একটি ভিন্ন প্রজাতির শিম দিয়ে শিং মাছের তরকারি
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি। |
---|
আজকে আপনাদের সাথে আমি একটা রেসিপি শেয়ার করে নেবো। এটি গতকাল দুপুরের দিকে তৈরি করেছিলাম। এই রেসিপিটা একটি শিমের কিন্তু এই শিম একদম ভিন্ন প্রজাতির একটি শিম। এই ধরণের শিম আমি আগে খাইনি, বাজারে একদিন এই সবজিটা দেখে খাওয়ার আগ্রহ হলো, কিন্তু এর নামটাই জানতাম না। বিক্রেতার কাছে এটি কি সবজি জানতে চাইলে শুধু শিম নাম বলে, তবে এর আরেকটা কি নাম যেন একটা বলেছিলো ভুলে গেছি। তবে আমি এই শিমটা ইন্টারনেটে সার্চ দিয়েছিলাম , কিছুটা বন্য প্রজাতির মতো বেরোলো, যাকে ট্রেলিং ওয়াইল্ড শিম ( trailing wild bean ) বলে, এছাড়াও আরো নাম আছে । এটির একটা বৈশিষ্ট হচ্ছে যে আমাদের সাধারণ শিমের মতো ফুল বা উদ্ভিদ একইরকম কিন্তু শিমের জাতটাই অন্য ধরণেরম চিকন আর লম্বাটে মতো। তবে এটাকে বাংলায় বক শিম বলে কিনা সেটাও ঠিক জানিনা। এই শিমকে কি বলে যদি কেউ জেনে থাকেন তাহলে বলবেন। তবে একটা বিষয় এই শিমের স্বাদ সাধারণ শিমের থেকে একদমই আলাদা, কিন্তু ভালো খেতে। যাইহোক এই শিমের তরকারিটা শিং মাছ দিয়ে তৈরি করেছিলাম, শিং মাছতো খেতে অনেক সুস্বাদু আর এই শিমের সাথে তরকারিটা বেশ ভালো লেগেছিলো। এখন এই রেসিপিটার প্রধান পর্ব অর্থাৎ প্রস্তুতির দিকে চলে যাবো।
❂প্রয়োজনীয় উপকরণসমূহ:❂
❣এখন রেসিপিটা যেভাবে প্রস্তুত করলাম---
☫প্রস্তুত প্রণালী:☫
❖শিং মাছগুলো মা কেটে ধুয়ে রেখে দিয়েছিলো সকালের দিকে। এরপর আমি এই ভিন্ন প্রজাতির শিমগুলো কেটে নেওয়ার পরে ধুয়ে পরিষ্কার করে রেখে দিয়েছিলাম।
❖আলুগুলোর খোসা ছালিয়ে নেওয়ার পরে কেটে নিয়েছিলাম এবং পরে ধুয়ে রেখেছিলাম। এরপর পেঁয়াজ দুটির খোসা ভালোভাবে ছালিয়ে কেটে নিয়েছিলাম এবং সাথে লঙ্কাগুলো কেটে রেখেছিলাম।
❖কেটে-ধুয়ে রাখা শিং মাছগুলোতে লবন এবং হলুদ দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর হাত দিয়ে প্রত্যেক পিচে ভালো করে মাখিয়ে নিয়েছিলাম।
❖কড়াইতে তেল দিয়ে লবন-হলুদ মাখানো শিং মাছের পিচগুলো অল্প করে করে দিয়ে সব ভালোভাবে ভেজে তুলে নিয়েছিলাম।
❖মাছ ভাজার পরে কড়াইতে আরেকটু তেল দিয়ে আলুর পিচগুলো দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর আলুগুলোও ভালোভাবে ভেজে তুলে নিয়েছিলাম।
❖আলু ভাজা সম্পন্ন হয়ে গেলে কড়াইতে আরেকটু তেল দিয়ে শিমগুলো দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর শিমগুলো ভালোভাবে ভাজা হয়ে গেলে তুলে নিয়েছিলাম।
❖শিম ভেজে নেওয়ার পরে কড়াইতে তেল দিয়ে গোটা জিরা দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর তাতে পেঁয়াজ দিয়ে দিয়েছিলাম এবং জিরার সাথে ভালোভাবে ভেজে নিয়েছিলাম।
❖জিরার সাথে পেঁয়াজ ভালোভাবে ভাজা হয়ে গেলে তাতে ভেজে রাখা আলুগুলো একেবারে দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর তাতে ভাজা শিম এবং সাথে লঙ্কাগুলো একটু ধুয়ে নিয়ে দিয়ে দিয়েছিলাম।
❖লঙ্কা দেওয়ার পরে তাতে লবন এবং হলুদ স্বাদ মতো দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর সব একসাথে ভালোভাবে মিক্স করে নিয়েছিলাম।
❖মিক্স করার পরে সবজিতে জল দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর তরকারি ফুল আঁচে ফুটিয়ে নিয়ে শিম আর আলু সেদ্ধ করে নিয়েছিলাম।
❖সেদ্ধ আলুর কিছু পিচ তুলে নিয়েছিলাম এবং গলিয়ে নিয়েছিলাম ভালোভাবে।
❖সেদ্ধ আলু তুলে নেওয়ার পর পরই তরকারিতে ভেজে রাখা শিং মাছের পিচগুলো দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর তরকারি কিছুক্ষন ফুটিয়ে নেওয়ার পরে আলুর গলানো অংশটা দিয়ে দিয়েছিলাম এবং তরকারির সাথে ভালোভাবে মিক্স করে দিয়ে দিয়েছিলাম।
❖তরকারির ঝোল ঘন হয়ে আসলে আর ঝোল কমিয়ে নেওয়ার পরে তরকারি নামিয়ে নিয়েছিলাম এবং সেই সাথে তাতে জিরা গুঁড়ো ছড়িয়ে দিয়েছিলাম। এরপর কিছু তরকারি একটি পাত্রে পরিবেশনের জন্য তুলে নিয়েছিলাম।
রেসিপি বাই, @winkles
শুভেচ্ছান্তে, @winkles
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
দাদা আজকে আপনি খুবই মজাদার রেসিপি শেয়ার করেছেন। বিশেষ করে সিম দিয়ে শিং মাছের রেসিপি দেখে খেতে ইচ্ছা করছে। শিং মাছ আমার খুবই প্রিয়। আর এই শিং মাছ তৈরি করা দেখেই খুবই সুস্বাদু হয়েছে। আসলে আপনার রেসিপি পরিবেশন আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। রেসিপি পরিবেশন অনেক ভালো লেগেছে আমার।আর আপনার রেসিপির মাধ্যমে আমরা শিখতে পারলাম।সিম দিয়ে নানা রকম রেসিপি তৈরি করা যায়। তবে শিং মাছের রেসিপি দেখে অনেক মজাদার মনে হচ্ছে। এই রেসিপি কালারটা অনেক সুন্দর হয়েছে। আপনার রেসিপি পরিবেশন আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
সিম দিয়ে কখনো শিং মাছ দিয়ে রান্না করে খাওয়া হয়নি। তাও আবার ভিন্ন প্রজাতির সিম। যাক তবুও আপনার রান্নাটি বেশ সুস্বাদু হয়েছে দেখে বুঝা যাচ্ছে। আর বেশ খেতে মনে চাচ্ছি। তাই ভাবছি বাসায় একবার আপনার রেসিপিটি ট্রাই করবো। ধন্যবাদ ভাই এত সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আপনি তো দেখছি আজকে অনেক সুন্দর একটা রেসিপি নিয়ে এসেছেন। তবে আবার শিমের নাম নিয়ে কনফিউশনে পড়ে গেলেন। আসলে এই শিমটা আমি দেখলেই শুধুমাত্র চিনি। এমনিতে এর এক্সাক্টলি নাম কি সেটা আমার জানা নেই। তবে এগুলো আমি দেখেছি অনেক আবার খেয়েছি ও। কিন্তু আসলে আমি জানি যে এটা শিমের মধ্যে অন্য আরেকটা প্রজাতি। শিমের মধ্যেও কিন্তু কয়েকটা প্রজাতি রয়েছে। শীতকালে শিম খেতে আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে। আমি তো একদম বেশিরভাগ সময় শিম খেয়েছি। বিশেষ করে মাছ দিয়ে রান্না করলে আমার কাছে বেশি ভালো লাগে। তাছাড়া শিং মাছ আমার খুবই পছন্দের। সব সময় শিং মাছ এমনি শুধু শুধু রান্না করে খাওয়া হয়েছে। কিন্তু শিম দিয়ে কখনো রান্না করা হয়নি। তবে আপনার রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে খুবই সুস্বাদু হয়েছে। আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে রেসিপিটা।
ট্রেলিং ওয়াইল্ড শিম এই নামটা এই প্রথম শুনলাম। আসলে এই শিমটার সাথে আমি অনেক পরিচিত। কিন্তু নাম সম্পর্কে খুব একটা অবগত নয়। মানে এর নাম কি এটা আমার জানা নেই। কিন্তু এমনিতে লম্বা শিম বলে থাকে সবাই। তবে এটা অনেকবার খেয়েছি। আপনি তো দেখছি এইবার প্রথমবার খেলেন। তাও আবার বাজার থেকেও প্রথমবারকে নিয়ে আনলেন। আসলেই বাজারে গেলে যদি নতুন কোন সবজি দেখি তাহলে সেটা খেতে ইচ্ছে করে। তবে শিং মাছ দিয়ে শিম কখনো রান্না করে খাওয়া হয়নি। এমনিতে যে কোন মাছ দিয়ে শিম রান্না করলে কিন্তু ভীষণ ভালো লাগে খেতে। তবে মনে হচ্ছে আপনি যে শিং মাছ দিয়ে রান্না করেছেন এতে ভীষণ মজা লাগবে খেতে। তবে ভাবছি আপনার মত করে ট্রাই করে দেখব। এমনিতে শীতকালেই শিম খেতে বেশি ভালো লাগে।
দাদা প্রথমে বলবো যে এই শিম টি আমি চিনি ৷ কিন্তু এর নাম কি সেটা জানি না ৷ তবে কমবেশি সবাই শিম বলি এটাই শিম টা দেখতে একদম চিকন৷ যা হোক অনেক ভালো লাগলো আপনি বেশ সুন্দর করে আলু, শিং মাছ দিয়ে রান্না করেছেন ৷ দেখতে অনেক লোভনীয় লাগছিল ৷
এই শিম দেখে তো দাদা নরমাল শিমের মতনই লাগছে, কিন্তু একটু লম্বা বেশি। যদিও আমি জিনিসপত্রের নাম খুব কম জানি তাই এই সিমের নাম জানা আমার জন্য অসম্ভব।ট্রেলিং ওয়াইল্ড শিম নামও প্রথম শুনলাম। যে সিমই হোক খেতে সুস্বাদু সেটিই বড় কথা, নাম জেনে কি হবে। শিং মাছ পরিষ্কার করা খুবই কষ্টকর। আন্টি পরিষ্কার করে রাখাতে আপনার জন্য সুবিধা হয়েছে। ঝটপট রান্না করতে পেরেছেন। তাছাড়া শিম দিয়ে কখনো শিং মাছ রান্না করে খাইনি। শিম দিয়ে শিং মাছ এর রেসিপি আমার কাছে একেবারে নতুন লেগেছে এবং ইউনিকও বটে। খেতে যে সুস্বাদু হয়েছে তা তো রেসিপির কালার দেখেই বোঝা যাচ্ছে।
দাদা এই শিমের অন্য কোন নাম আমার জানা নেই। তবে এই শিম আমাদের এখানে সাধারণ শিম হিসেবেই পরিচিত। কিছু কিছু শিম আছে চ্যাপ্টা প্রজাতির হয় আর কিছু কিছু শিম আছে যেগুলো লম্বা প্রজাতির হয়। আর এই লম্বা প্রজাতির শিম গুলোর বিচি অনেক দেরিতে পরিপক্ক হয়। এই শিম গুলো তরকারি রান্না করে খেতে বেশি ভালো লাগে। এখন বর্তমানে কৃষি প্রযুক্তির উন্নতি হয়েছে। তাইতো প্রযুক্তির উন্নতির ছোঁয়া সব জায়গায় লেগেছে। বর্তমানে বিভিন্ন রকমের সবজির নতুন নতুন প্রজাতি দেখতে পাওয়া যায়। আর এই শিম গুলো অনেকটা হাইব্রিড জাতের মত। তবে আমার কাছে এই লম্বা লম্বা শিম মাছ দিয়ে রান্না করলে খেতে অনেক ভালো লাগে। শিং মাছ আর আলু দিয়ে এভাবে শিম রান্না করলে খেতে অনেক ভালো লাগে। শিং মাছ অনেকদিন থেকেই খাওয়া হয় না। শিং মাছ খাওয়া যেমন উপকারী তেমনি সবজির সাথে রান্না করলেও খেতে বেশ ভালো লাগে। দাদা আপনি দারুন ভাবে এই রেসিপি তৈরি করে শেয়ার করেছেন এজন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
আমাদের এলাকায় এই শিম গুলোকে বাইম সিম বলে। আসলে এই শিম গুলো বাইম মাছের মত চিকন, লম্বা। আর এই জন্যই মূলত আমাদের এলাকাতে এই শিমগুলোকে বাইম বলা হয়। এমনিতে এগুলোকে লম্বা শিম ও বলা হয়। তবে আপনার মত কোনটা সঠিক আসলে এটা জানা নেই। আপনি দেখছি এগুলো প্রথমবার কিনেছেন। এমনিতে তো বাজারে এগুলো কিন্তু পাওয়া যায়। এই শিম গুলো শিমের মধ্যে অন্য একটা প্রজাতি। তবে খেতে ভালোই লাগে। আমি শিম খেতে খুবই পছন্দ করি। কিন্তু শিং মাছ কেন জানিনা আমার ভালো লাগেনা। তবে আপনার রেসিপি গুলো দেখলে ভীষণ ভালো লাগে। মনে হচ্ছে শিং মাছের সাথে শিমটা বেশ ভালই লাগবে। কারণ যে কোন মাছ দিয়ে রান্না করলেই আমার কাছে সিম খেতে ভীষণ ভালো লাগে।
এই শিমের আলাদা কোন নাম নেই দাদা।আমাদের এখানে শিম নামেই পরিচিত।শিং মাছ তো খেতে দারুন মজার।আপনি শিম দিয়ে খুব মজা করে শিং মাছ রান্নার রেসিপিটি শেয়ার করলেন। দারুন মজার হয়েছে খেতে আশাকরি। আপনি ধাপগুলো খুব সুন্দর ভাবে তুলে ধরেছেন। খুব ভাল লাগলো দাদা।শিম আমার খুব পছন্দ। শিম দিয়ে যে কোন মাছ রান্না করলে আমার খুব ভাল লাগে। মজার রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ দাদা।