রেসিপি : নিরামিষ শোলা কচুর তরকারি // ১০% পেআউট লাজুক খ্যাঁক-কে
নমস্কার,
শোলা কচু রান্নার বাসনা আমার বেশ কয়েকদিন ধরে মনে বাসা করে ছিলো। আসলে সুপ্ত বাসনা থাকলেও রান্না করার সাহস করিনি কারন মাঝে একবার শোলা কচু খেতে গিয়ে গলা ধরে মহা ফ্যাসাদে পড়ে গিয়েছিলাম আর আমার সে থেকেই ভয়। পিসি অনেক কয়েকবার রান্না করলেও আমি ভয়ে সেদিকে তাকাতাম না। ভয়ে তো আর স্বাদের সাথে বেশিদিন আপস করা যায় না। ভয় একদিন কাটতেই হতো, তাই তেঁতুলকে সহযোগী বানিয়ে শোলা কচু রান্না করে ফেললাম। কথা আর বাড়াবো না সোজা চলে যাবো মূল রান্নায়।
- শোলা কচু
- সাদা তেল
- গোটা জিরে
- নুন
- হলুদ গুঁড়ো
- জিরে গুঁড়ো
- লঙ্কার গুঁড়ো
- তেঁতুল
- আটা
ধাপ ১
- প্রথমে কড়াই চাপিয়ে তেল গরম করে জিরে আর তেজপাতা ফোড়ন দিয়ে নেবো। ফোড়ন হয়ে গেলে কেটে রাখা শোলা কচু দিয়ে তারপর স্বাদমতো নুন আর এর হলুদ দিয়ে দেবো।
ধাপ ২
- কচু অল্প ভেজে হাফ কাপ জল দিয়ে কড়াইটা একটা পাত্র দিয়ে ঢেকে দেবো।
![](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmVT4Fsdqcu2XYtgjWryhNHEztqcChvK389W4Hr17KnUnB/PXL_20220126_124701529.jpeg)
![](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmcJnVJgJamm72W9mzTJCYzzczKZqELSYGe5u6Bud2i7QQ/PXL_20220126_124418212.jpeg)
ধাপ ৩
- কিছুক্ষণ পর ঢাকনা তুলে জিরে গুঁড়ো আর লঙ্কা গুঁড়ো দিয়ে কচু কষিয়ে নেবো।
ধাপ ৪
- কচু গুলো কষে গেলে তিনকাপ জল দিয়ে দেবো।
ধাপ ৫
- ফুটে আসতেই ঝোলের মধ্যে তেঁতুল দিয়ে দেবো।
ধাপ ৬
- আরো মিনিট কুড়ি অল্প আঁচে ঝোল ফুটতেই কচু সিদ্ধ হয়ে তেল ছাড়তে শুরু করবে।
ধাপ ৭
- ঝোল শুকিয়ে গেলে হাফ টেবিল চামচ আটা দিয়ে কচুর তরকারিতে ভালোভাবে মিশিয়ে দেবো।
ধাপ ৮
- আরো মিনিট দুয়েক ফুটতেই কচু ভালো মতো তেল ছেড়ে দেবে তারপর হাফ চামচ গরম মসলা দিয়ে তরকারি নামিয়ে নেবো। ব্যাস! আমাদের নিরামিষ শোলা কচুর তরকারি তৈরী।
তেঁতুল কামাল করে দিলো। স্বাদের দিক থেকে যেমন ভালো হয়েছিলো সাথে একটুও গলা ধরেনি।
![](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmVZ2LnjzbteWf1QSr3MqRaJx7dYMMGANXS258rRfzaubR/Division.jpeg)
||আমার বাংলা ব্লগ পেজ & ডিসকর্ড||
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
|| JOIN OUR DISCORD SERVER ||
আমাদের এদিকেকরা যায় অন্যরকম ভাবে রান্না করা হয় এগুল। আর তেঁতুল এর ব্যবহার আমি জানতাম না। আমরা সাধারণত রসুন ব্যবহার করি (গলায় ধরার জন্য)।আজ নতুন কিছু শিখতে পারলাম ।
ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া
যাই বলেন না কেন দাদা কচুর মজাটাই আলাদা। আর আপনার ভয়টা কে কাটানোর জন্য সেখানে আপনি তেঁতুলকে সহযোগী হিসেবে নির্বাচন করেছেন। সত্যিই অসাধারণ একটা বুদ্ধি খাটিয়েছেন আপনি। আর আপনার রেসিপিটি দেখে আমার জিভে জল পড়ে যাচ্ছে, মনে হচ্ছে যে হেব্বি টেস্ট হয়েছে। এত সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনার প্রতি রইল আন্তরিক শুভেচ্ছা।
কচুর তরকারি দেখে খুবই ভালো লাগলো। কচুর তরকারি এমনিতে আমার অনেক ভালো লাগে। আর দেখলাম এই রেসিপিটি তেতুল ব্যবহার করেছেন। তেতুল দিলেই মনে হয় সুবিধা না হলে আবার গলা ধরার ব্যাপার রয়েছে। এই ব্যাপারে আপনি অনেকদিন এই তরকারি দিকে তাকান নি বলে জানলাম। খুব ভালো লাগলো আজকের রেসিপিটি।
আপনার তৈরি করা শোলা কচুর তরকারি রেসিপিটি দেখতে অনেক বেশি লোভনীয় লাগছে। শীতকালে এসব রেসিপি খেতে খুবই ভালো লাগে আমি কিছুদিন আগেই শোলা কচুর তরকারি খেয়েছিলাম খেতে খুবই সুস্বাদু ছিল। তেমনি ভাবে আপনার এই রেসিপিটি ও মনে হচ্ছে খেতে অনেক বেশি মজাদার লাগবে । আপনি রেসিপিটি আমাদের মাঝে খুবই সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন ধন্যবাদ দাদা আপনাকে এমন সুস্বাদু একটি রেসিপি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ঠিক এই কারণেই কিন্তু আমি শোলা কচু খাইনা। কারণ এই তিক্ত অভিজ্ঞতা আমারও আছে। শোলা কচুর রেসিপি টা ভালো তৈরি করেছেন দাদা। তবে রান্নার শেষ পর্যায়ে তেতুল দেওয়ার কারণ মনে হয়ে গলা ধরা থেকে রক্ষা পাওয়া। ভালো ছিল পোস্ট টা।
শ্রদ্ধেয় দাদা আশাকরি ভাল আছেন ?শোলা কচু কে আমাদের এইদিকে কচুর ছড়া বলে থাকে। শোলা কচু আমার খুব প্রিয় বিশেষ করে চিংড়ি মাছ দিয়ে রান্না করলে এর মজাটা অন্যরকম হয়। আপনি শোলা কচু খুব সুন্দর ভাবে রান্না করেছেন দেখে খেতে ইচ্ছে করতেছে। ছবি দেখে মনে হচ্ছে নিশ্চয়ই অনেক মজাদার এবং সুস্বাদু হয়েছে। আরেকটি ব্যাপার হলো, আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে শোলা কচু তে আপনি তেতুল ব্যবহার করেছেন আমাদের এদিকে তেতুল ব্যবহার করার কারণ হচ্ছে শোলা কচু খাওয়ার পর গলা যেন না চুলকায়। যাই হোক সব মিলিয়ে আপনার পোষ্টটি খুব অসাধারণ ছিল। এত সুন্দর পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনার প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। ভালো থাকবেন দাদা।
আপনার সুস্বাস্থ্য পরিবেশে তৈরি করা শোলা কচুর তরকারি টা বেশ সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করেছেন। যা দেখে খুবই ভালো লাগলো আমার। আর যাই হোক সব মিলিয়ে আপনার পোস্টটি অনেক সুন্দর হয়েছে। আর তাই আপনাকে আমার পক্ষ থেকে জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন ধন্যবাদ আপনাকে দাদা।