটি পোস্টে বিস্তারিত বর্ণনা করেছিলাম। সেই পোস্ট দেখে আপনারা বিস্তারিত জেনে নিতে পারেন।




স্টিম ব্লকচেইনের তথ্য কিভাবে দেখবেনঃ

যে কোন ব্লকচেইন এর ব্লকগুলো দেখার জন্য ব্লক এক্সপ্লোরার থাকে। আগেই বলা হয়েছে, এখানে কোন কিছুই গোপন নয় বরং প্রত্যেকটি লেনদেন (ট্রানজেকশন) আপনি দেখতে পারবেন। সবার সব পোস্ট আপনি দেখতে পারবেন। যদি এডিট করাও হয়ে থাকে তাহলেও এডিটের পূর্বের অবস্থাও দেখতে পারবেন। এই ব্লকচেইন এর ব্লকগুলো কে দেখার জন্য আপনাকে https://steemblockexplorer.com/ স্টিম ব্লক এক্সপ্লোরার সাইটে যেতে হবে এবং সেখানে গেলেই আপনি নিচের ছবির মত একটি ইন্টারফেস দেখতে পারবেন।


BlockExplorer.png



এখানে দেখুন তিন সেকেন্ড অন্তর অন্তর যে ব্লকগুলো তৈরি হচ্ছে সেগুলো কোন উইটনেস তৈরি করেছেন, এটি কত নাম্বার ব্লক, এটি-তে কয়টি লেনদেন রয়েছে, কয়টি ভোট আছে, কয়টি কমেন্ট রয়েছে এ সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য দেয়া হচ্ছে। এছাড়াও স্টিম ব্লক এক্সপ্লোরারের উপরের দিকে সার্চ বক্সে গিয়ে আপনি সংশ্লিষ্ট তথ্য দিয়ে অথবা ব্যবহারকারী দিয়ে চার্জ দিয়ে তথ্য খুঁজে নিতে পারবেন। আগের দুইটি পোস্টে স্টিমের ডাটা দেখার জন্য দুইটি ওয়েবসাইটের রিভিউ আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছিলাম। সেই দুইটি ওয়েবসাইটে গিয়েও আপনারা আপনাদের ব্লক সংক্রান্ত তথ্যগুলো দেখতে পারবেন।




শেষকথাঃ

পরিশেষে বলতে চাই, যারা দীর্ঘমেয়াদে এখানে কাজ করতে চান তারা অবশ্যই জেনে বুঝে এবং স্বচ্ছ ধারণা নিয়ে কাজ করুন তাহলে আপনাদের চলার পথ অনেক মসৃণ হবে। ধন্যবাদ সবাইকে।

শিক্ষামূলক সিরিজে আমার লিখা পূর্বের লিখাগুলোর লিঙ্ক নিচে দিয়ে দিলাম। ভাল লাগলে সেগুলোও চোখ বুলিয়ে আসতে পারেন। আশা করি উপকৃত হবেন। ধন্যবাদ।
Line Break Steem.png

শিক্ষামূলক সিরিজে আমার লিখা পূর্বের পোস্টের তালিকাঃ

পর্বশিক্ষামূলক বিষয়
০১-১০দশটি পোস্টের রিভিউ => ১.মাতৃভাষায় বেসিক => ২.শিক্ষায় আয় => ৩.পিসিতে ভয়েস টাইপিং => ৪.রেপুটেশন => ৫.কমেন্ট স্প্যামিং => ৬.কিউরেশন ট্রেইল => ৭.ফ্যানবেইস => ৮.ভোটিং পাওয়ার => ৯.রিসোর্স ক্রিডিট => ১০.ডেলিগেশন
১১একাউন্টের নিরাপত্তা নিয়ে বিস্তারিত
১২সেভিংস ওয়ালেট নিয়ে বিস্তারিত
১৩সয়ংক্রিয় রিওয়ার্ড ক্লেইম কি, কেন ও কিভাবে
১৪অযাচিত ও অপ্রয়োজনীয় মেনশন কি এবং কেন বিরত থাকতে হবে
১৫কিউরেশন ও অথর রিওয়ার্ড কি ও কিভাবে বন্টন হয়
১৬কিউরেশন রিওয়ার্ড বন্টনের নিয়ম ও আগে ভোট দেওয়ার সুবিধা
১৭একাধিক একাউন্টে একসাথে কিভাবে স্টিম ট্রান্সফার করবেন
১৮ফিশ স্কেল: Whale, Shark, Dolphin, Minnow, Plankton
১৯ডাস্ট(Dust): কি, কেন, কিভাবে কাজ করে, সমাধান কি (১ম পর্ব)
২০কিভাবে সয়ংক্রিয়ভাবে ডাস্ট(Dust) সেভ করবেন (২য় পর্ব)
২১স্টিম ব্লকচেইনের ডাটা দেখার ওয়েবসাইট steemnow রিভিও
২২স্টিমে আমার ১০০০তম দিনে নতুনদের জন্য ৫টি দিকনির্দেশনা
২৩স্টিম ব্লকচেইনের ডাটা দেখার ওয়েবসাইট steemworld রিভিও
২৪ব্লকচেইন আদ্যোপান্ত

আমি কেঃ

আমি সাইফুল বাংলাদেশ থেকে। পেশায় শিক্ষক এবং সাবেক ব্যাংকার। পড়াশুনা করেছি প্রকৌশলবিদ্যায়। স্টিমিট-এ ২০১৯ সাল থেকে নিয়মিত লিখালিখি করে আসছি। আমি সর্বদা একজন শিক্ষানবিস এবং সবার থেকে শিখতে চাই।

Line Break Steem.png

Intro Steem.gif

অন্যান্য মিডিয়াতে আমার সাথে যুক্ত হতে পারেনঃ

FacebookTwitterInstagram
YoutubeThreeSpeakDTube


Amar Bangla Blog Logo.png


Sort:  
 3 years ago 

ভাই আপনি সব সময় বেস্ট ।এমন এমন কিছু আমাদের মাঝে শেয়ার করেন যা আমাদের খুবই প্রয়োজন থাকে। এত সুন্দর করে গুছিয়ে লেখার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। আসলে অনেকটা সময় আপনি এই বিষয়ের উপর অভিজ্ঞতা নিয়েছেন বলেই এত কিছু লিখতে পারছেন সেটা বুঝাই যাচ্ছে। ইনশাল্লাহ বিফলে যাবেনা আপনার লিখা অনেকেই উপকৃত হবে এই আশাই করছি।

 3 years ago 

ধন্যবাদ।

আপনার এই শিক্ষামূলক পোস্ট গুলো সতিই অসাধারণ হয়।এগুলো থেকে আমরা অনেক কিছু শিখতে এবং জানতে পারি। এর ফলে আমরা নতুন নতুন বিষয় সম্পর্কও অবগত ধারণা পায়।আমরা যা এগুলো বিষয় একটু কম জানি তাদের জন্য সত্যিই অনেক উপকার এ আসে।ধন্যবাদ এত শিক্ষামূলক পোষ্ট করে নিউবি দের জন্য অনেক ভালো।শুভ কামনা রইলো আপনার প্রতি ও ভালোবাসা অবিরাম।

 3 years ago 

কমেন্ট পোস্ট করার আগে অবশ্যই একবার ভাল করে পড়ে নেবেন। ভাষাগত ছোটখাট ভুল ভ্রান্তি এবং বাক্য তৈরিতে যে সমস্যাগুলো হয় এগুলো ঠিকঠাক করে তারপর পোস্ট করবেন। এতে যিনি কমেন্ট পড়বেন তিনি বিরক্ত হবেন না এবং আপনার সাথে এংগেজমেন্ট বৃদ্ধি পাবে।ধন্যবাদ।

 3 years ago 

আপনার এই শিক্ষামূলক পোস্ট গুলো আমার কাছে সব সময়ই অনেক ভালো লাগে। কারণ আসলে শিক্ষার কোন শেষ নেই এবং জানার কোন শেষ আছে বলে আমি অন্তত মনে করি না। যেখানে শিক্ষার কোন শেষ নেই। অন্তত আমার তো এখনো অনেক কিছুই জানার আছে যা আমি আপনার কাছ থেকে অনেক ভাবে সাহায্য পাই। তার জন্য অনেক বেশি ধন্যবাদ ভাইয়া।

 3 years ago 

ধন্যবাদ ভাইয়া। সবসময় আপনার পোস্ট থেকে নতুন কিছু শিখতে পারি। আজকেও শিখতে পারলাম। স্টিম ব্লকচেইন সম্পর্কে অনেক তথ্য জানতে পারলাম। বিশেষ করে মিইনিং এবং ডেলিগেশন সম্পর্কে। খুবই কোয়ালিটিফুল পোস্ট।

 3 years ago 

ভাইয়া আপনার জ্ঞানের তুলনা হয়না। প্রতিটা বিষয় গুলো আপনি আমাদের মাঝে ব্যাখ্যা সহ উপস্থাপন করেন যা থেকে আমরা খুব সহজেই বুঝে ফেলি।সব সময় ভাল বাসা ভাইয়া।

 3 years ago 

ধন্যবাদ

 3 years ago 

অনেক শিক্ষনীয় পোস্ট। আপনার পোস্ট পড়ে সবাই অনেক তর্থ জানতে পারবে। আপনি অনেক গুলি শিক্ষানীয় পোস্টের লিংক ও দিয়েছেন। দারুন ভাবে উপস্থাপনা করেছেন। অনেক অনেক শুভেচ্ছা

 3 years ago 

জি। ধন্যবাদ

আপনার সম্পূর্ণ পোস্ট খুব সুন্দর করে পড়লাম তবে সম্পূর্ণ জ্ঞান এখনো অর্জন করতে পারিনি। কমপক্ষে ৩ বার না পড়লে কখনোই সম্ভব নয় আপার পক্ষে। ভাই প্রত্যেকটা শিরোনামের বাক্যগত এবং শাব্দিক অর্থ দিলে বুঝতে সহজ হইতো। সব মিলে আপনি সত্যিই একজন লিজেন্ড। অনেক কিছু দেখতে দেখতে শিখে গেলাম আপনার পোস্ট থেকে ভাই। মন থেকে আপনার জন্য দোয়া রইলো। আমার জন্যও দোয়া করবেন আমি যেন একজন সার্থক ব্লগার হয়ে উঠতে পারি ইনশাআল্লাহ।

 3 years ago 

প্রত্যেকটা শিরোনামের বাক্যগত এবং শাব্দিক অর্থ দিলে বুঝতে সহজ হইতো।

এইটা বুঝতে পারিনি। কোনটা বুঝাইছেন?

 3 years ago 

ধন্যবাদ ভাইয়া অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটা পোস্ট ছিল, স্টিমিট ব্লক চেয়েইন সম্পর্কে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ধারণা এই পোস্ট থেকে আজকে পেলাম। সাধারণ মাইনিং থেকে শুরু করে স্টিমিট এর তথ্য কিভাবে দেখা যায় সকল বিষয়ের প্রতি আবারও ধারণা পেলাম ।ধন্যবাদ ভাই অনেক অসাধারণ একটি পোস্ট ছিল।

সত্যি বলতে অনেক কিছু জানত পারতেছি

 3 years ago 

ধন্যবাদ ভাইয়া
স্টিম ব্লকচেইন সম্পর্কে অনেক তথ্য জানতে পারলাম।

 3 years ago 

জি, শুভকামনা রইল

Coin Marketplace

STEEM 0.20
TRX 0.13
JST 0.030
BTC 65634.72
ETH 3493.40
USDT 1.00
SBD 2.51