হর্ণে চিংড়ির মজাদার রেসিপি ।। বাঙালি রেসিপি

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago

হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই সুস্থ, স্বাভাবিক আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।

আজকে আমি আপনাদের সাথে একটা রেসিপি শেয়ার করে নেবো। আজকে আমি খুবই সুস্বাদু একটা রেসিপি তৈরি করেছি। হর্ণে চিংড়ির মজাদার একটা রেসিপি আজ আপনাদের সামনে তুলে ধরলাম। এই হর্ণে চিংড়িকে আবার হরিনা চিংড়িও বলে। মূলত হরিনা নামটাই হয়ে থাকে, তবে আমরা অঞ্চল ভেদে এইরকম বিভিন্ন নাম দিয়ে থাকি। হর্ণে চিংড়ি স্বাদের দিক থেকে একদম ফাস্টক্লাস। এই চিংড়িগুলো তরকারির সাথে খেতে বেশ মজাদার হয়, তবে কিছু কিছু সবজি ভাজার সাথেও চমৎকার লাগে খেতে। হর্ণে চিংড়ি আরো একভাবে খেতে মজা লাগে বিশেষ করে আমার কাছেতো লাগেই আর সেটি হলে একটু লবন, তেল, হলুদ দিয়ে ভাজা বা সাঁতাল দেওয়ার পরে হাত দিয়ে গুলে ভাতের সাথে মাখিয়ে খাওয়া। আহঃ যা লাগে না খেতে সে না খেলে বোঝা যাবে না। যাইহোক এই হর্ণে চিংড়ির রেসিপিটা আমি বেগুনের সাথে তৈরি করেছিলাম। আর বেগুনের সাথে খেতে বেশ মজাদারই হয়েছিল। এখন আমি এই সুস্বাদু রেসিপিটার মূল পর্বের দিকে চলে যাবো।


☬প্রয়োজনীয় উপকরণসমূহ:☬

উপকরণ
পরিমাণ
হর্ণে চিংড়ি
২৫০ গ্রাম
বেগুন
১ টি
আলু
৪ টি
পেঁয়াজ
১ টি
রসুন
১ টি
কাঁচা লঙ্কা
৯ টি
পাঁচফোড়ন
পরিমাণমতো
সরিষার তেল
৪.৫ চামচ
লবন
২ চামচ
হলুদ
২.৫ চামচ
জিরা গুঁড়ো
১ চামচ


হর্ণে চিংড়ি, বেগুন,আলু, পেঁয়াজ, রসুন


কাঁচা লঙ্কা, সরিষার তেল, লবন, হলুদ, জিরা গুঁড়ো


এখন এই মজাদার রেসিপিটা যেভাবে প্রস্তুত করলাম---


✠প্রস্তুত প্রণালী:✠


➤হর্ণে চিংড়িগুলোকে প্রথমে কেটে নিতে হবে এবং পরে জল দিয়ে ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে। এরপর আমি নতুন আলুগুলোর খোসা হালকা ফেলে দিয়ে ছোট ছোট পিচ করে কেটে নিয়েছিলাম এবং পরে জল দিয়ে পরিষ্কার করে নিয়েছিলাম।

➤বেগুনটিকে কেটে ছোট ছোট পিচ করে নিয়েছিলাম এবং জল দিয়ে ধুয়ে নিয়েছিলাম। এরপর পেঁয়াজ এবং রসুনের খোসা ছাড়িয়ে নিয়ে পেঁয়াজ কুচি আর রসুনের কোয়াগুলো আলাদা করে নিয়েছিলাম। কাঁচা লঙ্কাগুলো কেটে নিয়েছিলাম।

➤হর্ণে চিংড়িগুলোর গায়ে লবন আর হলুদ দিয়ে দিয়েছিলাম এবং পরে গায়ে ভালো করে মাখিয়ে নিয়েছিলাম।

➤হর্ণে চিংড়িগুলো ভাজা মতো করে নিয়েছিলাম। এরপর আলুর পিচগুলো ভালো করে ভেজে তুলে নিয়েছিলাম।

➤বেগুনের পিচগুলো ভালো করে ভেজে নিয়েছিলাম। এরপর পেঁয়াজ কুচি আর রসুনের কোয়া একসাথে ভালো করে ভেজে নিয়েছিলাম।

➤কড়াইতে অল্প তেল দেওয়ার পরে পাঁচফোড়ন দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর তাতে ভাজা আলুর পিচগুলো দিয়ে দিয়েছিলাম।

➤ভাজা আলু দেওয়ার পরে তাতে ভেজে রাখা বেগুন দিয়ে দিয়েছিলাম এবং পরে ভাজা হর্ণে চিংড়িগুলো দিয়ে দিয়েছিলাম।

➤সব ভাজা উপাদান দেওয়ার পরে তাতে কাঁচা লঙ্কা আর স্বাদ মতো লবন, হলুদ দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর সব একসাথে নেড়েচেড়ে মিশিয়ে নিয়েছিলাম।

➤মেশানোর পরে তাতে পরিমাণমতো জল ঢেলে দিয়েছিলাম। এরপর তরকারিটা পুরোপুরি হয়ে আশা পর্যন্ত দেরি করেছিলাম।

➤হর্ণে চিংড়ির মজাদার রেসিপি তৈরি হয়ে গেলে তাতে বরাবরের মতো জিরা গুঁড়ো ছড়িয়ে দিয়েছিলাম। আর এই মজাদার রেসিপিটা এখন পরিবেশন করে খাওয়ার জন্য প্রস্তুত। আলু, বেগুনের সাথে হর্ণে চিংড়ির স্বাদ ভোলার মতো না, শুধু খেতে মন চাইবে।

রেসিপি বাই, @winkles

শুভেচ্ছান্তে, @winkles


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

Sort:  
 2 years ago 
হর্ণে চিংড়িকে আমাদের এই দিকে পুচকে চিংড়ি বলে। চিংড়ি ছোট হলের স্বাদের বেলায় কোনো অংশে কম না। বিশেষ করে আলু বেগুন দিয়ে রান্না করলে মুখে লেগে থাকার মতো মজা হয়। আপনি আলু বেশুন দিয়ে খুবই সুন্দর ভাবে হর্ণে চিংড়ির রেসিপি তৈরি করছেন। বিশেষ করে আপনি আলু বেগুন প্রথমে ভেজে নিয়েছেন, এটা আমার অনেক ভালো লেগেছে। কারণ আলু বেগুন ভেজে নিলে সব চেয়ে বেশি মজা হয়।
দাদা রান্নার পর যে রেসিপির একটা ফাইনাল লুক আসছে এটা দেখেই বুঝা যাচ্ছে রান্না কতটা মজা হয়েছে। আপনার রান্না মজা না হয়ে উপায় নাই। আপনি খুবই যত্নসহকারে রান্নার কার্য সম্প্রদান করেন। অনেক সাজানো গুছনো থাকে আপনার রেসিপি। অনেক ধন্যবাদ দাদা, হর্ণে চিংড়ির মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য। 💜💜🤟
 2 years ago 

প্রথমত আমরা বা আমাদের এলাকাসহ আশেপাশের এলাকার সবাই এই হর্ণে চিংড়িকে সবসময় হরিণা চিংড়ি নামে জানি।দ্বিতীয়ত এই চিংড়িকে আমরা হরিণা চিংড়ি বলতাম না,কারণ হরিণা চিংড়ি তো আলাদা ধরনের হয়।এগুলিকে আমরা কাঠালি চিংড়ি বা গোদা চিংড়ি মাছ বলতাম।কারণ এগুলো একটু মাথা মোটা টাইপের হয়।কিন্তু আমরা যে চিংড়িকে হরিণা চিংড়ি বলতাম সেটির মাথা সরু হয় এবং চাপড়া চিংড়ির মতো দেখতে ।তবে চাপড়া চিংড়ির মতো গায়ের রঙ সাদা নয়,গাঁয়ের রংটা হালকা ছাই রঙের হয়ে থাকে।দাদা আপনার চিংড়িগুলি ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করে দেখে আমার মনে হচ্ছে এটি কাঠালি চিংড়ি ও নয়,এটি হচ্ছে গলদা চিংড়ির মাঝারি সাইজের বাচ্চা ,এই অবস্থায় যাকে আমরা ছাটি বলে থাকি।যাইহোক যেকোনো চিংড়ি খুবই স্বাদের হয়ে থাকে, আর আমি চিংড়ি মাছ খুবই পছন্দ করি।যদিও আমার হালকা এলার্জি আছে তবুও চিংড়ি আমার বেশ প্রিয়।চিংড়ি মাছ আলু বেগুন দিয়েই বেশি টেস্টি হয়ে থাকে।তাছাড়া ভেঁজে মাখিয়ে খেলেও দারুণ স্বাদের হয়।চিংড়ি মাছ সকলের প্রিয়,যদিও এটি জলপোকা।😊খুব সুন্দর ও লোভনীয় হয়েছে রেসিপিটা।ধন্যবাদ দাদা সুন্দর রেসিপি শেয়ার করার জন্য।

 2 years ago 

ওয়াও ভাইয়া প্রতিবারের মতো এবারও আপনার রেসিপিটি খুব সুন্দর হয়েছে। আপনি সবসময় খুব মজার মজার রেসিপি আমাদেরকে উপহার দিয়ে থাকেন আজকে টাও তার ব্যতিক্রম নয়। দেখতে খুবই লোভনীয় লাগছে। আমার মনে হয় এমন কোনো মানুষ নেই যে চিংড়ি মাছ পছন্দ করে না। চিংড়ি মাছ সবাই খুবই পছন্দ করে সেটা যে চিংড়ি হোক না কেন। এই হর্নে চিংড়ি মাছের নাম এই প্রথম শুনলাম সেজন্য মাছগুলোকে দেখে ভালো করে চিনে নিলাম। বেগুন আলু দিয়ে চিংড়ি মাছের সত্যি খুব মজাদার একটি রেসিপি তৈরি করেছেন ভাইয়া। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া ঠিক এত সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনার জন্য রইল অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা।

 2 years ago 

সত্যি বলতে দাদা এই মাছের নাম আগে এভাবে শুনিনি তাই ।হর্ণে চিংড়ির মজাদার রেসিপি দেখে খুব ভালো করে মাছগুলো চিনে নিলাম।বরাবরই আপনার রেসিপি অতুলনীয়।রীতিমতো আমি আপনার রেসিপি অংকন এর ভক্ত।রেসিপির প্রতিটি ধাপ আপনি খুবই সুন্দর করে উপস্থাপন করেছেন যা অনেকটাই সহজ মনে হয় আমার কাছে।এবং আপনার রেসিপির বিশেষত্ব হচ্ছে আপনি যেকোন মাছের সাথে এই যে কোন সবজি আগে থেকেই তেলে ভেজে নেন।সত্যিই এটা অনেকটাই আকর্ষণীয়।আর এর জন্য এই রেসিপিটা আরো বেশী মজাদার আরো বেশি সুস্বাদু ও আরো বেশি কালারফুল হয়ে থাকে।আমার বাবা এবং দাদি যখন বেঁচে ছিলেন তখন প্রায় দিন আমাদের বাসায় চিংড়ি মাছ নিয়ে আসত এবং আমার দাদী ও বাবা এই মাছটি অনেক বেশি এবং খুব বেশি প্রিয় তাদের কাছে কোন কাঁটা থাকে না।যে কোন সবজি দিয়েই এই মাছটিকে খেতে অসাধারণ লাগে যা তাদের মুখে শুনেছিলাম।আসলে চিংড়ি মাছ নাকি অমৃতের মতো স্বাদ।

এত চমৎকার একটি রেসিপি আপনি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি সত্যি আপনার রেসিপির তুলনা হয়না অনেক যত্নসহকারে আপনি এত চমৎকার রেসিপি আমাদেরকে উপহার দেয় এজন্য ভালোবাসা ছাড়া আর কি বা আছে দেবার অনেক অনেক ভালোবাসা আপনাকে ভালো থাকবেন প্রিয় দাদা♥♥

 2 years ago 

হর্ণে চিংড়ি স্বাদের দিক থেকে একদম ফাস্টক্লাস। এই চিংড়িগুলো তরকারির সাথে খেতে বেশ মজাদার হয়, তবে কিছু কিছু সবজি ভাজার সাথেও চমৎকার লাগে খেতে।

রেসিপি তৈরিতে আপনার দক্ষতা বরাবরই আমাকে মুগ্ধ করে দাদা। চিংড়ি মাছ দেখতে কেমন সুন্দর লাগে তেমনি খেতেও অনেক সুস্বাদু। ছোট, বড়, মাঝারি সাইজ সব সাইজের চিংড়ি মাছ আমার অনেক ভালো লাগে। দাদা আপনি সব সময় এত সুন্দর ভাবে আপনার রেসিপিগুলো আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেন যে দেখি আর লোভ লেগে যায়। কারণ আপনি সবসময় মজার সব রেসিপি তৈরি করেন। আসলে আলু ও বেগুন দিয়ে চিংড়ি মাছ রান্না করলে খেতে খুবই ভালো লাগে। আমি যখন আপনার রেসিপিগুলো দেখি তখন বারবার মনে হয় আপনি একজন দক্ষ রন্ধনশিল্পী এবং আপনার রন্ধনশিল্পের নিপুণতা সবসময় আমাকে মুগ্ধ করে। কারণ আপনি সবজি দিয়ে সবসময় মাছের রেসিপি গুলো করেন আর যেটা আমার খুবই প্রিয়। মাছ ভুনার থেকে সবজি দিয়ে খেতে আমি বেশি পছন্দ করি। কারন সবজি দিয়ে মাছ খেতে আমার ভালো লাগে। আর যদি চিংড়ি মাছ, আলু ও বেগুন দিয়ে সুন্দর করে রান্না করা হয় তাহলে খেতে অসাধারণ লাগে। বেগুন আমি খুবই পছন্দ করি। আপনার মজার এই রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে আমি এখনই বাজার থেকে চিংড়ি মাছ কিনে নিয়ে আসি এবং বেগুন দিয়ে রান্না করে খাই। চিংড়ি বেগুনের বেশ ভাব রয়েছে। আর যদি মাঝে দু একটা আলু দেওয়া হয় তাহলে তারও বেশি ভালো লাগে খেতে। আলু বেগুন দিয়ে মাছের রেসিপি দেখে আর লোভ সামলাতে পারছিনা। সত্যিই অনেক মজাদার রেসিপি দেখে লোভ বেড়ে যাচ্ছে। আপনি এত সুন্দর ভাবে আলু ও বেগুন দিয়ে চিংড়ি মাছের রেসিপি তৈরি করেছেন যে দেখে মনে হচ্ছে এখনই গরম ভাত নিয়ে বসে পড়ি এই চিংড়ি মাছের রেসিপি খাওয়ার জন্য। কিন্তু দুর্ভাগ্যের ব্যাপার হলেও সত্য আপনি আর আমি অনেক দূরত্বে বসত করি। আসলে কিছু কিছু সম্পর্ক রয়েছে যেগুলো দূরত্ব কোন ব্যাপার নয়। কারণ মনের ভালোবাসা ও মনের টান থাকবে সব দূরত্ব ঘুচে যায়। তেমনি দাদা আপনার শেয়ার করা মজার মজার রেসিপি দেখে বারবার মনে হচ্ছে আমিও যেন এই রেসিপি স্বাদ গ্রহণ করছি। কারণ আপনি এত সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন যে দেখেই মনে হচ্ছে আপনি অনেক তৃপ্তি করে খেয়েছেন। আর আপনি অনেক তৃপ্তি করে খেয়েছেন এজন্য আমাদের অনেক ভালো লেগেছে। কারণ আপনি যদি আপনার তৈরি করা এই মজার রেসিপি নিজে তৃপ্তি করে খেতে পারেন তাহলে অবশ্যই খুবই ভালো হয়েছে খেতে। কারণ পছন্দের রেসিপিগুলো নিজে নিজে তৈরি করার মধ্যে যে রকম আনন্দ কাজ করে তেমনি নিজের রেসিপি যদি ভালো হয় তাহলে খেতে অনেক ভালো লাগে। সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে পরিবারের মানুষকে নিজের তৈরি করা রেসিপি খাওয়াতে। আপনি পরিবারের সকলের সাথে বসে মজার রেসিপি খেয়েছেন নিশ্চয়ই। আপনার তৈরি করা রেসিপি গুলো আপনার পরিবারের মানুষগুলো অনেক তৃপ্তি করে খায় এটা বোঝাই যায়। কারণ আপনি একজন দক্ষ রন্ধনশিল্পী। দাদা আপনাকে আবারো ধন্যবাদ জানাচ্ছি মজাদার একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য এবং আমাদেরকে এই মজার রেসিপি শেখানোর জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা ও ভালোবাসা রইলো দাদা। 💓💓💓💓💓💓💓

 2 years ago 

বরাবরের মতো আজকেও আপনি অনেক মজার একটি রেসিপি নিয়ে আমাদের মধ্যে চলে এসেছেন দাদা। হর্ণে চিংড়ি মাছ এই নামটি আমি প্রথম শুনলাম। তবে আমার মনে হয় অঞ্চলভেদে চিংড়ি মাছের নামের পার্থক্য রয়েছে। কিছু কিছু মাছ রয়েছে যেগুলো সবার অনেক পছন্দের। তার মাঝে সেরা হলো চিংড়ি মাছ। বাঙালিরা চিংড়ি খেতে অনেক পছন্দ করে। সে যাই হোক না কেন খেতে কিন্তু অসাধারণ লাগে। চিংড়ি মাছের প্রতি বাঙ্গালীদের আলাদা লোভ রয়েছে। এমন কোন বাঙালি নেই যারা চিংড়ির প্রতি আকৃষ্ট হন না। আসলে চিংড়ি মাছ দেখতে যেমন লোভনীয় লাগে তেমনি তার মজাদার রেসিপি গুলো অনেক লোভনীয় হয়। চিংড়ি মাছ রান্না করলে খেতে খুবই ভালো লাগে। বেগুন আলু দিয়ে চিংড়ি মাছ রান্না করেছেন দেখে মনে হচ্ছে খুবই সুস্বাদু হয়েছে। আসলে আপনার রেসিপিগুলো আমার সব সময় অনেক ভালো লাগে। কারণ আপনি এত সুন্দর ভাবে সবজি গুলো তেলে ভেজে নিয়ে এরপর রান্না করেন যা দেখলে মনে হয় এখনি খেয়ে ফেলি। আপনি অনেক ধৈর্য্য সহকারে আপনার রেসিপিগুলো তৈরি করেন। এটা আমার কাছে খুবই ভালো লাগে দাদা। আসলে রেসিপি তৈরিতে যদি দক্ষতা ও ধৈর্য না থাকে তাহলে কখনই মজার রেসিপি তৈরি করা যায় না। আপনার রেসিপি গুলো যখন আমি দেখি তখন খুবই ভালো লাগে। কারণ আপনি সুন্দর করে আপনার রেসিপি তৈরি করেন এবং উপস্থাপন করেন। আপনার রেসিপি গুলো সব সময় একটু ইউনিক টাইপের হয়। কারণ আপনি যেমন রেসিপি তৈরি করতে ভালোবাসেন তেমনি রেসিপির মাঝে নতুনত্ব আনতে অনেক ভালোবাসে। খাবারের মাঝে যখন নতুনত্ব আসে তখন খেতে যেমন ভালো লাগে তেমনি তৈরি করতেও ভালো লাগে। আর ভোজন রসিক বাঙালিরা সব সময় ইউনিক রেসিপির দিকে বেশি ঝুঁকে যায়। কারণ ইউনিক রেসিপি তৈরি করতে ও খেতে বাঙ্গালীরা পছন্দ করেন। বাঙালির সেরা রেসিপি গুলোর তালিকায় সবসময় চিংড়ি মাছের স্থান অনেক উপরে। দাদা আজকে আপনি চিংড়ি মাছ দিয়ে আলু বেগুন রান্না করে এরপর আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন যা দেখে আমার খুবই ভালো লেগেছে। দাদা আপনি সবসময় রেসিপি তৈরির শেষের দিকে জিরা গুড়া দেন যা আমার অনেক ভালো লাগে। কারণ জিরা গুড়া দিলে সুন্দর ঘ্রাণ আসে। আপনার রেসিপি এজন্য আমার অনেক ভালো লাগে। আজকে চিংড়ি মাছের খুবই মজার রেসিপি শেয়ার করেছেন। দেখতে যেমন লোভনীয় হয়েছে খেতেও নিশ্চয়ই অনেক লোভনীয় হয়েছে। তবে যাই হোক দাদা মজার রেসিপি শেয়ার করেছেন এজন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি আপনাকে।

 2 years ago 

আলু এবং বেগুনের সমন্বয়ে খুবই সুন্দর একটি হর্নের চিংড়ি রান্নার রেসিপি আজকে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দাদা। এই ধরনের চিংড়ি মাছ আমাদের এলাকায় প্রচুর পরিমাণে দেখতে পাওয়া যায়। আমাদের এলাকায় এই চিংড়ি মাছ গুলোকে বলা হয় ছোট চিংড়ি। আপনার রান্না করা রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে এটি খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছিল। আপনার রান্না করার রেসিপি দেখে আমার মনে হচ্ছিল যদি এখনই এটা খেতে পারতাম তাহলে অনেক ভালো হতো। রেসিপিটি তৈরীর প্রত্যেকটি ধাপ আপনি আমাদের মাঝে খুবই সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন দাদা। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা এমন সুন্দর একটা রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

 2 years ago 

এই হর্ণে চিংড়ির নাম প্রথম শুনলাম।তবে এই চিংড়ি প্রায় সময় ই আনা হয় বাসায়। তবে হর্ণে নাম নয়,কি নাম তা এখন মনে পরছেনা আমার।তবে এই চিংড়ি গুলো দারুণ স্বাদের হয়।

 2 years ago 

দাদা আপনি আজকে আবারো একটি নতুন রেসিপি নিয়ে চলে আসলেন আজকেও আমার কাছে এই রেসিপি ইউনিক লেগেছে।আমি এভাবে কখনও রান্না করে দেখিনি। আপনি আলু বেগুন দিয়ে যেভাবে চিংড়ি মাছ রেসিপিটি তৈরি করেছেন দেখেই বুঝা যাচ্ছে কতটা সুস্বাদু হয়েছে। চিংড়ি মাছ ভেজে রাখা দেখে খুবই লোভনীয় লাগছে। এভাবে শুধু ভেজে রেখে খেতে অনেক ভালো লাগে। আপনার সম্পূর্ণ রেসিপি শেষ করার পর রেসিপি কালারটা দেখে বুঝা যাচ্ছে কতটা সুস্বাদু হয়েছে। এভাবে চিংড়ি মাছ রান্না করলে আর কোন তরকারির প্রয়োজন হয় না। দুপুর বেলা এত সুন্দর একটা রেসিপি দেখে খুব খেতে ইচ্ছে করছে।এত সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই দাদা। আপনার জন্য অনেক শুভকামনা রইল।

 2 years ago 

চিংড়ি মাছ খেতে খুব পছন্দ করি কিন্তু কোন সিঙ্গারের নাম কি এটা জানি না। হর্ণে চিংড়ি এই নামটা আমি প্রথম শুনলাম। আপনার রেসিপি প্রণালী এবং তরকারির কালার দেখে মনে হচ্ছে খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। আসলে চিংড়ি মাছ যেকোন সবজি দিয়ে রান্না করলে অনেক মজাদার হয়। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা আমাদের মাঝে এত সুন্দর একটি চিংড়ি মাছের রেসিপি তুলে ধরার জন্য।

Coin Marketplace

STEEM 0.28
TRX 0.12
JST 0.032
BTC 67186.90
ETH 3110.36
USDT 1.00
SBD 3.77