পালংশাক, ওলকপি এবং আলু দিয়ে হর্ণে চিংড়ির রেসিপি

in আমার বাংলা ব্লগlast year
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।

আজকে আপনাদের সাথে একটা রেসিপি শেয়ার করে নেবো। আজকে আমি পালং শাকের রেসিপি তৈরি করেছিলাম। অনেকদিন পালং শাক দিয়ে কোনোকিছু খাওয়া হয় না, তাই গতকাল বাজারে গিয়ে ২ বান্ডিল পালং শাক কিনে নিয়ে এসেছিলাম। পালং শাক এখন আর তেমন বেশি বাজারে পাওয়া যাচ্ছে না, আমিও বাজারে সারা জায়গায় ঘুরতে ঘুরতে একটা বয়স্ক মহিলার কাছে পেয়েছিলাম। আমি বাজার করতে করতে মূলত এই পালং শাক খুঁজে বেড়াচ্ছিলাম কিন্তু পাচ্ছিলাম না হা হা । পালং শাকে অনেক পুষ্টিগুণ থাকে, ফলে যত খাওয়া হবে তত লাভ। কিন্তু আবার অতিরিক্ত খেলে হিতে বিপরীত হয়, অনেকের সাইড ইফেক্ট এর সমস্যাও হতে পারে। আর পালং শাকে ম্যাগনেশিয়ামের মাত্রাটা বেশি থাকে কিন্তু এটাতে অনেক উপকারিতা আছে, কারণ এর ফলে যাদের রক্ত চাপ বেশি তাদের রক্ত চাপ কমাতে সাহায্য করে থাকে। পালং শাক তরকারি বা ঘন্ট সব ভাবেই খেতে অনেক ভালো লাগে। পালং শাকের সাথে ওলকপি আর আলু দিয়ে খেতে অনেক স্বাদের হয়েছিল। হর্ণে চিংড়ি দিয়ে আমি এই রেসিপিটা একটু ঝোল মতো তৈরি করেছিলাম। পালং শাকের ঝোল তরকারি খেতে অনেক মজার হয়ে থাকে। পালং পনির রেসিপিটা আমার অনেক প্রিয়, খেতে অনেক টেস্ট। যাইহোক এখন এই রেসিপিটার মূল বিষয়ের দিকে চলে যাবো।


☬প্রয়োজনীয় উপকরণসমূহ:☬

❣উপকরণ
পরিমাণ❣
হর্ণে চিংড়ি
৫০০ গ্রাম
পালং শাক
২ বান্ডিল
ওলকপি
১ টি
গোল আলু
২ টি
পেঁয়াজ
১ টি
রসুন
১ টি
কাঁচা লঙ্কা
৮ টি
গোটা জিরা
১.৫ চামচ
সরিষার তেল
পরিমাণমতো
লবন
৪ চামচ
হলুদ
৩.৫ চামচ
জিরা গুঁড়ো
১ চামচ


পালং শাক, ওলকপি, গোল আলু, পেঁয়াজ, রসুন


কাঁচা লঙ্কা, সরিষার তেল, লবন, হলুদ, জিরা গুঁড়ো


❦এখন রেসিপিটা যেভাবে প্রস্তুত করলাম---


✠প্রস্তুত প্রণালী:✠


❖হর্ণে চিংড়িগুলো প্রথমে ভালো করে কেটে নিয়ে ধুয়ে পরিষ্কার করে রেখেছিলাম। এরপর পালংশাক কেটে ধুয়ে রেখে দিয়েছিলাম।

❖আলুগুলোর খোসা ছালিয়ে নেওয়ার পরে ধুয়ে পরিষ্কার করে রেখেছিলাম। এরপর ওলকপির খোসা ছালিয়ে নেওয়ার পরে কেটে নিয়েছিলাম এবং পরে ধুয়ে রেখেছিলাম।

❖পেঁয়াজ এর খোসা ভালোভাবে ছালিয়ে নিয়ে কেটে রেখেছিলাম এবং সেই সাথে রসুনের কোয়াগুলো থেকেও খোসা ছাড়িয়ে নিয়ে রেখেছিলাম। এরপর লঙ্কাগুলোকে কেটে রেখেছিলাম।

❖হর্ণে চিংড়িগুলোতে লবন এবং হলুদ গুঁড়ো দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর চিংড়ির সাথে ভালোভাবে মিশিয়ে নিয়েছিলাম।

❖কড়াইতে তেল দিয়ে দিয়েছিলাম এবং একটু তেলটা গরম হয়ে আসলে তাতে হর্ণে চিংড়ি দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর ভালোভাবে ভাজা মতো হয়ে আসলে তুলে রেখেছিলাম।

❖চিংড়ি ভাজার পরে কড়াইতে আরেকটু তেল দিয়ে তাতে আলুর পিচগুলো দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর আলুগুলো ভালোভাবে ভাজা হয়ে আসলে তুলে রেখেছিলাম।

❖আলু ভাজা হয়ে গেলে কড়াইতে ওলকপি কেটে দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর ভালোভাবে ভাজা মতো হয়ে আসলে তুলে নিয়েছিলাম।

❖সব কিছু ভাজা হয়ে গেলে কড়াইতে তেল দিয়ে গোটা জিরা দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর তাতে পেঁয়াজ-রসুন দিয়ে দিয়েছিলাম। জিরার সাথে পেঁয়াজ-রসুন ভালোভাবে ভেজে নিয়েছিলাম।

❖পেঁয়াজ-রসুন ভাজা হয়ে গেলে কড়াইতে ধুয়ে রাখা পালং শাক সব দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর তাতে ভেজে রাখা আলুর পিচগুলো দিয়ে দিয়েছিলাম।

❖আলু দেওয়ার পরে তাতে ভেজে রাখা ওলকপি দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর তাতে ভেজে রাখা হর্ণে চিংড়িগুলো সব দিয়ে দিয়েছিলাম এবং সাথে কাঁচা লঙ্কাগুলো দিয়ে দিয়েছিলাম ।

❖লঙ্কা দেওয়ার পরে তাতে স্বাদ অনুযায়ী লবন এবং হলুদ দিয়ে দিয়েছিলাম এবং পরে সবজির সাথে ভালোভাবে মশলা মিক্স করে নিয়েছিলাম।

❖মশলা মিক্স করার পরে তাতে অল্প করে জল ঢেলে দিয়েছিলাম। এরপর সবজিটা আরেকটু উল্টেপাল্টে নিয়ে একটি ঢাকনা দিয়ে কড়াইটি ঢেকে দিয়েছিলাম।

❖পালং এর সাথে সাথে আলু, ওলকপি সব ভালোভাবে সেদ্ধ হয়ে আসলে ঢাকনাটা তুলে নিয়েছিলাম। এরপর তরকারিতে অল্প করে জিরা গুঁড়ো ছড়িয়ে দিয়েছিলাম এবং তরকারিটা আরেকটু ভালোভাবে হয়ে আসার জন্য দেরি করেছিলাম।

❖তরকারির ঝোলটা একটু কমে আসলে আমি নামিয়ে নিয়েছিলাম এবং তাতে অল্প করে জিরা গুঁড়ো দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর তরকারিটা পরিবেশনের জন্য একটি পাত্রে তুলে নিয়েছিলাম।

রেসিপি বাই, @winkles

শুভেচ্ছান্তে, @winkles


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

Sort:  
 last year 

পালংশাক, ওলকপি এবং আলু দিয়ে হর্ণে চিংড়ির রেসিপি দেখে খুবই সুস্বাদু মনে হচ্ছে। আপনি খুবই মজাদার রেসিপি তৈরি করলেন দাদা। আপনার রেসিপির পরিবেশন আমার খুবই ভালো লেগেছে। আর আজকের এই পালং শাকের রেসিপি দেখে আমার কতকালের কথা মনে পড়ে গেল। কারণ গত কাল আমি পালং শাকের রেসিপি তৈরি করেছিলাম আলু বেগুন এবং রুই মাছ দিয়ে পালং শাকের রেসিপি তৈরি করেছিলাম। আজকে আপনার রেসিপির পরিবেশন আমার খুবই ভালো লেগেছে। এত মজাদার রেসিপি ধাপে ধাপে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। আর আপনার পরিবেশন দেখে আমি খুব সহজেই শিখতে পারলাম।

 last year 

দাদা,সিজনের শেষ দিকে এসে আপনি তো ছক্কা মেরে দিলেন দেখছি☺️☺️.এখন তো পালংশাক, ওলকপি দুটোই শেষ হয়ে গেছে বলতে গেলে।বয়স্ক মহিলারাই কুড়িয়ে যত্নকরে শাকগুলি নিয়ে আসে বাজারে।পালংশাক বেশ পুষ্টিকর হলেও সাইড এফেক্ট আছে জানা ছিল না।আমি অবশ্য খাই না এই শাক,তবে চিংড়ি আমার বেশ প্রিয়।খুবই মজা লাগে হর্ণে চিংড়ি খেতে।হালকা মিঠে মিঠে স্বাদ ও পাওয়া যায়।আপনার রেসিপি দেখে বোঝা যাচ্ছে যে কতটা সুস্বাদু হয়েছে।খুবই সুন্দর রেসিপি ছিল এটা,প্রতিটি ধাপ ও দারুণ ছিল।ধন্যবাদ দাদা।

 last year 

দেখছি চিংড়ি মাছ দিয়ে বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করেন। তার মানে নিশ্চয়ই চিংড়ি মাছ আপনার অনেক বেশি পছন্দ। আর পালং শাক খেতে ইচ্ছে করল তাই বাজারে চলে গেলেন কিনতে। একেবারে দুই বান্ডেল পালং শাক খুঁজে খুঁজে নিয়ে আসলেন । আসলে এখন তো প্রায় গরমের দিন চলে এসেছে এই জন্য বাজারে পালং শাক একদমই কম পাওয়া যাবে ‌। বলতে গেলে পাওয়াই যাবে না। আপনার ভাগ্য ভালো এখন পেয়ে গেলেন। পালং শাকে অনেক বেশি পুষ্টিগুণ থাকে। তাছাড়া আমার কাছেও চিংড়ি দিয়ে পালং শাক রান্না করলে অনেক বেশি ভালো লাগে। আপনার আজকের রেসিপিটা দেখেই ভীষণ ভালো লেগেছে। কারণ দেখে মনে হচ্ছে খুবই সুস্বাদু হয়েছে খেতে। আর পালং পনিরের কথা অনেক শুনেছি কিন্তু আমার কখনো খাওয়া হয়নি। তবে এর সাথে ওলকপি এড করেছেন দেখে ভালো লাগলো। ওলকপিও অনেক বেশি পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ।

 last year 

পালং শাক আমার একদমই প্রিয়। শীতকাল আসলে আমি কয়েকবার পালং শাক খেয়ে থাকি। তবে এখন তো পালং শাক পাওয়াটাই মুশকিল। কিন্তু আপনি তো দেখছি বাজারে গিয়ে পেয়ে গেলেন। বেশ ভালই হয়েছে একেবারে দুই বান্ডেল পালং শাক নিয়ে আসলেন। আর আমি সব সময় পালং শাক দিয়ে চিংড়ি মাছ রান্নার চেষ্টা করি। কারণ চিংড়ি মাছ আমার অত্যন্ত প্রিয়। আপনি চিংড়ি মাছ দিয়ে পালং শাক আর সাথে ওলকপি দিয়েছেন এই জন্য ভীষণ ভালো লাগলো। পালং শাক এবং ওলকপি দুইটাই অনেক পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ। দেখেই মনে হচ্ছে একটু খেয়ে দেখি। বেশ মজাদার এবং সুস্বাদু একটি রেসিপি তৈরি করলেন। বিশেষ করে যেকোনো রেসিপিতে আলুভাজা করে দেন এজন্য বেশি ভালো লাগে। অনেক সুন্দর একটা রেসিপি শেয়ার করলেন দাদা।

 last year 

দাদা তো দেখছি মনে হয় চিংড়ি মাছের ভক্ত। কারণ বেশিরভাগ রেসিপিগুলোতে চিংড়ি মাছ দেখতে পাই। তাও আবার বিভিন্ন ধরনের চিংড়ি। তবে এই সময়ে আপনি পালংশাক খুঁজে পেয়েছেন এটাই বেশি ভালো লাগলো। কারণ এখন পালং শাক অনেকটাই কমে যাবে। ইচ্ছে করেছে বলে একেবারে বাজারে কিনতে চলে গেলেন এটাই ভালো হয়েছে। আমার কাছে যখন বেশি শীত পড়ে তখন পালং শাক খেতে বেশি ভালো লাগে। আর যে কোন রেসিপিতে আলু দিলে আমার কাছে সব থেকে বেশি ভালো লাগে। কারণ আমি আলু খেতে বেশি পছন্দ করি। তাছাড়া পালং শাক কিন্তু অনেক পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ একটি শাক। আবার ওলকপিও কিন্তু অনেক বেশি পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ। সবকিছুর সংমিশ্রণে আজকের রেসিপিটাও কিন্তু অনেক দারুন হয়েছে দাদা। মনে হচ্ছে জমিয়ে খাওয়া দাওয়া করলেন। বিভিন্ন ধরনের রেসিপি আপনার কাছ থেকে পেয়ে থাকি।

 last year 

আলু এবং পালং শাক দিয়ে চিংড়ি মাছ রান্না করলে খেতে খুবই ভালো লাগে। তবে ওলকপি দিয়ে কখনো খাওয়া হয়নি। দাদা আপনার তৈরি করা রেসিপি মানিই নতুন কিছু। কারণ আপনি সবসময় রেসিপির মাঝে নতুনত্ব রাখার চেষ্টা করেন। পালং শাক পুষ্টিগুনে ভরপুর। আমার তো মাঝে মাঝেই খাওয়া হয়। আমিও যদি বাজারে যাই তখন টাটকা পালং শাক কেনার চেষ্টা করি। পালং শাকে ম্যাগনেশিয়ামের পরিমাণ বেশি এটা জানা ছিল না দাদা। আজকে জানতে পারলাম। পালং শাক বেশি করে কাঁচা মরিচ এবং রসুন দিয়ে ভাজি করলে গরম ভাতের সাথে খেতে যেমন ভালো লাগে তেমনি চিংড়ি মাছের সাথে ঝোল করলেও খেতে ভালো লাগে। আপনার তৈরি করা পালং শাকের রেসিপি আমার ভীষণ ভালো লেগেছে। খাবারের ছবি দেখেই মন চাচ্ছে আপনার বাসায় দাওয়াত খেতে চলে যাই। তবে আমাদের জন্য অবশিষ্ট কিছু আছে বলে মনে হচ্ছে না দাদা 😅। যাইহোক মজার একটি রেসিপি তৈরি করে আমাদের সকলের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 last year 

পালং শাক দিয়ে মাছের ঝোল কিংবা ভাজা দুটোই আমার ভাল লাগে।আপনি পালং শাকের গুনের কথা বললেন শুনে ভাল লাগলো। সব জিনিসেরই দাদা ভাল আর খারাপ সাইড দুটোই থাকবে।যাক আপনি পালং শাক,ওলকপি,আলুর সাথে চিংড়ি দিয়ে রান্না করে শেয়ার করলেন। আপনার রেসিপি কিন্তু বেশ লোভনীয় লাগছে। আপনার রান্না সব সময়ই মজার হয়।আপনি রেসিপিটি বেশ ধাপে ধাপে তুলে ধরেছেন। খুব ভাল লাগলো মজার এই রেসিপিটি দেখে।ধ্যনবাদ দাদা মজার রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য।

 last year 

চিংড়ি আর পালং শাক যেন মিশে একাকার হয়ে গিয়েছে এই রেসিপিতে। কারণ পালং শাকের উপরে যখন চিংড়ি গুলো দেয়া হলো তখন দেখতে যত সুন্দর লাগছে ঠিক তেমনি ইচ্ছে করছে সেই চিংড়িগুলো উঠিয়ে একটা করে খেয়ে ফেলি। কারণ চিংড়ি আমার খুবই পছন্দের।পালং শাক খেতেও খুব ভালো লাগে। রক্ত শুন্যতার জন্য এই পালং শাক অনেক বেশি উপকারী। তাছাড়া শীতের সময় আমরা অনেক পালং শাক খেয়েছি। চিংড়ি দিয়েই খাওয়া হয়েছে বেশিরভাগ সময়। তবে যখন চিংড়ি ছিল না তখন অন্যান্য মাছ দিয়েও রান্না করে খেয়েছি। আপনি যেহেতু দুই বান্ডিল শাক নিয়ে এসেছিলেন কিন্তু সে হিসেবে অনেকটা অল্প হয়ে যায়। কারণ
পালং শাক রান্না করার পর অনেক বেশি থাকলেও সেগুলো অল্প হয়ে যায়। তবে ভাগ্য ভাল সে বয়স্ক মহিলার কাছে সর্বশেষ পালং শাক পেয়েছেন। এখন তো সিজন প্রায় শেষ হয়ে গিয়েছে এই পালং শাক এর। যাইহোক রেসিপি টা কিন্তু ভালই লাগলো।

 last year 

প্রিয় দাদা, হর্ণে চিংড়ির নামটি আজ প্রথম শুনলাম। পালন শাক, ওলকপি ও গোল আলূর সমন্বয় হর্ণে চিংড়ির একটি দুর্দান্ত রেসিপি তৈরি করেছেন আপনি। আপনার রেসিপির একেবারে শেষ পর্যায়ে তরকারির ঝোল একটু কমে আসলে তাতে জিরার গুঁড়া দেওয়ার বিষয়টি আমার কাছে ইউনিক মনে হয়েছে। মনে হচ্ছে আপনার রেসিপিটি খেতে অনেক সুস্বাদু ছিল।

Coin Marketplace

STEEM 0.20
TRX 0.13
JST 0.030
BTC 65306.74
ETH 3488.89
USDT 1.00
SBD 2.51