ওজন নিয়ন্ত্রণ করা জরুরি
আসসালামুআলাইকুম সবাইকে।
আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমিও ভাল আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে আবার হাজির হয়ে গেলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আজকে একটি সাধারণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করব। সেটি হল মানুষের ওজন বৃদ্ধি। কারো একবার ওজন বেড়ে গেলে সেই ওজন কমানো যেমন কষ্টকর তেমনি আবার কারো ওজন কম থাকলে তা বৃদ্ধি করাও সেরকম কষ্টকর। একজন মানুষের বিভিন্ন কারণে ওজন বৃদ্ধি পেতে পারে। সেটা হতে পারে অতিরিক্ত ক্যালরিযুক্ত খাবার খাওয়ার কারণে অথবা পরিশ্রম না করে অলস বসে থাকার কারণে, অথবা হরমোনাল কারণে। হরমোনাল কারন ছাড়া অন্যান্য কারণগুলোতে ওজন বৃদ্ধি পেলে কন্ট্রোল করা সম্ভব, কিন্তু হরমোনাল কারণে বৃদ্ধি পেলে সেই ওজন নিয়ন্ত্রণে আনা খুবই কষ্টকর।সেরকম সমস্যাতে আমি নিজে পড়েছি। আজকে সেই বিষয়েই লিখছি।
আমার ছোট বাচ্চাটা হওয়ার সময় অনেক মোটা হয়ে গিয়েছিলাম। তারপর ও হওয়ার পরে করানো শুরু হলে কাজের লোক না থাকায় ঘরে নিজে নিজে কাজ করতে করতে ওজন মোটামুটি নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছিল। কিন্তু বিপত্তি ঘটলো ঢাকায় আসার পর এবং আমার ছোট ছেলের বয়স যখন দুই বছর হলো তখন । ঢাকায় এসে মোটামুটি করোনা কমে গেল। এই সময় প্রচুর পরিমাণে বাইরের খাবার খাওয়া শুরু করলাম। তাছাড়া আমার থাইরয়েডের প্রবলেম আছে। ওষুধ খেতে হয়। এজন্য মোটা হওয়ার প্রবণতা রয়েছে।
প্রথমদিকে যখন একটু একটু মোটা হলাম তখন তেমন একটা বুঝতে পারিনি। যখন ওজন আরো একটু বৃদ্ধি পেলো তখন মনে হলো যে দেখতে বেশ মোটা লাগছে। কিন্তু আশেপাশের লোকজন দেখলে বলে যে ওজন নাকি ঠিক আছে। এ রকমই ভালো লাগে। কিন্তু আমার কাছে কেন যেন ভালো লাগছিল না। তারপর শুরু হলো আমার ওজন কমানোর জার্নি।
ওজন কমানোর জন্য সবথেকে যে বিষয়টি জরুরী তা হল নিজের মন এবং চোখকে কন্ট্রোল করা খাবার দাবার থেকে। কিন্তু এই কন্ট্রোল করাটাই সম্ভব হয় না। কারণ বাইরে গেলে আমার বাচ্চাদের বাইরের খাবার না খেলে চলে না। ওদের খাওয়া দেখলে আমারও খেতে ইচ্ছা করে। তখন মন বলে যে একদিন খেলে কি হবে। এভাবে আর ওজন নিয়ন্ত্রণে আনতে পারছিলাম না। তাছাড়া বিভিন্ন পেজ থেকে স্লিমিং টি অর্ডার করে খেয়েছি । তাতেও খুব একটা কাজ হয়নি।খুব বেশি এক কেজি ওজন কমেছে। আমার টার্গেট ছিল চার পাঁচ কেজি ওজন কমানো। অনেক কষ্টে খাওয়া-দাওয়া কন্ট্রোল করে এক কেজি ওজন কমলেও দু-এক দিন আবার খেলে দেখা যায় তার থেকে দ্বিগুণ ওজন বেড়ে যায়। কিছুদিন হল একটা অনলাইন গ্রুপে জয়েন করেছি। সেখানে ওজন কমানোর কিছু নিয়ম শৃঙ্খলা দেখছি সেই অনুযায়ী কাজ করে এখন মোটামুটি ওজন কিছুটা কমেছে। সবথেকে প্রথমে যে কাজটি করেছি সেটি হল চিনি,ফার্স্ট ফুড ও রাতের ভারী খাবার ছেড়ে দিয়েছি। আর রাতে যাই টুকটাক খাই না কেন তা অবশ্যই রাত আটটার আগে খাই। তাছাড়া দুপুরে ভাতের পরিমাণও কমিয়ে দিয়েছি। এর ফলে দেখছি যে ওজন কিছুটা কমেছে। আশাকরি এভাবে আরো কিছুদিন চলতে পারলে আমি আমার লক্ষ্যে পৌঁছে যেতে পারবো।
আপনারা আজকের পোস্টটি পড়ে নিশ্চয়ই ভাবছেন যে আমার ওজন অনেক বেশি। কিন্তু ওজন অনেক বেশি না হলেও কন্ট্রোল না করলে একসময় আয়ত্তের বাইরে চলে যাবে। সেজন্যই এই কষ্ট করা। কষ্ট ঠিক বলা যাবে না। আমি এখন একটি হেলদি লাইফ লিড করছি যেটা সকলেরই করা উচিত।
এই ছিল আমার আজকের আয়োজন। আশা করি আপনারা সকলেই আপনাদের স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতন হবেন এবং ওজন আয়ত্তের বাইরে যাওয়ার আগেই তাকে নিয়ন্ত্রণ করবেন। সময় নিয়ে আমার পোস্টটি দেখার জন্য সকলকে ধন্যবাদ। সবাই ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। পরবর্তীতে দেখা হবে আবার নতুন কিছু নিয়ে।
ধন্যবাদ
@tania
Photographer | @tania |
---|---|
Phone | oppo reno5 |
আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি। |
---|
VOTE @bangla.witness as witness OR SET @rme as your proxy
![witness_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmW8HnxaSZVKBJJ9fRD93ELcrH8wXJ4AMNPhrke3iAj5dX/witness_vote.png)
হুম এটা একটা সমস্যা, না আমাদের ছেলেদের না বরং মেয়েদের দেখলেই খেতে চায় ফাষ্টফুড কিংবা মজার খাবারগুলো। আপনার ভাবিরও ওজন বেশ বেড়ে গিয়েছে, নিউট্রেশিয়ান দেখিয়েছি টানা ১ বছর, ফলাফলটা শূণ্যই রয়েগেছে। এটা একদম ঠিক বলেছেন মেলা কষ্টে এক মাসে যদি এক কেজি কমে তাহলে দেখা যায় পরের সপ্তাহে একটু ঢিলামি করে দুই কেজি বেড়ে যায় আবার, হা হা হা।
সত্যি বলতে ওজন নিয়ন্ত্রণ করাটা বেশ কষ্টসাধ্য ব্যাপার। তবে আমি সেই ছোট বেলা হতেই খাবারের ব্যাপারে সতর্ক, শতকষ্ট হলেও আমি লোভকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারি। আর একটা কথা আছে আমাদের ধর্মে, সেটা কিন্তু যথার্থ, সকালে রাজার হালতে খাও, দুপুরে শ্রমিকের হালতে আর রাতে খাও গরীবি হালতে, তাহলে কোন সমস্যা কাছে আসবে না। ধন্যবাদ
এই দুঃখের কথা আর বইলেন না ভাইয়া। অনেক কষ্টে একটু ওজন কমলে একদিন খেলে পরে আবার দ্বিগুণ হয়ে যায়। তাহলে তো আপনার জন্য খুবই ভালো খাবার দেখলেও যদি লোভ না লাগে। এতে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। ঠিকই বলেছেন কিন্তু আমরা সবসময় উল্টা করি। দেখা যায় রাতের বেলাই বেশি খাওয়া হয়ে যায়। ধন্যবাদ ভাইয়া মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
আপনার পরামর্শ গুলো খুব ভালো লাগলো আপু ওজন কমানোর যে পরামর্শ দিলেন।আমিও আপনার মত কন্ট্রোল করে চলি তবে রাতের বেলায় ভাত না খেলেই আমার গ্যাসটা বেড়ে যায়।তাই আমি খুব কম পরিমাণ ভাত এবং প্রচুর পরিমাণ সবজি খেয়ে পেট ভরায় কোনরকম।আপনার ওজন কমানোর প্রসেস আমার বেশ ভাল লেগেছে।
আপনি রাতের বেলায় ভাত খেতে পারবেন কিন্তু অবশ্যই রাত আটটার আগে। পরিমাণে খুবই সামান্য সবজি থাকবে অনেক বেশি। এতে করে ওজন নিয়ন্ত্রণ থাকবে। ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
আপু খুব সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন পড়ে ভালো লাগলো। এটা ঠিক বলেছেন যাদের ওজন বেশি তাদের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা খুবই কঠিন আর যাদের কম তাদের বৃদ্ধি করা আরও বেশি কঠিন। আমার দিক দিয়েই বুঝতে পারি আমি সারা দিন ঘুমাবো আর খাবো তারপরও মোটা হবো না। তবে আমার যতটুকু ওজন আছে তাতেই আমি অনেক খুশি কারণ এর চেয়ে বেশি হলে কাজ করা আমার জন্য কষ্টকর হয়ে যাবে।ধন্যবাদ আপু আপনার সুন্দর পরামর্শের জন্য।
বিয়ের আগে আমার ওজন এত কম ছিল যে সবাই দেখলে বলতো। তখন খুব চেষ্টা করতাম ওজন বাড়ানোর। কিন্তু কিছুতেই ওজন বাড়তো না। আর এখন চেষ্টা করছি ওজন কমানোর কিন্তু এখন ওজন কমাতেই পারছি না। যাইহোক আপু ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
আমিও আপনার দলে আছে।ওজন নিয়ন্ত্রণের জন্য কত কিছু করতেছি।কিন্তু বিষয়টি প্রবল স্রোতের বিরুদ্ধে নৌকা চালানোর মত হয়ে গেছে।আপনার লক্ষ্য খুব তারাতারি পূর্ণ হোক,এই প্রার্থনা করি।
ভাইয়া ওজন নিয়ন্ত্রণের জন্য সবথেকে জরুরী একটি প্রপার ডায়েট প্ল্যান আমি প্রথমে যেই কাজটা করেছি উল্টাপাল্টা ভাবে কন্ট্রোলের চেষ্টা করেছি। কিন্তু কোন কাজ হয়নি। যখনই আমি প্রপার্ট প্ল্যান ফলো করে চেষ্টা করেছি তখন থেকে মোটামুটি কিছুটা কমছে ধীরে ধীরে।
একদম ঠিক বলেছেন আপু, ওজন বৃদ্ধি হলে সেটা কমানো খুবই কষ্টকর। কালকে আমি এবং আমার হাজব্যান্ড মেয়েকে নিয়ে ডাক্তারের কাছে গিয়েছিলাম। তখন মেয়ের ওজন মাপা দেখে আমরা দুজনেও মেপে দেখলাম। আসলে ওজন মেপেছি তা অনেকদিন হয়ে গেছে। দেখছি প্রায় অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। আসলে আমরা অনেকটাই চেষ্টা করি, কিন্তু কখনো কোন লাভই হয় না। আপনি দেখছি কিছুটা কন্ট্রোল করতে পেরেছেন। তবে আপনার মত করে ট্রাই করে দেখব। আশা করি, আপনি ভালো সুফল পাবেন।
আপু ওজন অনেক বেশি বেড়ে যাওয়ার আগেই কন্ট্রোলের চেষ্টা করা উচিত। কারণ একবার আয়ত্তের বাইরে চলে গেলে তখন কমানো খুবই কষ্টকর। আর মাঝেমধ্যে ওজন মাপার চেষ্টা করবেন তাহলে বুঝতে পারবেন। যাই হোক ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
ওজন আসলেই একটা সমস্যা,কম থাকলেও আবার বেশি হলেও।আপনার দেখছি মারাত্মক সমস্যা।এটা আপনার থাইরয়েডের প্রবলেমের জন্য হচ্ছে।এতে শরীর ফুলে যায় তাই আপনাকে ডায়েট ও ব্যায়াম করা উচিত নিয়মিত। এটা অনেক কাজ দেয় ওজন কমাতে।সকলের উচিত খাবার নিয়ন্ত্রণ রেখে খাওয়া, ধন্যবাদ আপু।
ঠিক বলেছেন আপু ওজন কম থাকলেও সমস্যা, বেশি থাকলেও সমস্যা। তাছাড়া আমার থাইরয়েডের জন্যই ওজন নিয়ন্ত্রণে আনা কষ্টকর। আমার শরীর অনেক বেশি ফুলে গিয়েছে তা না। কিন্তু কিছুটা বেড়েছে। তাই আমি আগে থেকেই কমানোর চেষ্টা করছি। একবার অনেক বেশি হয়ে গেলে তখন কমানো আরো বেশি কষ্টকর। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
গত মাস থেকে অনেকজনের কাছে থেকে শুনছি,তোর ওজন বেড়ে গেছে।প্রথমে গায়ে লাগাইনি,গতকাল যখন আন্টি বললো তখন আয়নায় গিয়ে একটু খেয়াল করে দেখলাম আসলেই তাই।
আপনি দুপুরে খাওয়া কমিয়েছেন।কিন্তু আপু আমার দ্বারা তাও সম্ভব না।খাবার দেখলে আমার মাথা আর ঠিক থাকেনা😵।
আপনার চেষ্টা সফল হোক।ইনশাল্লাহ ওজন আয়ত্তের বাইরে যাবেনা।
ভাইয়া মাঝে মধ্যে ওজন মেপে দেখবেন, তাহলে নিজেই বুঝতে পারবেন। আর এতে একটা সুবিধা হবে যে ওজন অনেক বেশি বাড়ার আগেই বুঝতে পারবেন। ধন্যবাদ আপনার উৎসাহ মূলক মন্তব্যের জন্য।
আমাদের সকলেরই উচিত ওজনের প্রতি খেয়াল রেখা। ওজন যদি একবার বৃদ্ধি হয়ে যায় তা কমানো অনেক কঠিন এবং কষ্টের হয়ে যায়। আপনার পরামর্শ দেখে খুবই ভালো লাগলো। আপনার এই পোস্টের মাধ্যমে আজকে অনেক কিছু বুঝতে পারলাম। যতই চেষ্টা করি ওজন কমানোর কিছুই লাভ হয় না। ভেবেছিলাম সকালবেলায় ভরে উঠে হাটবো। সময়ের জন্য তাও পারিনা। আমার মনে হয় চিকন থাকলেই ভালো। আগে ওজন বাড়ানোর জন্য অনেক কিছু করতাম কিন্তু এখন ওজন কমানোর জন্য সবকিছু করেও পারিনা। আপনার পরামর্শ পড়ে খুবই ভালো লাগলো ধন্যবাদ।
সকালে হাঁটার কথা আমি প্রায় দিনই মনে করি। কিন্তু সকালবেলা এলার্ম বাজলে আর ঘুম থেকে উঠতে ইচ্ছা করে না। মনে হয় যে আজকে থাক কালকে থেকে যাব। এভাবে আর যাওয়া হয় না। আমার পরামর্শ গুলো মেনে দেখতে পারেন আমার কিন্তু বেশ ভালো কাজে লেগেছে । ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে।