ভালোবাসার শুরুটা কলেজ লাইফ থেকে ।। গল্প পার্ট-২
প্রিয় আমার বাংলা কমিউনিটির ভাইবোন বন্ধুরা,
পার্ট-২
তারপর ফাতেমা আমাকে শোভার বাসার ঠিকানা দিল। দেখলাম আমার বাড়ি থেকে শোভার বাড়ি খুব বেশি দূরে নয়। প্রায় এক কিলোমিটার দূরত্ব হবে হয়তো।যাই হোক সেই দিন বিকেলে আমি আর সবুজ শোভার বাড়ির কাছে গিয়েছিলাম শোভাকে এক নজর দেখার জন্য। কারণ শুধু কলেজে এবং টিউশনিতে ওকে দেখে আমার মন ভরেনা। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত সেদিন অনেক্ষণ অপেক্ষা করার পরও শোভার দেখা মিলে নি। তাই আর কি করার দুঃখ মনে আমি আর সবুজ বাড়ি ফিরে এলাম। যাই হোক আমি মাঝে মাঝে খেয়াল করি যে শোভা একটা ছেলের সাথেই একটু কথাবার্তা বলে। আমার মনে ভয় হলো এবং প্রশ্ন জাগলো ছেলেটা কে? আমি পরে খোঁজখবর নিয়ে জানতে পারলাম ছেলেটা ওর কাজিন।
এটা শুনে একটু স্বস্তি নিঃশ্বাস ফেললাম। এভাবে দেখতে দেখতে শোভার সাথে দেখা হওয়া দশ দিন হয়ে গেল। দেখি এখন শোভার সাথে অনেকেরই বন্ধুত্ব হয়ে গেছে। আমিও মাঝে মাঝে ওকে জিজ্ঞাসা করতে চাই কেমন আছো শোভা কিন্তু ভয়ে বলতে পারি না। আমি একদিন ফাতেমাকে বললাম ওর সাথে ভালো বন্ধুত্ব করতে। ও আমাকে বলল ঠিক আছে চেষ্টা করব। তারপরের একদিন প্রাইভেটে শোভা আমাকে বলল জিহাদ ওই খাতাটা আমাকে এগিয়ে দাও তো। সেদিনই ওর মুখ থেকে আমার নাম প্রথম শুনলাম। শুনে মনে হয়েছিল আমি তো পুরা হাওয়ায় ভাসছি।যাই হোক তারপর আর না ভেবে আমি খাতাটা ওকে দিয়ে দিলাম। কিন্তু কিছু বলার সাহস পেলাম না।
এর পর একদিন প্রাইভেটে আমি মনে সাহস নিয়ে ওকে বললাম কেমন আছো? ও জবাবে বলল ভালো আছি তুমি কেমন আছো? আমি বললাম আমিও ভালো আছি। এইটুকু বলার পরেই দেখি স্যার হাজির তাই তখন আর কিছু বলা হয়নি। সেদিন বাড়িতে একটা কাজ থাকার কারণে আর কলেজে যাওয়া হয়নি। পরের দিন সকালে প্রাইভেটে যাওয়ার পরপরই স্যার আমাদের বলল তোমাদের জন্য একটা এনাউন্সমেন্ট আছে। আমরা স্যার কে জিজ্ঞেস করলাম কি এনাউসমেন্ড স্যার? উত্তরে স্যার আমাদের বলল কাল থেকে তোমাদের প্রাইভেটের টাইম চেঞ্জ হতে চলেছে। আমরা স্যার কে জিজ্ঞাসা করলাম কখন পড়াবেন কাল থেকে স্যার? উত্তরের স্যার আমাদের বলল তোমাদের কলেজ যখন ছুটি হবে তার পরপরই তোমরা আমার প্রাইভেটে চলে আসবে। সবাই রাজি ছিল না কিন্তু স্যার যেহেতু বলেছে তাই সবারই আসতে হবে।
আমি তো মনে মনে অনেক খুশি হয়েছিলাম। কারণ সবাই মিলে একসাথে কলেজ থেকে যখন প্রাইভেটে আসবো তখন তো শোভাও আমাদের সাথে আসবে এই ভেবে আমি খুশি ছিলাম। যাই হোক তারপর সেদিন কলেজে গিয়ে শোভার সাথে আ্য তেমন কোনো কথা বলতে পারিনি। পরের দিন সবাই মিলে একসাথে কলেজ থেকে যখন প্রাইভেটে যাচ্ছিলাম আমার তো খুব ভালো লাগছিল। প্রতিদিন সবাই একসাথে প্রাইভেট যাতায়াত করছিলাম আবার সবাই একই কলেজে পড়ি। তার জন্য ধীরে ধীরে সবার সাথে প্রায় ভালো বন্ধুত্ব হয়ে যাচ্ছিল। এর মধ্যে শোভা ও বাদ রইলো না। একদিন আমরা সবাই মিলে ঠিক করলাম মেসেঞ্জারে একটি গ্রুপ খুলবো। যেই গ্রুপের ভিতর শুধু আমরা যারা একসাথে প্রাইভেট পরি তারাই থাকবো। আমি তো এতে বেশি আগ্রহী ছিলাম কারণ শোভা ও এখানে এড হবে। ওখান থেকে আমি ওর আইডিটা পেয়ে যাব। এবং ওকে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠিয়ে দিতে পারব.....
চলবে,,,,
মনে হচ্ছে খুবই খুশি হয়েছিলেন যখন সবাই মিলে মেসেঞ্জারে গ্রুপ খুলবেন তখন। এরকম গল্প গুলো পড়তে একটু বেশি ভালো লাগে। যখন শোভা অন্য একটি ছেলের সাথে কথা বলছিল তখন মনে হয় একটু বেশি রাগ করেছিলেন। রাগ হওয়ারই কথা পছন্দের মানুষ যদি অন্য কারো সাথে কথা বলে তাহলে। প্রাইভেট এর সময় চেন্স করেছে দেখে মনে হয় আপনি একটু বেশি খুশি হয়েছিলেন কারণ সবাই একসাথে আসতে পারবেন ওখানে শোভা ও থাকবে। যাইহোক আশা করছি খুবই তাড়াতাড়ি পরের পর্ব শেয়ার করবেন ধন্যবাদ।
গল্পটি আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম। ইতিমধ্যেই গল্পটি তৃতীয় পার্ট আপলোড করেছি চাইলে দেখে আসতে পারেন।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.