ঝিঙে দিয়ে বাগদা চিংড়ির তরকারি
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।
আজকে আপনাদের সাথে আমি একটা রেসিপি শেয়ার করে নেবো। আজকে আমি গ্রীস্মকালীন একটা দারুন সবজি দিয়ে তরকারি রান্না করেছি। আজকে আমি ঝিঙে দিয়ে তরকারি রান্না করেছি। আর আজকের ঝিঙে তরকারিটা আমি বাগদা চিংড়ি দিয়ে তৈরি করেছিলাম। ঝিঙের তরকারি গরমের সময়ে বেশ তৃপ্তিদায়ক আর পেট ভারী হয় না এইসব সবজি দিয়ে খেলে। এখন যে প্রচন্ড পরিমানে গরম পড়ছে তাতে এইসব তরকারি খেয়ে থাকাই উত্তম। ঝিঙে কচি অবস্থায় অনেক ভালো লাগে তবে একটু বেশি বতি হয়ে গেলে সিঁঠে মতো হয়ে যায় কিন্তু তাও সেই সিঁঠে চাবানোর সময় মিষ্টি মতো লাগে। কিন্তু কচি অবস্থায় রান্না করে খাওয়ায় বুদ্ধিমানের কাজ। এই ঝিঙে কাঁচা সবজি হিসেবে বিভিন্ন ভাবে তৈরি করে খাওয়া যায় তরকারি ছাড়াও। যাইহোক এই তরকারিটা বড়ো বড়ো বাগদা চিংড়ি দিয়ে খেতে অসাধারণ টেস্ট হয়েছিল যেটা আর না খেলে আপনারাও অতটা মুখের কথা শুনে বুঝতে পারবেন না। তাই আপনারাও বাড়িতে আমার এই তৈরি করা পদ্ধতিতে একবার তৈরি করে খেয়ে দেখতে পারেন। যাইহোক এখন আমি এই রেসিপিটির মূল পর্বের দিকে চলে যাবো।
☬প্রয়োজনীয় উপকরণসমূহ:☬
✔এখন রেসিপিটি যেভাবে তৈরি করা হলো---
❂প্রস্তুত প্রণালী:❂
➤বাগদা চিংড়িগুলোকে প্রথমে ভালোভাবে কেটে নিতে হবে এবং পরে জল দিয়ে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিতে হবে। এরপর আমি ঝিঙের খোসাটা ফেলে দিয়ে কেটে নিয়েছিলাম এবং পরে জল দিয়ে ভালো করে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিয়েছিলাম।
➤আলুগুলোর খোসা ছালিয়ে নিয়ে কেটে ছোট ছোট টুকরো করে নিয়েছিলাম এবং জল দিয়ে ধুয়ে নিয়েছিলাম। পেঁয়াজ দুটির খোসা ছাড়িয়ে নিয়ে কুচি করে নিয়েছিলাম। এরপর কাঁচা লঙ্কাগুলো কেটে নিয়েছিলাম।
➤কেটে রাখা বাগদা চিংড়ির গায়ে লবন আর হলুদ দিয়ে ভালোভাবে গায়ে মাখিয়ে নিয়েছিলাম।
➤চিংড়ি ভালো করে ভেজে তুলে নিয়েছিলাম এবং সেই সাথে আলুর ছোট ছোট পিচগুলো ভেজে নিয়েছিলাম।
➤কড়াইতে তেল দিয়ে জিরা দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর তাতে পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ভালোভাবে ভেজে নিয়েছিলাম।
➤পেঁয়াজ ভাজা হয়ে গেলে তাতে একেবারে ভাজা আলুর পিচগুলো দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর তাতে কেটে রাখা ঝিঙে দিয়ে দিয়েছিলাম।
➤ঝিঙে দেওয়ার পরে তাতে ভাজা বাগদা চিংড়ি এবং অন্যান্য উপাদান যেমন কাঁচা লঙ্কা, লঙ্কার গুঁড়ো, লবন, হলুদ দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর সব উপাদান একসাথে উল্টেপাল্টে মিশিয়ে নিয়েছিলাম।
➤উপাদানগুলো সব একসাথে মেশানো হয়ে গেলে তাতে পরিমাণমতো জল ঢেলে দিয়েছিলাম। জল দেওয়ার পরে তা বেশ খানিক্ষন ধরে ফুটিয়ে নিয়েছিলাম আলু, ঝিঙে সেদ্ধ হয়ে আশার জন্য।
➤সেদ্ধ হয়ে গেলে জ্বাল মিডিয়ামে রেখে দিয়েছিলাম এবং তরকারি শেষ পর্যন্ত হয়ে আশার জন্য ১০ মিনিটের মতো দেরি করেছিলাম।
➤১০ মিনিট পরে আমার হয়ে গেছিলো সুস্বাদু একটা তরকারি। বাগদা চিংড়ি আর ঝিঙের তরকারি খেতে একদম অসাধারণ। আর এখন এটি পরিবেশন করে খাওয়ার জন্য প্রস্তুত।
রেসিপি বাই, @winkles
শুভেচ্ছান্তে, @winkles
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
যে গরম পড়েছে ভালো একটা তথ্য দিলেন দাদা। ঝিঙে আগে খাইতাম তবে এর এই বিশেষ গুন জানতাম ন। তবে ঝিঙে আমি অনেক পছন্দ করি। এটা একদম ঠিক বলেছেন ঝিঙের বয়স বেশি হয়ে গেলে সেইগুলো আর মজা লাগে না। বাজার থেকে কেনার সময় ভালো ভাবে দেখে কেনা উচিত।
আপনি ঝিঙে দিয়ে বাগদা চিংড়ির রেসিপি তৈরি করেছেন। এক দিকে প্রিয় সবজি অন্য দিকে প্রিয় মাছ। আর সাথেতো আলু থাকছেই। জাস্ট অসাধারণ লেগেছে আমার কাছে এই ঝিঙে দিয়ে বাগদা চিংড়ির রেসিপিটি। এমন তরকারি দিয়ে গরম গরম ভাত খাওয়ার মজাই আলাদা। বিশেষ করে চিংড়ির তরকারি দিয়ে ভাত খাওয়ার সময় আমি চিংড়ি বেছে বেছে খেয়ে ফেলি লোভ সামলাতে পারি না।
দাদা আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সময় উপযোগী অসাধারণ এই রেসিপিটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। যে গরম পড়েছে এই রকম সবজিই বেশি বেশি খেতে হবে। আরো এমন রেসিপি দেখতে চাই। দাদা আপনার সুসাস্থ্য কামনা করছি। 💕💕💕
দাদা ,আমি কিন্তু বেশ বুঝতে পারছি ঝিঙে খেতে কতটা টেস্টি কারন চিংড়ি মাছ দিয়ে এটি আমাদের বাড়ি প্রায় রান্না হয়।আর গরমের দিনে এই সবজিটাই বেশি ভালো লাগে খেতে।আসলে এটি হালকা মিষ্টভাবের জন্য বেশি টেস্ট হয় খেতে।তাছাড়া এটি খুবই উপকারী একটি সবজি। কারন-
কচি অবস্থায় এটি যেমন ঔষুধি হিসেবে কাজ করে
বড়ো হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সবজি হিসেবে রান্না করে খাওয়া যায়।তাছাড়া যখন এটি বেশ পরিপক্ক তখন এর শক্ত সিঁঠে খেতে আমার খুবই ভালো লাগে।এটি যখন খুবই পরিপক্ক হয় তখন শুকিয়ে ঝিঙের মধ্যের ছোবলাগুলি ছাড়িয়ে সাবান মাখার জন্য ব্যবহার করা হয় ।
এটি খুবই রুচিসম্পন্ন একটি সবজি যেটা একবার খেলে আবারও খাওয়ার ইচ্ছে জাগে।সুন্দর হয়েছে রেসিপিটা।👌ধন্যবাদ দাদা,ভালো থাকবেন।
সত্যি ভাইয়া আপনি কিন্তু ঠিক বলেছেন ঝিঙে কচি অবস্থায় খেতে খুবই মজা। তবে এটা আমার জানা ছিল না যে ঝিঙে গরমের সময় খেলে পেট ভারী হয় না। দারুন একটা তথ্য জানলাম আপনার পোস্ট মানেই নতুন নতুন তথ্য। গ্ৰীষ্মকালীন এই সবজিটি খেতে আমারও খুব ভালো লাগে। নতুন করে আপনার রান্নার কথা কি বলব আপনার রান্না মানে অসাধারণ। রান্নার কালার দেখে ইচ্ছে করছে একটু নিয়ে খেয়ে ফেলি। কিন্তু কিছু তো করার নেই শুধু দেখে চোখ জুড়াতে হবে। সত্যি ভাইয়া বাগদা চিংড়ি মাছ দিয়ে ঝিঙের তরকারিটা অসাধারণ রান্না করেছেন। প্রতিনিয়ত আমাদের মাঝে এত সুন্দর সুন্দর রেসিপি দেওয়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
দাদা আমি প্রথমেই বলতে চাই আপনার আজকের শেয়ার করা রেসিপি খুবই লোভনীয় হয়েছে। আপনি সবসময়ই লোভনীয় সব রেসিপি শেয়ার করেন। আসলে এই গরমে ঝিঙের তরকারি খেতে অনেক ভালো লাগে। আর সাথে যদি হয় আলু ও বড় বড় চিংড়ি মাছ তাহলে তারও বেশি ভালো লাগে খেতে। চিংড়ি মাছ আমার অনেক প্রিয়। আর ঝিঙে দিয়ে চিংড়ি মাছ আমি অনেকবার খেয়েছি। আজকে আপনার কাছে আরও সুন্দরভাবে এই রেসিপি শিখেনিলাম। ঝিঙে ও আলু দিয়ে বাগদা চিংড়ি মাছের লোভনীয় রেসিপি তৈরির সম্পূর্ণ পদ্ধতি আপনি অনেক সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন দাদা। আপনার রন্ধনশিল্পের নিপুণতায় আপনি খুবই মজার একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন এজন্য আপনাকে জানাচ্ছি ধন্যবাদ। সেই সাথে আপনার জন্য শুভকামনা ও ভালোবাসা রইলো দাদা।❤️
ঝিঙে দিয়ে বাগদা চিংড়ির তরকারি দেখে অনেক সুস্বাদু মনে হচ্ছে। আপনি খুবই সুন্দর ভাবে ধাপে ধাপে রেসিপিটি তৈরি করলেন। আসলে দাদা ঝিঙে খুবই ভাল একটি সবজি। এই সবজি ভাজি খেতে আমার খুবই মজাদার লাগে। তরকারি অনেক মজাদার হয়। তবে ভাজি আমার কাছে খুবই প্রিয়। যদি গরম ভাতের সাথে এই জিঙে ভাজি দিয়ে ভাত খাওয়া হয়। তাহলে খুবই মজা লাগে। তবে কচি ঝিঙে দিয়ে তরকারি রেসিপি সুস্বাদু লাগে। আপনি খুবই সুন্দর ভাবে ঝিঙ্গে দিয়ে গলদা চিংড়ি মাছের রেসিপি তৈরি করলেন। আসলে গলদা চিংড়ি মাছের রেসিপি অনেক মজাদার।এখন গরম পড়েছে আর এই গরমকালে ঝিঙে রেসিপি আমাদের প্রত্যেকের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ঝিঙে পেট ঠান্ডা রাখে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমাদের মাঝে সুস্বাদু রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
সত্যিই তাই। কারণ মুখের কথায় কখনো কোনো কিছুর গভীরতা বুঝা যায় না।আপনি বরাবরের মতো খুবই উপাদেয় একটি রেসিপি নিয়ে আমাদের মাঝখানে হাজির হয়েছেন। বাগদা চিংড়ি শেষ খেয়েছিলাম গত রোজার মধ্যে।
এক কথায় মুখে লেগে থাকার মতো এর স্বাদ।তবে কখনো ঝিঙে দিয়ে খাওয়ার সৌভাগ্য হয়ে উঠেনি।বাগদা চিংড়ির এমনিতেই যে স্বাদটা আমি পেয়েছি তার মধ্যে আপনার দেখানো রেসিপি অনুসারে ঝিঙে দিয়ে তৈরি করে খেলে যে কতটা স্বাদ লাগবে তা আর বলার ভাষা রাখে না।তবে একটা কথা না বললেই নয়,"চিংড়ি কিন্তু কোনো মাছ নয়,এক ধরনের পোকা"।
বরাবরের মতো আপনার সম্পূর্ণ পোস্টটির যে গোছানোর একটা মহিমা সেটার প্রশংসা না করে থাকা খুব কষ্টের। আপনার জন্য দাদা বাংলাদেশ থেকে অসংখ্য ভালোবাসা এবং দোয়া সবসময় ছিল,আছে,থাকবে।🖤
ঝিঙে দিয়ে চিংড়ি মাছের রেসিপি ওয়াও দেখেই লোভ হচ্ছে প্রস্তুত প্রণালি খুব সুন্দরভাবে তুলে ধরেছেন খেতে খুব সুস্বাদু হয়েছিল এতে কোন সন্দেহ নেই ধন্যবাদ দাদা সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য
দাদা এটা আপনি একদম ঠিক বলেছেন। ঝিঙ্গে কচি খাওয়াই ভালো। কচি ঝিঙ্গে এর সাথে যে কোন মাছ দিয়ে রান্না করলে খেতে অনেক ভালো লাগে। আমার আম্মুর ঝিঙ্গে গাছ আছে সেখান থেকে আম্মু ঝিঙ্গে ধরলে কচি কচি থাকতে গাছ থেকে ছিঁড়ে নিয়ে আসে। বেশি বাতি হয়ে গেলে ওটা খেলে তেমন একটা ভালো লাগে না চিবিয়ে চিবিয়ে খেলে অনেকগুলো শ্বাসের মত বের হয়। সব সময় ঝিঙ্গে রান্না করে খেয়েছি। রান্না ছাড়া জে এটি খাওয়া যায় সেটা আগে জানতাম না। আপনি যেহেতু বলেছেন একবার খেয়ে দেখব। আম্মু সব সময় বড় মাছ দিয়ে ঝিঙে রান্না করে। চিংড়ি দিয়ে কখনো রান্না করে খাই নি দাদা। আপনার রেসিপিটি দেখে মনে হচ্ছে চিংড়ি দিয়ে খেতে এটা অত্যন্ত সুস্বাদু। তাই আম্মুকে বলব অবশ্যই চিংড়ি দিয়ে যেন একবার রান্না করে। আর এই গরমে আমাদের সকলেরই উচিত বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি খাওয়া শরীর খারাপ করে না।খুব লোভনীয় একটা রেসিপি শেয়ার করেছেন দাদা ।আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ।আপনার জন্য শুভেচ্ছা রইল।
ঝিঙ্গে আবার একটু পেকে গেলে আমার একেবারেই খেতে ভালো লাগে না। মুখে কেমন একটা জানি লাগে। তবে কচি অবস্থায় ভাজি করলে আমার খুব মজা লাগে। এভাবে রান্না করে কখনো খাইনি।
কচি অবস্থায় সব কিছু দারুন লাগে। এইভাবে খেয়ে দেখবেন এক সময়, ভালো টেস্ট।
আশা করি ভাইয়া, ভালো আছেন? আপনার রেসিপি কালার টা খুবই অসাধারণ হয়েছে। বাগদা চিংড়ির কথা শুনে খাওয়ার জন্য মন খুব ছটফট করতেছে। আপনি খুব সুন্দর করে অত্যন্ত দক্ষতার সহকারে ঝিঙে দিয়ে বাগদা চিংড়ির তরকারি রান্না করেছেন। বেস্ট দুর্দান্ত হয়েছে এত অসাধারণ রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই। ভালো থাকবেন ভাইয়া।