ভালোবাসার শুরুটা কলেজ লাইফ থেকে। শেষ পর্ব
প্রিয় আমার বাংলা কমিউনিটির ভাইবোন বন্ধুরা,
গতপর্বের শেষের কিছু অংশ
আমি তো খুশিতে নাচতে শুরু করে দিলাম। কিন্তু তখন বাবা বলল এত লাফাস এখনো এক মাস সময় লাগবে। কারণ আমি যেখানে ট্রান্সফার হয়ে যাব ওদের কেউ তো বিষয়টা জানাতে হবে। তখন আমি এর উত্তরের বাবাকে বললাম আরে আমার তো বেশিদিন সময় নাই আমি কি করবো। তখন বলল যদি সময় না থাকে তাহলে তুই আগে আগে চলে যা আমরা পরে চলে আসব। যেহেতু বাবার সম্মতি দিয়েছি আর আমার বন্ধুও ওখানে থাকে,তাই ভাবলাম আমি একা একাই অচেনা শহরের উদ্দেশ্যে রওনা দিব। তাই সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললাম কালকেই চলে যাব। যেই কথা সেই কাজ পরের দিন বেরিয়ে পড়লাম অচেনা শহরের উদ্দেশ্যে।
শেষ পার্ট
শহরটিতে পৌঁছে দেখি আমার বন্ধু আমার জন্য অপেক্ষা করছে। ওর সাথে অনেকদিন পর দেখা তাই ওর সাথে একটু কথা বলে ও যেখানে থাকে সেখানে চলে গেলাম। কারণ কয়দিন ওর সাথে থাকতে হবে। আমি একা আসলে অবশ্য ওর সাথে থাকতাম। কিন্তু যেহেতু কিছুদিন পর বাবা-মাও চলে আসবে তাই ওর সাথে থাকা হবে না একটা বাসা দেখতে হবে। যাই হোক সেদিন আমি ওর বাসায় চলে গেলাম যেহেতু অনেকদিন পর দেখা তাই দুজনে মিলে রাতে অনেক গল্প করলাম। আর গল্পের এক সময় আমাকে জিজ্ঞেস করল শোভার কথা কি আর মনে পড়ে। তখন আমি আর কিছু না বলে বললাম যেহেতু আর ওর সাথে দেখা হবে কি-না ঠিক নাই তাই মনে না করাই ভালো। যাইহোক এরপর ও আমাকে বলল আচ্ছা এখন ঘুমা কালকে সকালে তোকে অফিসে নিয়ে যাব। আমি বললাম ওকে ঠিক আছে। যাই হোক পরের দিন অফিসে গেলাম দেখলাম অফিসের সবকিছুই ঠিক আছে। আমি যেরকমটা চেয়েছিলাম ঠিক তেমন। কয়েকদিন কাজ করলাম বেশ ভালই লাগলো।
যাই হোক একদিন অফিসে যাওয়ার সময় সাইড থেকে একটা মেয়েকে দেখলাম। সাইড থেকে মেয়েটাকে দেখে বেশ চেনা চেনা লাগছে। কিন্তু যেহেতু ভালোভাবে ফেসটা দেখতে পারিনি তাই বুঝতে পারছিলাম না কে মেয়েটা। যেহেতু আমার টাইম ছিল না তাই গাড়ি থেকে নেমে একবার দেখে আসতেও পারিনি। তাই আর সেদিকে খেয়াল না করে সোজা অফিসে চলে গেলাম। কিছুক্ষণ পর বাবার ফোন। আমি ফোন ধরতেই বাবা বলল বাসা কি ঠিক করা হয়েছে? আমি বললাম জী বাবা হয়ে গেছে। তখন বাবা বলল তাহলে আজকেই আমরা বেরিয়ে পড়বো। আমি তো শুনে অনেক খুশি কারণ অনেকদিন বাবা মায়ের সাথে সামনাসামনি দেখা হয়নি।যাই হোক বিকেলে বাবা-মা এখানে পৌঁছে গেল। দেখি মায়ের মুখটা পুরো শুকিয়ে গেছে। কারণ এতদিন আমি তাদের কাছে ছিলাম না, তাই আমি কি খাচ্ছি কি করছি কোথায় আছি হয়তোবা এই ভেবে ভেবেই সারাদিন কাটিয়ে দিত। ঠিকমতো খাবার খেতে কি-না তাঁর ঠিক নেই তাই হয়তোবা এই অবস্থা হয়ে গেছে। যাইহোক সেদিন মোটামুটি আমরা বেশ গল্প করলাম। পরের দিন বাবা তার অফিসে গেল। আমি আমার অফিসে চলে গেলাম। তারপর রাতে যখন বাসায় ফিরলাম। বাবাও বাসায় ফিরে এলো আর খাবার টেবিলে বসলাম তখন বাবা বলল আজকে অনেকদিন পর আমার একটা কলিগের সাথে দেখা হলো। ওর বাসায় এখানে তাই অনেক আগেই ট্রান্সফার নিয়ে এখানে চলে এসেছিল। এর সাথে বাবা আরো বললো যে আজকে ও আমাকে অনেক রিকোয়েস্ট করছিল ওর বাসায় যাওয়ার জন্য। আমি যেতে চাচ্ছিলাম না কিন্তু ও আমাকে তারপরও জোর করছিল তাই আমি ওকে বললাম যে সামনে শুক্রবার আমি আমার ফুল ফ্যামিলি নিয়ে তোর বাসায় যাব। এটা শুনে আমি বললাম ঠিক আছে শুক্রবার যেহেতু ছুটি দিন যাওয়া যেতেই যেতেই পারে সমস্যা নেই।
তো দেখতে দেখতে শুক্রবার চলে আসলো যেহেতু কথা ছিল আমরা সবাই মিলে বাবার বন্ধুর বাসায় যাব। তাই শুক্রবার বিকেলের দিকে বেরিয়ে পড়লাম বাবার কলিগেরর বাসার উদ্দেশ্যে। ওখানে আমরা পৌঁছে দেখি বাবার কলিগ আমাদের জন্যই অপেক্ষা করছে। আমরা গিয়ে কিছুক্ষণ বসলাম বাবারা অনেক কথাবার্তা বলল। আমাদের জন্য খাবার দাবারের আয়োজন করেছিল খাওয়া দাওয়া করলাম। খেতে খেতে বাবা তার কলিগ বন্ধুকে জিজ্ঞেস করছে কিরে তোর মেয়ে কোথায় তোর মেয়েকে তো দেখছি না? তখন বাবার বন্ধু বলল ও একটা কাজে বাইরে গেছে কিছুক্ষণের মধ্যে আসবে। তখন আমি জানতে পারলাম বাবার বন্ধুর একটা মেয়েও আছে। যাই হোক তারপর বাবা মায়েরা অনেকক্ষণ গল্প করল দেখতে দেখতে সন্ধ্যা হয়ে আসছিল তাই আমরা বাড়ি যাওয়ার কথা ভাবলাম। আমরা যখন বিদায় নিতে চলেছি গেট দিয়ে বের হব ঠিক তখনই একটা মেয়েকে দেখে আমার চোখ আটকে গেল। শোভা কে যেদিন প্রথম দেখেছিলাম তখন যেটা অনুভূতি হয়েছিল আজও ঠিক তেমনি অনুভূতি হচ্ছে। এরই মাঝে আবার একটু অবাক হয়েছিলাম আবার খুশিও হয়েছিলাম। কারণ আমার সামনে যে মেয়েটা দাঁড়িয়ে ছিল সেটাই হচ্ছে শোভা। আর তখন আমি বুঝতে পারলাম সেইদিন রাস্তায় যে মেয়েটাকে দেখেছিলাম সেটা তাহলে শোভাই ছিল। অনেক বড় হয়ে গেছে এবং চেহারাটাতেও কিছুটা পরিবর্তন এসেছে তাই হয়তো সেদিন সাইড থেকে দেখে চিনতে পারিনি। যাই হোক দীর্ঘ পাঁচ বছর পর আজকে আবার ওর সাথে আমার দেখা। আমি নিজেকে সামলাতে না পারি সোজা দৌড়ে ওর কাছে গেলাম এবং জিজ্ঞেস করলাম কেমন আছো। এটা বলার সাথে সাথে দেখি ওর চোখে পানি চলে এসেছে। আস্তে করে বলল হুম ভালো আছি। তুমি কেমন আছো? আমি ভালো আছি বলতেই যাবো ঠিক তখনই আমার বাবার বন্ধু এসে বলছে এটাই হচ্ছে আমার মেয়ে শোভা। তখন আমার অতীতের একটা কথা মনে পড়ে গেল যে ওঁর বাবা এবং আমার বাবা একই অফিসে জব করে। আর তখন আমি বুঝতে পারলাম বাবা তো বলছিল যে তার বন্ধুর নাকি ট্রান্সফার হয়ে এখানে এসেছে। তাহলে এটাই হচ্ছে শোভার বাবা। যাই হোক তখন আমাদের কাছাকাছি দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে আমার বাবার বন্ধু জিজ্ঞাসা করল তোমরা কি একে অপরকে আগে থেকেই চিনতে। তখন আমি বললাম জী আমরা একই কলেজে পড়তাম।
যাইহোক তারপর ওখানে আর কথা না বাড়িয়ে আমরা বাড়ি ফিরে এলাম। আর আমি বাড়ি এসে আমার মাথায় আর কাজ করছেনা। যেভাবে হোক শোভাকে বিয়ে করতেই হবে। এতোদিন পরে ফিরে পেয়েছি তাই আর হারাতে চাই না। সোজা বাবার কাছে গিয়ে ভয় না পেয়ে বলে দিলাম যে আমি তোমার বন্ধুর মেয়ে শোভাকে আমি কলেজ লাইফ থেকে পছন্দ করি আর ও আমাকে পছন্দ করে। যেহেতু আমি বড় হয়েছি তাই বাবা কিছু বলল না। শুধু এটুকুই বলল ঠিক আছে ব্যাপারটা আমি দেখব । কিন্তু আমার তো আর ভালো লাগছে না। আমি বললাম এখন একবার ফোন দাও না। তখন বাবা বলল আমি এখন আর ফোন দিচ্ছি নি। তুই কালকে ওর সাথে দেখা করিস আর কথা বলে দেখি কি বলে। ওর যদি রাজি থাকে আমি আমার বন্ধুকে বলব। আমি বললাম ঠিক আছে পরের দিন আমি শোভাকে খুঁজে বের করলাম। তারপর ওর সাথে কিছুক্ষণ কথা বললাম। আর কথা বললেই জানতে পারলাম। শোভারা যে এখানে আসবে সেটা শোভার জানা ছিল না। এছাড়া শোভা আরো বলল।যে হঠাৎ করে একদিন বাবা এসে বলে ব্যাগ গুছাতে। আমি তো পুরো অবাক হয়ে গিয়েছিলাম। তখন বাবা বলেছিল যে এখান থেকে আমি আমাদের শহরে ট্রান্সফার হয়ে গেছি। তাই এখন থেকে আমরা আমাদের নিজ বাড়িতে গিয়ে থাকবো। তখন আমি কিছু বলতেও পারিনি।তোমার জন্য বেশ খারাপ লাগছিল। আমি কাউকে দিয়ে যে তোমার কাছে ফোন করবো সেই সুযোগটাও পাইনি। আর তুমি তো জানো আমার কাছে ফোন নেই তাই তোমার নাম্বারটাও আমার কাছে ছিল না।
তখন আমি বললাম যে ওই সব কথা এখন বাদ দাও,তোমার কি মনে আছে আমরা একবার বলছিলাম,যে আমি যখন কোন একটা জব করব তখন আমরা দুজন বিয়ে করে নিব। শোভা বলল হুম মনে আছে। তখন আমি বললাম তাহলে বিয়ে করবে তো আমায়? আমার মুখে এই কথা শুনে শোভা রেগে গেল। আর বলল যদি বিয়েই না করার হতো তাহলে আমি এতদিন কার জন্য অপেক্ষায় আছি আমি। তখন আমি ওর মুখ থেকে কথাটা শুনে বুঝতে পারলাম আমার মতো ও অনেক কষ্ট পেয়েছে। যাই হোক তখন আমি শোভাকে বললাম। আমি বাবাকে আগে থেকেই বলে রেখেছি। তুমি যেহেতু রাজি আছো তাই আমি বাবাকে এখন গিয়ে বলবো তোমার বাবার সাথে কথা বলতে। তখন শোভা বললো ঠিক আছে। আমি দ্রুত বাবাকে গিয়ে বললাম শোভার বাবার সাথে কথা বলতে। দেখলাম বাবা তখনই শোভার বাবাকে ফোন দিল। দেখলাম যেহেতু শোভার বাবা আমার বাবাকে অনেক আগে থেকেই চিনতো। আর যেহেতু একে অপরের বন্ধু তাই শোভার বাবা এখানে অমত করেনি।যেহেতু সবাই রাজি তাই আমি এখানে বাবাকে আগে থেকেই বলে রাখলাম। যত দ্রুত সম্ভব আমাদের বিয়েটা করিয়ে দিতে। কারন আমি একবার হারিয়েছি আর হারাতে চাই না। তখন বাবা বললো থাম এত ব্যস্ত হইস না, আর কিছুদিন অপেক্ষা কর। যাই হোক কিছুদিন পরে আমার আর শোভার বিয়ে হয়ে গেল।অবশেষে তাহলে আমাদের বিয়েটা হয়ে গেলো। সেই কলেজ লাইফ থেকে ভালোবাসার শুরুটা আজকে শেষ হলো। আর আজ আমাদের এক বছর পূর্ণ হলো তাই ভাবলাম আমাদের ভালোবাসার গল্পটা লিখে রাখি। শোভা এখন আমার সাথেই আছে ও রান্না করছে ওকে বলিনি যে আমি এই গল্পটা লিখছি। যাই হোক ওকে আমি পরে জানিয়ে দিবো।
সমাপ্ত
প্রথম পর্বের লিংক
দ্বিতীয় পর্বের লিংক
তৃতীয় পর্বের লিংক
চতুর্থ পর্বের লিংক
পঞ্চম পর্বের লিংক
ষষ্ঠ পর্বের লিংক
সপ্তম পর্বের লিংক
তো প্রিয় আমার বাংলা কমিউনিটির ভাই বোন বন্ধুরা, এই ছিল আমার আজকের পোস্ট। (ভালোবাসার শুরুটা কলেজ লাইফ থেকে) এই গল্পটির এটাই ছিল মূলত আট নম্বর পার্ট বা শেষ পার্ট। গল্পটি আপনাদের কাছে কেমন লেগেছে অবশ্যই কমেন্টে জানাবেন। আর হ্যাঁ একটা কথা গল্পের শেষের কথাগুলোও কিন্তু গল্পেরই অংশ ছিল। কেউ আবার অন্য কিছু ভাববেন না যেন। 🤭 আজকের মত এটুকুই। আবারো খুব শীঘ্রই নতুন কোন পোস্ট নিয়ে হাজির হবো আপনাদের মাঝে ইনশা-আল্লাহ। ততক্ষণ সবাই ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন নিজের খেয়াল রাখবেন।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
যাক অনেক পর্বের পর ভালোবাসার গল্প শেষ পর্যায়ে পাওয়া গেল। শোভার ভালোবাসার শেষ পর্যন্ত মিল হল। আমি আপনার গল্প সবগুলো পর্ব পড়িনি। তবে আজকের শেষ পর্ব পড়ে বুঝতে পারলাম তাদের কলেজ জীবন থেকে ভালোবাসা শুরু হয়েছে। অনেক ঝামেলার মধ্যে দিয়ে শেষ পর্যন্ত তাদের মিল হল এটাই বড় কথা। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ ভাই আপনাকে এত সুন্দর ভাবে গুছিয়ে মন্তব্যটি করার জন্য।
গল্পের শেষ পর্ব পড়ে বেশ ভাল লাগল। শোভা এবং আপনার ভালবাসার গল্প বেশ সুন্দর হয়েছে। ভালোবাসার গল্প শেষে মিল হলে ভাল লাগে। ধন্যবাদ ভাইয়া।
ধন্যবাদ ভাই আপনাকে সুন্দর মন্তব্যটি করার জন্য।
অবশেষ আপনাদের দুজনের মিল হয়েছে এবং দুজনে বিয়ে করতে পেরেছেন এটা জেনেই ভীষণ ভালো লেগেছে আমার কাছে। "ভালোবাসার শুরুটা কলেজ লাইফ থেকে"এই গল্পটি এত সুন্দর ভাবে শেষ হবে তা কখনোই ভাবতে পারিনি। যেহেতু শোভার বাবা এবং আপনার বাবা বন্ধু ছিল তাই তারা এই সম্পর্কে অমত করেনি। পুরো গল্পটি পড়েই ভীষণ ভালো লেগেছে আমার কাছে। এভাবে যদি ভালোবাসার গল্পগুলোর মিল হয় তাহলে ভীষণ ভালোই লাগে।
গল্পটি আমার কাছে ভালো লেগেছে জেনে অনেক অনেক খুশি হলাম। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
অনেক অপেক্ষা করার পর আজকে আপনার এই গল্পটির সমাপ্তি হলো। অবশেষে আপনাদের মিল হয়েছে এটা ভাবতেই আমার কেমন জানি ভালো লাগছে। দুজনেই অনেক ভালো আছেন মনে হয়।
ওনাকে জানিয়ে দিলে ভালো হয়। না হলে হয়তো পরে জানালে রাগ করতে পারে। আমার কাছে কিন্তু আপনার এই গল্পটির প্রত্যেকটি পর্ব পড়তে ভীষণ ভালো লেগেছে। আমি তো ভাবছিলাম আপনাদের মিল হবে কিনা। এভাবে যখন ভালোবাসার মিল হয় তখন খুবই ভালো লাগে। এরকম একটি গল্প খুবই সুন্দরভাবে ভাগ করে নিলেন। ভালো থাকবেন।
আসলে লিখতে লিখতে লিখতে কখন যে এত হয়ে গেছে বুঝতে পারিনি। হ্যাঁ শোভাকে তো জানাতে হবেই।