রেসিপি : নতুন আলুর দম // ১০% পেআউট লাজুক খ্যাঁক-কে
নমস্কার,
পিসেমশাই কয়েকদিন ধরে আলুর দম, আলুর দম করে গুনগুন করছিলো তবে পিসি খুব একটা পাত্তা দেয়নি কারণটা পিসের ডায়াবেটিস। পিসেমশাইয়ের সুগার সবসময়ই বেশ উপরের দিকে থাকে, প্রতিদিন ওষুধ চলে। স্বাভাবিক ভাবেই পিসের আলু খাওয়া নিষেধ। তবে যখন সোমবার বাজার থেকে নতুন আলুর বস্তা এলো আমরা বেশ খুশি হয়েছিলাম। নতুন আলুর দম খেতে দারুন লাগে। যেমন ভাবা তেমন কাজ মঙ্গলবার হতেই নতুন আলুর দম রান্নায় লেগে পড়া হলো। নতুন আলু খোসা খুবই পাতলা তাই আলু সেদ্ধ করে খোসা না ছাড়িয়ে আগে থেকেই ছুঁলে ফেলা হয়েছিলো। যাক কথা না বাড়িয়ে মূল রান্নায় চলে যাবো।
- নতুন আলু
- গোটা জিরে
- তেজপাতা
- নুন
- আদা
- শুকনো লঙ্কা
- হলুদ গুঁড়ো
- জিরে গুঁড়ো
- লঙ্কার গুঁড়ো
- কাশ্মীরি লঙ্কার গুঁড়ো
- সাদা তেল
- গরম মশলা
ধাপ ১
- গ্যাসের ওভেনে প্রেসার কুকার চাপিয়ে, ছুঁলে রাখা আলু গুলো দিয়ে কুকার এঁটে দেবো।
![](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmVkM4NKUnRt5tTuUqfE3QrnQWdzpDceP4fxtKtKRvqHa2/PXL_20220104_133317665.jpeg)
![](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmPk764uAes8cM9C2pRwz5o4s6ekpnnF2PTqYZgcDauNQE/PXL_20220104_133856512.jpeg)
ধাপ ২
- দুটো সিটি দিয়ে আলু গুলো একটা ঝুড়িতে নিয়ে জল ঝরিয়ে দেবো।
ধাপ ৩
- আলু সেদ্ধ করে নিয়ে একটা কড়াই ওভেনে বসিয়ে গরম করে নেবো তারপর কড়াই গরম হলে বেশ কিছুটা সাদা তেল ঢেলে দেবো।
ধাপ ৪
- তেল গরম হতেই গোটা জিরে আর তেজপাতা ফোড়ন দিয়ে দেবো তারপর কেটে রাখা টমেটো গুলোও ভেজে নেবো।
![](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmbSzpVqDRhk6vjT3BM4uauQvhU3WkcZ6AJsuPWpHEsTgh/PXL_20220104_135829396.jpeg)
![](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmbB77HgGbGtmmrSNBBBn2xd9fHboPa6A1Cn3G6ehrhGoX/PXL_20220104_140048664.jpeg)
ধাপ ৫
- টমেটো ভাজা হতেই সেদ্ধ আলু কড়াইতে দিয়ে স্বাদমতো নুন, আদা আর হলুদ দিয়ে ভাজতে শুরু করবো।
ধাপ ৬
- আলু ভাজা হয়ে গেলে জিরে গুঁড়ো, লঙ্কার গুঁড়ো ও কাশ্মীরি লংকার গুঁড়ো আর হাপ কাপ জল দিয়ে কষতে দেবো।
![](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmatYd4d3REzMwUQJU81YUxJ4t1XeCUSaW1Mpuxav1S8Cc/PXL_20220104_140501423.jpeg)
![](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmYoCwCZ5P3Cam3FHL4mJZzWm5KbwTSHA4bZ6F6MM5zCBk/PXL_20220104_140527221.jpeg)
ধাপ ৭
- আলু কষে গেলে দু কাপ জল দিয়ে দেবো ঝোল ফুটতে দেবো।
![](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmVPncDWB5Z1NY1rtc5DfvF4AZntSubLdfCx38zJr3vRGo/PXL_20220104_140630340.jpeg)
![](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmb9RY3DxfnAcYtuxLHMawF1uU8U6orWL6fTYLoaBq5uXM/PXL_20220104_140826965.jpeg)
ধাপ ৮
- ঝোলে ফুটে এলেই আঁচটা কমিয়ে দেবো।
ধাপ ৯
- এভাবেই মিনিট দশেক ঝোল ফুটে যেতেই স্বাদমতো নুন আর হাফ চামুচ গরম মসলা দিয়ে নামিয়ে নেবো। ব্যাস আমাদের নতুন আলুর দম তৈরী।
||আমার বাংলা ব্লগ পেজ & ডিসকর্ড||
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
|| JOIN OUR DISCORD SERVER ||
আলুর দম আর লুচি কথা শুনলেই জিভে পানি এসে যায় ভাইয়া। এই দুইটার স্বাদ যেন অকল্পনীয়। মুখে দিলেই যেন এখনও রকম তৃপ্তি পাওয়া যায়। দেখতে অনেক লোভনীয় লাগতেছে ভাইয়া। আর আপনাকে অনেক ধন্যবাদ
অসাধারণ হয়েছে ভাইয়া আলুর দম রেসিপি। দেখেই খেতে ইচ্ছে করছে। লুচি আলুর দম আমার খুব প্রিয় খাবার। যদিও আমাদের বাসায় খুব একটা বানানো হয় না। কিন্তু মেসে আমরা সমসময়ই বানাই প্রায়। আর আলুর দম বানানোর দ্বায়িত্ব থাকে আমারা বান্ধবী তুলতুল মহান্তের উপর। আমাদের চেয়ে ওর বানানো টা বেশি ভালো লাগে।
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটা রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
আলুর দম আমার খেতে অনেক ভালো লাগে।বিশেষ করে লুচি দিয়ে খেতে।তাছাড়া রুটি দিয়েও খেতে ভালো লাগে।আপনার রেসিপি দেখে খুব সুস্বাদু মনে হচ্ছে। ধন্যবাদ দাদা সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
দাদা প্রথমে তো আমি ভেবেছি সবগুলো ডিম। পরে দেখি আলুর দম। সত্যি কথা বলতে আলুর দম আমার বেশ ভালো লাগে খেতে লুচির সাথে। আপনি খুব সুন্দর ভাবে আলুর দম বানানোর রেসিপি আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। এত সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।
আলুর দম আমার খুবই পছন্দের ভাই। এটা খেতে খুবই মজাদার হয়। আর নতুন আলু দিয়ে রান্না করলে সেটা খেতে আরো বেশি সুস্বাদু হয়। আপনার রান্নাটা খুবই লোভনীয় লাগছে। অনেক অনেক শুভকামনা রইল
আলুর দম রেসিপি দেখে জিভে জল চলে আসলো দাদা। অনেক মজাদার একটি রেসিপি তৈরি করেছেন আপনি। আলুর দমের কালার দেখেই বোঝা যাচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছে। দেখেই খেতে ইচ্ছে করছে। আপনি আপনার রান্নার প্রতিটি ধাপ অনেক সুন্দর করে উপস্থাপন করেছেন দাদা। অনেক মজাদার ও লোভনীয় একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। শুভ কামনা রইলো আপনার জন্য।
খুব লোভনীয় একটি আলুর দমের রেসিপি আপনি প্রস্তুত করেছেন দেখে খেতে ইচ্ছে করছে মনে হচ্ছে খেতে অনেক সুস্বাদু হবে আলুর দম বরাবরই আমার খুব ফেভারিট। মাঝে মধ্যে বাড়িতে প্রস্তুত করে খাওয়া হয়। প্রস্তুত প্রণালী ও ধারাবাহিক ভাবে বর্ণনা দিয়েছেন। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
দাদা আপনার আলুর দম দেখে সেই ছোটবেলার স্মৃতিগুলো মনে পড়ে গেল। আমাদের গ্রাম অঞ্চলে যখন সপ্তাহে দুবার বাজার বসতো তখন বাজারে আলুর দাম এবং কি মিষ্টি বিক্রি করত। আর সেই আলুর দম গুলো খেতে খুবই ইন্টারেস্টিং লাগতো। এবং মেলা কিনবা ঈদের সময় দোকান পাট গুলো সারি সারি শুধু আলুর দম বিক্রি করতো ঠিক ওরকমই লাগছিল আপনার আলুর দমের রেসিপি টি। আমাদের সাথে এত সুন্দর একটি আলুর দমের রেসিপি শেয়ার করার জন্য, আপনার প্রতি রইল আন্তরিক শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন।
দাদা, আপনার আলুর দমের রেসিপি দেখে অনেক ভালো লাগলো। আমার হাজব্যান্ড এর আলুর দম অনেক প্রিয় একটি রেসিপি। ওকে প্রতিদিন দিলে প্রতিদিনই খেতে পারবে। আমরা তো সব সময় এই রেসিপিটি তৈরি করতেই থাকি। কিন্তু আপনার আজকের রেসিপি টা কালারটা বেশ ভালো এসেছে। এজন্য মনে হচ্ছে এক্ষেত্রেও ভালো লাগবে। অনেক ভালো লাগলো।