সোর্স


আসলে সমাজ ব্যবস্থা গড়ে ওঠে সমাজের শৃঙ্খলার উপর। প্রতিটা সমাজের ভিতর সমাজের কিছু নিয়ম-নীতি সকলেই মেনে চলে। আসলে পূর্বকাল থেকে মানুষ সমাজবদ্ধভাবে বসবাস করে এবং সবাই মিলেমিশে বিভিন্ন ধরনের কাজ করে। আসলে এই কাজ কখনো কঠিন আবার কখনো অনেক সহজ হয়। কিন্তু কাজ যতই সহজ এবং যতই কঠিন হোক না কেন সবাই কিন্তু মিলেমিশে একসাথে কাজ করে এবং সেইসব কাজ যতক্ষণ সফল না হয় ততক্ষণ সবাই চেষ্টা চালিয়ে যেতে শুরু করে। আসলে এই দলবদ্ধভাবে কাজ করার উপকারিতা এবং সহজবোধ্যতা সবাই বুঝতে পেরেছে। কারণ যে কাজ একার পক্ষে খুব কঠিন সেই কাজ দশজনের পক্ষে কিন্তু খুবই সহজ। কারণ প্রাচীনকালে মানুষ যখন কোন একটি কাজে একা মিলে সম্পন্ন করতে যেত তাহলে তাকে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হতো। যখন তারা বুঝতে পেরেছে যে একসাথে কাজ করার উপকারিতা তখন থেকে মানুষ দলবদ্ধভাবে বসবাস করতে শুরু করেছে।

এছাড়াও কোনো যদি বিপদ আসতো তখন সবাই মিলে এই বিপদের মোকাবেলা করতো। আর এই সমাজব্যবস্থা কিন্তু একদিনের ভিতর গড়ে ওঠেনি। বহু সময় ধরে এই সমাজের রীতিনীতি এবং বিভিন্ন প্রথা চালু হয়েছে। আসলে এভাবে সমাজ ব্যবস্থা সঠিকভাবে থাকার ফলে বর্তমান পর্যন্ত এই সমাজ ব্যবস্থা এখনো টিকে রয়েছে। কিছু কিছু গ্রাম অঞ্চলের দিকে গেলে আমরা সবাই বুঝতে পারবো যে সেই সব গ্রামে এখনো আধুনিকতার ছোঁয়া লাগেনি। তারা সেই এখনো পুরনো সমাজ ব্যবস্থায় রয়েছে এবং সেই সমাজ ব্যবস্থার রীতিনীতি পালন করে চলে আসছে। কিন্তু বর্তমান সময়ে এই সমাজ ব্যবস্থার রীতিনীতি অনেকটাই ভেঙ্গে পড়েছে। এই ভেঙে পড়ার প্রধান কারণ হলো সমাজের আধুনিকরণ। আসলে সমাজের আধুনিককরণ কিন্তু খারাপ বিষয় নয়। কিছু কিছু লোক এই সমাজের আধুনিকরণ করতে গিয়ে তারা সমাজের ক্ষতি করছে সব সময়।


আসলে বর্তমানে শিক্ষার হার পূর্বের শিক্ষার হার অপেক্ষা অনেক বেশি এগিয়ে গেছে। এই সমাজের শিক্ষার হার বেড়ে যাওয়ার ফলে কিছু কিছু অসাধু ব্যক্তিরা সমাজের এই সুন্দর রীতিনীতি এবং প্রথা ভঙ্গ করতে শুরু করেছে। অর্থাৎ তাদের কাছে এই সমাজের রীতিনীতির কোন মূল্য নেই। তারা মনে করে যে সমাজের এই রীতিনীতি কখনোই তাদের জীবনে উন্নতি এনে দিতে পারবে না। তাই তারা এই পুরনো সমাজব্যবস্থাকে ত্যাগ করে আধুনিক সমাজ ব্যবস্থার পক্ষপাতিত্ব করে। কিন্তু বর্তমানেও কিন্তু আধুনিক সমাজ ব্যবস্থা পূর্বের সমাজব্যবস্থাকে সম্মান করে এবং সেই সমাজ ব্যবস্থাকে মেনে চলে। আসলে সমাজ ব্যবস্থা কখনো আধুনিক হতে পারে না। কারণ এই সমাজ ব্যবস্থার যেসব রীতিনীতি রয়েছে সেসব রীতিনীতি অবশ্যই সম্মানজনক এবং বর্তমানে রীতিনীতি সেই আগের সমাজ ব্যবস্থার রীতিনীতিকে সামান্য একটু পরিবর্তন করে আরেকটু আধুনিকরণ করা হয়েছে।


আসলে যারা প্রকৃতি শিক্ষিত লোক তারা সব সময় পুরনো সমাজ ব্যবস্থাকে সব সময় সম্মান করে এবং সেই সমাজ ব্যবস্থাকে মেনে বাস্তব জীবনে চলতে শুরু করে। এছাড়াও আধুনিকতার ফলে বিভিন্ন অসাধু ব্যক্তিরা তাদের অসাধু মন-মানসিকতা নিয়ে সমাজের এই প্রাচীন ব্যবস্থাকে ভেঙে ফেলার সব সময় চেষ্টা করছে। তারা মনে করে যে তারা এই প্রাচীন সমাজব্যবস্থাকে ভেঙ্গে যদি তারা নিজেদের মতো করে সমাজ চালাতে পারে হয়তোবা এতে তারা অনেক বেশি লাভবান হবে। এছাড়াও তারা সবসময় চেষ্টা করে যে সমাজের বসবাসকারী বিভিন্ন লোকের ক্ষতি করা এবং তাদের নিজেদের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের বিবাদ সৃষ্টি করা। আসলে এসব অসাধু ব্যক্তির ফলে কিন্তু বিভিন্ন গ্রাম অঞ্চলের সমাজ ব্যবস্থা আজ ভেঙে পড়েছে। এর ফলে সমাজের লোকেরা সব থেকে বেশি ক্ষতি হচ্ছে।


এছাড়াও কিছু শিক্ষিত ব্যক্তি রয়েছে যারা এই পূর্বের সমাজ ব্যবস্থাকে সুন্দরভাবে লিপিবদ্ধ করে সেই সমাজব্যবস্থাকে নতুন রূপে গঠনের জন্য সব সময় চেষ্টা করে যাচ্ছে। কিন্তু তারা যতই চেষ্টা করুক না কেন তাদের এই ভালো কাজে বাঁধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে এই খারাপ অসাধু ব্যক্তিরা। আসলে সমাজের প্রতিটা লোক কিন্তু অনেক সরল মন মানসিকতার পরিচয়ে পরিচিত। তারা কখনো তাদের জীবনে অসৎ উপায় অবলম্বন করে অর্থ উপার্জন করতে চায় না। তারা চাইবে তারা সবাই মিলে মিশে একই সমাজে বসবাস করুক। আর এইসব লোকেদের মধ্যে যখন এসব অসাধু ব্যক্তিরা বিভিন্ন ধরনের খারাপ মন মানসিকতার দিক তাদের মধ্যে প্রকাশ করছে তখন সেসব লোকেরা অনেকটা ঘাবড়ে যাচ্ছে। আর এর ফলে আস্তে আস্তে এসব সরল মন-মানসিকতার ভিতরে বিভিন্ন ধরনের খারাপ মন মানসিকতা প্রবেশ করছে।


আসলে আমাদের সকলের উচিত বাংলার এই সমাজব্যবস্থাকে অবশ্যই টিকিয়ে রাখা। কারণ এই সমাজ ব্যবস্থা যদি একবার ভেঙে পড়ে তাহলে দেশের সবথেকে বড় ক্ষতি হবে। আর এর ফলে আমাদের দেশের উন্নতির পথ অনেকটা কমে যাবে এবং দেশ অবনতির দিকে অগ্রসর হবে। আসলে গ্রামের প্রতিটা লোক আধুনিক হওয়ার ফলে তারা যেমন তাদের কৃষিকাজে বিভিন্ন ধরনের নতুন যন্ত্রপাতির ব্যবহার শিখেছে এবং তারা বাইরের জগত সম্পর্কেও অনেক বেশি ধারণা রাখে এখন। তাই এই গ্রাম বাংলার মানুষের মধ্যে আধুনিক সমাজের উপকারিতা সম্পর্কে সব সময় বোঝানো উচিত এবং এইসব অসাধু ব্যক্তিদের কথায় যদি তারা কান না দেয় সেদিকে সবসময় খেয়াল রাখা উচিত। আর এর ফলে আমরা এক নতুন সমাজ ব্যবস্থার উদ্ভব করতে পারব।

আশাকরি আজকের এই পোস্টটি আপনাদের খুব ভালো লেগেছে। আর ভালো লাগলে কমেন্ট করতে অবশ্যই ভুলবেন না।

সবাই ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন দেখা হবে পরবর্তী পোস্টে।

ধন্যবাদ সবাইকে।