মুভি রিভিউ: দ্যা ভ্যাকসিন ওয়ার
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি। |
---|
আজকে আপনাদের সাথে একটি মুভি রিভিউ শেয়ার করে নেবো। এই মুভিটির নাম হলো "দ্যা ভ্যাকসিন ওয়ার"। এই মুভিটির কাহিনী করোনা ডকুমেন্টারির উপর ভিত্তি করে ইতিহাস স্বরূপ তুলে ধরা হয়েছে।
✠কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:✠
❂মূল কাহিনী:❂
গল্পটা সাধারণত ২০২১ সালের দিক থেকে তুলে ধরেছে, যখন করোনার ওয়েভ একটার পর একটা চলছিল। এখানে ICMR এর ভারতীয় বিজ্ঞানীরা দিনরাত এক করে ভ্যাকসিন তৈরির জন্য উঠে পড়ে লাগে, কিন্তু আসলে করোনার তখন এতো ভ্যারিয়েন্ট বের হচ্ছিলো যে শনাক্ত করা এক প্রকার মুশকিল হয়ে যাচ্ছিলো, আর সঠিক প্রজাতি শনাক্ত না করতে পারলে ভ্যাকসিনও তৈরি করা সম্ভব না। তাছাড়া ভারতীয় বিজ্ঞানীরা এর আগে কোনো ভ্যাকসিন সেইভাবে তৈরি করেনি আর তাদের এক্ষেত্রে এক্সপেরিয়েন্সও তেমন ছিল না। কিন্তু তাদের আত্মবিশ্বাস ছিল যে, ভ্যাকসিন তারা বের করবে আর আত্মনির্ভরশীল ভারত গড়ে তুলবে। তখন আর বাইরের কোনো দেশের কাছে হাত পেতে নেওয়া লাগবে না। এই মনোবল নিয়ে তারা এগিয়ে যেতে থাকে। আর এর মধ্যে কিছু লোকজন বা পত্রকার ছিল, যারা এই বিষয়টাকে কিভাবে খারাপের দিকে নিয়ে যাওয়া যায় সেটা বাইরের দেশের সাথে হাত মিলিয়ে সবকিছু ডাউন করার চেষ্টা করতো।
প্রথমত এই করোনার ভ্যাকসিন তৈরির জন্য প্রথমে এই ভাইরাসটাকে আইসোলেটেড করার প্রয়োজন ছিল আর তার জন্য সঠিক তাপমাত্রারও প্রয়োজন ছিল আর এটার জন্য ICMR এর বিজ্ঞানীরা অনেক চেষ্টা চালায়, সেইরকম কোনো ফ্যাসিলিটি ছিল না হাতের কাছে। অবশেষে বিশ্বে পঞ্চম নম্বর হিসেবে ভারতীয় বিজ্ঞানীরা আইসোলেটেড করতে সক্ষম হয়। এরপর তারা ভ্যাকসিন তৈরির জন্য লেগে পড়ে, তার জন্য তারা ভ্যাকসিন তো এক পর্যায়ে তৈরি করে, কিন্তু সেটার ট্রায়াল অনেকরকম ভাবে করতে হয়। যেমন তারা প্রথমত ইঁদুরের উপর প্রয়োগ করে। এরপর তাদের আরো পরীক্ষানিরীক্ষা করার জন্য মানকি দরকার। কিন্তু এটাও তাদের জন্য একটা মুশকিল ব্যাপার ছিল, কারণ জঙ্গল থেকে মানকি ধরে নিয়ে আসতে গেলে সরকারের অনুমতি লাগবে, তারপর ফরেস্ট অফিসারদের।
তবে তাদের প্রধান সেইসব সুযোগ দ্রুত করে দেয়। কিন্তু জঙ্গলে গিয়ে মানকি ধরে নিয়ে আসা তাদের জন্য মুশকিল হয়ে যায়, একে তো পায় না, তারপর ধরতেও পারে না। এই করে করে ১ মাস কেটে যায়। ১ মাস পরে তারা সেই মানকি নিয়ে এসে তার উপর পরীক্ষানিরীক্ষা চালায় এবং ডে বাই ডে তার শারীরিক পরিস্থিতি চেক করতে লাগে। সবকিছু নরমাল থাকলে তারা নিশ্চিত হয়ে যায় যে এই ভ্যাকসিন কাজে দিচ্ছে। এই ভ্যাকসিন ছিল 'কো-ভ্যাকসিন', যেটা ভারতে সর্বপ্রথম ভ্যাকসিন হিসেবে বের হয়। এরপর তারা ৩ টি ধাপে মানুষের শরীরে প্রয়োগ করার চিন্তা করে, কিন্তু তাদের হাতে সময়ও খুবই কম ছিল, কারণ মানুষ তখন এতো পরিমানে মারা যাচ্ছিলো যে, দেখার মতো ছিল না। এই কো-ভ্যাকসিন কাজে দিলে ভারত সরকার অনুমতি দেয় মানুষের শরীরে ট্রায়াল দেওয়ার।
সবকিছু ঠিক থাকলেও কিছু পত্রকার এই বিষয়টাকে ভুয়ো খবর ফেলিয়ে ব্যান করার পরিকল্পনা করে আর এর ফলে ইন্টারন্যাশনাল ছাড়পত্র আটকে যায়। এরপরে মানুষ আরো মারা যেতে শুরু করে অর্থাৎ দিনে লক্ষাধিক ছাড়িয়ে যাওয়ার মতো। এরপরেও বিজ্ঞানীরা চুপ করে বসে থাকিনি, তারা প্রেস কনফারেন্স ডাকে এবং সেখানে সবকিছু ক্লিয়ার করে আর তারা কেন ফরেন ভ্যাকসিন গ্রহণ করেনি অর্থাৎ এই দেশে ব্যবহার করার অনুমতি দেয়নি সেটাও ক্লিয়ার করে। এরপরে সবকিছু ঘটনা দেশবাসীর কাছে পৌঁছালে তারা এই কো-ভ্যাকসিন স্বীকৃতি দেয় এবং পরে 'who' সারাদেশে এটির প্রয়োগ করার যাবে তার একটা ছাড়পত্র দিয়ে দেয়।
❂ব্যক্তিগত মতামত:❂
এই মুভিটির কাহিনী আসলে এই ভ্যাকসিন নিয়ে করা অর্থাৎ কিভাবে ভারতে এই মরণব্যাধি করোনা গ্রাস করে নিচ্ছিলো মানুষের জীবন এবং তার উপর ভিত্তি করে ICMR এর বিজ্ঞানীরা ভগবানের আশীর্বাদ স্বরূপ কো-ভ্যাকসিন এর আবিষ্কার করে। এটা সাধারণত ICMR এর প্রধান অর্থাৎ অধ্যাপক বলরাম ভার্গব এর অবদানও অনস্বীকার্য। তাদের কোনো এক্সপেরিয়েন্স না থাকা সত্বেও বাইরের দেশে আটকে থাকা ভারতীয় জনগণদের জন্য ক্যাম্প বসিয়ে টেস্ট করিয়ে দেশেও ফিরিয়ে আনে। আর এই ভ্যাকসিন এর স্বীকৃতি নিয়ে শুরু হয় নিজেদের মধ্যেই এক যুদ্ধ, কেউ এটাকে মানুষের জীবন বাঁচানোর জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে আর কেউ এটাকে দুর্নাম করার জন্য প্রচেষ্টা চালায়। অবশেষে অনেক বাধা বিপত্তির পরে 'কো- ভ্যাকসিন' এর স্বীকৃতি হয় আর ভারত ভ্যাকসিন এর দিক থেকেও একটা আত্মনির্ভরশীল হয়ে ওঠে আর সমস্ত এশিয়ার দেশগুলোতে এই 'কো-ভ্যাকসিন' পাঠাতে থাকে।
❂ব্যক্তিগত রেটিং:❂
৯/১০
❂ট্রেইলার লিঙ্ক:❂
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
এটা মুভি হলেও পড়ার সময় মনে হচ্ছিলো যে আমাদের দেশগুলোর বাস্তব পরিস্থিতি পড়ছি। কারণ আমাদের দেশগুলোর ও কিন্তু একেবারে একই অবস্থা, কোনো ভালো কাজ করলে তার দুর্নাম কিভাবে ছড়াবে তার চিন্তাই মানুষ আগে করে। তার উপর বিশেষ করে মিডিয়া তো এসব এ একধাপ এগিয়ে থাকে।
হুম, এটি বাস্তব কাহিনী, যেটি এই মুভির মাধ্যমে তুলে ধরেছে। এতে ঘটে যাওয়া অনেক কাহিনীও তুলে ধরেছে সবার সম্মুখে। আর আমাদের দেশে ভ্যাকসিন তৈরির সময়েও আসলে এই ধরণের ঘটনাগুলো ঘটেছে।
নানা পাটেকর এর মুভি আমার এমনিতেও অনেক ভালো লাগে। তবে এই মুভিটি আমার দেখা হয় নি। তবে আপনি এতো সুন্দর ভাবে মুভিটি রিভিউ করেছেন যার জন্য মুভিটি দেখার আগ্রহ পেলাম। ধন্যবাদ আপনাকে।
"দ্যা ভ্যাকসিন ওয়ার" এই মুভিটি যদিও দেখা হয়নি। তবে মুভিটির রিভিউ পড়ে দেখার প্রতি আগ্রহ অনেক বেড়ে গেল। আসলে করোনা মহামারীর সময় আমরা সবাই কিভাবে সময় পার করেছি সেটা হয়তো বলে বোঝানো যাবে না। আমরা সবাই প্রতিজ্ঞা করেছি কখন এর সঠিক সমাধান বের হবে। আর ভালো কোন ভ্যাকসিন আবিষ্কার হবে। আসলে সেই সময়টাতে সবাই জীবনের সাথে যুদ্ধ করেছি আমরা। যাই হোক দাদা এই মুভিটিতে একেবারে সেই করোনা মহামারীর সময়ের বাস্তব চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। আসলে প্রত্যেকটা প্রতিষ্ঠান চেষ্টা করেছে তাদের মেডিসিনকে সবখানে প্রতিষ্ঠিত করার। কো-ভ্যাকসিন ঠিকভাবে কাজ করা শুরু করেছিল আর সরকার অনুমোদন দিয়েছিল কিন্তু বিভিন্ন মিডিয়া এটাকে ভুল পথে পরিচালিত করার চেষ্টা করে। আসলে মিডিয়ার কিছু কিছু নিউজ দেখে জনগণ যেমন হতাশায় পড়ে তেমনি অনেক বড় ক্ষতিও হয়ে যায়। "Who" অবশেষে এই ভ্যাকসিনের স্বীকৃতি দেয় এবং সেই "কো-ভ্যাকসিন" সবার কাছেই স্বীকৃতি পায় জেনে ভালো লাগলো। মুভি রিভিউ সত্যিই ভালো লেগেছে। দারুন একটি মুভি রিভিউ শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি দাদা।
আসলেই ২০২০ এবং ২০২১ সাল খুব কঠিন ছিলো প্রতিটি মানুষের জন্য। সবাই প্রতীক্ষায় ছিলো কবে করোনা ভ্যাকসিন বের হবে। কিন্তু করোনার এতো ভ্যারিয়েন্ট বের হচ্ছিলো যে,ভ্যাকসিন আবিষ্কার করা খুবই কঠিন হয়ে গিয়েছিল। বিজ্ঞানীরা এতো চেষ্টার পর ভ্যাকসিন আবিষ্কার করার পরও, মিডিয়ার লোকজন ফালতু নিউজ বের করে মানুষদের মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি করেছিল। তবে সত্যের জয় অবধারিত। অবশেষে ভারত সহ বিভিন্ন দেশে করোনা ভ্যাকসিন আবিষ্কার করতে সক্ষম হয়। এই মুভিতে একেবারে বাস্তব কাহিনী তুলে ধরেছে। চমৎকার একটি মুভির রিভিউ শেয়ার করেছেন দাদা। সেজন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
দাদা আপনি আজকে অনেক সুন্দর একটা মুভির রিভিউ পোস্ট করেছেন। আমার কাছে কিন্তু এই রিভিউটা পড়তে সবথেকে বেশি ভালো লেগেছে। কারণ বাস্তবতাকে এই মুভির মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে। যার কারনে এই মুভিটার রিভিউ পোস্ট পড়ার সময় একেবারে বাস্তবিক কাহিনী পড়া হচ্ছে এরকমটাই আমি মনে করেছিলাম। এই মুভিটা মুক্তি পেয়েছে খুব একটা দেরি হয়নি দেখতেছি। দাদা এই মুভিটা আমার এখনো পর্যন্ত দেখা হয়নি, যার কারণে আমি ভাবতেছি এই মুভিটা অবশ্যই দেখবো। এই মুভিটার কাহিনী মূলত ভ্যাকসিন নিয়ে করা হয়েছিল। কিছু কিছু মানুষ রয়েছে এই বিষয়ের দুর্নাম ছড়ানোর চেষ্টা করছে। আবার কিছু কিছু মানুষ অন্যদের জীবন বাঁচানোর চেষ্টা করছে। অনেক বাধা বিপত্তির পরে কো ভ্যাকসিন এর স্বীকৃতি হয়েছিল, এটা দেখে সত্যি খুব ভালো লেগেছে দাদা। পরবর্তীতে সমস্ত এশিয়ার দেশগুলোতেও এটা পাঠানো হচ্ছিল। এরকম বিষয়গুলো দেখলে খুব ভালোই লাগে। একেবারে বাস্তবিক বিষয়গুলো পুরো মুভিটার মধ্যে রয়েছে। সত্যি দাদা পুরোটা যখন পড়ছিলাম আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগছিল। অসম্ভব দারুন ছিল সম্পূর্ণটা।
দাদা আপনি আজকে নতুন একটা মুভির রিভিউ আমাদের মাঝে ভাগ করে নিয়েছেন। যেটা সম্পূর্ণ পড়ে খুব ভালো লেগেছে আমার কাছে। দ্যা ভ্যাকসিন ওয়ার মুভিটার রিভিউ পড়ে আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। করোনা ডকুমেন্টারির উপর ভিত্তি করে এই মুভিটা করা হয়েছে দেখে আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে দাদা। আসলে একজন যদি কোন ভালো কিছু করার চেষ্টা করে, তাহলে অন্য আরেকজন তাকে হিংসা করে সেই ভালো কাজটা খারাপ কাজে কিভাবে রূপান্তর করবে এটাই সব সময় চিন্তা করে থাকে। শেষ পর্যন্ত এই ভ্যাকসিনটা সবার কাছেই স্বীকৃতি পেয়েছিল জেনেই ভালো লেগেছে অনেক বেশি। দাদা এই মুভিটা আমার এখনও পর্যন্ত দেখা হয়নি। আসলে ব্যস্ততার কারণে এখন খুব একটা মুভি দেখা হয় না। তবে সময় পেলে আমি এই ধরনের মুভি গুলো দেখার চেষ্টা করি। কারণ মুভি দেখলে অনেক বেশি ভালো লাগে এমনিতেই। ব্যস্ততার মাঝে মাঝে মুভি দেখলে নিজের মনটাও ভালো হয়।
দাদা তাহলে অবশেষে ভারতেও তাদের ভ্যাকসিন তৈরী নিয়ে মুভি তৈরী করে ফেলেছে। আর সেই মুভির নাম দিয়েছে “দ্যা ভ্যাকসিন ওয়ার”। আপনার রিভিউ না পড়লে জানতেও পারতাম না যে করোনার ভ্যাকসিন তৈরী নিয়ে মুভি তৈরী হয়েছে। আসলে করোনা এমন ভাবে মানুষের উপর আক্রমন করেছিলো সবাই আতংকিত হয়ে পড়েছিলো। আর সব থেকে বড় সমস্যা দাড়িয়েছি করোনার ভ্যারিয়েন্ট সনাক্ত করা নিয়ে। কারন করোনার ভ্যারিয়েন্ট বিভিন্ন দেশে ভিন্ন রকম দেখা যাচ্ছিলো। যায়কো অবশেষে ভারতীয় ডাক্তাররা অক্লান্ত পরিশ্রম করে করোনার ভ্যাকসিন তৈরী করেছিলো। আর একটি বিষয় হলো একটি বিষয়ের পজেটিভ নেগেটিভ থাকেই। তবে এক দল লোক সবসময় চক্রাতের মধ্যে লিপ্ত থাকে। যেমন আপনাদের দেশের ভ্যাকসিন নিয়েও একটি দল চক্রান্ত করেছে। যার ফলে who এর ছাড়পত্র পেতে একটু দেরী হয়েছে। আপনাদের দেশের ভ্যাকসিন আমাদের দেশেও এসেছিল। শুনেছি এশিয়ার বিভিন্ন দেশে ভারতের ভ্যাকসিন গিয়েছে। করোনার মহামারীর কথা আমরা কোনদিন ভুলবো না। ধন্যবাদ দাদা।