ওয়েব সিরিজ রিভিউ: পর্ণশবরীর শাপ ( অন্তিম পর্ব )

in আমার বাংলা ব্লগ5 months ago
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।

আজকে আপনাদের সাথে 'পর্ণশবরীর শাপ' ওয়েব সিরিজটির অন্তিম পর্ব রিভিউ দেব। এই পর্বের নাম হলো "শাপমোচন"। গত পর্বে শেষ দেখেছিলাম যে, গৌরব আর তার বন্ধু ভাদুড়ীর সাথে একজোট হয়ে এই শাপ থেকে কিভাবে মুক্তি পাওয়া যায় সেটা নিয়ে আলোচনা করতে থাকে। অন্তিম পর্বে কি হয় সেটা দেখবো।


স্ক্রিনশর্ট: ইউটিউব


✠কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:✠

সিরিজটির নাম
পর্ণশবরীর শাপ
প্লাটফর্ম
hoichoi
সিজন
পর্ব
শাপমোচন
পরিচালকের নাম
পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়
অভিনয়
চিরঞ্জিত চক্রবর্তী, গৌরব চক্রবর্তী, সুরঞ্জনা বন্দোপাধ্যায়, অনিন্দিতা বোস ইত্যাদি
মুক্তির তারিখ
১০ নভেম্বর ২০২৩( ইন্ডিয়া )
সময়
২০ মিনিট ( অন্তিম পর্ব )
মূল ভাষা
বাংলা
কান্ট্রি অফ অরিজিন
ইন্ডিয়া


☬মূল কাহিনী:☬


স্ক্রিনশর্ট: hoichoi

গত পর্বে দেখার পরে মনে হয়েছিল যে এই গল্পের শেষটা এমন হতে পারে যে, ভাদুড়ী যখন সেই চমকপুরের জঙ্গলে যাবে এই শাপ থেকে মুক্তি দেওয়ার জন্য, তখন সীতা সেখানেও আসবে। কিন্তু এখানে সেই মুহূর্তে ঘটনাটা অন্যরকম ঘটেছে, যেমন- ভাদুড়ী যখন পুজো করার সমস্ত জিনিস নিয়ে আর সাথে গৌরব আর তার বন্ধুকেও নিয়ে গিয়েছিলো, যাতে আশেপাশে নজর রাখতে পারে। ভাদুড়ী তার একার মতো সেখানে পুজো করতে লাগে এবং তখন সমস্ত ডাকিনি, যোগিনী, পিশাচিনী একে একে চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে। আসলে প্রথমত এই ডাকিনি বা পিশাচিনী যাইহোক না কেন, এদের তাড়ানোর জন্য বা চিরতরে ভ্যানিশ করার জন্য চেষ্টা করে আর সেটাতে সফলও হয়ে যায়।


স্ক্রিনশর্ট: hoichoi

কিন্তু দেবীর এই রুদ্র রুপকে ঠান্ডা করার জন্য বা তার শাপ থেকে পুরো চমকপুরকে রক্ষা করার জেনে দরকার ছিল একটা বলি দেওয়া। কিন্তু সেখানে বলি দেওয়ার মতো একমাত্র মানুষ ছাড়া তো আর অন্য কিছু ছিলই না, ফলে ভাদুড়ী সিদ্ধান্ত নেয় যে, সে নিজেই নিজেকে বলি দিয়ে দেবে মায়ের সামনে। ঠিক যেই মুহূর্তে এই ঘটনাটা ঘটতে যাবে, তখন সেই মুহূর্তে গৌরব এর বন্ধু এসে আটকায়। গৌরব তখন নিজেই নিজেকে বলি দেওয়ার জন্য রেডি হয়, কারণ এই অব্দি সে যত ভুল ভ্রান্তি করেছে তার প্রাশ্চিত্ত হিসেবে সে নিজেই চায় নিজেকে দেবীর সামনে উৎসর্গ করে দিতে।


স্ক্রিনশর্ট: hoichoi

কিন্তু এদিকে আবার সেই বৈজয়ন্তীর আত্মা লাখপার কাছে চলে যায় আর যেহেতু সে প্রতিশোধ স্পৃহার মধ্যে ছিল, তাই তাকেও খুন করার জন্য পিছপা হয়নি। তাকে মেরেও ফেলে ওই মুহূর্তে। তবে এখানে একটা চমৎকার ঘটে যে, গৌরব এর বন্ধু যখন ভাদুড়ির কাছ থেকে ছুরিটা নিয়ে হাতের শিরা কেটে দেয়, তখনই দেবীর মূর্তি থেকে একটা রশ্নি বের হয় আর সেখানে চতুর্ভূজ রূপে দেবী আবির্ভূত হন আর তাদের দুইজনকে দর্শন দেয়। আর ওই মুহূর্তেই পুরো চমকপুর শাপ মুক্ত হয় সাথে অর্নার শরীর থেকে বৈজয়ন্তীর আত্মাও চলে যায় অর্থাৎ তার আত্মাও মুক্তি পায়। আর এখানে দেবী নিজেই বলি হিসেবে এই লাখপাকেই বেছে নিয়েছিল। ফলে এখানে গৌরব এর বন্ধু হাত কাটলেও বা নিজেকে বলি দিতে চাইলেও দেবী সেটা গ্রহণ করেনি বরং তাকে আবার ভালো করে দেয়।


☬ব্যক্তিগত মতামত:☬

এখানে আসলে সীতার কোনো ভূমিকাই ছিল না আর। সীতার কাজ যেটুকু ছিল সেটা আগের কাহিনীতে শেষ নামিয়ে দিয়েছিলো। তবে গল্পের এই মোড়ে এসে ধারণা করা গিয়েছিলো যে, সীতা ওই মুহূর্তে এসে সে নিজেই কোনো বলি ছাড়া শাপ মুক্ত করতে পারবে আর বিষয়টাও অনেক আকর্ষণীয় হতো। তবে যাইহোক, এই দায়িত্বটা ভাদুড়ী নিজেই সামলিয়ে নেয়। তবে এটা একার পক্ষে অসম্ভব মনে হলেও একটা মনোবল নিয়ে গিয়েছিলো যে, দেবীর এই ভয়ানক শাপ থেকে চমকপুরকে রক্ষা করতেই হবে। আর এই কাজে সে সফলতাও পেয়ে যায়। শুধু অর্নাকে ঠিক করতে পেরেছে তাই নয়, ভাদুড়ীও যে শারীরিক সমস্যা অর্থাৎ পায়ের সমস্যার জন্য লাঠি ছাড়া চলতে পারতো না সে নিজেই সেই মুহূর্তে সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারছে আর চলতে পারছে। একপ্রকার শাপ মুক্ত হওয়ার সাথে সাথে আশীর্বাদও পায় পুরো চমকপুর নিবাসী।


☬ব্যক্তিগত রেটিং:☬
৮.৯/১০


☬ট্রেইলার লিঙ্ক:☬



শুভেচ্ছান্তে, @winkles


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

Sort:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 5 months ago 

অবশেষে সকল অপেক্ষার অবসান ঘটলো। পর্ণশবরীর শাপ ওয়েব সিরিজের অন্তিম পর্ব রিভিউ শেষ হলো। আগের পর্বটা রিভিউ করে শেষ পর্ব কেমন হবে সেটার একটা ধারুনা দিয়েছিলেন। তবে আমরা বাস্তবে এসে দেখলাম যে এখানে সীতার কোন ভূমিকাই নেই। আগের পর্বেই সীতার কাহিনী শেষ হয়ে গেছে। শেষ খেলাটা খেলেছে ভাদুড়ী স্যার, গৌরব ও তার বন্ধু। এখানে ভাদুড়ী স্যার যখন মন্ত্র পড়েছিল তখন তার চার পাশে ডাকিনি, যোগিনী, পিশাচিনী এসে ভিড় করেছিল। তবে ভাদুড়ী স্যার তার মন্ত্রের মাধ্যমে সে গুলোকে বিনাশ করে দিয়েছিল। কিন্তুু লাষ্ট পর্যায়ে এসে ভাদুড়ী স্যার বুঝতে পারে যে এখানে একটি বলি দিতে হবে। তবে এখানে মানুষ ছাড়া বলি দেওয়ার মত আর কিছু ছিল না। শেষ পর্যন্ত ভাদুড়ী স্যার নিজেই নিজেকে বলি দিতে প্রস্তুুত হয়। তবে সেই দৃশ্য দেখে ফেলে গৌরবের বন্ধু। সে তখন ভাদুড়ী স্যারের হাত থেকে ছুড়ি নিয়ে নিজেকে বলি দিতে চায় এবং হাতও কেটে ফলে। আর তখনই দেবীর মূর্তি থেকে একটা রশ্নি বের হয় আর সেখানে চতুর্ভূজ রূপে দেবী আবির্ভূত হন। আর তাদের দুইজনকে দর্শন দেয়। আর ওই মুহূর্তেই পুরো চমকপুর শাপ মুক্ত হয় সাথে অর্নার শরীর থেকে বৈজয়ন্তীর আত্মাও চলে যায় অর্থাৎ তার আত্মাও মুক্তি পায়। শেষ পর্বটা সত্যিই দারুন ছিল। ধন্যবাদ।

 5 months ago 

অবশেষে তাহলে চমকপুর নিবাসী শাপ মুক্ত হলো। তবে আগের পর্ব পড়ে যে ধারণা করেছিলাম, ভাদুড়ী এবং সীতা দু'জন মিলে চমকপুরকে শাপ মুক্ত করবে, সেটা একেবারে ভুল প্রমাণিত হলো। তবে ভাদুড়ী লোকটা আসলেই চমক দেখিয়ে দিলো। কিন্তু গৌরবের বন্ধু দেবীর সামনে নিজের জীবন উৎসর্গ করার কথা ভেবেছে,এটা খুব ভালো লেগেছে আমার কাছে। যদিও শেষ পর্যন্ত জীবন উৎসর্গ করতে হয়নি। তবে গৌরবের বন্ধু ঝামেলার সৃষ্টি না করলে,আগেই সীতা সবকিছুর সমাধান করতে সক্ষম হতো। যাইহোক এই পর্বে আসলেই বেশ ইন্টারেস্টিং ঘটনা ঘটেছে। গৌরবের বন্ধুর হাতের শিরা কাটার পর ই তাহলে দেবী তাদের দুইজনকে দর্শন দেয়। আর এতে করেই পুরো চমকপুর শাপ থেকে মুক্ত হয় এবং অর্নার শরীর থেকে বৈজয়ন্তীর আত্মাও চলে যায়। দাদা এই ওয়েব সিরিজটি সত্যিই ভীষণ উপভোগ করেছি। কারণ হরর টাইপের ওয়েব সিরিজ কিংবা মুভি আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে। যাইহোক এতো চমৎকার একটি ওয়েব সিরিজের রিভিউ আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।

Posted using SteemPro Mobile

 5 months ago 

'পর্ণশবরীর শাপ' ওয়েব সিরিজটির অন্তিম পর্ব রিভিউ পড়ে অনেক ভালো লাগলো। যখন কোন ওয়েব সিরিজ শেষ হয় তখন মনে হয় যেন আগের পর্বগুলো একেবারে সার্থক হয়েছে। আর শেষ পর্বের মাঝে সবচেয়ে বেশি আকর্ষণ থাকে। শেষ পর্বের প্রতি সবার বিভিন্ন প্রত্যাশা থাকে। গত পর্বে আমরা দেখেছিলাম গৌরব ও তার বন্ধু ভাদুড়ীর সাথে একজোট হয়ে সবকিছু করার চেষ্টা করেছে। আর এবারের পর্বের মাধ্যমে আরো নতুন নতুন তথ্য সামনে চলে এলো। আমি তো ভেবেছিলাম ভাদুড়ী যখন চমকপুরের জঙ্গলে যাবে শাপ থেকে মুক্তি দেওয়ার জন্য তখন হয়তো সীতাও সেখানে আসবে। কিন্তু ভাদুড়ীকে একাই সবটা করতে হলো। আর ভাদুড়ীর পুজোর ফলে সেখানে ভয়ঙ্কর পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছিল বুঝতে পারছি দাদা। সমস্ত ডাকিনি, যোগিনী ও পিশাচিনী সেখানে উপস্থিত হয়েছিল এটা সত্যিই অনেক ভয়ের বিষয় ছিল। আমার তো লেখাগুলো পড়েই ভয় লাগছিল। আর এই ওয়েব সিরিজটি দেখার প্রতি আগ্রহ তৈরি হয়েছিল। তবে সবশেষে ভাদুড়ী এই শাপ থেকে পুরো গ্রামকে মুক্ত করতে পেরেছিল এটা সত্যি অনেক আনন্দের বিষয় ছিল। আর সেই সাথে ভাদুড়ীর শারীরিক সমস্যাও ভালো হয়ে গিয়েছিল এটা জেনে আরো ভালো লাগলো। সবমিলিয়ে এই ওয়েব সিরিজটি আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। দারুন একটি ওয়েব সিরিজ রিভিউ শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি দাদা।

 5 months ago 

দাদা আমার কাছে পর্ণশবরীর শাপ ওয়েব সিরিজটার অন্তিম পর্ব পড়তে সত্যি অনেক বেশি ভালো লেগেছে। এই ওয়েব সিরিজের সবগুলো পর্বই আমার পড়া হয়েছে। আর এই জন্য অন্তিম পর্বের জন্য অনেক বেশি অপেক্ষায় ছিলাম। আর দেখছি এই পর্বের নাম ছিল "শাপমোচন"। এখানে তো দেখছি পরবর্তীতে সীতার ভূমিকায় একেবারে ছিল না। তবে ভাদুড়ী লোকটা সবকিছু নিজের হাতে সামলিয়েছে দেখে আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। আর অর্না কেও ঠিক করে। সেই সাথে ভাদুড়ীর লোকটার উপরেও আশীর্বাদ এসেছিল যেটার কারণে সোজা হয়ে হাঁটতে পারছে এবং চলতে পারতেছে দেখলাম। সব মিলিয়ে কিন্তু দাদা আপনি খুব ভালোভাবেই এই ওয়েব সিরিজটার রিভিউ আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আশা করছি আপনি পরবর্তীতে নতুন একটা ওয়েব সিরিজ নিয়ে আমাদের মাঝে হাজির হবেন। ধন্যবাদ দাদা এই ওয়েব সিরিজের অন্তিম পর্ব টা অন্য গুলোর মত সুন্দর করে লিখে শেয়ার করার জন্য।

 5 months ago 

দাদা আপনার ওয়েব সিরিজের রিভিউ পোস্ট পড়ার জন্য আমি প্রতিনিয়ত অপেক্ষায় থাকি। যেহেতু ওয়েব সিরিজ গুলো দেখা হয় না, তাই আপনার রিভিউ গুলো পড়তে পছন্দ করি আমি অনেক বেশি। আপনি ওয়েব সিরিজের প্রত্যেকটা পর্ব অনেক সুন্দর তুলে ধরে থাকেন। দেখতে দেখতে এই ওয়েব সিরিজটা শেষ হয়ে গেল। এটার অন্তিম পর্ব অনেক সুন্দর ছিল। ওই দায়িত্বটা ভাদুড়ী নিজেই সামলিয়ে নিয়েছিল, এবং কি সীতার কোন ভূমিকা ছিল না আর দেখলাম। দেবীর ভয়ানক শাপ থেকে রক্ষা করেছিল ওই চমকপুর কে। আর দেখছি অর্নাও ঠিক হয়ে গিয়েছিল। এবং কি লোকটার উপরে আশীর্বাদও এসেছিল যার কারণে ওনার পাও ঠিক হয়ে গিয়েছিল। তিনি তো লাঠি ছাড়া চলতেই পারত না ওনার পায়ের সমস্যার কারণে। কিন্তু ওই আশীর্বাদের কারণে বেশ ভালোভাবেই চলতে পারছিল। শাপ মুক্ত হওয়ার পাশাপাশি আশীর্বাদ পেয়েছিল দেখে বেশি ভালো লেগেছে। গৌরবের বন্ধু ভাদুড়ীর কাছ থেকে ছুরি নিয়ে হাতের শিরা কেটে দেওয়ার পর দেখছি দেবীর মূর্তি থেকে একটা রশ্নি বের হয়েছিল। আর তখন চতুর্ভুজ রুপে দেবী আবির্ভূত হয়েছিল। তারপর দুজনকে দর্শন দিয়েছিল। আর ওই মূর্তিতে পুরো চমকপুর শাপ মুক্ত হয়েছিল দেখে ভালো লেগেছে। তারা নিজেকে বলি দিতে চাইলেও দেবি গ্রহণ করেনি এটা কিন্তু বেশ ভালো ছিল। খুব সুন্দর ভাবেই কিন্তু এই ওয়েব সিরিজটা শেষ হয়েছে।

 5 months ago 

দেখতে দেখতে এই ওয়েব সিরিজের অন্তিম পর্ব চলে আসলো এটা তো টেরই পেলাম না। এই ওয়েব সিরিজের কয়েকটা পর্ব পড়া হয়েছে আবার কয়েকটা পড়া হয়নি। তবে অন্তিম পর্ব টা পড়তে পেরে ভালো লেগেছে। ভাদুড়ী নামের যে লোকটা রয়েছে তিনি সমস্যাগুলোর সমাধান করে দিয়েছিল, আর নিজ হাতে সবকিছু সামলে ছিল দেখে ভালো লাগলো। যদিও এখানে সীতার কোন ভূমিকা একেবারে ছিল না। অর্নার শরীর থেকে ওই আত্মাটা দূর হয়ে গিয়েছিল এবং কি অভিশাপ থেকেও মুক্তি পেয়েছিল চমকপুর এটা দেখে ভালো লেগেছে। ভাদুড়ী লোকের যে শারীরিক সমস্যা এবং পায়ের সমস্যা ছিল, এটাও দেখলাম দূর হয়ে গিয়েছে। অভিশাপ মুক্ত হওয়ার পাশাপাশি আশীর্বাদ পেয়েছিল এই জন্য। চতুর্ভুজ রুপে দেবী আবির্ভূত হওয়ার পর যখন তাদের দুজনকে দর্শন দিয়েছিল তখনই অর্নার শরীর থেকে আত্মাটা দূর হয়ে গিয়েছিল, আর অভিশাপটাও মুক্ত হয়েছিল দেখে ভালো লাগলো। শেষের এই বিষয়গুলো আসলেই অনেক বেশি দারুণ ছিল। ওয়েব সিরিজটা আমার কাছে অসম্ভব ভালো লেগেছে দাদা। পরবর্তী ওয়েব সিরিজটা আশা করছি শীঘ্রই সবার মাঝে শেয়ার করবেন আপনি।

 5 months ago 

দাদা আপনার করা প্রত্যেকটা পোস্ট আমি খুবই পছন্দ করি। আর আপনার পোস্টগুলো দেখার চেষ্টা করি আমি প্রতিনিয়ত। সব সময় সুন্দর সুন্দর পোস্ট গুলো আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করে থাকেন। বিশেষ করে মুভি এবং ওয়েব সিরিজের রিভিউ গুলো খুবই ভালো লাগে। যেহেতু ব্যস্ততার কারণে মুভি এবং ওয়েব সিরিজ কিছুই দেখা হয় না, তবে আপনার রিভিউর মাধ্যমে সেগুলোর সম্পর্কে ভালোভাবেই ধারণা নিয়ে নিতে পারি। যার কারণে অনেক ভালো লাগে। আর তাইতো মনোযোগ সহকারে রিভিউ গুলো পড়ার চেষ্টা করি। আপনি অনেক সুন্দর করে রিভিউ লিখে থাকেন, যেগুলো পড়লে আর মুভি এবং ওয়েব সিরিজ দেখাই লাগেনা। পর্ণশবরীর শাপ ওয়েব সিরিজটার এই পর্ব সুন্দর ছিল নামটা ছিল "শাপমোচন"। আমি তো ভাবছিলাম ভাদুড়ী লোকটা এই অভিশাপ থেকে মুক্ত করতে পারবে কিনা। এই অন্তিম পর্বে তো দেখলাম মুক্ত করতে পেরেছে, এবং কি অভিশাপ চলে যাওয়ার পাশাপাশি আশীর্বাদ ও পেয়েছে। যার কারনে ভাদুড়ীর শারীরিক সমস্যা এবং পায়ের সমস্যাটাও কেটে গিয়েছে। আর তিনিও ভালোভাবে চলতে পারতেছে। অর্নার শরীর থেকে ওই আত্মাটা তাহলে চলেই গেল। চমকপুর নিবাসী আশীর্বাদ পেয়েছে দেখে বেশি ভালো লেগেছিল।

Coin Marketplace

STEEM 0.18
TRX 0.14
JST 0.029
BTC 57173.66
ETH 3067.89
USDT 1.00
SBD 2.39