অকৃতজ্ঞ
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি। |
---|
Copyright Free Image Source: PixaBay
আজকে আপনাদের সাথে একটি ভিন্ন ধরণের পোস্ট শেয়ার করবো। আজকে অকৃতজ্ঞতা বিষয় নিয়ে কিছু বলবো। আসলে অকৃতজ্ঞ বলতে আমরা সহজ ভাষায় যেটা বুঝি সেটা হলো 'যার কোনো কৃতজ্ঞতা বোধ বলে কিছু নেই'। ঠিক এইরকমই কিছু মানুষজন আমাদের জীবনে আসে সাময়িক সময়ের জন্য। এইসব মানুষজনকে আসলে যতই আপনি উপকার করেন না কেনো, আপনার উপকারের কোনো দাম দেবে না, বরং ক্রমাগত অকৃতজ্ঞের মতো আচরণ করে যাবে আপনার সাথে সেটা যে ভাবেই হোক না কেন। কারণ সে আসলে কখনোর জন্য এইসব উপকার ডিসার্ভ করে না। এই পর্যন্ত আসলে যতজন বন্ধুকে হেল্প করেছি সবকিছুতে, সব শেষে হিসেবে করলে দেখা যায় তারাই লাথি মেরে চলে যায়। আসলে বন্ধু বলাটাও ভুল হবে, কারণ এরা আমার বন্ধু হলো চলতি অবস্থায়, প্রকৃত কোনো বন্ধু না। এরা আসলে যখন প্রয়োজন পড়বে ঠিক তখনই আপনার সামনে হাজির হবে বা তখন ফোনের পর ফোন বা মেসেজ দিয়ে যাবে। কিন্তু যেই তার প্রয়োজনীয় চাহিদাটা পূরণ হয়ে যাবে, তখন তাদের আর খোঁজ পাবেন না, সেটা বছরের পর বছর হতে পারে বা মাসের পর মাস হতে পারে।
প্রয়োজনের সময় খুব সুন্দর সুন্দর কথার বলি তাদের বের হয়, কিন্তু দেখা যায়- যে মানুষগুলো উপকার করলো বা সুবিধা-অসুবিধা দেখলো , তাদের একটু মাঝে মাঝে খোঁজ খবর নেই বা কথা বলি। কিন্তু সেটা তাদের কাছ থেকে কখনোই এক্সপেক্ট করা যায় না, একমাত্র মনে পড়বে কখন!? যখন তারা কোনো সমস্যায় পড়বে বা এটা দেখিয়ে দিতে হবে তখন মেসেজ বা ফোন করবে একভাবে। তবে, আমার এতে কোনো কিছু যায় আসে না, কে আমার খোঁজ নিলো বা সম্পর্ক ভালো রাখলো। কিন্তু আমার সাথে খারাপ ব্যবহার করলে তাকে আমি দূরে সরিয়ে দিতে এক মিনিটও ভাবি না, কারণ সব মেনে নিতে পারলেও আমি বেয়াদপি করাটা একদমই সহ্য করতে পারিনা, সাথে সাথে সেইসব মানুষদের কাট করে দেই। কারণ এইসব মানুষজন হলো জঞ্জালের মতো চারিপাশে থাকে, এইসব যত দূরে সরে যাবে তত ভালো। কারণ এরা আসলে কারো কোনো উপকারে আসে না, বরং বিভিন্ন সমালোচনার মাধ্যমে আপনাকে কিভাবে ডাউন করবে সেই চেষ্টা করতে থাকে।
আসলে একটা কথা আছে না, "অলস মস্তিষ্ক বদের বাসা", এরা হলো তাই, সারাদিন যাদের কোনো কাজ কর্ম না থাকে, শুধু টই টই করে বেড়ায়, তাদের মাথায় শুধু বদ চিন্তা ঘুরতে থাকে, কার কিভাবে ক্ষতি করা যায়। আবার কিছু কিছু মানুষ আছে তাদের যদি উজে গিয়ে কোনো ভালো পরামর্শ দাও, তাহলে সেটাও ক্ষতির হয়ে যায়, সেই কথাগুলো নিয়েও আবার বাইরে সমালোচনা করতে থাকে। বিশ্বাস শব্দটা আসলে খুব কঠিন একটা শব্দ, এটার রক্ষা সবাই করে চলতে পারে না। বিশ্বাস করে কিছু বললে, সেই বিশ্বাসের জায়গাটা ধরে রাখাটাও অনেক কঠিন। তার উপর থেকে যদি সেই বিশ্বাসটা একবার উঠে যায় তাহলে সেটা আর কখনই ফিরে আসে না। এইরকম আমার সাথে যারা করেছে তাদের দিকে আমি আর ফিরেও তাকাই না, একদম বিষিয়ে গেছে মনটা এইসব মানুষের প্রতি।
শুভেচ্ছান্তে, @winkles
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
দাদা আজ ব্যতিক্রম একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন। আর ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ একটি পোস্ট বলতে হয় এটা।আপনি বাস্তবিক একটি বিষয় আজ আমাদের সামনে উপস্থাপন করলেন। খুব সুন্দর, বাস্তব আর সত্যি কথা লিখেছেন।এখনকার মানুষগুলো বড্ড অকৃতজ্ঞ।এরা নিজেদের প্রয়োজনে আসে। আর প্রয়োজন ফুরিয়ে গেলে এদের আর খোঁজ মেলেনা।আপনার মতো আমিও এই সব মানুষ থেকে নিজে এড়িয়ে চলি।আমার কাছে এসব মানুষকে দূষিত মানুষ মনে হয়।আর তাই নিজেকে ভালো রাখতে এসন মানুষকে এড়িয়ে চলি।আপনি আজ খুব সুন্দরভাবে আমাদের মাঝে এই বিষয়টি নিয়ে লিখলেন।এমন সব মানুষ আসলে বন্ধু সুলভ কেউ নয়।এরা হচ্ছে সুবিধাবাদী।এদের থেকে যত নিজেকে সরিয়ে রাখবেন ততো আপনার মানসিক শান্তি রক্ষা পাবে।তাই আমি মনে করি এসব মানুষকে বার বার সুযোগ না দিয়ে এড়িয়ে চলাই বুদ্ধিমানের কাজ। যা আপনি করছেন।এতে আপনার মানসিক শান্তি আসবে দাদা।মন খারাপের কিছু নেই।এমন কিছু জঞ্জাল মানুষ সমাজে আছে বলেই অকৃতজ্ঞ শব্দটি এখনো পৃথিবীতে আছে।আপনাকে অনেক ধন্যবাদ দাদা এমন একটি বিষয় আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। অনেক অভিনন্দন রইলো আপনার জন্য।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আপনার লেখাগুলোর সাথে আমিও একমত দাদা। কারণ অকৃতজ্ঞ মানুষগুলো সব সময় অকৃতজ্ঞই থেকে যায়। ছোটলোক যেমন কখনোই বড় মনের মানুষ হতে পারে না ঠিক তেমনি অকৃতজ্ঞ মানুষগুলো কখনো কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে না।প্রতিনিয়ত আমাদের জীবনের সঙ্গে জড়িত অনেক ঘটনায় রয়েছে এরকম যে প্লেটে ভাত খায় সেই প্লেটে ফুটো করে ফেলে অকৃতজ্ঞ মানুষগুলো। আপনার লেখা কথাগুলো আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে ধন্যবাদ দাদা আপনাকে।
দাদা আপনি আজকে বাস্তবতা কিছু কথা বলেছেন। আপনার উপরের কথা গুলো একদমই ঠিক। বর্তমান সময়টা কেমন যেনো। মানুষের মন মানসিকতা পরিবর্তন হয়েছে। কারো ভিতরে ভালো কিছু কাজ করে না। অনেকেই তো আজে সারাদিন শয়তানি বুদ্ধি নিয়ে ঘুরেন। বর্তমান সময়ের বন্ধু গুলোও ভিন্ন রকম। আপনার লেখা গুলো পড়ে ভীষণ ভালো লাগলো ধন্যবাদ আপনাকে দাদা।
বিশ্বাস নামক শব্দটি সত্যিই অনেক কঠিন। সবাই সেই বিশ্বাস নামক শব্দটির মর্যাদা দিতে পারেনা। আসলে আমাদের চারপাশে এমন কিছু মানুষ আছে যারা প্রয়োজনে আমাদেরকে ব্যবহার করে। আর প্রয়োজন ফুরিয়ে গেলেই নিজের আসল রূপ প্রকাশ করে। আসলে কিছু কিছু অকৃতজ্ঞ মানুষ আছে যারা সবসময় শুধু নিজের প্রয়োজনে অন্যের সাথে বন্ধুত্ব করে। দাদা আপনি সত্যিই অনেক ভালো মনের একজন মানুষ। তাই তো সবার উপকার করার চেষ্টা করেন। আসলে আমি নিজেকে দিয়েই বুঝেছি। আপনি প্রতিনিয়তই আমাকে সাপোর্ট করার চেষ্টা করেন। যেটার জন্য আমি আপনার কাছে সত্যি অনেক কৃতজ্ঞ এবং সারা জীবন কৃতজ্ঞ। কিন্তু কিছু কিছু মানুষ আছে প্রয়োজন শেষ হলে অকৃতজ্ঞ হয়ে যায়। তবে যারা নিজের প্রয়োজনে বন্ধুত্বের হাত বাড়ায় তারা আসলে কখনোই প্রকৃত বন্ধু হতে পারেনা। তারা শুধু প্রয়োজন হাসিল করার জন্য কিংবা নিজের প্রয়োজন মেটানোর জন্যই বন্ধুত্ব করে। তবে দাদা আপনার মত একজন ভালো মানুষের সাথে যারা এরকম খারাপ ব্যবহার করেছে তারা কখনোই ভালো কিছু করতে পারবেনা। কারণ তাদের মানসিকতা সত্যি অনেক নিচু। দাদা মন খারাপ করবেন না। আসলে যারা নিচু মানসিকতার তারা কখনো বদলায় না। তাই তাদের জন্য মন খারাপ করা মানেই শুধু নিজেকে কষ্ট দেওয়া।
এখনকার দিনে প্রকৃত বন্ধু পাওয়া আসলেই খুব কঠিন। কারণ চারিদিকে স্বার্থপর মানুষ ভরে গিয়েছে। আসলেই দাদা কিছু অকৃতজ্ঞ বন্ধু আছে, যারা শুধু তাদের বিপদের সময় যোগাযোগ করে। তারপর তাদের আর কোনো খবরও থাকে না। এইসব মানুষের কাছ থেকে অবশ্যই আমাদেরকে দূরে থাকতে হবে। কারণ তারা কখনোই কোনো উপকারে আসে না। উল্টো তাদের স্বার্থ হাসিল করে। যাইহোক এতো চমৎকার একটি টপিক নিয়ে পোস্ট শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।
কি বলবো ভাই, সঠিক বুঝে উঠতে পারছি না। তবে এতোটুকু কথাই বলতে চাই, যা লিখেছেন তা একদম চিরন্তন সত্য। কারণ এইরকম সুবিধাভোগী ও স্বার্থপর মানুষ দিয়েই চারিপাশটা ভরে গিয়েছে। এরকম মানুষ হতে দূরে থাকাই শ্রেয়।
শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য 🙏
অনেক সুন্দর একটি পোস্ট করেছেন আজকে দাদা। আমাদের চারদিকে এখন শুধু স্বার্থলোভী কিছু বন্ধু-বান্ধব বেড়েই চলছে। এদের স্বার্থ ফুরোলে তাদেরকে আর কোথাও খুঁজে পাওয়া যায় না। আর যখন স্বার্থ থাকে তখন তাদের মুখের মিষ্টি বুলি গুলি শুনলে মনটাই ভরে যায়। ওই যে কোথায় বলে না কাজের সময় কাজী কাজ ফুরালে পাজি। এদেরকেই বলা হয় অকৃতজ্ঞ।
দাদা আপনি যে কথাগুলো এই পোষ্টের মাধ্যমে তুলে ধরেছেন সেগুলো একেবারে বাস্তবিক এবং সত্যি। আসলে আমাদের জীবনে প্রকৃত বন্ধু আছে বলেও আমরা জানি না। যাদেরকে আমরা বন্ধু বলে চিনি হয়তো তারা আমাদের বিপদের সময় এগিয়ে আসে না। তাদের প্রয়োজনের সময় তারা আমাদেরকে ব্যবহার করে আবার চলে যায়। নিজেদের স্বার্থ হাসিল হয়ে গেলে তাদের আর কোন কিছুই লাগেনা। আর যদি বলা হয় বিশ্বাসের কথা, তাহলে তো বলব সত্যি বলেছেন আপনি বিশ্বাস শব্দটি অনেক বড় কঠিন। আসলে সবাই কিন্তু বিশ্বাসটা রাখতে জানে না এবং কি বিশ্বাসের মর্যাদাও বোঝেনা। এখন তো আমাদের সমাজে কমবেশি কাউকে বিশ্বাস করাও যায় না। অনেকেই রয়েছে খুব সহজেই একটা মানুষকে অনেক বেশি বিশ্বাস করে ফেলে, কিন্তু দিন শেষে দেখা যায় সে মানুষটা অনেক বেশি ঠকে গিয়েছে। সবাই বিশ্বাস ধরে রাখতে পারে না। আর এটা কারো কারো জন্য অনেক কঠিন একটা ব্যাপার হয়। আর একটা মানুষের প্রতি যদি আরেকজনের বিশ্বাসটা উঠে যায়, তখন সেই বিশ্বাসটা জোড়া লাগাতে অনেক কষ্ট হয়। দাদা আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি, বাস্তবতা নিয়ে এরকম সুন্দর একটা পোস্ট আমাদের সবার মাঝে তুলে ধরার জন্য।
দাদা,আপনার লেখাগুলো পড়ছি আর ভাবছি কিভাবে এত মিলে গেল।আসলে আপনার প্রত্যেকটা কথায় আমার মনের কথাগুলো ফুটে উঠেছে।এমন অনেক মানুষের উপকার করেছি,ভালোভাবে চলেছি,সুযোগ সুবিধা দিয়েছি কিন্তু পরিণতি হলো তার কাছে খারাপ মানুষ হিসেবে। আসলে জীবন চলার পথে এরকম অনেক মানুষের সাথে পরিচয় হয়। অনেক মানুষ আছে যারা নিজেদের প্রয়োজন অনুযায়ী অন্যের সাথে সম্পর্ক করে। যখন প্রয়োজন শেষ হয়ে যায় তখন সবই ভুলে যায়। আর এই মানুষগুলোর জন্য নিজের অনেক বড়ই ক্ষতি হয়। অনেক কিছু নষ্ট হয়ে যায়। আর ঠিক এমন মানুষগুলোকে বারবার সুযোগ দেয়ার পরও যখন দেখি তারা ঠিক হবার নয় তখন তারা ব্ল্যাকলিস্টেড হয়ে যায়। আর আমার ব্ল্যাকলিস্টে কয়েকজন মানুষ বিদ্যমান যারা কখনো হাজার চেষ্টা করলেও ভালো হতে পারবে না এটা আমি জানি। খুব সুন্দর কিছু কথা ফুটিয়ে তুলেছেন দাদা।