অন্তিম দিনে কলকাতার আন্তর্জাতিক বই মেলায় ঘোরাঘুরি

in আমার বাংলা ব্লগ3 years ago

হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

আজকে শেষবারের মতো বই মেলাতে ঘুরে আসলাম। আর এমনিতেও আজকে মানে ১৩ ই মার্চ শেষ দিন ছিল বই মেলার। তবে আজকের যাওয়ার বিষয়টা হঠাৎ করে হয়েছে, আর হঠাৎ করে কোথাও গেলে বিষয়টা আরো বেশি ইন্টারেষ্টিং হয়ে থাকে। দেখতে দেখতে এই ৪৫ তম বই মেলার সব আয়োজন এই বছরের মতো শেষ হয়ে গেলো। বই মেলাতে গেলে যেমন বিভিন্ন ধরণের গল্প, কবিতা, ছোটদের আঁকার বই ইত্যাদি আরো নানাবিধ বই দেখতে পাওয়া যায় তেমনি সবার মাঝে আবার ঘোরাঘুরি করেও বেশ মজা লাগে। বিভিন্ন ধরণের যেমন মেলা হয়ে থাকে আর সবার সাথে দেখা হয়ে থাকে, এটাও ঠিক সেইরকম।

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

বই মেলাতেও অনেক সময় দূরদূরান্তে থাকা পরিচিত মানুষদের সাথেও দেখা হয়ে যায় যেটা এমনি সময়ে হয়ে ওঠে না। ফলে এইধরণের বই মেলার আয়োজন বছরে একবার বাঙালিদের মধ্যে একটা আনন্দের জোয়ার বয়ে আনে। আর আজকে বই মেলাতে গিয়েছিলাম বিকালের দিকে মানে ওই সন্ধ্যার একটু আগে। আর আজকে বই মেলার শেষ দিন ছিল যেহেতু তাই যেতেও একটু ঝামেলা পোহাতে হয়েছে। গাড়ি নিয়ে বই মেলার কাছে তো গিয়েছি কিন্তু সেখানেই ১৫ মিনিটের মতো শুধু ঘুরপাক খেতে হলো কারণ রোড সব বন্ধ করে রেখেছে। তাই অনেক অলিগলি দিয়ে ঘুরে ঘুরে যেতে হলো। এর ফলে যেমন রাস্তায় জ্যাম সৃষ্টি হচ্ছে তেমনি রাস্তায় আজকে শুধু লোকজনের ভিড়।

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

এক এক সময় গেট ছাড়ছে তা যেন মৌমাছির ঝাঁকের মতো এক এক টিম যাচ্ছে। আজকে প্রচুর লোকজন হয়েছিল, আর এটা স্বাভাবিক কারণ শেষ দিনে আশেপাশের লোকজনও আজকে আসতে বাদ রাখেনি। অনান্যদিন আমরা ৭ নম্বর গেট দিয়ে প্রবেশ করেছিলাম কিন্তু আজকে লোকজনের ভিড় দেখে ভাবলাম ২ নম্বর কিংবা ৩ নম্বর দিয়ে যাই। তো ৩ নম্বর দিয়ে ঢুকে যা মানুষের ভিড় দেখলাম তা সে বলার মতো না, এক এক জন কথা দিয়ে এসে যে ধাক্কা মেরে চলে যাচ্ছে বোঝাই যাচ্ছে না। আর হাঁটাই যাচ্ছে না এতো ভিড়ের মধ্যে, পায়ে পায়ে জড়িয়ে যাচ্ছে যেন হাঁটার সময়। আর এতো মানুষ হওয়ার ফলে ভিতরে গরমও প্রচুর পরিমানে লাগছিলো। তাও এই ভিড়ের মধ্যে দিয়ে কয়েকটি জায়গা মোটামুটি ঘুরে নিয়ে একটি জায়গায় গিয়ে বসেছিলাম।

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

এরপর সেখানে বসে বসে বিভিন্ন মানুষের ভাবভঙ্গি দেখছিলাম আর আইসক্রিম খাচ্ছিলাম। এরপর সেখানে আবার গিটার বাজিয়ে অনেকে সুন্দর সুন্দর গান গাচ্ছিলো যেটা শুনতেও অনেক ভালো লাগছিলো। তো এরপর সেখানে বেশ খানিক্ষন বসে বসে তাদের গান শুনছিলাম আর রাত মতো হয়ে আসলে সেখান থেকে উঠে আরো বেশ কিছু স্থানে অর্থাৎ বুক স্টলের দিকে ঘোরাঘুরি করলাম। এইসব স্থানে আবার লোকজন এর ভিড় কম ছিল কারণ প্রায় লোকজন সন্ধ্যার দিকে মাঠ মতো স্থানে গিয়ে বসে গান শোনার তালে থাকে । আজকে মোটামুটি ইটালি, ইরান, ইংল্যান্ড এবং বাংলাদেশ এর স্টলের ভিতরে ঢুকে একটু পাক মেরে আসলাম। ভিতরগুলোও বেশ ভালোই সাজিয়েছিল তারা।

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

মেলায় লক্ষীর ভান্ডার এর মতো দেখতে তৈরি করেছিল যেটা বাইরের থেকে যেমন ভালো লাগছিলো দেখতে তেমনি ভিতরের দিকেও। এরপর পশ্চিমবঙ্গের মণ্ডপ বলে একটি স্থান ছিল যেটি মূলত তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগের উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছিল, তবে এর ভিতরে আর যাইনি, বাইরের থেকেই দেখছিলাম। এখানে বাংলাদেশের বুক স্টলের বাইরের দিকটা বেশ সুন্দর ভাবে সাজিয়েছে, বাইরে বঙ্গবন্ধুর ছবি আর সাথে বাইরের দিকটা পুরোটাই বাংলা ভাষায় লিখে সুন্দরভাবে সাজিয়েছে যা দেখতে বেশ আকর্ষণীয় করে তুলেছে। যাইহোক এরপর বেশি রাত হয়ে যাচ্ছিলো বলে সেখান থেকে সবাই বেরিয়ে এসেছিলাম আর এই বছরের মতো বই মেলাকে বিদায় জানিয়ে আসলাম। সামনের বছর আবার হবে।


All Photos what3words location: https://w3w.co/repaid.insulated.overpaid

শুভেচ্ছান্তে, @winkles

ক্যামেরারেডমি নোট ৭
ক্যাটাগরিফোটোগ্রাফি
লোকেশনকলকাতা বই মেলা
তারিখ১৩.০৩.২০২২


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

Sort:  
 3 years ago (edited)

এক এক জন কথা দিয়ে এসে যে ধাক্কা মেরে চলে যাচ্ছে বোঝাই যাচ্ছে না। আর হাঁটাই যাচ্ছে না এতো ভিড়ের মধ্যে, পায়ে পায়ে জড়িয়ে যাচ্ছে যেন হাঁটার সময়।

আপনার পোস্ট পড়লাম আর নিজের চোখে বই মেলার দৃশ্যগুলো কল্পনা করলাম। আসলে যেকোনো বড় অনুষ্ঠানের লাস্টের দিন অনেক ভিড় হয়। তবে আপনার লেখা পড়ে যা বুঝলাম আজকে একটু ওভারলোড হয়ে গেছিলো। আপনি এর আগে ৭ নাম্বার গেইট দিয়ে বের হইছেন তবে ভিড়ের জন্য ৩ নাম্বার গেইট সিলেক্ট করলেন তাও একই অবস্থা। তবে দাদা, এই সব ভিড়ের সময় পকেট মার কিন্তু সক্রিয় থাকে। তবে আপনার এসবের কোনো সমস্যা হয় নাই ভাগ্য ভালো।
বই মেলার ফটোগ্রাফিগুলো অনেক ভালো লাগলো। হয়তো যাওয়া হবে না এই বই মেলায় তবে আপনার ফটোগ্রাফির মাধ্যমে বিনোদিত হলাম দৃশ্যগুলো দেখে। ফটোগ্রাফি তে দেখলাম অনেকেই সেল্ফি তুলায় ব্যস্ত। আসলে কিছু মানুষ বই মেলায় একটু ঘুরা ঘুরি আর কিছু সেলফি তুলার জন্য যায়। সুন্দর সুন্দর কিছু দৃশ্য আপনি ক্যামেরা বন্দি করেছেন।
দাদা, আপনাকে আপনাকে অনেক ধন্যবাদ বই মেলার অন্তিম দিনের অভিজ্ঞতা আমাদের সাথে সুন্দর ভাবে শেয়ার করার জন্য। আপনার পোস্ট পড়তে অনেক ভালো লাগে। আপনি অনেক সাজিয়ে গুছিয়ে বিষয়গুলো উপস্থাপন করেন। অনেক অনেক শুভকামনা আপনার জন্য প্রিয় দাদা। ❣️❣️❣️✌️
 3 years ago 

বই মেলাতে গেলে যেমন বিভিন্ন ধরণের গল্প, কবিতা, ছোটদের আঁকার বই ইত্যাদি আরো নানাবিধ বই দেখতে পাওয়া যায় তেমনি সবার মাঝে আবার ঘোরাঘুরি করেও বেশ মজা লাগে।

সত্যি ভাইয়া আপনি ঠিক বলেছেন বই মেলায় গেলে যেমন বিভিন্ন ধরনের গল্প কবিতা ছোটদের আঁকার বই পাওয়া যায় আরো অনেক ধরনের বই পাওয়া যায় তেমনি সবার মাঝে ঘুরাঘুরি করে বেশ মজা লাগে। মনে হয় খুবই ভালো সময় কাটিয়েছেন বই মেলার শেষ দিনে। আর আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে মনে হচ্ছে শেষদিন বইমেলায় অনেক মানুষের ভিড় ছিল। আসলে বইমেলা শেষ হয়ে যাচ্ছে বলেই সবাই আজকে আবার এসেছে শেষ মেস ঘুরে দেখার জন্য। সত্যি ভাইয়া আপনাদের এই আন্তর্জাতিক বইমেলা টা দেখে আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে ইচ্ছে করছে আমারও যেতে। আপনি খুব সুন্দর করে আপনার সুন্দর মুহূর্ত গুলো আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন এ জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া। আপনার দিনগুলো সব সময় এভাবেই আনন্দে কাটুক এই কামনা করি।

 3 years ago 

দাদা আপনার অন্তিম দিনে কলকাতার আন্তর্জাতিক বই মেলায় ঘোরাঘুরি দেখে মনে হচ্ছে আমিও ঘুরতে চাই আপনার সাথে।বইমেলার চিত্রগুলো আপনি এত সুন্দর করে উপস্থাপন করছেন দেখে মনে হচ্ছে আমি আপনার সাথে সাথেই মেলায় ঘুরতেছি।কারণ প্রতিবছর একুশে বইমেলায় আমাদের বাংলাদেশের আমি যেতাম কিন্তু দু'বছর ধরে আমি কোন বইমেলায় উপস্থিত থাকতে পারছি না।বা পারি নাই।তাই আপনার আন্তর্জাতিক বইমেলায় ঘুরাঘুরির অনুভূতি শুনে আমার সেই পুরনো স্মৃতিগুলো মনের মনিকোঠায় জুড়ে বেরিয়ে আসলো।বইমেলার স্টলগুলোতে আমার লেখা বইয়ে থাকতো মজার বিষয় হচ্ছে সেখানে অনেক গুণী ব্যক্তিদের সাথে পরিচিত হতে পেরে কি যে আনন্দ লাগত এবং নতুন নতুন কবি-সাহিত্যিকদের নতুন নতুন বইয়ের প্রতিদিন মোড়ক উম্মোচন অনুষ্ঠানগুলোতে উপস্থিত থাকতে পেরে অনেক বেশি মজা পেতাম আমি।এবং একজন উদীয়মান লেখকের এর বই যখন কোন পাঠক কিনে তখন আমি সেই গভীর অনুভূতি গুলো খুব কাছ থেকে দেখেছি তাদের উপলব্ধি সেটা আমার মনেও ছুঁয়ে যেত।বইমেলা হচ্ছে আমাদের প্রাণের মেলা আমাদের অস্তিত্বের মেলা।এ মেলায় পাঠক এবং লেখকদের মিলনমেলা ও বলা যেতে পারে।বইমেলায় সত্যিই আমি মন থেকে ধারণ করি তবে আপনার এত সুন্দর ঘোরাঘুরি এত সুন্দর সুন্দর ছবিগুলো দেখে খুব আফসোস হচ্ছে কেন গেলাম না এবার একুশে বইমেলায়।যাই হোক আগামীতে যাব ইনশাআল্লাহ যদি বেঁচে থাকি।খুবই ভালভাবে বই মেলায় ঘোরাঘুরি করেছেন আপনার অনুভুতি কে স্বাগত ও শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি খুবই ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন সুন্দর থাকবেন ভালোবাসা অবিরাম♥♥

 3 years ago 

দেখতে দেখতে এই ৪৫ তম বই মেলার সব আয়োজন এই বছরের মতো শেষ হয়ে গেলো। বই মেলাতে গেলে যেমন বিভিন্ন ধরণের গল্প, কবিতা, ছোটদের আঁকার বই ইত্যাদি আরো নানাবিধ বই দেখতে পাওয়া যায়

আসলে দাদা আজকে আপনার বইমেলার এই সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি গুলো দেখতে পেয়ে খুবই ভালো লাগলো। আসলে কলকাতায় এত সুন্দর বইমেলার আয়োজন করা হয় সত্যিই প্রশংসনীয়। এতো বড় বইমেলা কখনো ভাবিনি খুবই সুন্দর ভাবে আপনি ফটোগ্রাফির মাধ্যমে আমাদের বইমেলার সুন্দর পরিবেশকে দেখার সুযোগ করে দিলেন। আমার খুবই ভালো লেগেছে। আপনি আজকে বইমেলায় খুবই সুন্দর সুন্দর দৃশ্য আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। বিশেষ করে এটা জেনে ভালো লাগলো যে ৪৫ তম বইমেলা ছিল।আর আপনি ৪৫ তম বইমেলাতে খুবই সুন্দর ভাবে উপভোগ করেছেন। আসলে বইমেলার এই গান-বাজনা করছে এই দৃশ্যটা আমার খুবই ভালো লেগেছে। আসলেই উৎসবমুখর পরিবেশ গুলো বেশি দিন থাকে না। আর যখন উৎসবমুখর পরিবেশ গুলো আসে তখন খুবই ভালো লাগে। কিন্তু শেষ হয়ে যাওয়ার আগে আবার খারাপ লাগে। তবে আপনি আজকে খুবই সুন্দর সুন্দর বই মেলা ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। আসলে এই বইমেলার পরিবেশ দেখে আমার খুবই ভ্রমন করার ইচ্ছা জাগল। আসলে যদি কোনদিন কলকাতায় যায় তাহলে এই বইমেলার সময় যাব এবং বই মেলার সুন্দর সুন্দর পরিবেশ উপভোগ করবো। আসলে দাদা আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। বইমেলার সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

 3 years ago 

দেখতে দেখতে এই ৪৫ তম বই মেলার সব আয়োজন এই বছরের মতো শেষ হয়ে গেলো।

দেখতে দেখতে ৪৫ তম বইমেলা শেষ হয়ে গেল দাদা। বইমেলার শেষ দিনে আপনি অনেক মজা করেছেন এটা বোঝাই যাচ্ছে। বই মেলা চলাকালীন সময়ে সবাই যে রকম আনন্দ উল্লাসে সময় কাটায় তেমনি শেষ দিনটিতেও সকলে তাদের পরিবারকে নিয়ে বই মেলায় গিয়ে সময় কাটানোর চেষ্টা করে। এজন্য শেষের দিনে প্রচুর ভিড় থাকে। শেষের দিনটিতে সবারই যাওয়ার আগ্রহ তৈরি হয়। আপনার লেখা কথাগুলো পড়ে এটাই বুঝতে পারছি যে শেষের দিনে প্রচুর ভিড় ছিল। প্রচুর ভিড় থাকার কারণে অনেক কষ্টে ভেতরে প্রবেশ করতে পেরেছেন। বইমেলার শেষ দিনে সবাই যখন নিজের পছন্দের বইগুলো কেনার জন্য ও বইমেলার আনন্দ উপভোগ করার জন্য আবারো বই মেলায় এসেছে তখন নিশ্চয়ই বইমেলা প্রাঙ্গণ আরো বেশি নতুন রূপে সেজে উঠেছে। আপনার ফটোগ্রাফিগুলো দেখেই বুঝা যাচ্ছে সবাই তাদের পছন্দের জায়গাটিতে আবারো এসেছে এবং অনেক আনন্দ করেছে। আসলে বই মেলায় ঘুরতে গেলে যে শুধু বই কেনাই হয় তা কিন্তু নয়। সেখানে খাওয়া হয়, আড্ডা হয়, পরিচিত অনেক মানুষের সাথে দেখা হয়। এছাড়াও আপনি আপনার বই মেলায় কাটানো মুহূর্ত এত সুন্দর ভাবে ফটোগ্রাফিতে তুলে ধরেছেন দেখে অনেক ভালো লাগলো। আপনার এই ফটোগ্রাফিগুলো দেখে বোঝাই যাচ্ছে সকলে নিজেদের মতো করে বই মেলার শেষ দিনের আনন্দ উদযাপন করছে। আইসক্রিম খেয়েছেন এবং এরপর গান শুনেছেন জেনে ভালো লাগলো ভাইয়া। একদিকে যেমন বই মেলায় ঘোরাঘুরি করার আনন্দ অন্যদিকে গান শুনে আনন্দ। সবকিছু মিলিয়ে অনেক সুন্দর একটি পরিবেশ তৈরি হয়েছে। দেখেই বুঝা যাচ্ছে আন্তর্জাতিক বইমেলার এই প্রাঙ্গণে শেষের দিনে সকলেই তাদের আনন্দঘন মুহূর্ত আরো বেশি রাঙিয়ে তুলেছে। দাদা আপনিও নিজের এই আনন্দঘন মুহূর্ত আমাদের মাঝে অনেক সুন্দর করে উপস্থাপন করেছেন। আপনি বই মেলায় গিয়েছেন এবং অনেক ঘোরাঘুরি করেছেন জেনে আমাদের অনেক ভালো লাগলো। সেই সাথে ভালো লাগলো আপনি আপনার কাটানো সুন্দর মুহূর্ত ও অনুভূতি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। আপনি আমাদেরকে আপন করে নিয়ে আমাদের মাঝে আপনার অনুভূতিগুলো উপস্থাপন করেছেন দেখে খুবই ভালো লাগলো দাদা। আসলে নিজের আনন্দের অনুভূতিগুলো যদি সকলের মাঝে শেয়ার করা যায় ও সকলের মাঝে প্রকাশ করা যায় তাহলে খুবই ভালো লাগে। কারণ আমরা যখন একই পরিবারের হয়ে গেছি তখন আপনি যদি আপনার আনন্দের মুহূর্তগুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করেন এবং খুশি থাকেন তাহলে আমরা অনেক আনন্দ পাই দাদা। তবে যাই হোক আপনি বইমেলার শেষের দিনে গিয়ে অনেক আনন্দ করেছেন এটা জেনে ভালো লাগলো। আপনার কাটানো সুন্দর মুহূর্ত ও আপনার অনুভূতি অনেক সুন্দর ভাবে আপনার লেখা ও ফটোগ্রাফির মাধ্যমে উপস্থাপন করেছেন এ জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি দাদা। সেই সাথে আপনার জন্য শুভকামনা ও ভালোবাসা রইলো। ❤️❤️❤️❤️❤️❤️❤️❤️

 3 years ago 

৩ নম্বর দিয়ে ঢুকে যা মানুষের ভিড় দেখলাম তা সে বলার মতো না, এক এক জন কথা দিয়ে এসে যে ধাক্কা মেরে চলে যাচ্ছে বোঝাই যাচ্ছে না। আর হাঁটাই যাচ্ছে না এতো ভিড়ের মধ্যে, পায়ে পায়ে জড়িয়ে যাচ্ছে যেন হাঁটার সময়। আর এতো মানুষ হওয়ার ফলে ভিতরে গরমও প্রচুর পরিমানে লাগছিলো।

কোনো পরিকল্পনা ছাড়া হুট করেই ঘুরতে যাওয়ার মজাটাই আলাদা ,এছাড়া এটির অভিজ্ঞতাও দারুণ হয়ে থাকে।আন্তর্জাতিক বই মেলায় শেষ দিন ভিড় তো হবেই।আমার ও ঘুরতে খুব ভালো লাগে বন্ধুরা মিলে।কিন্তু এখানে আমি পুরো একা হয়ে গেছি, তাই ঘরকুনো হয়েই বসে থাকি ।শুধু কলেজ আর বাড়িতে থাকা ছাড়া কোথাও যাওয়া হয় না একা একা।যেকোনো মেলা খুবই আনন্দদায়ক হয়, তাছাড়া ভিড় জমা হলে খুবই বিরক্তিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।বিভিন্ন গল্পের বই পড়তে আমার খুব ভালো লাগে।আপনার তোলা প্রত্যেকটি ছবি খুব সুন্দর, দারুণ উপভোগ করলাম।আইসক্রিম আমারও খুব প্রিয়,আর এখন গরম পড়ে গেছে।তাই খেতে বেশ মজা লাগে,লক্ষীর ভান্ডারের মতো দেখতে যেটা সেটি বেশি আকর্ষণীয় দেখতে লাগছে।মেলায় বসে গান শুনতে বেশ ভালোই লাগে।ধন্যবাদ দাদা,শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।

 3 years ago 

বই মেলাতে গেলে যেমন বিভিন্ন ধরণের গল্প, কবিতা, ছোটদের আঁকার বই ইত্যাদি আরো নানাবিধ বই দেখতে পাওয়া যায় তেমনি সবার মাঝে আবার ঘোরাঘুরি করেও বেশ মজা লাগে।

সুন্দর একটি উৎসবমুখর পরিবেশের মধ্য দিয়ে এই বই মেলার উৎসব শেষ হয়ে গেল। দেখতে দেখতে বইমেলার অন্তিম দিন চলে এসেছে। দাদা আপনি বইমেলার শেষ আনন্দ উপভোগ করার জন্য আপনার এই ব্যস্ততম সময়ের মাঝেও বই মেলায় গিয়েছেন জেনে অনেক ভালো লাগলো। আসলে বইমেলা এমন একটি জায়গা সেখানে যেমন অনেক পছন্দের বইগুলো, কবিতার বই, ছড়া, ছোটদের বই, গল্পের বই ইত্যাদি পাওয়া যায় তেমনি অনেক সুন্দর ভাবে বইমেলার প্রাঙ্গণ সাজানো হয়। বই কেনার পাশাপাশি সেখানে গিয়ে অনেক আনন্দ উদযাপন করার সুযোগ হয়। কারণ সেখানে শুধুমাত্র বইয়ের স্টল রয়েছে তা নয় সেখানে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, গান-বাজনা, খাবারের রেস্টুরেন্ট ও লোভনীয় সব খাবার বিক্রি করা হয়। সবকিছু মিলিয়ে বই মেলায় গিয়ে সবাই অনেক সুন্দর মুহূর্ত কাটায়। আসলে দেখতে দেখতে যখন বইমেলা শেষ হয়ে যায় তখন সেই দিনটিতে গিয়ে সবাই চায় আবারও একটু ঘুরে আসতে। হয়তো বছর শেষে আবার সেই বইমেলা শুরু হবে। তাই শেষ দিনের আনন্দ উপভোগ করার জন্য পরিবার ও প্রিয়জনদের নিয়ে সবাই চায় বই মেলায় গিয়ে সময় কাটাতে। তেমনি আপনিও বইমেলার শেষ দিনটিতে গিয়ে অনেক সুন্দর কিছু মুহুর্ত কাটানোর চেষ্টা করেছেন। তবে যেহেতু শেষ দিন ছিল তাই একটু বেশি ভিড় ছিল এটা বোঝাই যাচ্ছে। দাদা আপনি একদম ঠিক বলেছেন ভিড়ের মাঝে কে কাকে ধাক্কা দিচ্ছে এটা বোঝাই যায়না। তবে আপনি যে কারো ধাক্কা খেয়ে হারিয়ে যান নাই এটাই হচ্ছে সবচেয়ে ভালো খবর 😅😅। আবার এমনও হতে পারে আপনি আবার আমাদের হবু বৌদির সাথে ধাক্কা খেয়ে অন্যরকম এক পরিবেশের সৃষ্টি হতে পারতো। তবে যাই হোক এরকম কোন পরিবেশ সৃষ্টি হলে আপনি অবশ্যই আমাদের মাঝে শেয়ার করতেন। কারণ আপনি সব সময় আপনার কাটানো সুন্দর মুহূর্ত ও ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করতে পছন্দ করেন। আপনার এরকম একটি মুহূর্ত আসলে হয়তো আমাদের মাঝে অবশ্যই শেয়ার করবেন দাদা। আমরাও সেই প্রত্যাশা করি। মেলার মাঝে ও ভিড়ের মাঝে আপনি যদি আমাদের হবু বৌদিকে খুঁজে পান তাহলে অবশ্যই আমাদেরকে জানাবেন। তবে যাই হোক দাদা আপনি বইমেলার শেষ দিনের আনন্দ উদযাপন করার জন্য এতটা কষ্ট করে ভিড়ের মাঝেও বই মেলায় গিয়েছেন এটা জেনে অনেক ভালো লেগেছে আমার। কথায় আছে কষ্ট করলে ভালো কিছু উপভোগ করা যায়। তাই আপনি কষ্ট করে সেই ভিড়ের মাঝেও বই মেলায় গিয়েছেন এবং সেখানে গিয়ে অনেক সুন্দর সময় কাটিয়েছেন। বাংলাদেশের বুক স্টলের ফটোগ্রাফি দেখে অনেক ভালো লাগলো দাদা। এরকম একটি আন্তর্জাতিক বইমেলায় বাংলাদেশের বুক স্টল রয়েছে জেনে অনেক ভালো লাগলো। সবকিছু মিলিয়ে অনেক সুন্দর ভাবে আপনি আপনার অভিজ্ঞতা আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন ও ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করেছেন এ জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি দাদা।

 3 years ago 

বাহ্ বইমেলায় প্রতিটি দোকান কত সুন্দর ডেকোরেশন করেছে। সত্যিই অসাধারণ লাগছে দেখতে। আমার কাছে তো প্রতিটি দোকান খুব চমৎকার লাগছে। কেননা আমাদের এদিকে বইমেলার দোকানগুলো এতটা সুন্দর করে ডেকোরেশন করা হয় না। দাদাভাই এবার তো দেখছি আপনি বই মেলায় ভালোই ঘুরাঘুরি করলেন।একদম শেষ দিন গিয়েও বইমেলাকে বিদায় জানিয়ে এসেছেন। সত্যিই এটা অনেক কষ্টের। বিশেষ করে তাদের জন্য যারা বই পড়তে ভালোবাসে। কারণ এই বইমেলায় প্রতিবছর আমাদের কাছে বইয়ের নতুনত্বের ছড়াছড়ি নিয়ে চলে আসে।মা আমাদের মতো বইপ্রেমিক বাঙ্গালীদের প্রতিনিয়ত মুগ্ধ করে। বইমেলা নিয়ে আপনার প্রত্যেকটি পোস্ট খুব ভালো লেগেছে দাদা ভাই। আপনার বইমেলা নিয়ে লেখা প্রতিটি পোস্টে পুরো বইমেলাকে অনেক সুন্দর ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন। মনে হচ্ছে আমিও কলকাতার বইমেলায় ভ্রমণ করে এসেছি। এটাই তো আসলে ব্লগ লেখার আনন্দ,যে আপনার লেখা পড়ে কেউ ওই জায়গাটার উপস্থিতি বোধ করছে। ধন্যবাদ দাদাভাই প্রতিনিয়ত এত সুন্দর সুন্দর পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। আমার পক্ষ থেকে আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা ও ভালোবাসা রইলো। সবসময় ভালো থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন এই প্রার্থনা করি।

সত্যি বলতে আমি কখনোই বই মেলায় যাইনি। কয়েকদিন ধরে প্যানথন দাদার পোস্ট গুলো দেখে কিছু একটা আন্দাজ করতে পেরেছি। আর ফটোগ্রাফি গুলো দেখে কিছুটা বুঝতে পারলাম বইমেলায় আসলে কি থাকে। ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।

 3 years ago 

বইমেলা দেখছি বেশ জমে উঠেছে, সবাই বেশ আড্ডা করছে বই পড়ছে দেখে ভালই লাগছে। আর বইমেলার এরিয়াটা দেখছি বিশাল বড়। আর রাতের বেলায় ফটোগ্রাফি গুলো খুব সুন্দর লাগছিল। ধন্যবাদ দাদা বইমেলায় ঘুরাঘুরি এর অনুভূতি সুন্দর করে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।

Coin Marketplace

STEEM 0.18
TRX 0.16
JST 0.030
BTC 62567.98
ETH 2460.02
USDT 1.00
SBD 2.62