লাল শাকের সিম্পিল একটি রেসিপি
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি। |
---|
আজকে আপনাদের সাথে একটি রেসিপি পোস্ট শেয়ার করে নেবো। এই রেসিপিটা হলো লাল শাকের। লাল শাক দিয়ে সিম্পিল একটি রেসিপি তৈরি করেছিলাম। এতে কোনো চিংড়ি বা ছোট কোনো মাছ দেইনি, আমি সাধারণত এই রেসিপিগুলোতে দুটি জিনিসই ব্যবহার করি, এক চিংড়ি আর এক কাঁকড়া। সাধারণ ভাবে এইরকম খুবই কম খাওয়া হয়। তবে এইভাবে অতটাও স্বাদ লাগে না,যতটা চিংড়ি আর কাঁকড়া দিলে লাগে। আর তারপর এই শাকগুলো হলো সব সারের, দেখলেই বোঝা যাচ্ছে, কোনো কালার নেই। লাল শাক একদম লাল টুকটুক করে দেখতে, কিন্তু এইগুলো বর্তমানে দেখে চেনার উপায় নেই যে, এইগুলো লাল শাক।
তবে এই সিজনে অনেকবার লাল শাক খাওয়া হয়েছে তার মধ্যে এক-দুইবার সম্ভবত এইরকম লাল কালার পেয়েছি আর খাওয়ার সময়েও যেন সেই লাল ভাবটা খুঁজে পেয়েছিলাম। আর এইগুলোই আসলে অরিজিনাল আর স্বাদেও বেশ ভালো লাগে। এখন আসলে শাকসবজিতে প্রচুর পরিমানে সার, বিষ প্রয়োগ করার ফলে সব নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, যার ফলে অরিজিনালি কোনো কিছুই খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না, বিশেষ করে স্বাদের দিক থেকে। যাইহোক, এখন এই রেসিপিটা যেভাবে তৈরি করলাম তার ধাপগুলো নিচের দিকে তুলে ধরবো উপকরণসহ।
☫প্রয়োজনীয় উপকরণ:☫
❣এখন রেসিপিটা যেভাবে তৈরি করলাম---
❂প্রস্তুতপ্রণালী❂
➤লাল শাকগুলোকে প্রথমে ভালোভাবে বেছে নিয়ে কেটে ধুয়ে রাখতে হবে। এরপর পেঁয়াজ এর খোসা ছালিয়ে নিয়ে কেটে রেখেছিলাম এবং সেই সাথে রসুনের কোয়াগুলো থেকে খোসা ছাড়িয়ে নিয়েছিলাম। এরপর কাঁচা লঙ্কাগুলো কেটে ধুয়ে নিয়েছিলাম।
➤কড়াইতে তেল দিয়ে গোটা জিরা দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর তাতে গোটা রসুনের কোয়া আর পেঁয়াজ কুচি দিয়ে দিয়েছিলাম।
➤জিরার সাথে পেঁয়াজ-রসুন ভালো করে ভেজে নেওয়ার পরে তাতে একেবারে ধুয়ে রাখা লাল শাক দিয়ে দিয়েছিলাম।
➤লাল শাক দেওয়ার পরে তাতে কাঁচা লঙ্কা দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর তাতে স্বাদ মতো লবন আর হলুদ গুঁড়ো দিয়ে দিয়েছিলাম।
➤লাল শাকের সাথে সব উল্টেপাল্টে ভালোভাবে মিক্স করে নেওয়ার পরে কড়াইটি একটি ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিয়েছিলাম।
➤লাল শাক সেদ্ধ হয়ে আসলে ঢাকনাটা সরিয়ে নিয়েছিলাম এবং শাকের জল কমিয়ে আনার জন্য আরো কিছুক্ষন জ্বাল দিয়ে নিয়েছিলাম।
➤শাকের জল শুকিয়ে একদম ভাজা ভাজা মতো হয়ে আসলে নামিয়ে নিয়েছিলাম এবং পরিবেশনের জন্য একটি পাত্রে তুলে নিয়েছিলাম।
রেসিপি বাই, @winkles
শুভেচ্ছান্তে, @winkles
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
আসলেই বলা যায় ছোটবেলায় আম্মা যখন লাল শাক দিয়ে ভাত মেখে দিত তখন মনে হতো রক্ত দিয়ে ভাত খাচ্ছি। আবার আমরা ছোটরা দুষ্টুমি করতাম দেখ আমি রক্ত দিয়ে ভাত খাই।
কিন্তু এখন লাল শাড়ি তেমন একটা কালার হয় না বললেই চলে। অতিরিক্ত সার প্রয়োগেই এই অবস্থা। আর কাকতালীয়ভাবে আমিও আজকেই লালশাক রান্না করেছি। আপনার রেসিপিটি খুবই লোভনীয় হয়েছে।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
দাদা আপনি আজকে আমাদের মাঝে খুবই দারুণ একটা রেসিপি শেয়ার করেছেন। আসলে ভাইয়া লাল শাক খেতে খুবই ভালো লাগে। কারণ লাল শাকে রয়েছে ভিটামিন সি সকল মানুষেরই খাওয়া অত্যন্ত প্রয়োজন। ধন্যবাদ আপনাকে রয়েছে পেটি খুব সুন্দর করে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
দাদা আপনি আজকে খুবই লোভনীয় এবং মজাদার একটা রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। লাল শাকের রেসিপি দেখে আমার তো খুবই খেতে ইচ্ছে করছে। অনেকদিন হয়েছে লাল শাক খাওয়া হয়না আমার। লাল শাকের সিম্পিল একটি রেসিপি তৈরি করেছেন আপনি। আপনি এতে অন্য কোন কিছু ব্যবহার করেননি। তবে যে কোন মাছ দিয়ে যদি রান্না করা হয়, তাহলে লাল শাক খেতে আমার কাছে বেশি ভালো লাগে। আসলে এখন সার দিয়ে সবকিছুই করা হয়। যার কারনে অরজিনাল স্বাদটা পাওয়া যায় না। তবে গ্রামের দিক থেকে কিনতে পারলে বেশি ভালো হয়। কারণ গ্রামে তাজা তাজা শাক-সবজি পাওয়া যায়। আমরা তো অনেকবার কিনেছি তাজা তাজা শাক-সবজি আশেপাশের মানুষগুলোর কাছ থেকে। লাল শাকের এখন কালার একেবারেই পাওয়া যায় না। যাইহোক দাদা আপনি সুন্দর করে এই মজাদার রেসিপিটা তৈরি করার পদ্ধতি, সবার মাঝে তুলে ধরেছেন দেখে আমার কাছে অনেক ভালো লাগলো। আশা করছি এরকম মজাদার এবং সুস্বাদু রেসিপিগুলো আপনি প্রতিনিয়ত সবার মাঝে ভাগ করে নিবেন। দাদা আপনার পরবর্তী রেসিপি পোস্ট দেখার অপেক্ষায় থাকলাম। ধন্যবাদ দাদা, এই পোস্ট সুন্দর করে শেয়ার করার জন্য।
লাল শাক ভাজা খেতে ভীষণ স্বাদের।আর বেশ উপকার ও এই শাক শরীরের জন্য। তবে আজকাল লাল শাকের মতো এক ধরনের ডাটা শাককে লাল শাক বলে বিক্রি করে।যা মোটেও লাল হয় না।আসলে ভাত লাল হয়ে গেলে সেই শাক খেতে ভীষণ ভালো ও লাগে।লাল শাক ঝোল করলে আমিও চিংড়ি মাছ দিয়ে রান্না করি।আর ভাজা করলে বেশি করে রসুন কুচি দিয়ে রান্না করি।আর খেতে ভীষণ মজার ও হয়।ধন্যবাদ দাদা মজার এই রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য।
লাল শাক আমার খুব প্রিয় একটি খাবার। ছোট থেকে লাল শাকের প্রতি আমার বেশ দুর্বলতা রয়েছে। দাদা আপনি ঠিকই বলেছেন, ইদানিং প্রচুর পরিমাণে সার ও বিষ প্রয়োগের কারণে শাক সবজির রং তেমন একটা ঠিক থাকছে না। আর তাইতো লাল শাকে লালের পরিমাণটাও আর আগের মত নেই। যাইহোক দাদা, আপনি খুব মজা করে লাল শাকের সিম্পল রেসিপিটি তৈরি করেছেন। এভাবে লাল শাক তৈরি করে খেতে আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে। তবে আমার কখনো চিংড়ি মাছ কিংবা কাঁকড়া দিয়ে লাল শাক রেসিপিটি খাওয়া হয়নি। তাই ভাবছি একদিন চিংড়ি মাছ দিয়ে লাল শাকের রেসিপি তৈরি করে খাব। দাদা,লাল শাকের সিম্পল রেসিপিটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
লাল শাক আমার ভীষণ প্রিয়। দাদা আপনি তো অনেক সুন্দর ভাবে লাল শাক ভাজি করেছেন। লাল শাক ভাজি খেতে ভীষণ মজা লাগে। আপনার তৈরি রেসিপি দেখে ভীষণ ভালো লাগলো। আপনার জন্য শুভ কামনা রইল ভালো থাকবেন।
দাদা মজাদার এবং লোভনীয় রেসিপিগুলো দেখলে ইচ্ছে করে খেয়ে নিতে। লাল শাক খেতে আমার কাছে ভালোই লাগে শীতের সময়। শীতের সময় লাল শাক খাওয়ার মজাটাই একেবারে আলাদা হয়। তবে নিজেরা যদি চাষ করা হয় এবং কি গ্রামের কেউ চাষ করলে সেখান থেকে নিয়ে আসা হলে সেগুলো বেশি ভালো লাগে খেতে। আলাদা একটা মজা পাওয়া যায় সেই লাল শাকের মধ্যে। তবে বাজারের সার দেওয়া লালশাক গুলো খুব একটা মজা লাগে না। চিংড়ি মাছ দিয়ে তৈরি করা লাল শাক এর রেসিপি খেয়েছি। তবে কাঁকড়া দিয়ে যে লাল শাকের রেসিপি করা যায় এটা জানা ছিল না দাদা। যদি আপনি এটার মধ্যে কোন মাছ ব্যবহার করেননি। যাইহোক সুন্দর করে রেসিপিটা তৈরি করেছেন। আর রেসিপিটা তৈরি করার পদ্ধতি দারুন ভাবেই তুলে ধরেছেন। পুরো রেসিপি আমার কাছে ভালো লেগেছে।
বাহ্! চমৎকার একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন দাদা। লাল শাক আমার খুব পছন্দ। লাল শাক ভাজি করে এবং হালকা ঝোল করে খেতে দারুণ লাগে। তবে চিংড়ি মাছ দিলে লাল শাকের রেসিপি গুলোর স্বাদ অনেকাংশে বেড়ে যায়। কাঁকড়া দিয়ে লাল শাকের রেসিপি তৈরি করে কখনো খাওয়া হয়নি আমার। তবে এটা ঠিক, এখনকার সার দেওয়া লাল শাক খেতে ততোটা ভালো লাগে না। ছোটবেলা লাল শাক ভাজি দিয়ে ভাত খাওয়ার সময় দেখতাম ভাত প্রচুর লাল হয়ে যেতো। যাইহোক আপনার রেসিপির কালার দেখেই বুঝা যাচ্ছে খেতে খুব সুস্বাদু হয়েছে। গরম গরম ভাতের সাথে এই রেসিপিটা দারুণ লাগবে খেতে। লাল শাক খেতে যেমন সুস্বাদু, তেমনি আমাদের শরীরের জন্যও বেশ উপকারী। সবমিলিয়ে রেসিপিটা দেখে ভীষণ ভালো লাগলো দাদা। যাইহোক এতো মজাদার একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
লালশাক খুবই ভিটামিন যুক্তি একটি শাক। আমার পছন্দের শাকের মধ্যে লাল শাক অন্যতম। তবে দুঃখের বিষয় হলো এখন আর লাল শাকে আগের মত স্বাদ পাওয়া যায় না। কারন এখন আর পিউর জৈব সার ব্যবহার করা হয় না। এখন রাসায়নিক সার ব্যবহার করে শাক চাষ করা হয়। আগে লাল শাক খেলে ভাত সহ হাতও লাল হয়ে যেতো। আর এখন লাল শাক রান্না করল চিনতেই কষ্ট হয়। লাল শাকের সাথে চিংড়ি মাছ দিতে পারলে অতুলনীয় স্বাদ লাগে। আপনাকে আজকে দেখলাম শাকের সাথে অন্য কোন কিছু মিক্স করেন নাই। শুধু শাক হিসাবে রান্না করেছেন। তবে এভাবে রান্না করা খুব সহজ। অনেকে দেখা যায় পেঁয়াজ রসুনের সাথে কাঁচা লঙ্কা দিয়ে দেয়। আপনি লাল শাক দেওয়ার পরে কাঁচা লঙ্কা দিলেন। তবে যে ভাবেই রান্না করা হোক না কেন,রেসিপিটা দারুন হয়েছে। ধন্যবাদ।