গল্পে গল্পে জীবনের শিক্ষাঃ পর্ব ১২|| এ আর এমন কি, আগে চাকরিটা হোক, কোর্স করে শিখে নিব
ভূমিকাঃ
গল্পে গল্পে যখন আমরা কোনো কিছু শিখি তখন সেটা আমাদের মনে অনেকদিনের জন্য গেঁথে যায়। তাই গল্পে গল্পে কোন কিছু শিখার আনন্দ অন্যরকম। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি
-তে আমি কয়েকটি সিরিজ লিখছি। তার মধ্যে গল্পে গল্পে জীবনের শিক্ষা
সিরিজটি অন্যতম যেখানে একটি গল্প এবং এই গল্প থেকে আমাদের বাস্তব জীবনের শিক্ষামূলক কিছু দিক শেয়ার করে থাকি। গল্পগুলো মূলত ঈশপের গল্প বা অন্য কোন ছোট আকারের গল্প। আশা করি গল্পগুলো ও এর অন্তনিহিত শিক্ষা আপনার ভাল লাগবে।
Thumbnail Background Source: Image by Clker-Free-Vector-Images from Pixabay
পর্ব ১২: এ আর এমন কি, আগে চাকরিটা হোক, কোর্স করে শিখে নিব
প্রথমে গল্পটিঃ
কালাম সাহেব খুব চালাক মানুষ। তিনি যে কোনো ব্যাপারে খুব চালাকের সাথে কাজ করতে খুব পছন্দ করেন। একবার তিনি পত্রিকায় একটি বিজ্ঞাপন দেখতে পেলেন যেখানে মাইক্রোসফট কোম্পানির মালিক বিল গেটস একটি বিজ্ঞাপন দিয়েছেন এবং বলছেন, তিনি ইরানে একটি প্রকল্প শুরু করবেন এবং সেই প্রকল্পের জন্য কম্পিউটারের প্রোগ্রামিংয়ে খুব ভালো দক্ষ ও ইরানের ভাষা জানেন এরকম লোক প্রয়োজন।
কালাম সাহেব নির্দ্বিধায় এখানে এপ্লাই করে দিলেন। ওইদিকে বিল গেটস দেখলেন এখানে অনেকেই এপ্লাই করেছে তাই সবার ভাইভা নেওয়া তার জন্য অনেক সময় সাপেক্ষ ব্যাপার হবে। তাই তিনি বুদ্ধি করে সবাইকে একটি রুমে ডাকলেন এবং আস্তে আস্তে সটিং করে করে তিনি অনেককে ছাঁটাই করে দেওয়ার চিন্তা করলেন।
তিনি প্রথমেই বললেন আমাদের এখানে যারা জাভা প্রোগ্রামিং জানে তাদেরকে তার দরকার তাই যারা জাভা প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ সম্বন্ধে খুব ভাল ধারণা নেই তারা এ রুম থেকে বের হয়ে যেতে পারেন। কালাম সাহেব জাভা প্রোগ্রামিং সম্বন্ধে তেমন কিছু জানেন না কিন্তু তারপরও তিনি ভাবলেনঃ জাভা প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ! এ আর এমন কি। আগে চাকরিটা হোক তারপর শিখে নেবো। হল রুম থেকে অনেকেই বের হয়ে গেল কিন্তু কালাম সাহেব ঠিকই রয়ে গেলেন।
এরপর বিল গেটস বলেন, আমাদের এখানে যারা চাকরি করবে তাদেরকে সি প্লাস প্লাস (C++) প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজের একেবারে অসাধারণ দক্ষতা থাকতে হবে। যারা এটা পারেন না তারা এ রুম থেকে বের হয়ে যেতে পারেন। অনেকেই বের হয়ে গেল কিন্তু কালাম সাহেব ওই একই চিন্তা করে আর বের হলেন না কারণ তিনি ভাবলেন এটা আর এমন কি! একটা কোর্স করেই শিখে নেব।
Source: Image by 정훈 김 from Pixabay
বিল গেটস একটার পর একটা শর্ত দিচ্ছিলেন এবং অনেক লোক হল রুম থেকে বের হয়ে যাচ্ছিলো কিন্তু কালাম সাহেব যদিও কিছুই জানেন না তারপরও তিনি রুম থেকে বের হন নি কারণ তিনি মনে মনে চিন্তা করলেন ইউটিউব দেখে কিংবা একটা কোর্স করে তিনি এগুলো শিখে নেবেন। আগে একবার চাকরিটা হোক।
শেষ পর্যায়ে মি বিল গেটস বললেন যে, আপনারা একেবারে খুব অল্প কয়েকজন লোক আছেন প্রায় ১০ জনের মত তবে আপনাদের সবাইকে খুব ভালো ফার্সি জানতে হবে কারণ আমাদের এই প্রজেক্ট হবে ইরানে। তাই যারা ইরানের ভাষা খুব ভালোভাবে লিখতে পড়তে এবং বলতে পারেন না তারা এই রুম থেকে বের হয়ে যান। অবশেষে দেখা গেল দুইজন ছাড়া বাকি সবাই বের হয়ে গেল। কালাম সাহেব ওই একই চিন্তা করে আবারও রয়ে গেলেন কারন তিনি ভাবলেন ইরানের ভাষা এটা আর এমন কি। এক মাস কোর্স করে ইরানের ভাষা শিখে নেওয়া যাবে। আগে চাকরিটা একবার হোক।
এবার বিল গেটস তাদের দুজনকে বলেন আপনারা নিজেদের মধ্যে ফার্সি ভাষায় কিছুক্ষণ কথা বলুন। তখন দেখা গেল তারা দুজন নিজেদের মধ্যে অন্য একটি ভাষায় যেমন ধরে নিলাম বাংলা ভাষায় কথা বলছে। তারমানে তারা দুজনেই হচ্ছে বাঙালি অথবা বাংলা ভাষাভাষী যারা আসলে আগে যে সকল ক্রাইটেরিয়া দেওয়া হয়েছিল সেগুলো কিছুই পারেন না কিন্তু দু'জনেই মনে মনে ভেবে আছেন যে, কোর্স করে শিখে নিবেন আগে চাকরিটা হোক।
গল্পের শিক্ষাঃ
এই গল্প থেকে আমরা অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় শিখতে পারি কারণ এই গল্পটি একটি খুবই শিক্ষণীয় গল্প যা বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপটে অনেক গুরুত্বপূর্ণ। যখনই আপনি আপনার চারপাশে তাকাবেন তখন দেখতে পারবেন এরকম অনেক মানুষ রয়েছে যাদের হাতের কাছে অসংখ্য পড়াশোনা করার মতো ম্যাটেরিয়ালস আছে কিন্তু তারা সেগুলোকে শুধুমাত্র কম্পিউটারে কিংবা কোন জায়গায় মোবাইল ফোনের স্টোর করে রাখে এবং মনে মনে একটা অনুভূতি গ্রহন করে যে, আমার কাছে এটার কালেকশনে আছে। আসলে কালেকশনে থাকা একটা বিষয় এবং সেটাকে নিজের ব্রেইনে সেটআপ করে নেওয়া হচ্ছে অন্য বিষয়।
বর্তমান সময়টা হচ্ছে প্রযুক্তির যুগ যেখানে ইনফর্মেশন বা তথ্য আমাদের হাতের কাছে সব সময় রয়েছে। তাই যেসব তথ্য আমাদের মাথায় রাখা দরকার সেগুলোকে মোবাইল ফোন বা কম্পিউটারের রেখে আমাদের নিজেদেরকে অনেক চালাক ভাবার কোনো যৌক্তিকতা নেই কারন একটা নির্দিষ্ট দিনে আমাদেরকে নির্দিষ্ট পরিমাণ কিছু তথ্য দিয়েই আমাদের স্মার্টনেসকে প্রমাণ করতে হয়। কোন ব্যক্তি কতটা স্মার্ট অথবা কতটা পন্ডিত অথবা পাসোনালিটি কত ভাল সেই বিষয়টা তার নলেজ ও প্রজ্ঞা দিয়ে বোঝা যাবে। এখন যদি আমরা সব কিছুই আমাদের মোবাইল ফোন বা কম্পিউটারে রেখে দিই তাহলে আমাদের মাথায় কি থাকবে। এটা হচ্ছে সবচেয়ে বড় বিষয়।
অনেক সময় এই একই কাজটি আমরা ছাত্রদেরকে করতে দেখি যারা অনেকগুলো ক্লাস লেকচার এবং তথ্য তাদের মোবাইল ফোন বা কম্পিউটারে রেখে দেয় এবং মনে করে নেয় পরীক্ষার আগে এগুলা দেখে শিখে নেবে। অথবা অনেক শিক্ষার্থী আছে যারা ক্লাসে মনোযোগ দিতে চায় না কারণ তারা মনে করে ইউটিউবে তো সব ধরনের ভিডিও পাওয়া যায় হয়তোবা এ ক্লাস লেকচার ভিডিও কোনো না কোনোভাবে তারা ইউটিউব থেকে সংগ্রহ করে খুব ভালোভাবে জেনে বুঝে পড়ে নিতে পারবেন পরবর্তীতে।
আর এভাবে করে তারা বিভিন্ন ম্যাটারিয়াল আস্তে জমাতে থাকে না এবং জমাতে জমাতে একটা সময় যখন অনেক বেশি হয়ে যায় তখন তাদের পক্ষে বিভিন্ন ইউটিউব ভিডিও দেখে দেখে এগুলোকে সমাধান করা সম্ভব হয়ে ওঠেনা। এর প্রধান কারণ হচ্ছে যখনই এই জিনিসগুলো আবার নতুন করে ঘাটাঘাটি করতে যায় কেউ তখন সে খুব বিপদের মধ্যে পড়ে যায়। ইউটিউবে এবং বিভিন্ন জায়গায় অনেক ম্যাটেরিয়াল আছে ঠিক কিন্তু তার যতটুকু যেভাবে দরকার সেভাবেই কিন্তু কোন জায়গায় নেই তাই অনেকগুলো ইনফর্মেশন থেকে তথ্যকে ফিল্টারিং করে প্রয়োজনীয় তথ্যকে বাছাই করে সংগ্রহ করতে হবে তারপরে সেগুলাকে আবার কণ্ঠস্থ করতে হবে। তার মানে এই কাজটি যারা করছেন তারা অনেক ভুল করছেন এবং আমি মনে করি এ ধরনের সিদ্ধান্ত থেকে বের হয়ে এসে বরং সময়ের কাজ সময়ে করার প্রতি যত্নশীল হওয়া টা অনেক জরুরী।
Source: Image by Gerd Altmann from Pixabay
গল্পে দেখুন কালাম সাহেব ও অন্য ভদ্রলোক এই কাজগুলি পারে না কিন্তু তারা বারবার মনে করে নিয়েছিলো যে চাকরি হলে নিশ্চয়ই এটা শিখে নিতে পারবে ওটা শিখে নিতে পারবেন কিন্তু শিখে নিতে পারা একটা বিষয় আর কোন কিছু শিখে নিজেকে দক্ষ করে তোলা সেটা অন্য বিষয়। অনেকেই জানে যে কি কি টেকনিকে ব্যায়াম করলে বডি ফিটনেস ভাল হবে আবার অনেকেই জানে কিভাবে করে কোন কাজটা করতে হয় কারণ ইউটিউব এর কল্যাণে অথবা বিভিন্ন ইন্টারনেটে তথ্যের মাধ্যমে সবগুলো বিষয় জেনে যাচ্ছে। কিন্তু সেগুলোকে মেনে নিজেদেরকেও কতটুকু পরিবর্তন করতে পারছে সেটা হচ্ছে দেখার বিষয় এবং এই সংখ্যাটা অনেক কম। যখন আপনার কাছে সবকিছু এভেলেবেল আছে তখন কিন্তু আপনার জন্য অনেক কিছুই করা সম্ভব কিন্তু আপনি কতটা করছেন বা কতটুকু করতে পারছেন সেটা হচ্ছে দেখার বিষয় যা কিনা অনেক গুরুত্বপূর্ণ।
আশা করি আজকের পোস্ট থেকে আপনি নতুন কিছু জিনিস হলেও শিখতে পেরেছেন এবং এটাকে যদি জীবনে প্রতিফলন ঘটাতে পারেন তাহলে আশাকরি অনেক ক্ষেত্রেই উপকৃত হতে পারবেন কারণ আমরা এই কাজটা অনেকেই করি যে, আমি পরে করে নেব এবং এটা আমাদেরকে একটা প্রক্রাস্টিনেশন এর মধ্যে ফেলে দেয়। সবাই ভাল থাকুন এবং সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করে আজকের মত এখানেই শেষ করছি।
শেষকথাঃ
আশা করি গল্পের মাধ্যমে আপনি নতুন জিনিস শিখতে পেরেছেন এবং উপকৃত হয়েছেন। আমার লিখা অন্য গল্পগুলোর লিঙ্ক নিচে দিয়ে দিলাম। ভাল লাগলে সেগুলোও পড়ে আসতে পারেন। আমার লেখাটি এ পর্যন্ত পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
এই সিরিজে আমার লিখা পূর্বের গল্পগুলোর তালিকাঃ
পর্ব | প্রকাশের তারিখ | গল্পের বিষয়বস্তু |
---|---|---|
০১ | ১৯/০৭/২০২১ | ব্যাঙ ও ক্যারিয়ারে মানিয়ে নেয়ার গল্প |
০২ | ২৬/০৭/২০২১ | টিয়া পাখির কৌশল |
০৩ | ২৭/০৭/২০২১ | গর্তের ব্যাঙ ও সফলতার দুই চাবিকাঠি |
০৪ | ০২/০৮/২০২১ | কৃষকের ছেলের ছাগলছানা ও অনুশীলনে অভ্যাস পরিবর্তন |
০৫ | ০৯/০৮/২০২১ | দৈত্য কর্ত্রিক তিন ইচ্ছা পূরণ ও অন্যের সম্পদে ঈর্ষা |
০৬ | ১৩/০৮/২০২১ | হরিণের শিং ও পা এর গল্পে রূপকে নয় কাজকে মূল্যায়নের শিক্ষা |
০৭ | ২১/০৮/২০২১ | প্রফেসর ক্লাশে জার নিয়ে প্রবেশ ও প্রায়রিটির গুরুত্ব |
০৮ | ২২/০৮/২০২১ | শিংহ, বাঘ ও শিয়াল এর গল্পে বাঘের চালাকীর সাজা |
০৯ | ২৩/০৮/২০২১ | বাবা ছেলে ও গাদার গল্প, অন্যের কথায় প্রভাবিত হওয়া |
১০ | ১৭/০৯/২০২১ | বাচ্চা বলছেঃ আমি স্মার্টফোন হতে চাই |
১১ | ২৩/০৯/২০২১ | মনীষী ও শীষ্যঃ ঘি এত দাম তেলের চেয়ে কম |
আমি কেঃ
অন্যান্য মিডিয়াতে আমার সাথে যুক্ত হতে পারেনঃ
Youtube | ThreeSpeak | DTube |
ভাইয়া আপনার পোস্ট গুলো আমাদের প্রত্যকের জন্য অনেক অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আপনি একদমই ঠিক বলেছেন কম্পিউটার আর মোবাইল ফোনে তথ্য রেখে কি লাভ নিজের মাথায় যদি না থাকে। আপনার গল্প আমার কাছে অনেক অনেক ভালোলেগেছে। এবং আপনার গল্প থেকে ভালো একটা শিক্ষা অর্জন করলাম। ধন্যবাদ আপনাকে অনেক সুন্দর একটি শিক্ষামূলক পোস্ট করার জন্য। আপনার জন্য শুভকামনা রইলো ভাইয়া।
ধন্যবাদ আপনার সুন্দর এবং গুছানো মন্তব্যের জন্য
অনেক শিক্ষনীয় একটি গল্প ভাই। কালাম সাহেবের কাজটা আমিও প্রায়ই করি তবে সেটা ছোট পরিসরে।
এটা একেবারে বাস্তবিক কথা। আমরা ইলেকট্রিক ডিভাইসের প্রতি এতোটা নির্ভরশীল যে নিজের মাথায় কিছু রাখতেই চাই না। বিশেষ করে বর্তমান যুগের শিক্ষার্থীদের ভেতরে এই প্রবণতা বেশি দেখা যায়।
আমি প্রায়ই দেখি শিক্ষার্থীরা এই কাজটা করে তাই মনে হল এ বিষয়টি নিয়ে কিছু লেখা দরকার। সবার মধ্যেই এই টেন্ডেন্সিটা কমবেশি আছে। যে যতটা এই মনোভাব থেকে উত্তরণ করতে পারবে সে তত ভালো থাকবে।
ঠিক বলেছেন ভাই। ধন্যবাদ।।
ভাই অনেক সুন্দর ও বাস্তব একটি লেখা লিখেছেন।
কথায় আচে না?
"পুথিগত বিদ্যা,আর পরহস্তে ধন,এই দুইয়ে সমান সমান।"
আমাদের অভ্যাস আমরা কর্ম হওয়ার পর প্রশিক্ষণ দেই,আগে না।কিন্তু অভিজ্ঞতা থাকলে এই চালাকি করা লাগতো না।অনেক সুন্দর লিখেছেন ভাই।ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনাকেও ধন্যবাদ বিষয়টি খুব গভীরভাবে উপলব্ধি করার জন্য
অনেক সময় এই একই কাজটি আমরা ছাত্রদেরকে করতে দেখি যারা অনেকগুলো ক্লাস লেকচার এবং তথ্য তাদের মোবাইল ফোন বা কম্পিউটারে রেখে দেয় এবং মনে করে নেয় পরীক্ষার আগে এগুলা দেখে শিখে নেবে।
ভাইয়া আমি জাস্ট বাকরুদ্ধ। সত্যি বলতে দ্বিধা নেই, একই কাজটাই করি আর সবসময় বিপদেই পরি।কোনোদিন সফল হইনি এই কাজ করে।
ধন্যবাদ গল্পটির জন্য। 🙏
এটা করলে মনের মধ্যে একটা কনফিডেন্স থাকে কিন্তু শেষে ঠিকই ফলাফল যা হওয়ার তাই। কমন পড়ছে তাহলে। ভবিষ্যৎ এ কিছুটা পরিবর্তন হলেই পোস্ট সার্থক।
গল্পের মাধ্যমে শিক্ষা ! জিনিসটা খুব কৌতূহলী ছিল।কালাম সাহেব প্রথমে ভাবলেন জাভা প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ তিনি পরে শিখবেন। তারপর দেখলেন তিনি সি প্লাস প্লাস (C++) এবং ফার্সি ভাষাটাও পারে না। তার উচিত ছিল এখান থেকে বেরিয়ে যাওয়া কিন্তুু তিনি সেটা করেন নি ! এখান থেকে অনেক শিক্ষনীয় বিষয় আছে। তবে একটা জিনিস গুরুত্বপূর্ণ সেটা হচ্ছে কোর্সগুলোর কালেকশন থাকলেও সেটা ব্রেইনে সেট-আপ করাটা বড় বিষয়। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর করে বুঝিয়ে বলার জন্য!
আপনাকেও ধন্যবাদ বিষয়টি অনুধাবন করার জন্য
গল্পটা পড়ে আমি অনেক কিছু শিখলাম ভাইয়া। একটা কথা ১০০% সত্যি কাজ জমিয়ে রাখা। আমি নিজেও এই খুব করি। পুরো সেমিস্টারের পড়া পরীক্ষার আগের করা, আমার ডিভাইসে অনেক গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষনীয় জিনিস আছে কিন্তু পরে একসময় শিখে নিবো বলে আর শিখা হয়না আজ খুব ভালো হলো। নিজেকে পরিবর্তন করতে হবে।
ঠিক বলেছেন। পরিবর্তন করার চেষ্টা করুন। আর কমেন্ট পোস্ট করার আগে একবার রিডিং পড়ে নিয়েন। কিছু ভূল থেকে যায়।
অনেক ভালো কথা বলছেন কথাগুলো খুবই শিক্ষণীয় আসলে ওরা অত্যন্ত চালাক ছিল দুজনেই ভাবছিল যে চাকরি হওয়ার পরেই পরে শিখে নেব কিন্তু আমাদের মাথায় যদি কিছু না থাকে তাহলে সম্ভব না আপনি এই যুক্তিটা দিয়েছেন খুবই ভালো লাগলো কম্পিউটারে মোবাইলে অনেক তথ্য থাকতে পারে এবং অনেককে ম্যাটারিয়ালস জিনিস থাকতে পারে কিন্তু যদি আমাদের মাথায় না থাকে তাহলে কোন কাজে আসবে না। অনেক ভালো লাগলো।
জি একদম ঠিক বুঝেছেন। ধন্যবাদ।
ভাই সত্যি আমি পড়ছিলাম আর হাসছিলাম হাহাহাহহাহা এত ছোট ছিল ক্যান গল্পটা। অনেক সহজ ভাষায় লিখেছেন এটা বলতেই হবে । কালাম সাহেবের মতন বহু লোক আমাদের চারপাশে আছে যারা সব কিছুই করে ফেলবে এটা বলে বলেই দিন শেষ করে দেয়।
ঠিক বলেছেন
মন্তব্য করলাম না। বড় হও, এই কামনা।
গল্পটি মজার ও শিক্ষনীয়।গল্পটি পড়তে পড়তে আমার মনে হচ্ছিল শেষ পর্যন্ত কে চাকরিটা পায় কিন্তু সমাপ্তি হয়ে গেল।যাইহোক সময়ের কাজ সময়ে করলে কাজটি সহজ হবে কিন্তু একবারে কোনো কিছুই হয় না।আবার মানুষের প্রবল ইচ্ছাশক্তিতে কমসময়ে সফল হওয়া যায়।অনেক সুন্দর করে বুঝিয়েছেন ভাইয়া।ধন্যবাদ আপনাকে।
জি। ধন্যবাদ