আমার রেসিপি পোস্টের সংগ্রহশালা (জানুয়ারি পর্ব ২) // ১০% পেআউট লাজুক খ্যাঁক-কে

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago

নমস্কার বন্ধুরা,

আশা করি সবাই সুস্থ আছেন। আজ আপনাদের সাথে জানুয়ারি মাসের শেষ দু সপ্তাহের আমার রান্না করা রেসিপি গুলোর সংগ্রহশালা নিয়ে হাজির হলাম।

রেসিপির সংগ্রহশালা বানানোর পেছনে আমি মূল দুটি প্রয়োজনীয়তা দেখতে পাই। প্রথমত রেসিপিগুলো থেকে যা কিছু শিখলাম সে সম্পর্কে একটা সম্যক ধারণা ব্যক্ত করে নিজের রান্নার পুনঃমূল্যায়ন করা যায় আর দ্বিতীয়ত রেসিপি গুলোর নির্দিষ্ট একটি আর্কাইভ বানানো যাতে ভবিষ্যতে যদি কখন আমার কোনো রেসিপির প্রয়োজন হয় তাহলে একটি মাত্র অঙ্গুলি হেলনেই একটি পোস্টের মধ্যেই সেগুলোকে খুঁজে পেয়ে যাবো।

জানুয়ারি মাসের শেষ দু সপ্তাহে মোট ৪ টি নতুন রেসিপি রান্না করার সুযোগ পেয়েছিলাম। ৪ টি রেসিপির মধ্যে শোলা কচু রান্নার অভিজ্ঞতাটা আমার সবচাইতে ভালো ছিলো। যেহেতু কচু রান্না করা নিয়ে আমার বেশ ভয় ছিলো সেটা শোলা কচু রান্না করার পর অনেকটা কেটে যায়।

মসুর ডালের আমিষ খিচুড়ি টাও আমার বেশ পছন্দের। সহজেই খিচুড়ি রান্না করে ফেললাম।





আমার প্রথম রেসিপিটা আমার সবচাইতে পছন্দের, নিরামিষ শোলা কচুর তরকারি। শোলা কচু রান্না করার বাসনা অনেকদিনেরই ছিলো। মনে মনে বাসনা থাকলেও শোলা কচু রান্না করার সাহস আমি কোনোদিনই পাইনি কারন মাঝে একদিন শোলা কচু খেতে গিয়ে গলা ধরে হুলুস্থুল অবস্থা শেষে একটা গোটা লেবু খেয়ে শান্তি। ওই গলা ধরা থেকেই আমার ভয়। ভয় কাটাতে সাহস করে তেঁতুলকে অস্ত্র বানিয়ে শোলা কচু রান্না করে ফেললাম। বাকিটা ইতিহাস। 😆



দ্বিতীয় রেসিপিটা বৃষ্টির সুবাদে। জানুয়ারি মাসের শেষের দিকে রোদের তেজ দেখে মনে হচ্ছিলো শীত ইতি জানিয়ে গ্রীষ্ম পড়ে গেছে। ধারনা ভুল প্রমাণিত হলো যখন সকালে উঠে দেখি কয়েক পশলা বৃষ্টি হয়ে গেছে, আকাশ মেঘলা। বৃষ্টি দেখেই খিচুড়ি রান্না হলো। রবিবারের দিন ছিলো নিরামিষ খিচুড়ি হলে কেমন হয় তাই মুসুর ডালের আমিষ খিচুড়ি রান্না হলো। আহা! ঠান্ডা ঠান্ডা দিনে খিচুড়ি। 😋



তৃতীয় রেসিপিটি আমার বাংলা ব্লগের শীতকালীন সবজি প্রতিযোগিতার লেট এন্ট্রি বলা চলে 😆। শীতকালীন সবজি প্রতিযোগিতায় আমি অংশগ্রহণ করতে পারিনি কিন্তু তখন থেকেই সুপ্ত বাসনা ছিলো বাঁধাকপি পাওয়া গেলে ঘন্ট রান্না করবো। সবকিছুই ভালো ছিলো যদি অল্প মটরশুঁটি দিতাম আরো জমে যেতো। সেই রেসিপি আরেকদিন হবে।



আমার চতুর্থ রেসিপিটা ছিলো শিম, আলু ও বেগুন দিয়ে রুই মাছের ঝোল। আপনারা অনেকেই জানেন বেগুনের প্রতি ভালোবাসা আমার নতুন নয়। যখন বাজারে শিম পাওয়া যাওয়া শুরু হলো শিম বেগুন দিয়ে পাতলা মাছের ঝোল রান্না করে ফেললাম। রান্নাটা মন্দ হয়নি তবে যে পরিমানে তেল লেগেছিলো তাতে আমি বেশ ভীত ছিলাম, রান্নাটা বেশি মশলাদার হয়ে যায় কিনা। কিন্তু তেমন কিছুই হয়নি, বেশিরভাগ তেল টেনে যায়।



আমার রেসিপি পোস্টের সংগ্রহশালা (জানুয়ারি পর্ব ১)




Support @heroism by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Sort:  
 2 years ago 

শোলা কচু খেতে গিয়ে গলা ধরে😊।এটি ঠিক, কিন্তু আমার বেশ ভালো লাগে খেতে।এছাড়া খিচুড়ি আমার সবথেকে বেশি প্রিয়।আমি এটি খুব খাই।প্রত্যেকটি রেসিপি সুন্দর ছিল, ধন্যবাদ আপনাকে।

 2 years ago 

কচু নিয়ে আর কোনো ভয় নেই 😌।

 2 years ago 

আপনি আমাদের মাঝে কয়েকটি সুন্দর সুন্দর সুস্বাদু রেসিপি শেয়ার করেছেন দাদা। আপনার তৈরি করার রেসিপি গুলো দেখার পরে মনে হচ্ছে প্রতিটি রেসিপি খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছিল। আপনি রুই মাছের যে রেসিপিটি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন এই রেসিপিটি আমার কাছে সব থেকে ভালো লেগেছে। এই রেসিপিটি ভালোলাগার আরো একটি বড় কারণ হচ্ছে রুই মাছ আমার খুব প্রিয় একটি মাছ। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা পুনরায় আপনার পোস্টগুলো দেখার সুযোগ করে দেয়ার জন্য।

 2 years ago 

আমারও রুই মাছ খেতে ভালো লাগে। ধন্যবাদ ভাই 🤗

 2 years ago 

দাদা আপনি সত্যি বলেছেন আমরা চাইলে এক পলকে দেখে নিতে পারব। আপনার রেসিপির সংগ্রহশালা উপকারিতা এবং অপকারিতা সম্পর্কে আমাদেরকে জানালে। এবং আপনার প্রতিটি রেসিপি ছিল অসাধারণ এবং ভালো লাগার মত। আর আমাদের সাথে এত সুন্দর একটা রেসিপি রিভিউ পোস্ট করার জন্য, আপনার প্রতি রইল আন্তরিক শুভেচ্ছা।

 2 years ago 

আমার তরফ থেকে চেষ্টা করেছি মাত্র! ধন্যবাদ রবিউল ভাই!

 2 years ago 

দাদা আপনার রান্না গুলো বরাবরের মত অসাধারণ হয় আর দেখতেও এত লোভনীয় লাগে!!!
খাবারগুলোতে কি এমন জাদু করেন যে এত মজার হয়ে যায় খাবার গুলো??
জানুয়ারি মাসের শেষ ২ সপ্তাহের রেসিপি গুলোও অন্য গুলোর মতোই ভালো ছিল। বিশেষ করে শিম,আলু ও বেগুন দিয়ে রুই মাছের ঝোল ।

 2 years ago 

জাদু নয়। হাত পুড়িয়ে রান্না শিখছি 😆।

 2 years ago 

দাদা আপনার রেসিপি গুলোর কালার অসম্ভব সুন্দর। খেতে মনে হচ্ছে অনেক অনেক টেস্টি।দাদা এতো রাতে এই মজাদার রেসিপি দেখে ইচ্ছে করছে সব খেয়ে নিতে।সব থেকে বেশি লোভনীয় লাগছে আপনার চতুর্থ শিম, আলু ও বেগুন দিয়ে রুই মাছের ঝোল রেসিপি টা।

আপনার জন্য অনেক দুআ ও শুভকামনা রইলো।

 2 years ago 

লঙ্কার গুঁড়োটা বেশ ভালো তাই রান্নার রং বেশ সুন্দর আসে।

ধন্যবাদ দিদি 🤗

 2 years ago 

ধন্যবাদ দাদা ❤️❤️

 2 years ago 

দাদা,আপনার চারটে রেসিপিই অনেক মজার মনে হচ্ছে। কচু খেতে আমারো অনেক ভয় লাগে।একবার কচু ভাজা খেতে গিয়ে, গলার অবস্থা বেহাল ছিলো।দাদা আপনার খিচুড়ির কালারটাও বেশ দারুন ছিলো।শিম, আলু, বেগুন দিয়ে রুই মাছের রেসিপিটাও বেশ সুস্বাদু মনে হয়েছে, ছবি দেখে।ধন্যবাদ

 2 years ago 

কচু খেতে আমি আমি বেশ কয়েকবার বেহাল হয়েছি, তাই মনে ভয় ঢুকে গেছিলো তাই কচু হলে তেঁতুল দিতে বলি আর লেবু সাথে নিয়ে নিই। 😂

ধন্যবাদ 🤗

 2 years ago 

দাদা আপনার প্রত্যেকটা রেসিপি আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে। আর আপনার রেসিপির কালার গুলো অসাধারণ আসে। আমার দেখলেই বোঝা যায় রেসিপি কত সুস্বাদু হয়েছে। সবগুলো একসাথে দেখে তো অনেক ভালো লাগতেছে। চিন্তা করতেছি কোনটা রেখে কোনটা খাবো। আপনার সবগুলো রেসিপি একসাথে শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ।

 2 years ago 

লংকার গুঁড়োর কামাল দিদি তবুও যখন বলছেন ক্রেডিট আমিই নিয়ে নিচ্ছি 😆। ধন্যবাদ আপনাকে 🤗

 2 years ago 

দাদা,আপনি অনেক সুন্দর করে সবগুলো রেসিপি তৈরি করে থাকেন। আপনার প্রায় রেসিপি আমি দেখি,আমার কাছে সেগুলো খুবই ভালো লাগে।আপনি অনেক সুন্দর করেই সব রেসিপি উপস্থাপন করেন। আজকের এই রেসিপিগুলোও খুব ভালো লাগলো দাদা।অসংখ্য ধন্যবাদ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

 2 years ago 

ধন্যবাদ আপনাকে আমার প্রত্যেকটি ব্লগ পড়ার জন্য 🤗।

 2 years ago 

দাদা,আপনি খুব ভাল আইডিয়া শেয়ার করেছেন আমাদের মাঝে।আমরা সচরাচর অনেক রেসিপি পোস্ট করি তবে রেসিপি গুলো একসাথে যদি রিভিউ করে রাখা হয়। তাহলে কখনো যদি রান্না সময় কোন রেসিপি সমস্যা হয় তাহলে খুব সহজে রেসিপি গুলো কিভাবে তৈরি করেছি তা খুঁজে পাওয়া যাবে। দাদা,আপনার চারটি রেসিপি পোস্টের মধ্যে একটিও রেসিপি পোস্ট আমি দেখি নি।তবে এই চারটি রেসিপি রিভিউ পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য খুব ভালোই হয়েছে। দাদা, আপনিতো খুব ভালো রান্না করতে পারেন।আপনার রেসিপি গুলো দেখেই বোঝা যাচ্ছে।আপনার চারটি রেসিপি মধ্যে আমার সবচেয়ে বেশি লোভনীয় লেগেছে শোলা কচুর রেসিপি। অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা,এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

Coin Marketplace

STEEM 0.19
TRX 0.14
JST 0.029
BTC 65647.77
ETH 3166.18
USDT 1.00
SBD 2.60