রবিবারের আড্ডা ৬৩ | এবিবি ফিচার্ড পোস্ট আড্ডা - ৩ পর্ব
ব্যানার ক্রেডিটঃ @hafizullah
আমার বাংলা ব্লগের আয়োজন রবিবারের আড্ডার নতুন সংযোজন হচ্ছে এবিবি ফিচার্ড পোস্ট নিয়ে আলোচনা। মূলত এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পুরো মাসের বাছাই করা ফিচার্ড পোস্ট থেকে কিছু পোস্ট মনোনীত করে, সেই পোস্ট গুলো নিয়েই আলোচনা করা হয়। মূলত মনোনীত পোস্টগুলো যারা লিখেছেন, ঠিক সেই অথরদের কথা গুলোই তুলে ধরা হয় এই শো'র মাধ্যমে। এখানে অথররা সাবলীলভাবে চেষ্টা করে তাদের নিজের পোস্ট নিয়ে মতামত দেওয়ার জন্য।
তাছাড়া এই অনুষ্ঠানটি তিনটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে, যেহেতু চারজন অতিথি থাকে প্রথমত দুইবারে চারজন থেকে পাঁচজন অতিথির মতামত শোনা হয়, দ্বিতীয়তঃ কিছুটা বিরতি দিয়ে উপস্থিত দর্শকদের মতামত গ্রহণ করা হয় এবং নিজেদের পছন্দের গান শোনা হয়। সর্বশেষে উপস্থিত সকল দর্শক ও শ্রোতাদের জন্য থাকে শুভেচ্ছা পুরস্কার ।
প্রথম অতিথিঃ @sumon09
ভেরিফাইড সদস্য, আমার বাংলা ব্লগ
মনোনীত পোস্টঃ লিংক
মতামতঃ মূলত আমি একজন সচেতন মানুষ হিসেবে নিজেকে ভাবতে পছন্দ করি। আমি যখন প্রথম বিয়ে করেছিলাম সেই সময় আমার অনুভূতি লিখেছিলাম। পরবর্তীতে যখন আমার মিসেস কনসিভ করে সেটাও লিখেছিলাম। তবে আমার বাবা হওয়ার বিষয়টা এত সহজ ছিল না, যদিও আমাদের পারিপার্শ্বিক ও সামাজিক অবস্থায় যে কুসংস্কার ছিল তা মোটেও গ্রহণ করিনি বরং আমার মিসেস কে প্রতিনিয়ত মানসিক সাপোর্ট দিয়ে গিয়েছি। কেননা আমি মনেকরি সন্তান যেটাই হোক সেটাই ভালো। আলট্রাসনোগ্রাম করার পরে জানতে পেরেছিলাম আমার কন্যা সন্তান হবে, তখনও আমি বেশ খুশি হয়েছিলাম। সত্যি বলতে কি বেশি টেনশন হয়েছিল বাবু যেদিন হবে ঐদিন,কেননা সিজারের মাধ্যমে হয়েছিল। তবে আমি খুবই খুশি হয়েছিলাম যখন আমার বাবুকে আমি প্রথম কোলে নিয়েছিলাম তখন। এটা অন্যরকম অনুভূতি। তাছাড়া এখন আমার সন্তান ও তার মা উভয়ই ভালো আছে । আমি মনে করি সন্তান যেটাই হোক না কেন, তা সৃষ্টিকর্তার দান। সামাজিক কুসংস্কার থেকে আমাদের বেরিয়ে আসা উচিত।
দ্বিতীয় অতিথিঃ @aongkon
ভেরিফাইড সদস্য, আমার বাংলা ব্লগ
মনোনীত পোস্টঃ লিংক
মতামতঃ এই পিকনিকের পরিকল্পনা মূলত আমরা ঢাকা থাকতেই করেছিলাম । যেহেতু আমরা সকলেই ঢাকাতেই থাকি, তাই ভেবেছিলাম এবার আমরা বাড়ি গিয়ে পদ্মার চরে পিকনিক করবো। অতঃপর যখন আমরা গ্রামে আসি, তারপর আমরা বন্ধুরা মিলে বাইক নিয়ে সেখানে ঘুরতে যাই। সঙ্গে বাড়ি থেকে আমাদের পিকনিকের জন্য যা যা প্রয়োজনীয় তা নিয়ে যাই। যদিও স্বল্প দূরত্বের রাস্তা ছিল, তবে অতিরিক্ত ধুলার কারণে সেখানে যেতে খুব কষ্ট হয়েছিল। আমার এক বন্ধু মোটর সাইকেলের পিছনে বসে ছিল, প্রচুর ধুলায় তার শরীর একদম সাদা হয়ে গিয়েছিল। অতঃপর আমরা যখন চরে গিয়ে পৌঁছালাম, তখন গিয়ে আমরা সবাই যার যার কাজ ভাগ করে নিয়ে, তারপর পিকনিক করার চেষ্টা করলাম। আমাদের খাবার মেনু ছিল সাদা ভাত, ডিম আর আলু ভর্তা। কলাপাতায় করে খেয়েছিলাম, বেশ উন্মুক্ত পরিবেশে দারুন উপভোগ করেছিলাম সময়টা।
তৃতীয় অতিথিঃ @kibreay001
ভেরিফাইড সদস্য, আমার বাংলা ব্লগ
মনোনীত পোস্টঃ লিংক
মতামতঃ আমি স্টিমিটে কাজ করার আগে, ব্লাট নামক সাইটে কাজ করতাম। ওখানে ভালই ইনকাম হতো তবে পরবর্তীতে তাতে সক্রিয়তা কমে আসে। সেটার সন্ধান আমাকে মুস্তাফিজ মামা দিয়েছিল। পরবর্তীতে এই স্টিমিটের সন্ধান মুস্তাফিজ মামাই আমাকে দিয়েছিল। তার মাধ্যমেই এখানে আসা। সেই সময় থেকেই ব্লগিং করে ৩০০০ স্টিম জমিয়েছিলাম। আমার আগে থেকেই ইচ্ছে ছিল অনলাইনের ইনকাম দিয়ে নিজের শখ পূরণ করব। গত মাসে যখন দাম বেড়েছিল সেই সময় আমি কিছু স্টিম সেল দিয়ে, পার্শ্ববর্তী বাড়ির দুই ছোট ভাইকে নিয়ে গিয়েছিলাম কুষ্টিয়া শহরে অতঃপর একটা সেকেন্ড হ্যান্ড ক্যামেরা কিনেছিলাম, এটা আমার কাছে দারুণ অভিজ্ঞতা ছিল। তাছাড়াও তার পরবর্তীতে স্টিমের আবারও দাম ভালো থাকা অবস্থাতেই, আমি আরো কিছু স্টিম সেল দেই। সেই টাকা দিয়ে আমি iphone কিনি। সেই পোস্টটাও সামনে লিখব। সবমিলিয়ে নিজের ইচ্ছে গুলো পূরণ হচ্ছে এই অনুভূতি সত্যিই অসাধারণ। আমি কৃতজ্ঞতাবোধ প্রকাশ করছি।
চতুর্থ অতিথিঃ @nilaymajumder
ভেরিফাইড সদস্য,আমার বাংলা ব্লগ
মনোনীত পোস্টঃ লিংক
মতামতঃ আমি মূলত এই লেখার মাধ্যমে বুঝাতে চেয়েছি, আমরা আধুনিক ঠিকই হয়েছি তবে আমাদের মানসিকতা আধুনিক হয়নি। দেখুন আগের লোকজনের হয়তো পড়াশোনা কম ছিল, তারা যতটুকুই পড়াশোনা করেছিল, সেই পড়াশোনা থেকে বাস্তবিকভাবে জ্ঞান অর্জন করেছিল। আগের যুগের ফাইভ পাস, এইট পাস বা মাধ্যমিক সেগুলো তো, এখনকার যুগের অনেক বড় উঁচু ডিগ্রীকেও হার মানাবে। আগের যুগে মানুষ সম্মিলিতভাবে থাকার চেষ্টা করত, নৈতিক শিক্ষার দিকে বেশ গুরুত্ব দিত এবং একে অপরকে নিয়ে ভাবতো। তবে বর্তমানে সবার গা ছাড়া ভাব, এখন হয়তো পড়াশোনা অনেক এগিয়ে গিয়েছে, তবে সবার ভিতরে স্বার্থপরতা দেখা যায়। যৌথ পরিবার আগের মত আর নেই, এখন সব একক পরিবার হয়ে গিয়েছে। প্রয়োজনের তাগিদে একক পরিবার ঠিক আছে, তবে অহেতুক যৌথ পরিবার ভেঙে একক পরিবারের দরকার নেই। তাছাড়া পড়াশোনার ক্ষেত্রে শুধুমাত্র যতোটুকু দরকার ততটুকুই করছে, তার বাহিরে গিয়ে আর কোন কিছুই জানার চেষ্টা করছে না। সবকিছুই যে টুকটাক জেনে রাখা ভালো, তা তারা মানতে চাচ্ছে না। এরা আধুনিক হয়েছে ঠিকই তবে এদের মানসিকতা এখনো আধুনিক হয়নি।
পঞ্চম অতিথিঃ@ayaan001
ভেরিফাইড সদস্য, আমার বাংলা ব্লগ
মনোনীত পোস্টঃ লিংক
মতামতঃ সমসাময়িক বিষয়ের উপর ভিত্তি করেই আমি এই পোস্টটি লিখেছিলাম। যেহেতু বেইলি রোড় এর অগ্নি কান্ডের ঘটনা আপনারা জানেন, সেখানে মূলত অসচেতনতার কারণেই এই দুর্ঘটনাটা ঘটে। দেখুন আমি আমার কর্মজীবনের অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, প্রতিটা অগ্নি দুর্ঘটনার সূত্রপাত খুব ছোট কিছু থেকে হয়, তারপর ধীরে ধীরে তা বাড়তে থাকে। ওখানেও অনেকগুলো আগুন নিভানোর যন্ত্র ছিল, তবে উপস্থিত লোকজন এতটাই আতঙ্কিত হয়ে গিয়েছিল যে, সেই যন্ত্র গুলো কিভাবে ব্যবহার করবে, সেটা ব্যবহার করতেই ভুলে গিয়েছিল। মূলত আমি বুঝাতে চেয়েছি যে, অগ্নি দুর্ঘটনায় কোন অবস্থাতেই অস্থির হওয়া যাবে না, মাথা ঠান্ডা রেখে কাজ করতে হবে। এক্ষেত্রে ম্যানেজমেন্ট খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দেখুন আমরা যারা প্রতিনিয়ত বাসায় রান্না করি রান্নাঘরে, সেখানেও কিন্তু রান্না করা শেষে গ্যাস জমে থাকে, তো সেই গ্যাস যদি আমরা বাহির না করে দিয়ে, পরবর্তী দিন আবার সেখানে রান্না করতে যাই, তাহলে যেকোন দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। আসলে দুর্ঘটনা বলে কয়ে আসেনা, তবে আপনি কতটা সচেতন, তার উপর নির্ভর করে আপনার দুর্ঘটনা কিছুটা কমিয়ে আসতে পারে। যদিও আমি পরবর্তীতে আরো কিছু পোস্ট লিখব এই বিষয়ে আশা করি আমার পাঠকরা সেই পোস্টগুলো পড়ার চেষ্টা করবে। সচেতনতা ছাড়া কোন অবস্থাতেই দুর্ঘটনা এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব না।
অতিথি ও শ্রোতাদের শুভেচ্ছা পুরস্কার তাৎক্ষণিক পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
পুরস্কারের স্পন্সর কমিউনিটির প্রতিষ্ঠাতা @rme দাদা
মূলত এভাবেই আয়োজন করা হয়েছিল এবিবি ফিচার্ড পোস্ট সংক্রান্ত আড্ডা। আমাদের চিন্তাধারা প্রতিনিয়তই ব্যতিক্রম, তাই সব ব্যতিক্রম চিন্তা-ভাবনা নিয়েই আমরা এগিয়ে যেতে চাই প্রতিনিয়ত সামনের দিকে। আশাকরি আমাদের সঙ্গে সকলেই থাকবেন, এই প্রত্যাশা ব্যক্ত করছি।
ধন্যবাদ সবাইকে।
ডিসকর্ড লিংক
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
রবিবারের আড্ডায় পাঁচ জন অতিথির চমৎকার অনুভূতির কথাগুলো শুনতে আমার অনেক ভালো লেগেছিল। ইউজারদের এরকম চমৎকার অনুভূতিগুলো প্রকাশের দারুন একটি সুযোগ করে দেওয়ার জন্য আমি কর্তৃপক্ষকে জানাই অসংখ্য ধন্যবাদ।
এটা সত্য এবারের সব অতিথিতেই বেশ গঠনমূলক কথা বলেছিলেন।
https://twitter.com/sharifShuvo11/status/1772179046467551297?t=q6FZ4hQzzJxMh4SkI_yn-w&s=19
গতকাল বাসায় কারেন্ট না থাকার কারনে এবিবি ফিচার্ড পোস্ট আড্ডা - ৩ পর্বে থাকতে পারিনি। অনেক মিস করেছিলাম। ভাইয়া আজকে আপনার পোস্ট এর মাধ্যমে সব কিছু পরে ভীষণ ভালো লাগলো। সবাই খুব সুন্দর করে সবার অনূভুতি গুলো শেয়ার করেছেন। অবশ্যই আমার বাংলা ব্লগ মানেই হচ্ছে চমৎকার চমৎকার উদ্যোগ। এই উদ্যোগটি ও আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে। এবিবি ফিচার্ড পোস্ট থেকে চমৎকার অনূভুতি শেয়ার করার সুযোগ। অবশ্যই আমিও একদিন আমার অনূভুতি শেয়ার করবো ইনশাআল্লাহ। সবার জন্য শুভ কামনা রইলো। এভাবেই আমাদের ভালোবাসার কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এগিয়ে যাবে সব দিক দিয়ে ইনশাআল্লাহ। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর করে পোস্টটি সাজিয়েছে তুলে ধরার জন্য। আপনার জন্য শুভ কামনা রইলো ভালো থাকবেন।
অবশ্যই ভাই আপনাকে স্বাগতম, আমরাও আপনার অনুভূতি শুনতে চাই।
এবিবি ফিচার্ড পোস্ট আড্ডা দারুন একটি আয়োজন। আপনি অনেক সুন্দর করে প্রত্যেকটি মুহূর্ত উপস্থাপন করেছেন ভাইয়া। এছাড়া অতিথিদের পোস্টগুলো সত্যিই দারুন ছিল। আর উনাদের কাছে এই পোস্টগুলো সম্পর্কে জানতে পেরেও বেশ ভালো লেগেছে ভাইয়া।
এ সপ্তাহের এবিবি ফিচার্ড পোস্ট আড্ডা টি আমার কাছে একটু বেশি ভালো লেগেছে।এ সপ্তাহে বেশ কয়েকজন অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিল।প্রত্যেক অতিথির বক্তব্য আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে এবং তাদের কথার মধ্যে অনেকেই অনুপ্রেরণা পেয়েছে।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আমার বাংলা ব্লগ মানেই নতুনত্ব এবং ভিন্ন ধরনের আয়োজন। বরাবরের মতো গতকালকেও সম্পূর্ণ প্রোগ্রামটি বেশ উপভোগ করেছি। অতিথিরা বেশ সাবলীলভাবে কথা বলেছে এবং তাদের ফিচার্ড পোস্ট সম্পর্কে চমৎকার ভাবে আলোচনা করেছে। যাইহোক এই রিপোর্টটি আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
এইবারের রবিবারের আড্ডায় মত পাঁচ জনকে অতিথি হিসেবে মনোনীত করা হয়েছিল তাদের গঠন মুলন পোস্টের ওপর ভিত্তি করে,তাদের সবাইকে অভিনন্দন জানাই।ধন্যবাদ জানাই শুভ ভাইয়া সাথে হাফিজ ভাইয়া কেও কারণ তাদের সুন্দর পরিচালনার জন্যে আমরা খুবই আনন্দের সাথে রবিবারের আড্ডা উপভোগ করতে পেরেছিলাম।
ধন্যবাদ ভাই, আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য, এভাবেই প্রতিনিয়ত পাশে থাকবেন।
অবশ্যই ভাইয়া, সহযোগিতা কামনা করছি আমিও।
রবিবারের আড্ডার পাঁচজন অতিথির চমৎকার অনুভূতির কথাগুলো পড়ে অনেক ভালো লাগলো। আড্ডায় প্রথম দিকে থাকতে পেরেছিলাম কিন্তু কারেন্ট চলে যাওয়ার কারণে পরে আর থাকতে পারিনি। তারপরও আপনার রিপোর্টটি পড়ে সমস্ত কিছু জানতে পেরে অনেক ভালো লাগলো। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি রিপোর্ট আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।
প্রতি সপ্তাহের মতো গত রবিবারের আড্ডাটি ভীষণ ভালো লেগেছিল। যেহেতু আমরা অনেকজন অতিথিকে পেয়েছিলাম বিভিন্ন টপিক্স নিয়ে আলোচনা করা হয়েছিল। রবিবারের আড্ডা মানে খুব সুন্দর সুন্দর কথা গুলো সবার কাছ থেকে জানতে পারা। ওপেন আলোচনা খুবই ভালো লাগে। অনেক সুন্দর সুন্দর অভিজ্ঞতা আমরা শুনতে পেরেছি জানতে পেরেছি। রবিবারের আড্ডা মানে অনেক আনন্দের একটি দিন। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে বিষয়টি আবারও বিস্তারিত শেয়ার করেছেন।
আসলে আপনাদেরকে বিনোদন দেওয়ার জন্য আমাদের এই প্রচেষ্টা ।