ওয়েব সিরিজ রিভিউ: জাতিস্মর- দ্যা রিকালেকশন ( পর্ব ২ )
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি। |
---|
আজকে আপনাদের সাথে 'জাতিস্মর' ওয়েব সিরিজটির দ্বিতীয় পর্ব রিভিউ দেব। এই পর্বের নাম হলো "দ্যা রিকালেকশন"। গত পর্বে দেখেছিলাম রূপকথা পথ হারিয়ে তার বন্ধু অরণিদের বাড়িতে পৌঁছিয়ে যায় এবং সেখানে গিয়ে তার ছোটবেলার অনেক স্মৃতি মনে পড়তে লাগে। আজকে দেখবো তার পরের থেকে কি হয়।
✠কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:✠
☀মূল কাহিনী:☀
রূপকথা সবার সাথে যখন খেতে বসেছিল, তখন নানান বিষয়ে গল্প করতে করতে বিশেষ করে রূপকথা এই গ্রামে যে কাজের জন্য এসেছে সেই বিষয়ে কথাবার্তা বলতে বলতে হঠাৎ তার দেওয়ালের দিকে কিছু কাঠের তৈরি হরিনের চিত্র এইসব চোখে পড়ে। আর এইগুলো সে তার ছোটবেলায় দেখেছিলো আর ওই হরিনের যে একটা মাথাও ছিল সেটা সে আপনমনে বলতে লাগে, কিন্তু এখন বর্তমানে সেখানে সেইটা নেই তাই। এই বিষয়টা দেখে সবাই অবাক হয় কারণ সে কি আবোলতাবোল বলছে সেটার অর্থ কেউ বুঝতে পারছে না। এরপর তাদের বাড়ির কাজের লোক যে এই বাড়িতে সেই দীর্ঘ সময় থেকে কাজ করছে সে তারকথা শুনে ঘাবড়িয়ে যায়, কারণ এই রূপকথার চালচলনের সাথে অনেক পুরানো কিছু বিষয় মিলে যাচ্ছে। লোকটা ভয় পেয়ে ঘাবড়িয়ে চলে যায় সেখান থেকে। এরপর রূপকথা আর সবাই খেয়েদেয়ে সেই মন্দিরের ফটোশ্যুট করতে বের হয় এবং বেশ কিছুক্ষন ধরে অরণি, রূপকথা আর তার বোনেরা একসাথেই গিয়ে ছবি তুলে আনে এবং পরে সেগুলো চেক করতে লাগে।
এরমধ্যে অরণীর বোনেরা বাড়ির একটা ব্লগ বানানোর জন্য সবাইকে উঠতে বলে। এরপর তারা তাদের মতো ব্লগ বানাতে লাগে, কিন্তু রূপকথা বাড়ির যেখানে যেখানে যাচ্ছে সেখানে সবকিছু সে আগে থেকেই বলে দিচ্ছে অর্থাৎ কোথায় কি আছে, কোনদিকে কোন দরজা আছে, যেন সে সবকিছু আগে থেকেই জানে। ঘরের দরজা আগে যেদিকে ছিল সেইদিকেই বলে এবং মিলে যায়। এইটা দেখে অরণী মনে মনে ভাবতে লাগে, এ কিভাবে জানলো, কারণ এর আগে তো এখানে কোনোদিনই আসেনি। তার বাড়ির যে কাজের লোকটা সে রাতের আঁধারে একটা মন্দিরের দিকে যেতে লাগে অর্থাৎ প্রথমে বলেছিলাম যে ওখানে একটা বাচ্চা মেয়েকে মেরে মাটিতে পুঁতে দিয়েছিলো একটি লোক।
আর রূপকথাও লোকটিকে দেখতে পায় আর সেও পিছু নেয় কিন্তু পরে লোকটিকে জঙ্গলের মধ্যে হারিয়ে ফেলে। ওখানে আবার সেখানকার লোকাল থানার পুলিশও এসেছে কোনোকিছুর একটা ইনভেস্টিগেশন করতে যদিও এটা এখনো সঠিক কিছু জানা নেই যে কি জন্য এসেছে। যাইহোক, এরপর অরণির মা আর অরণীর বাবা দুইজনই কথা বলতে বলতে সিঁড়ি দিয়ে উপরে উঠতে লাগে আর অরণীর মায়ের সুঁতো দিয়ে বিভিন্ন ধরণের জিনিস তৈরি করার অনেক শখ তাই তার হাতে সবসময় সুঁতোর গুটি থাকে, আর হঠাৎ করে সেই সময় হাতের থেকে নিচে পড়ে যায়। এই মুহূর্তে রূপকথা এসে সেই সুতোর গুটিটা নিয়ে একটা ছড়া বলতে বলতে তার হাতে আবার দিয়ে আসে।
☀ব্যক্তিগত মতামত:☀
এখানে রূপকথার যে ছেলেবেলার স্মৃতিগুলো এই বাড়ির বিভিন্ন জিনিস দেখে মনে পড়ছে এটা দেখে কাজের লোকটা জিজ্ঞাসা করে যে সে কে। কারণ ওই সময়ে যখন রূপকথা ছোট ছিল তখন তার পরিবার সহ কোনো একটা ঘটনায় এই গ্রামেই মারা গিয়েছিলো। আর প্রথমে যেটা বলেছিলাম যে একটা বাচ্চা মেয়েকে মাটিতে পুঁতে দিয়েছে সেটা কিন্তু এই কাজের লোকটাই করেছিল আর সেই বাচ্চা মেয়েটা ছিল এই রূপকথা। তাই সেই কারণেই এতটা ভয় পেয়ে যাচ্ছে ওই কাজের লোকটা যে এটা কি করে সম্ভব, যে একজন মৃত মানুষ কিভাবে আবার ফিরে আসতে পারে। তবে এখানে অরণীর মায়ের সাথেও তাদের একটা সম্পর্ক ছিল আর সেটা হলো বন্ধুত্বের। এই সুতোর গুটিটা হাতে নিয়ে যখন ছড়া বলছিলো তখন অরণীর মায়েরও একটা বিষয় মনে পড়ে যাচ্ছিলো যেটা এখান থেকে বহু বছর আগে অরণীর পরিবার আর রূপকথার পরিবারের সবাই মিলে একই জায়গায় একত্রিত হয়েছিল। আর তখনই রূপকথা এই একইভাবে সুতোর গুটি নিয়ে ছড়া বলতে বলতে অরণীর মায়ের কাছে দিয়ে আসে। তাই এখন এখানে সবার মাঝে একটা কৌতূহল তৈরি হয়ে গেছে যে এইগুলো এ কিভাবে জানতে পারছে।
☀ব্যক্তিগত রেটিং:☀
৭.৫/১০
☀ট্রেইলার লিঙ্ক:☀
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
প্রিয় দাদা আজকে দ্যা রিকালেকশন ওয়েব সিরিজের দ্বিতীয় পর্বের রিভিউটি পড়ে আমার খুবই ভালো লেগেছে। বিশেষ করে অরণি, রূপকথা মন্দিরে গিয়ে ফটোশুট করাটা আমার কাছে ভালো লেগেছে। সবচাইতে বেশি ভালো লেগেছে রূপকথার ছড়া বলা শুরু করাটা। চমৎকার একটি ওয়েব সিরিজের রিভিউ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য প্রিয় দাদা আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
দাদা জাতিস্মর ওয়েব সিরিজ এর দ্বিতীয় পর্ব আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন যা পড়ে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। রূপকথার অনেক কিছুই মনে পড়ে যাচ্ছিল, বাড়ির বিভিন্ন রকম জিনিসপত্র দেখে। আর কাজের লোকটা রূপকথাকে জিজ্ঞেস করেছিল সে আসলে কে। কারণ ওই সময় যখন রূপকথা ছোট ছিল তখন তার পরিবার এই গ্রামেই একটা দুর্ঘটনায় মারা যায়। তারপরে এই কাজের লোকটা একটা বাচ্চাকে পুঁতে দিয়েছিল মাটিতে, সেই বাচ্চাটা আর কেউ নয়, সে ছিল রূপকথা। যার জন্য কাজের লোকটা অনেক বেশি ভয় পাচ্ছিল, যে মৃত বাচ্চা কিভাবে ফিরে আসতে পারে। আর অরনীর মায়ের হাত থেকে সুতো পড়ে যাওয়ার পরে, রূপকথা ছড়া পড়তে পড়তে সুতোর গুটিটা অরনীর মায়ের কাছে এনে দেয়। যার জন্য অরণীর মা একটু কৌতুহল হয়ে পড়েছিল, রূপকথা এগুলো কিভাবে জানলো। সব মিলিয়ে আজকের রিভিউ পোস্ট এর দ্বিতীয় পর্ব পড়ে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। আস্তে আস্তে সকল রহস্য বেরিয়ে আসতেছে। পরবর্তী পর্ব দেখার জন্য অপেক্ষায় থাকলাম দাদা।
দাদা আজকে আপনি জাতিস্মর ওয়েব সিরিজটির দ্বিতীয় পর্ব শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত অনেক সুন্দর ভাবে তুলে ধরলেন আমাদের সকলের মাঝে। এই ওয়েব সিরিজটার প্রথম পর্ব পড়া হয়েছিল। আর এতদিন অধিক আগ্রহী ছিলাম দ্বিতীয় পর্বের জন্য। ছোটবেলায় রূপকথার পরিবার এই গ্রামটিতে দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছিল। আর কাজের লোকটা তাকে পুঁতে দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। সেই ছোট্ট মেয়েটা হচ্ছে রূপকথা। তার বিভিন্ন রকম আচরণ দেখে কাজের লোকটা অনেক বেশি ভয় পেয়ে গিয়েছিল। কারণ আগের কিছু ঘটনার সাথে এবং ব্যবহারের সাথে রূপকথার ব্যবহার অনেকটাই মিলে যাচ্ছিল। অরণীর মায়ের সাথে তাদের সম্পর্ক ছিল বন্ধুত্বের। অরনীর মা সুতো দিয়ে বিভিন্ন রকম জিনিস তৈরি করে, তাই ওনার হাতে সব সময় সুতোর গুটি থাকে। সিঁড়ি দিয়ে ওপরে উঠার সময় যখন উনার হাত থেকে সুতোর গুটি পড়ে যায় তখন রূপকথা ছড়া বলতে বলতে এটা নিয়ে আসে এবং অরণীর মাকে দেয়। রূপকথা এই সব কিছু কিভাবে জানতে পারলো এর জন্য অরণীর মা অনেক বেশি কৌতুহল হয়ে পড়েছিল। দেখা যাক পরবর্তী পর্বে কি হয়। সেজন্য অপেক্ষায় থাকলাম।
সত্যি বলতে কি দাদা আজকের পর্বে রূপকথার পুরনো স্মৃতি মনে পড়ে যাওয়ার বিষয়টি বেশ ভালো লাগলো। বাড়ির বিভিন্ন জিনিসপত্র দেখে রূপকথা একা একা মনে মনে বিড়বিড় করতে থাকে। আবার রুপ কথার ফটোশুটের বিষয়টা কিন্তু অত্যন্ত ভালো লেগেছে আমার কাছে। সব মিলে আজকের পর্বটি অনেক সুন্দর করে গুছিয়ে রিভিউ করেছেন দাদা। আসলে কোন নাটক বা ওয়েব সিরিজের রিভিউ কি করে করতে হয়? সেটা আপনার পোস্ট পড়লে ভালো হবে বুঝা যায়। ধন্যবাদ দাদা এত সুন্দর রিভিউ করার জন্য।
দাদা এই সিরিজটা তো দেখছি অনেক রহস্যময়ী। বিশেষ করে গত পর্বে দেখেছিলাম রূপকথার ছোটবেলার কথাগুলো মনে পড়ে যাচ্ছিল। এখন তো দেখছি রূপকথার সহ তার পরিবারের সবাইকে মেরে ফেলা হয়েছিল। বিশেষ করে ছোট্ট মেয়েটাকে মাটিতে পুঁতে দেওয়া হয়েছিল। আর সেই ছোট্ট মেয়েটা হচ্ছে রূপকথা। যদিও এই কাজটা ওই কাজের লোকটাই করেছে। তাইতো লোকটা খুবই ভয় পাচ্ছিল যে মৃত মেয়ে কিভাবে বেঁচে উঠল। আবার দেখছি ওরা নিজের পরিবারের সাথেও রূপকথার পরিবারের একটা সম্পর্ক রয়েছে। এই সব কিছু আস্তে আস্তে সবাই আন্দাজ করতে পারছে। বিশেষ করে যখন সুতোর গুটি নিয়ে কবিতা বলছিল তখনই। পরবর্তী পর্বে কি হবে তা দেখার অপেক্ষায় রইলাম।
দাদা জ্যোতিষ্কর সিরিজ রিভিউ পড়ে অনেক কিছুই জানতে পারলাম। আসলে গত পর্বে দেখেছিলাম যখন গ্রামে রূপকথা আসলো তখনই ওর ছোটবেলার অনেক কিছু স্মৃতিতে ভাসছিল। এখন তো দেখছি আসলে রূপকথার পরিবারের সবাইকে মেরে ফেলা হয়েছে। বিশেষ করে রূপকথা যখন ছোট ছিল তখন তাকেও মাটিতে পুঁতে দেওয়া হয়েছে। আর মাটিতে পুঁতে দেওয়ার কাজটা কাজের লোকটাই করেছে। কিন্তু রূপকথা কিভাবে বেঁচে থাকলো এই বিষয়টা জানার খুবই আগ্রহ রয়েছে। আবার দেখছি অরনীদের পরিবারের সাথে রূপকথার পরিবারের সম্পর্ক ছিল। কারণ যখন রূপকথা সুতোর গুটিটা হাতে নিয়ে ছড়া বলছিল তখনই অরণীর মায়ের কিছুটা মনে পড়ছিল। কিন্তু পরবর্তীতে কি হবে এটা দেখার অপেক্ষায় রইলাম।