ভয়ঙ্কর দুর্সাহস-৬ || ১০% প্রিয় লাজুক-খ্যাকের🦊 জন্য থাকলো
আসসালামু আলাইকুম
আমি @sajjadsohan from 🇧🇩.
২৮শে জুলাই, বৃহস্পতিবার।
আ মার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা। আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় ভাল আছি। আজ অনেকদিন পর মনের অজান্তে একটি বাস্তব ঘটনাকে আমি আমার কাল্পনিক জগতের মাধ্যমে উপস্থাপন করতে চাই। পূর্বে আমি এর কয়েকটি পার্ট নিয়ে এসেছিলাম। তারই ধারাবাহিকতায় আজকের নতুন আরেকটি পর্ব। আশা করি সকলের ভাল লাগবে।
ভয়ঙ্কর দুর্সাহস|| ১০% প্রিয় লাজুক-খ্যাকের🦊 জন্য থাকলো
ভয়ঙ্কর দুর্সাহস-২ || ১০% প্রিয় লাজুক-খ্যাকের🦊 জন্য থাকলো
ভয়ঙ্কর দুর্সাহস-৩ || ১০% প্রিয় লাজুক-খ্যাকের🦊 জন্য থাকলো
ভয়ঙ্কর দুর্সাহস-৪ || ১০% প্রিয় লাজুক-খ্যাকের🦊 জন্য থাকলো
ভয়ঙ্কর দুর্সাহস-৫ || ১০% প্রিয় লাজুক-খ্যাকের🦊 জন্য থাকলো
অনেক দিনের একটা লম্বা ছুটি ছিল, টেবিলে পাশাপাশি দুজন বসে আছে, মিনুর সামনে ফিজিক্স বই আর অর্নবের সামনে আন্টির দিয়ে যাওয়া নাস্তা। দুজনের মধ্যে কখনোই এত নীরবতা ছিল না, আজ যেন অর্ণব ও মুখ ফুটে কিছু বলতে পারছেনা। এদিকে মিনুর লজ্জা-ভয় সবটাই প্রকাশ পাচ্ছে। কয়েক মিনিট পার হওয়ার পর অর্ণব মিনু কে বলল, আচ্ছা মোবাইলটা কোথায় লুকিয়ে রেখেছো?
মিনু জবাব দিল, আমার পুরনো একটা ডাইরি ছিল সে ডায়েরির পেজ গুলো কেটে মোবাইল রাখার জন্য একটা জায়গা তৈরি করেছি, ডায়েরির ভিতরে মোবাইল লুকানো আছে এটা বাহির থেকে বোঝা যায় না।
অর্ণব বলল বাহ এই বুদ্ধি তুমি কোথায় পেলে? মিনু বলল শ্রাবণী তাকে এই অদ্ভুত বুদ্ধিটা দিয়েছে, ও নিজেও এইভাবে তার মোবাইলটার লুকিয়ে রাখে। এটা আমার কাছে সব থেকে নিরাপদ মনে হয়েছে মা খুঁজে পাবেনা, তাই শ্রাবনীর এই আইডিয়াটি আমি এপ্লাই করেছি।
এবার অর্ণব বলল এসব দিয়ে কি হবে পড়াশোনা ও তো করতে হবে দেখি তোমার বইটা, আস্তে আস্তে তারা আবার ফ্রি হয়ে গেল পড়াশোনায় মন দিল।
বেশ ভালোই চলছিল বিকেলবেলা পড়ানো এবং রাতের বেলা ফেসবুকে অনেক সময় ধরে চ্যাটিং করা, ফেসবুক ফ্রেন্ড হওয়ার কারণে মিনু অর্নবের অনেক ফ্রেন্ড সম্পর্কে জানতে পারে। সে ভার্সিটিতে গিয়ে কি করে বন্ধুদের সাথে কোথায় কোথায় ঘুরতে যায় সবকিছু আপডেট ফেসবুক থেকে জেনে নিতে পারে। অর্ণব এর বর্তমান যে এক্স গার্লফ্রেন্ড সে ছিল অর্নবের ফ্রেন্ড সার্কেলের মধ্যে একজন, তাদের পূর্বের ছবিগুলো ফেসবুকে দেখে মিনু মনে মনে কষ্ট পেতো।
মিনু একটু চালাকি করে অর্নবের বাকি বন্ধুদেরও ফেসবুকে রিকোয়েস্ট পাঠায় এবং তাদের টাইমলাইন গুলো দেখার চেষ্টা করে, অর্ণব বিষয়টি দেখেও না দেখার ভান করলো কারন মেয়ের বয়স কম নতুন ফেসবুক একটু অনিয়মিত হতেই পারে।
এদিকে অর্নবের যে এক্স গার্লফ্রেন্ড ছিল সে তার জীবনের ফেরত আসতে চায়, আর্ণব না করেনি মেনে নিয়েছে সবকিছু। বেশ ভালোই চলছিল ছাত্রীর সঙ্গে ভালো একটা বন্ধুত্ব, এবং পুরনো প্রেমিকা তার জীবনে ফেরত এসেছে বন্ধু-বান্ধবের সাথে আড্ডা আর ভার্সিটির পড়াশোনা সবমিলিয়ে বেশ চমৎকার একটি লাইফ পার করছে।
হঠাৎই একদিন অর্নবের প্রেমিকা অর্ণবকে ট্যাগ করে ফেসবুকে একটা তাদের কাপল ছবি পোস্ট করে। মিনু অর্নবের এই বিষয়টি জানা ছিলো না, রাতের বেলা যখন ফেসবুকে তাদের কাপল পিক দেখে তখন মিনুর চোখ যেন অন্ধকার হয়ে গেল সে যেন আকাশ থেকে পড়ল, অর্ণব ভাইয়া তার সাথে এটা কীভাবে করতে পারল এসব ভাবতে ভাবতেই মিনুর চোখে পানি চলে আসলো।
মিনু যে অর্ণব কে ভালোবাসে এটা কি অর্ণব বুঝতে পারেনা? হাজারো প্রশ্ন তার মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে, ঐদিন রাতে আর অর্ণব এর সাথে কথা বলে নি।
অর্ণব ও নিজে থেকে তাকে ম্যাসেজ করেনি।
এদিকে মিনু এবং অর্ণব এর মধ্যে একটা দূরত্ব সৃষ্টি হয়, সে ঠিকঠাক পড়াতে আসেন কিন্তু মিনুর মনে একটু কষ্ট, রাতে একটু কম কথা হচ্ছে কারণ তার প্রেমিকাকে সময় দেয়া প্রয়োজন।
কিন্তু কথায় আছে না যে একবার চলে যায় তাকে বিশ্বাস করতে নেই, রিলেশনটা তিন দিন টেকেনি, আজকে কেন যেন তার বন্ধুদের সাথে ক্রিকেট খেলতে ভালো লাগছে না, পূর্বে ব্রেকআপ হয়েছিল কিন্তু এতটা খারাপ লাগেনি আজকে যেন সত্যিই নীলা তার জীবন থেকে চলে গেল।
স্কুল জীবনের এক বন্ধুর সাথে বিষয়টা শেয়ার করলা অর্ণব আজকে নীলার সাথে তার আজীবনের জন্য বিচ্ছেদ হলো। বন্ধু তাকে আশ্বাস দিয়ে বলল মেয়ে মানুষ আর বাস এ দুটোর জন্য কখনো অপেক্ষা করতে হয় না, একটা গেলে অন্য টা আসবে তুই কি দেখতে খারাপ ব্যাপারটা? চল তোকে আজকে একটা মজার জিনিস খাওয়াবো এসব নীলা তোর মনে থাকবে না, তুই শুধু শুধু মন খারাপ করছিস আজকে তোকে দেখাবো পৃথিবীটা কত রঙিন……………..☠️💉🚬
আমি সাজ্জাদ সোহান
আমি টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এর একজন শিক্ষার্থী। আমি ঢাকাতে বসবাস করি। আমি ট্রাভেল করতে অনেক ভালোবাসি, এছাড়া অবসর সময়ে মুভি দেখি, ফটোগ্রাফি করি, গান করি। আমি একটু চাপা স্বভাবের তাই কম কথা বলি কিন্তু আমি একজন ভালো শ্রোতা। ভালোবাসি নতুন জিনিস শিখতে, মানুষকে ভালবাসি তাই মানুষের সহযোগিতায় এগিয়ে আসি।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |