পরামর্শ দরকার || @shy-fox 10% beneficiary
যে ছেলেটা একটা সময় দিন রাত সমান করে পুরো এলাকা চষে বেড়াত, সেই ছেলেটা আজ অনেকটাই ঘরবন্দি জীবনযাপন করে । বলতে গেলে অনেকটাই ব্যস্ততার ভিতর সময় কাটে তার । হয়তো সেটা ভার্চুয়াল লাইফে নতুবা ব্যক্তিগত জীবনে । বয়স বেড়ে গিয়েছে, সংসার হয়েছে সঙ্গে আবার বেটার বাপ হয়েছে । সর্বোপরি যতই তার বয়স বাড়ছে, দিনদিন তার দায়িত্ব আরও বেড়েই যাচ্ছে ।
হয়তোবা আর বোঝার বাকি নেই, ছেলেটি কে ।ছেলেটি হচ্ছে আমি । কাহারো ভাই, কাহারো সহকর্মী বা কাহারো বন্ধু । গত সপ্তাহে ডাক্তার দেখিয়েছিলাম , অনেকটা শারীরিক অসুস্থতা বোধ করছিলাম এইজন্য । তারপর থেকেই ডাক্তারের পরামর্শ মোতাবেক চেষ্টা করছিলাম ওজন কমানোর জন্য ।
ডাক্তার সাহেব বলেছে, যে করেই হোক ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে । অতঃপর মনস্থির করেই ফেললাম শরীরের অতিরিক্ত মেদ চর্বি আমি কমিয়েই ফেলব । যাইহোক অবশেষে কঠোর মানসিক চিন্তা করে, শারীরিক ব্যায়াম করার সিদ্ধান্ত নিয়েই ফেললাম ।
কিভাবে কি করব , সেটার পরিকল্পনা করতে মোটামুটি অর্ধ রাত কেটে গিয়েছে । কারণ রাতের অর্ধেকটা সময় কাটে আমার ভার্চুয়াল লাইফে লেখালেখি করে ও গল্প পড়ে । অতঃপর যখন ভোর বেলার দিকে ঘুমোতে যাব, তখন ভাবলাম ঘুমিয়ে পড়ার আগে একটু শরীরচর্চা করে নেই । কারণ এখন ঘুমিয়ে পড়লে আর শরীরচর্চা করা হবে না ।
অতঃপর যেমন ভাবনা, তেমন কাজ । মোটামুটি ঘর থেকে বেড়িয়ে দরজাটা খুলে যখন ছাদে যাওয়ার চেষ্টা করলাম । আহা সেকি ঠান্ডা বাতাস । তখন কেবল সূর্য ওঠা ওঠা ভাব । এই পরিবেশ দেখেই মন হালকা হয়ে গিয়েছে । তবে কিভাবে কোন কসরত দিয়ে শরীর চর্চা শুরু করবো মানে কোনটা আগে করবো আর কোনটা পরে করবো এসব ভাবতেই খানিকটা সময় কেটে গেল ।
অতঃপর মোটামুটি হালকা কসরত দিয়ে শুরু করার চেষ্টা করলাম । সঙ্গে লাফালাফি-ঝাঁপাঝাঁপি, দৌড় ও বিভিন্ন আধুনিক কসরত তো আছেই । বাপ রে বাপ, কি একটা অবস্থা । এভাবে মিনিট পনের চলার পরে, আমি নিজেকে যেন ভিন্নভাবে আবিষ্কার করলাম । বুঝলাম এইসব আমার জন্য না । আমার শরীর যেভাবে আছে সেটাই অনেক ভালো আছে । পারলে অন্য কোন পন্থা খুঁজে বের করতে হবে ।
তবে এসব লাফালাফি-ঝাঁপাঝাঁপি করে আমার এখন কিছুই হবে না । কারণ আমি এসবের জন্য মোটেও প্রস্তুত নই এখন আর । তাছাড়াও অল্প সময়ের জন্য এইসব করে আমি অনেকটাই নাজেহাল হয়ে গিয়েছি । অতঃপর খানিক বাদেই ছাদের উপরে কিছুটা সময়ের জন্য বসে পড়ে গিয়েছিলাম । মনে হচ্ছিল যেন পুরো পৃথিবী আমার চারদিকে ঘুরপাক খাচ্ছে ।
অতঃপর কোনরকমে রুমে এসে কাপড় চেঞ্জ করে ওয়াশরুমে গিয়ে ঠাণ্ডা পানিতে গোসল করে, শীতল হয়ে নিলাম । যাক বাবা এ যাত্রায় বাঁচা গেল । তবে ওজন তো আমি কমিয়েই ছাড়বো , হয়তো সেটা এইভাবে না হলেও অন্যভাবে । তবে সেটা কিভাবে করব , সেটাই ভাবছি । যদি আপনাদের কোন সু-পরামর্শ থাকে, তাহলে আমাকে দিতে পারেন ।
খুব চিন্তায় আছি রে ভাই , মন ভেঙে গেলে তা ঠিক করা যায় । তবে শরীর ভেঙে পড়লে , আসলে অনেকটাই মুশকিলে পড়তে হয় । আজকাল বুঝতে পারছি , শরীরের প্রতি একটু যত্নশীল হতে হবে । অপেক্ষায় থাকলাম আপনাদের পরামর্শের ।
বিনীত নিবেদক
আপনাদের ভাই, বন্ধু , সহকর্মী
ডিসকর্ড লিংক:
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
আপনাকে বলবো খাওয়া দাওয়াটা আগে নিয়ন্ত্রন করতে হবে। কারণ খাওয়া অনেক গুরুত্বপূর্ণ ওজন বাড়াতে বা কমাতে। এজন্য আপনি ইউটিউব এ কিছু ভিড়িও দেখতে পারেন ওজন কমানোর জন্য খাওয়ার রুটিন সম্পর্কে। এর পর আপনি হালকা ব্যায়াম চালিয়ে যাবেন। আর পেটের চর্বি কমানোর জন্য রশি লাফ অনেক ভালো কাজে আসে। আর একটা কথা হচ্ছে, রাতের খাবার ১০ টার দিকে খাওয়ার চেষ্টা করবেন। ইনশাআল্লাহ খুব দ্রুত আপনার ওজন কমে যাবে। আপনার জন্য শুভকামনা রইলো ভাই। ❣️❣️❣️
রশি লাফ কিন্তু বেশ ভালোই আইডিয়া ছিল ভাই । ধন্যবাদ আপনার পরামর্শের জন্য ।
ভাইয়া আমি ক্ষুদ্র মানুষ হয়ে আপনাকে একটি কথাই বলতে চাই আমার মনে হয় শরীর স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে হলে রাতে ঘুমানো খুবই জরুরী। আসলে রাত জেগে কাজ করার পর ভোরবেলায় ব্যায়াম করার মতো ইচ্ছে থাকে না। এমনকি শরীর অনেক ক্লান্ত হয়ে যায়। আপনি যদি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ঘুমাতে যান এবং সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে ব্যায়াম করেন তাহলে অনেক ভালো হবে। কাজ তো সারা জীবন করতে পারবেন। যদি আপনি সুস্থ থাকেন তবেই তো কাজ করতে পারবেন। আর ভালোভাবে কাজ করার জন্য অবশ্যই সুস্থতা প্রয়োজন। আসলে ওজন কমানোর সঠিক পরামর্শ হয়তো আমার জানা নেই তবে আমি অনেকের কাছে শুনেছি সকালবেলায় গরম পানির সাথে লেবুর রস ও মধু খেলে ওজন কমে। এই কথাটি কতটুকু সত্য আমার জানা নেই। তবে একবার চেষ্টা করে দেখতে পারেন। আপনার জন্য শুভকামনা রইলো ভাইয়া।♥️♥️
লেবুর রস ও মধু বেশ ভালোই ছিল বুদ্ধিটা , ভালো লেগেছে আপনার মন্তব্যটা ।
সত্যি কথা বলতে ভাই আমিও কিছুদিন আগে ব্যায়াম শুরু করেছি। তবে প্রথমে যখন শুরু করবেন তখন না এভাবে একটু কষ্ট হয়। তবে আপনি যদি টানা 10 থেকে কোনদিন করেন তখন আর কিছু মনে হবে না। তবে অল্প অল্প ছোট ছোট কিছু ব্যায়াম দিয়ে শুরু করবেন আস্তে আস্তে ধীরে ধীরে দেখবেন যে সব ঠিক হয়ে গেছে। আর আসল কথা হচ্ছে তাই খাওয়াটা কন্ট্রোলে রাখতে হবে। কারণ খাওয়া পড়লে না রাখলে ব্যায়াম করে লাভ নেই ভাই। ধন্যবাদ সুন্দর একটি সকালের মুহূর্তে আমাদের সামনে উপহার দেওয়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
ছোট ছোট ব্যায়াম এবং খাবার নিয়ন্ত্রণ ব্যাপারটা বেশ ভালোই বলছেন ভাই।
আপনি প্রথমে জাম্পিং করতে পারেন, শুয়ে সাইকেলিং করতে পারেন, পুশ আপ করতে পারেন, পায়ের জন্য স্কোয়াট, তবে একা একা করতে গেলে খুব বেশিদিন আগ্রহ থাকে না তাই জিমে ভর্তি হয়ে যাওয়া ভালো। তবে আপনি চাইলে জিমে ভর্তি না হয়ে একটি সাইকেল কিনতে পারেন এটি আপনার শরীরকে আরো বেশী ভালো রাখবে।
জিমের আইডিয়াটা বেশ ভালোই ছিল তবে সময় বের করা খুবই কঠিন ভাই ।
ভাইয়া কয়েকদিন করলে ঠিক হয়ে যাবে,প্রথম প্রথম দেখে হয়রানি বেশি বেশি লেগেছে।ভাইয়া আপেল সিডার ভিনেগার খান কুসুম গরম পানির সাথে অনেক কাজ করে এটা।ধন্যবাদ
আপেল সিডার ভিনেগার গরম পানির সঙ্গে ব্যাপারটা কিন্তু বেশ ইউনিক ।
ভাইয়া খাওয়াটা অনেক কষ্টের ,অনেক বাজে গন্দ। তবে ভালো কাজ করে।
ভাইয়া আমার পরামর্শ হলো আপনি যদি শারীরিক কসরত নাই করতে পারেন তাহলে খাদ্যাভাসে একটু পরিবর্তন আনুন। ফ্যাট জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন। আর পারলে প্রত্যেকদিন সকালে কুসুম গরম পানির সাথে লেবু এবং মধু মিশিয়ে খাওয়ার চেষ্টা করুন। আর সন্ধ্যা বেলা যদি একটু স্যালাড খেতে পারেন তাহলে তো অনেক ভালো হবে।
আমার ওজন একসময় ৮২ কেজি হয়েছিল আমি এভাবেই আমার ওজন কমিয়ে ছিলাম। ভাইয়া আপনিও চেষ্টা করে দেখতে পারেন এই পন্থা আশা করি কাজে দেবে।
সালাদ খাওয়ার ব্যাপারটা জেনে উপকৃত হলাম ভাই । ধন্যবাদ আপনাকে ।
ভাইয়া আপনি একজন ডাক্তার মানুষ আপনাকে কি পরামর্শ দিবো,তবে আমার দেখা একজন মানুষ ১৪০ কেজি থেকে ৬০ কেজি হয়েছে তাও আবার ৬ মাস চেষ্টা করার পর। তাকে জিঙ্গাসা করেছিলাম ভাই কেমনে করলেন তিনি বলছেন টানা ৬ মাস পুসাপ দিয়েছেন মানে বুক ডাউন। আর দুই বেলা রুটি খেছেন আর এক বেলা হালকা ভাত। তৈল জাতীয় জিনিষ খাওয়া থেকে বিরত থেকেছেন।
ভাইয়া আর কিছু জানি না।
ধন্যবাদ আপনার যুক্তিযুক্ত মতামত দেওয়ার জন্য, তবে ব্যাপারটা বেশ কষ্টকর।
ব্যায়াম করার কোনো সময় নাই,আপনি আপনার সুবিধা মত যেকোনো সময় এই করতে পারেন।তবে বেটার হবে ঘুমাতে যাওয়ার আগে ব্যায়াম না করা।আর পারলে সময়কে একটু মেইনটেন করে নিয়ে আসেন।রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমাতে যাওয়ার চেষ্টা করেন আর সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠার চেষ্টা করুন।আর সম্ভব হলে আসে পাশে পুকুরে সাঁতার ও কাটতে পারেন।আবার ব্যায়াম এর পাশাপশি পাঁচ ওয়াকত নামজ পড়তে পারেন।কারণ নামাজেও একধরনের ব্যায়াম হয়,বলা চলে সর্বোৎকৃষ্ট ব্যায়াম ।আর নামাজ ঠিকঠিক ভাবে পড়লে আপনিও একটা নিয়ম এর মধ্যে চলে আসবেন আর আপনার এই অসুবিধা ও কেটে যাবে ইনশাল্লাহ।🖤
আপনার কথায় বেশ যুক্তি ছিল ভাই , তবে আমাদের যে জীবনযাত্রা তাতে আসলে সময় বের করা খুবই কঠিন । যেটা আসলে আপনি নিজেও জানেন।
যতো যাই হোক তবে কিছুই করার নেই।কারণ শরীর কমাতেই হবে তা না হলে শরীর নষ্ট হয়ে যাবে।
ঠিক ঠিক আমিও তাই ভাবছি আপু , কিছু একটা করতেই হবে ।
কেউ শরীর কমানোর চেষ্টায় থাকে আর কেউ শরীর বাড়ানোর চেষ্টা থাকে। আমার হয়েছে আপনার উল্টো। তবে আমি আপনাকে বলব আপনি সকালবেলা ঘুমোতে না গিয়ে রাতে একটু তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়বেন এবং খুব ভোরবেলা উঠে একটু দ্রুত হাঁটবেন লাফালাফি করার দরকার নাই যেটা আপনার শরীরের জন্য মানাচ্ছে না। আর সকালে খালি পেটে জিরা পানি খাবেন জিরার দানা দুই গ্লাস পানিতে ফুটিয়ে একগ্লাস করে ফেলে সেটা খালি পেটে প্রতিদিন খান। আমি আশা করি আপনার পেটের চর্বি অনেকটাই কমে যাবে।
জিরা পানির কথা কিন্তু বেশ যুক্তিযুক্ত আপু । এই ধরনের বুদ্ধি শুনে উপকৃত হলাম।