তিরুবনন্তপুরমে ৪২৬ রানের এক অসাধারণ টি২০ ম্যাচ
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি। |
---|
আজকে আপনাদের সাথে খেলাধুলা বিষয়ক একটি পোস্ট শেয়ার করে নেবো। গতকাল ভারত আর অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে দ্বিতীয় টি২০ ম্যাচ খেলা হয়েছে। বিশ্বকাপ এর মধ্যেই এই প্লানটা করে রেখেছিলো বোর্ড। তবে এই বিশ্বকাপে মোটামুটি যারা বেশি খেলেনি তাদের নিয়েই ইন্ডিয়া একটি টিম গঠন করেছে, অস্ট্রেলিয়াও তাই, কিন্তু তাদের টিমে কয়েকজন ভালো প্লেয়ারও ছিল, যেমন-স্মিথ, ম্যাক্সওয়েল। গতকাল তিরুবনন্তপুরম মাঠে খেলাটা হয়েছিল, আর এই পিচ সবসময় ব্যাটিং পিচ হিসেবে বিবেচিত। তবে অস্ট্রেলিয়া টসে জিতে পরে ব্যাট করার সিদ্ধান্তটা নিয়েছিল, সেটা একেবারে খারাপ নেয়নি। কারণ বেশি রাতের দিকে কুয়াশা পড়লে ঘাস ভিজে থাকবে আর বলও খারাপ হয়ে যাবে, ফলে স্পিন বা পেচ কোনোটাই কাজ করবে না, ফলে এক্ষেত্রে রানও ভালো তোলা যাবে।
তবে এক্ষেত্রে একটা বিষয় যে, বল নতুন অবস্থায় যদি স্পিনাররা কাজে লাগাতে পারে, তাহলে প্রথম পাওয়ারপ্লে ওভারেই ২-৩ টি উইকেটের পতন ঘটাতে পারে। তবে ইন্ডিয়া ব্যাটে এসে যা শুরু করেছিল, বিশেষ করে জয়সওয়াল, যেন বলে বলে ৪ এর বৃষ্টি হচ্ছিলো। কোনোমতেই আটকাতে পারছিলো না। ৬ ওভারে স্ট্রাইক রেট ২০০ তুলে দিয়েছে, যেটা অনেক কম দেখা যায়। আর এই জয়সওয়াল যে পুরোনো প্লেয়ার তা কিন্তু না, আন্তর্জাতিক ম্যাচ খুব কমই খেলেছে, বেশি আইপিএল খেলে থাকে। এই পিচে এতো ভালো প্রদর্শন করবে অস্ট্রেলিয়ান বোলারদের বিপক্ষে, এটা ভাবাই যায়নি। পাওয়ারপ্লে তে রান রেট ১৩+ রেকে দিয়েছিলো, তবে বেশিক্ষণ না টিকতে পারলেও যে রান তুলে দিয়ে গিয়েছিলো সেটা অনেকটা নেক্সট ব্যাটসম্যানদের জন্য সুবিধা হয়েছিল।
৭ ওভার থেকে রান অনেকটা কমে গেলেও পরে ঈশান এসে আবার ঝড় তুলে দিলো, সে মানে ওয়াইড বলও মানতে রাজি না, সব বল তাড়িয়ে ধরে মেরেছে হা হা। তবে ঈশান আরো কিছুক্ষন ভালো খেলতে পারতো যদি এই ওয়াইড বলগুলো এইভাবে না খেলতো, এই খেলতে গিয়েই ক্যাচ তুলে দেয়। তারপরে আবার লাস্টের দিকে আরেকজন রিঙ্কু সে এসেই মার, মাত্র ৯ বল খেলে ৩৪৪ স্ট্রাইক রেট তুলে দিয়েছে। মোটামুটি সবাই যেভাবে মেরেছে তাতে তাদের দলীয় রান ২৩৫ উঠে গিয়েছে, যেটা অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টি২০ ম্যাচে এই সর্বপ্রথম এতো রান। তবে ১২০ বলে এই রান চেজ করা যেকোনো বড়ো টিমের পক্ষেও একটা হিমশিম খাওয়ার মতো। তবে এই রানটা এই পিচে দরকার ছিল, নাহলে জেতা অসম্ভব ছিল, ২০০ করলেও কোনোমতে ম্যাচ বেরিয়ে যেত।
অস্ট্রেলিয়াও শুরু করেছিল ভালো, তবে ইন্ডিয়া আসল জায়গায় বুদ্ধিটা লাগিয়েছে বলেই আজকে ম্যাচটা হাতের মুঠোয় রাখতে পেরেছে। কারণ বল একবার ভিজে খারাপ হয়ে গেলে কাজ করবে না, সেক্ষেত্রে বল নতুন থাকতে থাকতেই আসল উইকেটগুলো ফেলে নিয়েছে। বেশিটাই স্পিনারের সামনে গিয়েছে, বিষ্ণই এর হাত দিয়েই শুরু হয় উইকেট পড়া। তবে অস্ট্রেলিয়ার ২-৩ ব্যাটসম্যান ভালোই খেলেছে লাস্টে, ফলে রান ২০০ এর কাছেও চলে গিয়েছে। মোটামুটি ভালোই একটা খেলা হয়েছে দুই টিমের মধ্যে, ভালোই ছিল একই পিচের উপর ৪২৬ রানের দারুন ম্যাচ।
শুভেচ্ছান্তে, @winkles
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
দাদা আপনি আজকেও অনেক সুন্দর একটা খেলা বিষয়ক পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। যেটা আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। গতকালকে ভারত এবং অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে দ্বিতীয় টি২০ খেলা ছিল এটা আমি জানতাম না। সর্বপ্রথম আপনার এই পোষ্টের মাধ্যমে জানতে পেরেছি এই খেলার বিষয়টা। ইন্ডিয়া আসল জায়গায় বুদ্ধিটা লাগিয়েছিল এবং কি এটার কারণে ম্যাচ টা কে হাতের মুঠোয় রাখতে পেরেছিল, এটা জেনে তো আরো বেশি ভালো লেগেছে দাদা। অনেক সুন্দর করেই সম্পূর্ণটা তুলে ধরা হয়েছে। একই পিচের উপর ৪২৪ রানের আসলেই অনেক সুন্দর এবং দারুণ একটা ম্যাচ ছিল। ঈশান এসে ঝড় তুলে দিয়েছিল, প্রথম দিকে যদিও সাত ওভার থেকে রান কমে গিয়েছিল। দাদা আমি তো মনে করি খেলার দেখারই প্রয়োজন হয় না, যদি আপনার পোস্টগুলো ভালোভাবে পড়া হয় তাহলে। অনেক সুন্দর করে আপনি সম্পূর্ণটা আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। এই বিষয়টা আমার কাছে সত্যি অনেক বেশি ভালো লেগেছে।
আপনার পোস্ট পড়ে বুঝতে পারলাম অসাধারণ একটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছিল ।সত্যিই বেশি রানের স্কোর হলে খেলা দেখার মধ্যে প্রকৃত আনন্দটা খুঁজে পাওয়া যায় কারণ চার ছক্কার জন্যই খেলার আনন্দ তার পাশাপাশি উইকেট। দুটো দলেই ভালই খেলেছে কিন্তু প্রথমে অনেক রান তারা করাটা খুবই কঠিন। সেজন্য অস্ট্রেলিয়া হেরে গিয়েছে ভালো লাগলো খেলার রিভিউ পড়ে।
এইজন্যই তো টি-টোয়েন্টি খেলা দেখতে আমার কাছে সব থেকে বেশি ভালো লাগে। কারণ এই খেলা গুলোতে অনেক মজা থাকে কেননা অল্প সময়ের মধ্যে অনেক রান হতে আমরা দেখতে পাই। দ্বিতীয় খেলাতেও ভারত জয় লাভ করল বিষয়টা আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে।
এমন হাই স্কোরিং ম্যাচ দেখতে আসলেই খুব ভালো লাগে। স্টেডিয়ামের গ্যালারিতে বসে থাকা দর্শকেরা অবশ্যই বেশ উপভোগ করেছে। এই ম্যাচটি আমার দেখা হয়নি, তবে খেলা চলাকালীন সময়ে বেশ কয়েকবার স্কোর দেখেছিলাম। আসলে ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের কোনো তুলনা হয় না। একের পর এক হার্ড হিটার ব্যাটসম্যান এবং কোয়ালিটি সম্পন্ন ব্যাটসম্যান বের হয়ে আসছে। আসলে এমন ম্যাচ দেখাকালীন সময় মনে হয় যে হাইলাইটস দেখছি। কারণ একের পর এক বাউন্ডারি এবং ওভার বাউন্ডারি হাঁকান ব্যাটসম্যানরা। পাঁচ ম্যাচের এই টি-টোয়েন্টি সিরিজে ভারত ২-০ তে এগিয়ে গেল। আগামীকালকে তৃতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে এই দু'দলের মধ্যে। আশা করি এই সিরিজটি ভারত জিততে সক্ষম হবে। আগামীকালকের ম্যাচটি অবশ্যই দেখার চেষ্টা করবো। যাইহোক এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।
দাদা আপনি আজকে দারুন একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন। খেলাধুলা বিষয়ক পোস্টগুলো পড়তে আমার ভীষণ ভালো লাগে। যদিও খুব একটা খেলা দেখার সুযোগ হয় না। তবে আপনার পোস্টগুলো পড়ার মাধ্যমে সবকিছু ভালোভাবে বুঝতে পারি। ভারত এবং অস্ট্রেলিয়ার মধ্যকার এই দ্বিতীয় ম্যাচটি দারুন ছিল। ভারত টিম সব সময় দারুন খেলে। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। একেবারে টানটান উত্তেজনা ছিল খেলার মাঝে। ৪২৬ রানের এক অসাধারণ পারফরমেন্স সত্যিই মনমুগ্ধকর ছিল। দর্শকদের মাঝে দারুন উত্তেজনা তৈরি হয়েছিল বোঝাই যাচ্ছে। এত উত্তেজনা পূর্ণ ম্যাচ দেখার আনন্দ সত্যি অনেক বেশি। আসলে খেলার আনন্দ উপভোগ করার মাঝে অনেক বেশি ভালো লাগা রয়েছে। তবে ভারতের ব্যাটসম্যানরা সবসময় দারুন পারফরম্যান্স করে। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। যেহেতু এবারের ম্যাচটিতে ভারত বিজয় অর্জন করেছে আশা করছি পরবর্তী ম্যাচেও তারা ভালো পারফরম্যান্স করবে। দাদা আপনি এত সুন্দর করে স্পোর্টস রিভিউ আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন এজন্য অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
দাদা ৪২৬ রানের এক অসাধারণ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ হয়েছিল এটা জেনে ভালো লেগেছে। আমার তো আপনার রিভিউটা পড়তেই অসম্ভব ভালো লেগেছে দাদা। দেখেই বুঝতে পারছি খেলার মাঠে থাকা দর্শকরা, এই খেলাটা অনেক বেশি উপভোগ করে দেখেছিল। এরকম ম্যাচ হলে তো সুন্দরভাবে উপভোগ করে দেখারই কথা। ভারতের ব্যাটসম্যানরা সবসময় অনেক সুন্দর ভাবে ম্যাচটা খেলে। তাদের পারফরমেন্স আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। আশা করছি এর পরবর্তী ম্যাচেও ভারত বেশ ভালোই খেলতে পারবে। ব্যস্ততার কারণেই যদিও আমার খেলা দেখা হয় না, তবে আমি আপনার খেলা বিষয়ক পোস্ট গুলো প্রতিনিয়ত পড়ে ম্যাচগুলোর সম্পর্কে ধারণা নিতে পারি। ভালোই খেলা হয়েছিল দুই রানের মধ্যে যা বুঝতেই পারছি। আপনি এই টি-টোয়েন্টি ম্যাচের এত সুন্দর করে রিভিউ তুলে ধরেছেন দেখে, আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে দাদা। আশা করছি সব সময় আপনার পোস্টগুলোর মাধ্যমে খেলা বিষয়ক পোস্টগুলো দেখতে পাবো দাদা।
জী দাদা অস্ট্রেলিয়া আর ভারতের এই টি২০ সিরিজটার কথা বিশ্বকাপ চলা কালেই শুনেছিলাম। আর এটাও শুনেছি যে দুই দলের প্রধান প্রধান খেলোয়াররা খেলবে না। মাত্র কিছুদিন আগে এত বড় একটি টুনামেন্ট শেষ হয়েছে। তাই টপ লেভেলের ম্যানরা রেস্টে নিচ্ছে। কিছুদিন বিভিন্ন জাগায় ঘোরাঘুরি করে তাদের মনটা ফ্রেশ হবে। আজকে আপনি যে ম্যাচের রিভিউ দিয়েছেন সেই ম্যাচটা আমার দেখা হয়নি। তবে আপনার রিভিউ পড়ে সুন্দর ভাবেই বুঝেছি। ভারত এবংঅস্ট্রেলিয়া দুই দলই ভালো খেলেছে। তিরুবনন্তপুরম মাঠে খেলাটা হয়েছিল, আর এই পিচ সবসময় ব্যাটিং পিচ হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে। তবে অস্ট্রেলিয়া টসে জিতে পরে ব্যাট করার সিদ্ধান্তটা নিয়ে ভালোই করেছিল। কারণ বেশি রাতের দিকে কুয়াশা পড়লে ঘাস ভিজে থাকবে আর বলও খারাপ হয়ে যাবে, ফলে স্পিন বা পেচ কোনোটাই কাজ করবে না, ফলে এক্ষেত্রে রানও ভালো তোলা যাবে। ভারতের ব্যাটসম্যানরা মাঠে নেমে ভালো ভাবেই শুরু করেছিল। যশস্বী জয়সওয়াল আর রুতুরাজ গায়কওয়াড় দুই জনই ফিফটি করেছে। আবার ইশান কিশানও ফিফটি করেছে। একটি টি২০ ম্যাচে তিনজ ফিফটি করলে রান এমনিতেই ২০০+ হয়ে যায়। ২৩৫ রান করার কারনে তাদের খেলাটা জিততে সহজ হয়েছে। আর অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটসমনরাও ভালোই খেলেছে। তবে তাদের কেউ ফিফটি করতে পারেনি। তারপরও ১৯১ পর্যন্ত পৌছে গেছে। যায়হোক সব মিলিয়ে খেলাটা দারুন হয়েছে। ধন্যবাদ দাদা।