ওয়েব সিরিজ রিভিউ: পর্ণশবরীর শাপ ( পর্ব ৩ )
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি। |
---|
আজকে আপনাদের সাথে 'পর্ণশবরীর শাপ' ওয়েব সিরিজটির তৃতীয় পর্ব রিভিউ দেব। এই পর্বের নাম হলো "লজ্জা করছে"। গত পর্বে শেষ দেখেছিলাম যে, তারা অর্নার এই বিষয়ে সমস্যাগুলো সমাধানের জন্য ভাদুড়ী নামের একজনের সাথে যোগাযোগ করে। এরপর তিনি এসে কিভাবে এই সমস্যা সমাধান করছে সেটা দেখবো এই পর্বে।
✠কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:✠
☫মূল কাহিনী:☫
অনিন্দিতা আর গৌরব তারা দুইজনে পরামর্শ করেছিল যে, অর্নাকে ডক্টরের কাছে না নিয়ে গিয়ে বাড়িতে রেখেই ঠিক করার চেষ্টা করতে হবে। তাই তারা তাদের ভাদুড়ী স্যারকে ডাক দেয়, এই ভাদুড়ী লোকটা অনিন্দিতার পরিচিত হলেও আবার অর্নার জেঠ্যু টাইপের হয়। ওনাকে ডাকার সাথে সাথে এই বিষয়টা দেখার জন্য সেখানে চলে আসে। তবে গৌরব এর বন্ধু এটাতে একদমই রাজি হয়নি, কারণ সে এইসব মন্ত্র বা এইসব বিষয় মানে না আর সে ঠিক করতে পারবে সেটাও তার কাছে একটা সন্দেহজনক লাগে। তবে তার কোথায় গুরুত্ব না দিয়ে তারা যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সেইভাবেই কাজ করতে চায়। অর্না বাইরে না আসলে গৌরব রুমে গিয়ে তাকে ডাকে, কিন্তু তাকে সে রুমের কোথাও পায় না, কারণ সে মাঝে মাঝে এমন আচরণ করছে যেগুলো দিন দিন আরো বেশি অস্বাভাবিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়াচ্ছে। আসলে তার আচরণ মাঝে মাঝে বাচ্চাদের মতোও হয়ে দাঁড়াচ্ছে, শেষে সমস্ত জায়গায় খোঁজার পরে খাটের নিচে দেখে তার সেই রুমাল নিয়ে ঘাটাঘাটি করছে।
সাধারণত তার চোখমুখের অবস্থা খুবই খারাপ পর্যায়ে চলে আসে কয়েকদিনের মধ্যে, যেন কেউ তার শরীরটাকে ব্যবহারের সাথে সাথে অত্যাচারও করছে। তার কথা বলার ধরণ, গলার স্বর সবকিছুই যেন একটা অন্যরকম অর্থাৎ সে কথা বলছে ঠিকই, কিন্তু তার ভিতরে কথা বলছে অন্য কেউ। এরপর ভাদুড়ী লোকটা নিজেই রুমের ভিতরে আসে এবং তার সাথে কথা বলার চেষ্টা করে, কিন্তু অর্না তাকেই বলছে 'ওকে ডাক' এই শব্দটা বারবার উচ্চারণ করছে। এছাড়া সে রুমের ভিতরে যা যা করছে সেগুলো তিনি ছবি তুলে নিয়ে বিষয়গুলো এনালাইসিস করার চেষ্টা করতে থাকে। এরপর তারা সবাই বাইরে এসে একটু আলোচনা করতে লাগে এবং সেই মুহূর্তে ওখানকার কিছু লোকজন এসে বলে একজন জঙ্গলের ভিতরে কিছু একটা দেখেছে আর সেটা দেখার ফলে অসুস্থ হয়ে পড়েছে। এরপর গৌরব আর তার বন্ধু বিষয়টা দেখার জন্য সেই লোকটার বাড়িতে চলে যায় এবং সেখানে গিয়ে দেখে সে বমি করছে অনবরত।
এরপর তাকে বিষয়টা জিজ্ঞাসা করলে বলে জঙ্গলের ভিতরে সে একজনকে দেখে যে নাকি মানুষের শরীরের রক্ত পান করছে আর দেখতে অদ্ভুত ধরণের। এরপর এই কথা শুনে গৌরব আর তার বন্ধু আবার সেই জঙ্গলের ভিতরে যাওয়ার চিন্তা করে আর কি ঘটনা ঘটেছে সেটা ছানবিন করতে চায়। তারা ভিতরে গেলে দুইজন দুইদিকে খুঁজতে থাকে লোকটার বর্ণনা অনুযায়ী। তবে গৌরব এর বন্ধু অনেকটা দূরে চলে গেলে তাকে তার বন্ধু ডাকছে এমনটা তার ফিল হচ্ছে, কিন্তু বাস্তবে হচ্ছে অন্য কিছু। গৌরব এর বন্ধুও এইরকম সামনে একজনকে দেখতে পায় এবং দেখে চমকে যায়। কিন্তু পরে তার সামনে থেকে সেই মহিলাটা অদৃশ্য হয়ে যায়, তবে সেই আত্মা রূপে মহিলাটা তার পিছনেই ছিল।
☫ব্যক্তিগত মতামত:☫
এই পর্বে আসলে ভাদুড়ী লোকটা অর্নার যেসব কার্যকলাপ দেখেছে সেই বিষয়গুলোর উপরে স্টাডি শুরু করে দেয়। আর সে যে কাঠের মেঝেতে নখ দিয়ে আঁচড়াচ্ছিলো, সেটা আসলে সে কিছু একটা আঁকার চেষ্টা করছিল এবং তাতে কিছু লেখারও চেষ্টা করছিলো। অর্থাৎ এইটার মাধ্যমে কিছু একটা সংকেত বা বোঝানোর চেষ্টা করছে। কিন্তু অর্না এইটা অসম্পূর্ণ রেখে দেয়। এছাড়া ভাদুড়ী পরে অর্নার রুমে একা দেখা করতে যায় এবং এই বিষয়ে জানতে চায়, কিন্তু সে ঘরে সবকিছু ভেঙেচুরে একাকার করে ফেলে। ভাদুড়ী রুমে চেয়ারে বসতে গেলেও যেন কে একজন পিছন থেকে টেনে সরিয়ে দেয়, আসলে অর্নার ভিতরে যে আত্মা আছে সে, ভিতরে এবং বাহিরে সমানভাবে বিরাজ করছে, এটা বাকিরা না দেখতে পেলেও ভাদুড়ী তার মন্ত্রশক্তির জোরে দেখতে পায়। তার উপর অর্না হামলাও করতে আসে, কিন্তু মন্ত্রশক্তির জোরে তাকে ঠান্ডা করে ফেলে। এখন গৌরব এর বন্ধু ওই জঙ্গলের ভিতরে যে আত্মার মুখোমুখি হতে যাচ্ছে সেটার কি অবস্থা হয় সেটা দেখার বিষয়, যদিও এখনো সে পিছনে দেখেনি যে দাঁড়িয়ে আছে।
☫ব্যক্তিগত রেটিং:☫
৮/১০
☫ট্রেইলার লিঙ্ক:☫
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
এমন হরর টাইপের ওয়েব সিরিজ দেখতে ভীষণ ভালো লাগে দাদা। অর্নার উপরে তাহলে ভয়ংকর আত্মা ভর করেছে। তবে ভাদুড়ী লোকটা মনে হচ্ছে বেশ বিচক্ষণ এবং সাহসী। আশা করি ভাদুড়ী মন্ত্রের সাহায্যে অর্নাকে মুক্ত করতে পারবে ভয়ংকর আত্মার কাছ থেকে। তবে গৌরব এবং তার বন্ধু জঙ্গলে গিয়ে তো ঝামেলায় পড়ে গিয়েছে মনে হচ্ছে। পরবর্তীতে জঙ্গলে কি হলো গৌরব এবং তার বন্ধুর সাথে, সেটা জানার আগ্রহ অনেকাংশে বেড়ে গিয়েছে। আশা করি পরবর্তী পর্ব খুব শীঘ্রই শেয়ার করবেন আমাদের সাথে। ওয়েব সিরিজের রিভিউ পড়ে খুব ভালো লাগলো দাদা। যাইহোক এমন ভয়ানক একটি ওয়েব সিরিজের রিভিউ আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।
দাদা মুভিটি এই পর্যায়ে এসে ভয়ংকর রুপ নিচ্ছে। যেহেতো ভাদুড়ী স্যার এসেছে সে অর্নার বিষয়ে সব কিছু পর্যবেক্ষন করে সিদ্ধান্ত নিবে। কিন্তুু হঠাৎ করে আবার জঙ্গলের ভিতরে আবার কি হলো যার ফলে গৌরব আর তার বন্ধু ছুটে চলে গেছে। যেহেতো ঐ লোকটা জঙ্গলের ভিতরে কিছু এটা দেখে বমি করছে,সেহেতো তাকেও বাদুড়ী স্যারের কাছে নিয়ে আসা উচিৎ ছিল। অথচ তা না করে গৌরব আর তার বন্ধু জঙ্গলের ভিতরে চলে গেলো। আর সেখানে গিয়ে তারা দুই জন আবার আলাদা হয়ে সেই অদ্ভুত জিনিষটাকে খুজতে লাগলো। এখন দুই জনের উপর আবার কোন বিপদ আসে কি না সেটাও দেখার বিষয়। এখন মুভিটা যে পর্যায়ে গেছে তাতে ভয়ে শরীর ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছে। আবার সেই দিকে অর্নাও রুমের মধ্যে অদ্ভুত সব কান্ড করছে। ভাদুড়ী স্যারকে তার রুমে বসতে দিচ্ছে না,কাঠের মেঝেতে নখ দিয়ে আঁচড়াচ্ছিলো,এখানে কিছু একটা আঁকার চেষ্টা করছিল এবং তাতে কিছু লেখারও চেষ্টা করছিলো। যদি সেটা লিখে শেষ করে ফেলতো তাহলে ভাদুরী স্যার হয়তো বিষয়টা ভালোভাবে বুঝতে পারতো। এখন পরের পবে জঙ্গলে গৌরব আর তার বন্ধুর কি অবস্থা হয় সেটাই দেখার বিষয়। ধন্যবাদ দাদা।
দাদা আপনি আজকে অনেক সুন্দর করে পর্ণশবরীর শাপ ওয়েব সিরিজের তৃতীয় পর্ব সবার মাঝে শেয়ার করেছেন। আর দেখছি এই পর্বটার নাম ছিল লজ্জা করছে। এই ওয়েব সিরিজের প্রথম দুইটা পর্ব পড়েছিলাম। এই জন্য তৃতীয় পর্ব পড়ার জন্য অপেক্ষায় ছিলাম। এর আগের পর্ব দেখেছিলাম অর্নার এরকম আচার-আচরণ দেখে তারা ভাদুড়ী নামের একটি লোকের সাথে যোগাযোগ করেছিল। যিনি এই সকল সমস্যার সমাধান করে থাকে। এখন তো দেখছি ওই লোকটা এসেছে। কাঠের মেঝেতে নখ দিয়ে আঁচড়ানোর বিষয়টা এখনই স্পষ্টভাবে বুঝতে পারলাম দাদা। অর্নার ভেতরে যে আত্মাটা রয়েছে সে এই সব রকমের কাজগুলো করতেছে। আর এখন তো দেখছি গৌরবের ওই বন্ধুটা যে মহিলাটিকে দেখে চমকে গিয়েছিল, সে হঠাৎ করে তার সামনে থেকে অদৃশ্য হয়ে গিয়েছিল। আর এখন দেখতেছি ওই মহিলাটি পেছনে ছিল। আত্মার রূপের মহিলাটি কি করে এটাই ভাবতেছি এখন। এখন গৌরবের বন্ধু আত্মার মুখোমুখি হতে যাচ্ছে, এরপর তার কি হবে এটা ভেবে ই চিন্তা হচ্ছে। শেষ পর্যন্ত কি হয় এটা দেখার অপেক্ষায় থাকলাম দাদা।
দাদা আমি তো আপনার এরকম সুন্দর ওয়েব সিরিজ গুলো রিভিউ পোস্ট পড়ার জন্য সব সময় অপেক্ষায় থাকি। পর্ণশবরীর শাপ ওয়েব সিরিজের লজ্জা করছে এই পর্বটা পড়ে আমার কাছে যেমন ভালো লেগেছে তেমনই আবার ভয় লেগেছে। কারণ একটা মানুষের শরীরের মধ্যে যদি আত্মা ভর করে, তাহলে এটা দেখলে সত্যি খুব ভয় লাগে। আর গৌরবের বন্ধুর সাথেও এখন আত্মার দেখা হবে। আত্মার সম্মুখীন হতে চলেছে গৌরবের বন্ধু। তার সামনে থেকে উধাও হয়ে গেলেও পেছনে ছিল ওই আত্মা রুপি মহিলাটা। ভাদুড়ী লোকটা অর্নার সবকিছু দেখে স্টাডি করা শুরু করে দিয়েছিল ওই বিষয়গুলো নিয়ে। যদিও কোন সংকেত দিতে চেয়েছিল কাঠের মেঝের উপর নখ আঁচড়ানোর বিষয়টা দিয়ে। কিন্তু অর্না দেখছি সেটা সম্পূর্ণ হতে দেয়নি। ভাদুড়ী লোকটাকে তো বসতেও দিচ্ছিল না তার ভিতরে থাকা ওই আত্মাটা। আসলে এটার মধ্যে কি কাহিনীর রয়েছে এটাই এখনও বুঝতে পারলাম না? আর ওই আত্মাটাই বা কোথা থেকে এসেছে অথবা কার? পরবর্তী পর্বটার রিভিউ পড়ার জন্য অপেক্ষায় থাকলাম দাদা।
দাদা অনেক সুন্দর ছিল এই ওয়েব সিরিজের তৃতীয় নাম্বার পর্ব টা। অর্নার এরকম কার্যকলাপের জন্য ভাদুড়ী স্যারকে নিয়ে এসেছিল, তবে স্যার যখন এই সকল কার্যকলাপ দেখছিল তখন তিনি বুঝতে পেরেছিল অর্নার শরীরে আত্মা বস করেছে। তিনি এই সবকিছুর প্রতি স্টাডি করছিল। আর দেখছি তিনি যখন বসতে যাচ্ছিলেন তখন ওই আত্মাটা ওনাকে বসতে দেয়নি। আর গৌরবের বন্ধু তো এখন আত্মার সম্মুখীন হতে চলল। আত্মার সম্মুখীন হলে তার সাথে কি ঘটবে?? আত্মা রুপি মহিলাটা প্রথমদিকে তার সামনে থেকে অদৃশ্য হয়ে গিয়েছিল, এটা শুনেই তো আমার খুব ভয় লেগেছে। এর পরবর্তীতে দেখছি ওই আত্মা রুপি মহিলা তার পেছনে চলে গিয়েছে। গৌরবের বন্ধুর সাথে কি ঘটতে চলেছে বুঝতেই পারছিনা?? এটা আশা করছি পরবর্তী পর্বে ক্লিয়ার হব। ধন্যবাদ দাদা। পর্বটা সুন্দরভাবে সুন্দর করে লিখে শেয়ার করার জন্য।
দাদা আপনার এই সিরিজটি যত পড়ছি ততই যেন নিজের মধ্যে কেমন ভয় কাজ করছে। আজও আপনি ওয়েব সিরিজটির তৃতীয় পর্ব তুলে ধরেছেন আমাদের মাঝে। বেশ ভয় লাগছে। আবার খুব কৌতহলও হচেছ যে আগামীতে গৌরব এর বন্ধু ওই জঙ্গলের ভিতরে যে আত্মার মুখোমুখি হতে যাচ্ছে সেটার কি অবস্থা হবে এ কথা ভেবেও। অপেক্ষায় রইলাম আগামী পর্বের।