শিক্ষামূলকঃ পর্ব ১৯ || স্টিমিটে ডাস্ট কি, কেন ও কিভাবে সেভ করবেন (১ম পর্ব) || Dust in Steemit [10% for shy-fox]
ভূমিকাঃ
স্টিম ব্লকচেইন ও স্টিমিট (steemit.com) এর খুঁটিনাটি বিষয়গুলো বিস্তারিতভাবে শেয়ার করতে ভালই লাগছে কারণ নতুনরা অনেক বেশি উপকৃত হচ্ছেন যেটা কমেন্ট দেখেই বোঝা যাচ্ছে। তাই আজকে আরেকটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করব। আজকে আলোচ্য বিষয় স্টিমিট এর ডাস্ট (Dust)। কখন একটি পোস্ট বা কমেন্ট ডাস্ট হয়ে যায় এবং ডাস্ট কেন রাখা হয়েছে, ডাস্ট হলে কি ক্ষতি এবং কিভাবে আমরা ডাস্ট রোধ করতে পারি (ম্যানুয়ালি এবং স্বয়ংক্রিয়ভাবে) সেই বিষয়টি নিয়ে আজকে বিস্তারিত লিখব তাই চলুন শুরু করা যাক।
পর্ব ১৯: স্টিমিটে ডাস্ট কি, কখন ডাস্ট হয়, ডাস্ট হলে ক্ষতি কি আর কিভাবে ডাস্ট সেভ করতে হয়
ডাস্ট কিঃ
আমাদের চারপাশে আমরা যে ধুলাবালি দেখি সেগুলোকেই আমরা আসলে ডাস্ট বলে থাকি। বিশ্বের বিভিন্ন শহরে আস্তে আস্তে বাতাসে ও পরিবেশে ডাস্টের পরিমাণ বেড়ে যাওয়াতে বসবাসের অনুপযুক্ত হয়ে যাচ্ছে। সেই ডাস্ট আমাদের আজকের আলোচ্য বিষয় নয় বরং আমাদের আজকের আলোচ্য বিষয় হচ্ছে steemit বা Steem blockchain এর ডাস্ট। স্টিমে আমরা যখন কোন পোস্ট করি কিংবা কমেন্ট করি সেখানে যে রিওয়ার্ড জেনারেট হয় সেটা দুই ভাগে ভাগ হয়ে ভোটাররাও অর্ধেক পান এবং বাকিটা যিনি অথর তিনি পান। কিন্তু যদি কোনো পোস্ট এবং কমেন্টে সর্বমোট রিওয়ার্ড এর পরিমাণ 0.02 SBD(এসবিডি) এর নিচে হয় তাহলে সেই পোষ্টের পে-আউট হওয়ার সময় তা ডাস্ট হিসেবে শূন্য হয়ে যায়। অর্থাৎ আউট হওয়ার পূর্বে বা সাতদিনের মধ্যে কোন পোস্ট এবং কমেন্টের রিওয়ার্ড যদি 0.02 SBD(এসবিডি) নিচে থাকে তাহলে সেটি শূন্য রিওয়ার্ড পাবে অর্থাৎ এটিই ডাস্ট হিসেবে সিস্টেমে হারিয়ে যাবে।
জেনারেট হবে না কেন
ডাস্ট কেনঃ
অনেকের মনেই প্রশ্ন জাগতে পারে যে, এই অল্প পরিমাণ রিওয়ার্ড যারা নতুন ইউজার রয়েছে তাদের জন্য অনেক কিছু এবং এটা ডাস্ট হিসেবে বাতিল না করে বরং অল্প পরিমাণ এই রিওয়ার্ড ভাগ করে দিয়ে দিলেই তো ভালো হতো। কিন্তু আসলে এটি এক ধরনের স্প্যামিং প্রতিরোধ করার জন্য করা হয়েছে। একটা উদাহরন দেই তাহলে ব্যাপারটি ভাল বুঝতে পারবেন। যেমন ধরুন অনেকে খুব ছোট ছোট কিছু কমেন্ট করলে যেমনঃ অনেক সুন্দর
অনেক ভালো
ধন্যবাদ ইত্যাদি এরকম। কমেন্ট করে খুব ছোট ছোট কিছু ভোট দিয়ে গেল সবাই। যদি এই কমেন্টের সংখ্যাটা অনেক বেশি হয় তখন কিন্তু মাস শেষে কিংবা বছর শেষে এই সংখ্যাটি অনেক হয়ে যাবে। আর যারা নতুন রয়েছে তাদের ভোটিং পাওয়ার অনেক কম থাকে তাই তারা খুব অল্প পরিমাণে ভোট দিয়ে সেই কমেন্টগুলোর মাধ্যমে স্প্যামিং করলেও করতে পারে আবার অনেকে কোডিং করে কমেন্ট করবে আর তাতে সামান্য ভোট দিয়ে স্প্যামিং করবে। সব মিলিয়ে স্প্যামিংয়ের একটা অবস্থা দাঁড়িয়ে যেতে পারে আর সেই কারণেই সব ধরনের ব্লকচেইনে এরকম মিনিমাম লেভেল রাখা হয় যেটা কে ডাস্ট হিসেবে ট্রিট করা হয়।
যেমন ধরুনঃ আগে আমি যে আলোচনা করেছি সেখান থেকে আপনারা বুঝতে পেরেছেন আমরা চাইলেও আনলিমিটেড পরিমাণ ভোট দিতে পারি না কারণ আমাদের ভোটিং হচ্ছে লিমিটেড এবং এটার কারণে এক ধরনের স্প্যামিং কিন্তু প্রতিরোধ করা হয়। আবার অন্যদিকে আমাদের রিসোর্স ক্রেডিটও কিন্তু লিমিটেড তাই আমরা অনেকের পোস্টে অনেক কমেন্ট বা সারাদিনে হাজার হাজার, লক্ষ লক্ষ পোস্ট বা কমেন্ট করতে পারছি না। আবার অন্যদিকে আপনি 5 মিনিট অন্তর অন্তর পোস্ট করতে পারছেন না। তাই এই সবগুলো বিষয় মিলিয়ে স্প্যামিং প্রতিরোধ করা হয় আর উপরের সবগুলো বিষয় যেখানে মিনিমাম সীমা দেয়া আছে তা হচ্ছে ডাস্ট। এগুলো নিয়ে পূর্বে আলোচনা করেছি তাই আজকে আমি শুধুমাত্র পোস্ট এর মিনিমাম পেআউট এর জন্য ডাস্ট সে সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে কেবল আলোচনা করব।
Source: Image by Free-Photos from Pixabay
আপনারা জেনে থাকবেন বিভিন্ন ব্লকচেইন-এ ট্রানস্ফার করতে গেলে যেমন বিটকয়েন কিংবা অন্যান্য ব্লকচেইন-এ একটা মিনিমাম অ্যামাউন্ট ধরে নেয়া হয় এবং সেই মিনিমাম অ্যামাউন্ট এর উপরে ট্রানস্ফার করতে হয়। আর যে মিনিমাম অ্যামাউন্ট ধরে ব্লকচেইন লেজার বা কোডিং করা হয় সেটি হচ্ছে আসলে ডাস্ট। মিনিমাম এমাউন্ট না রাখলে অনেক স্প্যামিং ও এনিউস করে ব্লকচেইনের ক্ষতি করবে। আশা করি ব্যাপারটা আপনি বুঝতে পেরেছেন যে কেন বিভিন্ন ব্লকচেইনে এই ডাস্ট ও সীমা অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
তবে আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, আরেকটি প্রধান কারণ হচ্ছে সবাইকে এই প্ল্যাটফর্মের প্রতি আরো বেশি মনোযোগী ও উদ্বুদ্ধ করা। কারণ স্টিমিট-এ অনেক কমিউনিটি ও ইউজার আছে যারা বড় বড় হোয়েলদের ভোটের উপর নির্ভর করে কাজ করে থাকেন। শুধুমাত্র হোয়েলদের ভোটের উপর নির্ভর করে কাজ করাটা মোটেও ঠিক নয়। যাদের এই প্লাটফর্মের প্রতি ভালোবাসা আছে তাদের উচিত হবে নিজেরা কিছু না কিছু সক্ষমতা অর্জন করা যাতে অন্তত ৪/৫ সেন্ট পরিমাণ ভোট দিতে পারেন এবং কোনো একটা কমেন্ট ভাল লাগলে সেখানে যাতে নিজের ভোটের মাধ্যমে ডাস্ট ফ্রি একটি কমেন্ট করতে পারেন। কারণ যারা এখানে কাজ করবে তাদের জন্য নিজেদের ভোটিং পাওয়ার একেবারে ডাস্ট সীমার নিচে থাকলে তাদের এই প্ল্যাটফর্মের প্রতি কোন ধরনের ভালবাসা ও ভাললাগার কথা চিন্তা করা যায় না। তাই প্রথমদিকে হয়তবা অনেকের পাওয়ার কম থাকবে কিন্তু পরবর্তীতে তাদের পাওয়ার বৃদ্ধি করা উচিত হবে যাতে তারা একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ ভোটিং এর সক্ষমতা অর্জন করতে পারেন যা ডাস্ট সেভ করতে পারবে। তাই এই ডাস্ট এর সীমা থাকাতে অনেকেই পাওয়ার এর প্রতি উদ্বুদ্ধ হবে বলে আমি মনে করি। তাছাড়া বিদেশের অনেক বড় ও ভাল ইউজার এই সীমা বাড়িয়ে ১০ সেন্ট বা তার বেশি করারও প্রস্তাব করে থাকেন।
ডাস্ট হলে কি সমস্যাঃ
আপনার যে ভোটিং পাওয়ার আছে তা দিয়ে আপনি কোন একটা পোস্টে 0.015 পরিমাণ ভোট দিলেন এবং সেখানে অন্য কেউ আর ভোট দিল না তখন সেই ভোট-টা কিন্তু নষ্ট হল যেমনটি আমাদের নির্বাচনী সিস্টেমে যে না ভোট দেয়া হয় তার মত। আপনার ভোটটী কোন কাজে লাগছে না অর্থাৎ পুরোটাই শুন্য হয়ে বাতিল হয়ে যাবে। তাই আপনার যে মূল্যবান ভোট ও ভোটিং পাওয়ার আছে সেটা যদি নষ্ট হয়ে যায় ডাস্টের মাধ্যমে। আবার অন্যদিকে যারা অথর রয়েছে তারাও খুব ভালো কমেন্ট করে ০.০১৯ ভোট পেলেন কিন্তু পেআউটের সময় কিছু পাবেন না যদিও তারা কিছু পাওয়ার আশায় ছিলেন। তাই ডাস্ট সেভ না করতে পারলে সবাই ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন। সব মিলিয়ে, ডাস্ট আমাদের সমস্যা যার কারনে আমাদের ভোটিং পাওয়ার কোন কাজে লাগছে না বা অপচয় হচ্ছে এবং অযথাই নষ্ট হয়ে যাবে।
ডাস্ট কিভাবে প্রতিরোধ করবেন (আপনার ভোটিং পাওয়ার নষ্ট করা থেকে কিভাবে বিরত থাকবেন)
ডাস্ট প্রতিরোধের জন্য আমাদের কাছে দুটি পদ্ধতি আছে। একটি ম্যানুয়াল আর অন্যটি সয়ংক্রিয়। আজকে ম্যানুয়াল ডাস্ট সেভিং এর চারটি পদ্ধতি শেয়ার করব।
প্রথমতঃ যাদের ভোটিং পাওয়ার ডাস্ট সীমার নিচে তারা এমন পোস্ট এ ভোট দিব যেখানে আমরা আশা করতে পারি যে অন্তত দুই সেন্ট পরিমাণ ভোট পড়বে অর্থাৎ ভালো পোস্ট। আর যদি আপনার কাছে সন্দেহ হয় যে কোন পোস্ট ২ সেণ্ট এর ভোট পাবে কিনা তাহলে আপনি এই ধরনের সন্দেহের পোস্টে ভোট দেওয়া থেকে বিরত থাকতে পারেন। যখন ২ সেন্টের ভোট পড়বে আপনি তারপর গিয়ে ভোট দিন তাহলে আপনার ভোট ডাস্টে যাওয়ার কোণ সম্ভাবনা থাকবেনা। আবার যাদের ভোটিং পাওয়ার বেশি তারা দেখে নিবেন কত পার্সেণ্ট ভোট দিলে রিওয়ার্ড দুই সেন্ট এর বেশি হয় সেটা হিসাব করে (https://www.steemnow.com/ হতে দেখে) ভোট দিবেন। আমি @rex-sumon সুমন ভাইয়ের ক্ষেত্রে দেখাছি যেখানে ভাই ২৭% ভোট দিলেই ডাস্ট সেভ হয়ে যাবে।
দ্বিতীয়তঃ কমেন্টে ভোট দেওয়ার ক্ষেত্রে আপনি অবশ্যই চেষ্টা করবেন নিজের ভোটের মাধ্যমে যাতে আপনি ডাস্ট সেভ করতে পারেন কারণ যে সকল কমেন্টে আমরা ভোট দেই সেসকল কমেন্টে খুব বেশি ভোট পড়ে না। আপনার ভোট-ই একমাত্র ও শেষ ভোট মনে করে ভোট দিন কারন আশা করা যায় এই কমেন্টে আর কেউ ভোট দেবেনা তাই আপনার ভোটের মাধ্যমেই সেখানে ০.০২ ডলার নিয়ে আসতে হবে ওই কমেন্টে। তাই এটা খেয়াল রেখে কমেন্টে ভোট দিয়ে ডাস্ট সেভ করতে পারবেন।
Source: Image by ELG21 from Pixabay
তৃতীয়তঃ আরেকটা বিষয় হচ্ছে, আমাদের এখানে স্টিমিটে যে পরিমাণটা দেখানো হয় সেটা কিন্তু ডলারের ভেনুতে দেখানো হয় আর ডাস্ট হিসাব হয় এসবিডি এর ইন্টারনাল মার্কেট রেট এ। তাই আপনি যদি এসবিডি ভ্যালুতে চিন্তা করেন তাহলে দেখবেন হয়তোবা এখানে কিছু পরিমাণ কমবেশি আছে অর্থাৎ যেটা ২ সেন্ট দেখাচ্ছে সেটার এসবিডি হয়তোবা ২ সেন্টের কিছু বেশি। আবার এসবিডি-র দাম ডলারের চেয়ে বেশি হলে সেটা হয়ত আবার এসবিডি-তে ২ সেন্টের কম হতে পারে। তাই আপনাকে সুরক্ষিত থাকার জন্য সব সময় দুই সেন্টের বেশি বা তিন সেন্টার কাছাকাছি ভোট নিশ্চিত করতে হবে। তাহলে আশা করা যায় আপনার ভোট ডাস্টে যাবেনা।
চতুর্থতঃছোট কিউরেশন ট্রেইল বা ফ্যানবেইজ থেকেও আপনার ভোট ডাস্টে যেতে পারে কারন আপনি জানছেন না যে, আপনার ভোট কোথায় পড়ছে। তাই ভাল কিউরেশন ট্রেইল ও ফ্যানবেইজ নির্বাচন করতে হবে।
এই কাজটি অটোমেটিক বা স্বয়ংক্রিয়ভাবে করা যায় অর্থাৎ একটা সার্ভিস রয়েছে যে সার্ভিসটি ব্যবহার করে আপনি স্বয়ংক্রিয়ভাবে আপনার ডাস্ট সেভ করতে পারবেন। এই সার্ভিসটি কিভাবে কাজ করে, আপনি কিভাবে করে এটি ব্যবহার করবেন এবং কিভাবে আপনার ডাস্ট কত সেভ হল তা বিস্তারিত আলোচনার বিষয়। তাই সেই ব্যাপারটা নিয়ে আমি দ্বিতীয় পর্বে বিস্তারিত আলোচনা করবো। আশা করি সবাই দ্বিতীয় পর্বের অপেক্ষায় থাকবেন।
শেষকথাঃ
আশা করি, আজকের আলোচনার মাধ্যমে আপনি ডাস্ট কি, কেন, কিভাবে এটি আমাদের জন্য ক্ষতিকর এবং ডাস্ট কিভাবে ম্যানুয়ালি সেভ করতে পারবেন সেই বিষয় সম্বন্ধে একটা বিস্তারিত ধারণা লাভ করেছেন। আপনারা যদি এই পোষ্টের মাধ্যমে নিজেদের ডাস্ট সেভ করতে পারেন ও এই জ্ঞান-কে কাজে লাগাতে পারেন তাহলেই হবে এই পোস্টের সার্থকতা। দ্বিতীয় পর্ব পড়ার আমন্ত্রণ জানিয়ে আজকে এখানেই শেষ করছি। ধন্যবাদ।
শিক্ষামূলক সিরিজে আমার লিখা পূর্বের লিখাগুলোর লিঙ্ক নিচে দিয়ে দিলাম। ভাল লাগলে সেগুলোও চোখ বুলিয়ে আসতে পারেন। আশা করি উপকৃত হবেন। ধন্যবাদ।
শিক্ষামূলক সিরিজে আমার লিখা পূর্বের পোস্টের তালিকাঃ
আমি কেঃ
অন্যান্য মিডিয়াতে আমার সাথে যুক্ত হতে পারেনঃ
Youtube | ThreeSpeak | DTube |
আপনি খুব গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট করে থাকেন। আপনার পোস্ট গুলো পড়ার চেষ্টা করি আমি। আপনার পোষ্টগুলো থেকে আমি অনেক কিছু শিখে থাকি
আপনার এই পোস্টটি পড়ে আমি অনেক উপকৃত হলাম এই ডাস্ট সম্পর্কে আমার কোন ধারণা ছিল না। বাট আপনার এই শিক্ষামূলক পোস্টের আমার অনেক কাজে লাগবে।প্রতিটি ধাপ আপনি খুব সুন্দরভাবে ব্যাখ্যা করেছেন যা অনায়াসে মানুষ বুঝতে পারে। সব মিলিয়ে অসাধারণ একটি পোস্ট ধন্যবাদ আপনাকে শুভকামনা আপনার জন্য♥
ভাইয়া, আমি আপনারে শিক্ষামূলক পোস্ট পড়ে অনেক কিছু সম্পর্কে জানতে পারলাম না আমার আগে জানা ছিল না। আমি আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি এমন সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। ভাই আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।