আমার রেসিপি পোস্টের সংগ্রহশালা (জানুয়ারি পর্ব ১) // ১০% পেআউট লাজুক খ্যাঁক-কে
নমস্কার,
আজ আপনাদের সাথে বিগত দুই সপ্তাহে আমার রান্না করা কিছু রেসিপির পুনঃমূল্যায়ন নিয়ে হাজির হলাম।
রেসিপি পুনঃমূল্যায়ন করার আমি মূলত দুটি প্রয়োজনীয়তা দেখি। প্রথমত রেসিপিগুলো থেকে নতুন যা কিছু শিখলাম সে সম্পর্কে একটা সম্যক ধারণা ব্যক্ত করা আর দ্বিতীয়ত রেসিপি গুলোর নির্দিষ্ট একটি আর্কাইভ বানানো যাতে ভবিষ্যতে আমার কোনো রেসিপির প্রয়োজন হলে একটি মাত্র অঙ্গুলি হেলনেই আমি সেগুলোকে খুঁজে পাই।
বিগত দুই সপ্তাহে ৪ টি রেসিপির মধ্যে আমার হাঁসের মাংস রান্নার অভিজ্ঞতাটাই ভিন্ন রকমের ছিলো। মূল রান্নাটা যদিও আমি নিজে হাতে করিনি আমার পিসিই পুরো রান্না করেছিলো আর আমি পিসির সহযোগী। হাঁসের মাংস রান্না করার অভিজ্ঞতা ছিলোনা তাই আমি সাহস করে রান্না করতে যাইনি।
আমার হাতে পদ গুলির মধ্যে টক দই দিয়ে গ্রাস কার্প আমার সবচাইতে ভালো লেগেছে। স্বাদে ও গন্ধে অতুলনীয় হয়েছিলো। আর বাকি দুটো রেসিপিই পুরোপুরি নিরামিষ ছিলো। সেগুলো রান্না করতে বেশ মজা লাগলেও হাঁস রান্না করার অভিজ্ঞতাকে ছাড়িয়ে যেতে পারেনি।
আমার প্রথম রেসিপিটা একটু অন্যধরনের ছিলো, টক দই দিয়ে গ্রাস কার্প। গ্রাস কার্প নানান ভাবে রান্না করা যায়, আমি যেমন বেশিরভাগ সময়ে ভিন্ন ভিন্ন সবজি কিংবা আলু দিয়ে খেয়েছি। সেদিনও প্রথমে আলু দিয়ে গ্রাস কার্প রান্না হওয়ার পরিকল্পনা ছিলো আমিই তখন পরামর্শ দিলাম টক দই দিয়ে রান্না করার। টক দই দিয়ে যেকোনো রান্না করা একটু কঠিন। বিশেষ করে টক দই দেওয়ার সময় গ্যাস অফ না করলে দই কেটে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে, তাই সফলভাবে পদটি রান্না করে অন্য রকমের ভালোলাগা ছিলো। স্বাদের দিক থেকেও খুবই ভালো ছিলো।
দ্বিতীয় রেসিপিটা পিসেমশাইয়ের গুনগুন করার ফলেই রান্না করা হয়েছিলো, নতুন আলুর দম। আদপে পিসেমশাই কদিন যাবৎ আলুর দম, আলুর দম করছিলো তাই নতুন আলুর বস্তা আসতেই অপেক্ষা করা হয়নি। নতুন আলুর সাধারণত খুবই পাতলা হয় তাই সেদ্ধ না করেই আলুর খোসা ছাড়িয়ে ফেলা গিয়েছিলো। রান্নাটা খুবই সহজ আবার খুবই কঠিন। আসল কায়দাটা ছিলো আলু সিদ্ধ করায়, বেশি সিদ্ধ করলে আলুর দমের পরিবর্তে আলুর ডাল খেতে হতো। পিসির সুচারু নির্দেশনায় আলু বেশি সিদ্ধ হওয়ার আগেই নামিয়ে ফেলি তারপর রান্না করতে বিশেষ বেগ পেতে হয়নি।
শীত এলেই অনেকের বাড়িতে হাঁসের মাংস অহরহ খাওয়া চলতে থাকে তবে আমাদের বাড়িতে একদমই হাঁসের চল নেই। জীবনে আগে মাত্র দু বার হাঁস খাবার অভিজ্ঞতা হয়েছিলো, সেদিন তৃতীয় বারের জন্য হাঁসের মাংস খেলাম। হাঁসের মাংস খাওয়ার অভিজ্ঞতা কম তাই রান্না করার ঝুঁকি নিইনি পিসিই পুরো রান্না করেছে আর আমি জোগাড়ি হিসেবে হাতে হাতে কাজ করেছি। আমার হাঁস রান্না না করার সিদ্ধান্তটা সঠিক ছিলো সেটা পুরো রান্না শেষ হওয়ার পরে বুঝলাম। প্রায় দেড় ঘন্টা ধরে রান্না করতে হয়েছে। মুরগি কিংবা খাসির মাংসের তুলনায় অনেক বেশি সময় ধরে হাঁস কষাতে হলো, যেটা অভিজ্ঞতা না থাকলে জানা সম্ভব নয়।
আমার চতুর্থ রেসিপিটা ছিলো পনিরের, ওলকপি দিয়ে পনির। আগে থেকেই আশঙ্কা ছিলো ওলকপি আর পনিরের সংযোগ ভালো হবে না। আদপে ওলকপির ভেতরটা কিছুতেই সেদ্ধ হতে চায় না, সেখানে পনির অল্পতেই গলে যায়। অনেক চেষ্টা করেছিলাম বারবার জল দিয়ে ওলকপি সিদ্ধ করার, কিন্তু না ভেতরটা অল্প শক্ত থেকেই গিয়েছিলো। আর ওলকপি দিয়ে পনির নয়।
আমার রেসিপি পোস্টের রিভিউ (ডিসেম্বর পর্ব ২)
আমার রেসিপি পোস্টের রিভিউ (ডিসেম্বর পর্ব ১)
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
ধন্যবাদ ভাই 🤗।
প্রতিটি রেসিপি খুবই সুন্দর ছিল ভাই।আপনার গত দুসপ্তাহ এর রেসিপি পোষ্ট এর মধ্যে আপনার কাছে টক দই দিয়ে গ্রাস কাপ মাছের রেসিপি ভালো লাগলেও,আমার কাছে হাসের মাংস বেশি ভালো লেগেছে।ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর খাবারের রিভিউ আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করার জন্য।
হাঁসের মাংস রান্নার অভিজ্ঞতা অন্যরকম ছিলো তবে স্বাদ অনুযায়ী টক দই দিয়ে গ্রাস কার্প বেশি ভালো লেগেছে 😅
ভাইয়া আপনার রেসেপিগুলো অনেক সুন্দর ছিল। সবকিছু আমাকে অনেক ভালো লেগেছে। আপনি হাঁসের মাংসের রেসেপিটি পিসির কাছ থেকে অভিজ্ঞতা পেয়েছেন
আসলে আমাদের শেখার কোনো বয়স থাকে থাকে
আপনার জন্য শুভ কামনা করি ভাইয়া,, ❤️❤️
আমি তো নতুন তাই শিখতে কোনো লজ্জা নেই।
হাঁসের মাংস একটি অভিজ্ঞতা হলো। অন্য মাংসের তুলনায় অনেকটাই কঠিন রান্না করা।
নতুন কিছু রান্না শিখলে অবশ্যই চেষ্টা করবো আপনাদের সাথে ভাগ করে নেওয়ার। ধন্যবাদ 🤗
আপনি দাদা প্রমাণ করে দিলেন ছেলেরাও রান্নায় কম যায়না। আপনার প্রত্যেকটা রেসিপি ছিল👌। আমার সবচেয়ে ভালো লেগেছে হাসের মাংসের রেসিপি টা। এবং এই পনির টা কখনো খাইনি। তবে অনেক শুনেছি। এটা আমার কৌতূহলের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল।
কথাটা যে সত্যি বলেছি, তা সবার কমেন্ট দেখে বুঝতে পারছি 😅।
পনির বেশ ভালো খেতে, খেয়ে দেখতে পারেন।
ভাই আপনার রেসিপি রান্না করাটা আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। আপনি সত্যি অসাধারণ একটা রেসিপি শেয়ার করেছেন। ধন্যবাদ ভাই আপনাকে আমাদের মাঝে এতো সুন্দর একটা রেসিপি তৈরি করে শেয়ার করার জন্য।
নতুন রেসিপি করিনি আমার আগের রেসিপি গুলোর পুনঃমূল্যায়ন করেছি মাত্র।
দাদা,সকাল সকাল রেসিপি পোস্ট দেখলে খিদা আরও বেড়ে। আপনার রেসিপি পোস্টগুলো দেখে সত্যিই মুখে পানি এসে গেল।এখন তো সকালের নাস্তা করতে বসলাম,ইচ্ছে করছে পিঠা দিয়ে সবগুলো একবার টেস্ট করে নি।ধন্যবাদ দাদা রেসিপি পোস্টগুলো আবারও আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
হাঃ হাঃ হাঃ! খিদে পেলে তো ভালোই, তাইনা? ধন্যবাদ, আপনার কমেন্টে বেশ আনন্দ পেলাম। 🤗
স্বাগতম দাদা😊
দাদা আপনার রেসিপি গুলো দারুন ছিল। সেই সাথে দেখে মনে হচ্ছিল খুব স্বাদের হয়েছিল। আমার সবথেকে পনির এবং ওলকপি দিয়ে রেসিপিটি দারুন মজা হয়েছে সম্পূর্ণ ইউনিক লেগেছে আমার কাছে। আমাদের মাঝে প্রতিনিয়ত সুন্দর সুন্দর রেসিপি দিয়ে যান দাদা সেই সাথে আমিও রেসিপিগুলো শিখে নেই। ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনাকে আর কি শেখাবো দিদি, আপনি তো রান্না বান্নায় পটু। উৎসাহ দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ 🤗
দাদা এত ভালো ভালো রান্না একা একা করে একা একা খেয়ে কি মজা পাও বলোতো😒। রান্নায় কালার গুলো দেখে বোঝাই যাচ্ছে দারুন খেতে হয়েছিল বিশেষ করে গ্রাস কার্প। আমার কখনো হাঁসের মাংস খাওয়া হয়নি। ভাবছি একদিন খেয়ে দেখতে হবে। আর রান্না শেখার মধ্যে একটা আলাদাই আনন্দ আছে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর ভাবে খাবারের রিভিউ দিয়ে আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
গ্রাস কার্পটা আমারও দারুন লেগেছিলো। অল্প টক টক, দারুন। আহা! ধন্যবাদ স্বাগতা 🤗
প্রথম লাইনটার উত্তরটা পেলাম না 🤭🤭এই ভাবে তো এড়িয়ে গেলে হবে না
দাদা আপনার প্রতিটি রান্নায় আমার কাছে খুবই মজাদার মনে হচ্ছে। বিশেষ করে শীতকালে হাঁসের মাংস খেতে খুবই টেস্টি হয়। আর এটা খেতে অনেক ভালো লাগে। আর একটা রেসিপি আমার কাছে খুব ইউনিক লাগছে যে টক দই দিয়ে গ্রাসকাপ রান্না। এই রান্নাটা আমার কাছে খুবই লোভনীয় মনে হচ্ছে এবং মনে হচ্ছে এটা খেতে খুবই মজার হয়েছিল। ধন্যবাদ আপনাকে
হ্যাঁ। আমার জন্য নতুন পদ ছিলো ওটা, রান্না করেও বেশ মজা পেয়েছি। 🤗