ভয়ঙ্কর দুর্সাহস-২ || ১০% প্রিয় লাজুক-খ্যাকের🦊 জন্য থাকলো
আসসালামু আলাইকুম
আমি @sajjadsohan from 🇧🇩.
২৮শে মে,শনিবার।
আ মার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা। আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় ভাল আছি।অনেকদিন হলো জেনারেল রাইটিং লেখা হয়না, আজ অনেকদিন পর মনের অজান্তে একটি বাস্তব ঘটনাকে আমি আমার কাল্পনিক জগতের মাধ্যমে উপস্থাপন করতে চাই। আশা করি সকলের ভাল লাগবে।
ভয়ঙ্কর দুর্সাহস|| ১০% প্রিয় লাজুক-খ্যাকের🦊 জন্য থাকলো
সেদিন ছিল শুক্রবার, যদিও শুক্রবার অর্ণব ভাইয়া তাকে পড়াতে আসে না, তবুও তো আজ সাতদিন হবে ছুটির, মিনু অপেক্ষা করছে বিকেল কখন চারটা বাজবে, বারবার ঘড়ির দিকে তাকাচ্ছে এখন ঘড়িতে তিনটে বাজে, আনমনে সে জানালা দিয়ে তাকিয়ে আছে বাহিরের দিকে।
টেডি বিয়ার: মিনু তোমাকে আর অপেক্ষা করতে হবে না, আজ তো বন্ধের দিন মনে হয় না তোমার মনের মানুষ আজকে আসবে।
মিনু: মনের মানুষ, কে মনের মানুষ?
টেডি বিয়ার: যার জন্য বারবার ঘড়ির দিকে তাকাচ্ছ সকাল থেকে যার জন্য অপেক্ষা করছো আমি সেই মানুষের কথা বলছি গো।
আসলে টেডি মিনার সাথে আবার বন্ধুত্ব করতে চাচ্ছে, কারণ এই বন্ধের কয়েকদিন মিনু একদম একা হয়ে যায়, সে মনের অজান্তেই যে কাল্পনিক চিন্তা গুলো করতো তার পুতুলের সাথে, সেগুলো সে পরিবর্তন করছিল, এতদিন অর্ণব ভাইয়া না আসাতে টেডি সাথে তার আবার ভাল সম্পর্ক হয়ে যায়।
অপেক্ষা করতে করতে মিনু প্রায় ঘুমিয়ে গেছে, এদিকে বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা হয়ে গেল, অর্ণব ভাই আজকে আর আসলো না মিনুর অনেক মন খারাপ হলো, আজ সাতটা দিন হয়ে গেল তার সাথে দেখা হলো না, রাতে অর্ণব আন্টিকে ফোন করে জানাল কালকে বিকেলে থেকে সে আবার পড়াতে আসবে। সাময়িক সময়ের জন্য হলেও মিনুর কষ্ট কমে গেল, সে অপেক্ষায় ছিল পরবর্তী দিনের সেই সোনালি মুহূর্তের জন্য যখন অর্ণব ভাইয়া তার সামনে বসে থাকবেন।
আজ সকাল থেকেই মিনুর মনটা অনেক খুশি, সে তার রুম খুব সুন্দরভাবে সাজিয়ে গুছিয়ে পরিষ্কার করল, নিজেও খানিকটা সাজুগুজু করল, মিনুর মা ব্যাপারটা একটু লক্ষ্য করলেও খুব বেশি একটা চিন্তিত হলো না। বিকেলে অর্ণব সময়মতো পড়ানোর জন্য চলে আসায়।
পুরোটা সময় মিনু অর্ণব এর দিকে তাকিয়ে ছিল। আজ কেন যেন তার মনে অন্যরকম একটি অনুভূতি হচ্ছে অনব এর জন্য, এতদিন পর সামনে দেখতে পেয়ে মনের মধ্যে আরো ভালো লাগা বেশি অনুভূতি হচ্ছে, সে মনে মনে ভাবছে এই বিষয়টি নিয়ে এসে তার বেস্ট ফ্রেন্ড শ্রাবণী সাথে কথা বলবেন, এতো কিছু হয়ে যাচ্ছে তার মনে মনে কিন্তু সে তার বেস্ট ফ্রেন্ড কে এই ব্যাপারটি যায়নি।
পরের দিন সকাল সাতটার সময় মিনু স্কুলে চলে যায় কারণ তার রাতে ভালো করে ঘুম হয়নি এই বিষয়টি নিয়ে যায় আজ তার বান্ধবীর সাথে কথা বলতে হবে। স্কুল কাছে থাকার কারণে সে সব সময় যে সময় যেত তার থেকে আজ 30 মিনিট পূর্বেই স্কুলের জন্য রওনা হল, প্রথম ক্লাস শেষ হয়ে যাওয়ার পর দ্বিতীয় ক্লাসের সময় মিনু আস্তে আস্তে তার বান্ধবী শ্রাবনীর সাথে ব্যাপারটি আমতা-আমতা করে শেয়ার করছে।
শ্রাবণী সেই ক্লাস ফাইভের থেকে প্রেম করে, এই বিষয়গুলো সে ভালো বুঝে, সে সব সময় চাইত মিনু একটি রিলেশন করুক, মিনুর মুখ থেকে যখন তার অনুভূতির কথা শুনতে পেলো আরো উৎসাহ দিল এই ব্যাপারটি নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার জন্য, বান্ধবী তাকে মনের কথা খুলে বলতে বলল। কিন্তু মিনু কখনো এরকম আগে করেনি, তাই বান্ধবী তাকে একটি বুদ্ধি দিল।
বান্ধবীর কথা মত মিনু পরের দিন তার অর্ণব ভাইয়া যে অধ্যায় পড়াবেন সেই চ্যাপ্টারের পাতায় ছোট্ট করে এক কোণে তার নাম লিখে দিয়েছে। পরেরদিন অর্ণব ভাইয়া বইয়ের পাতায় তার নাম দেখতে পেয়ে কিছুটা আন্দাজ করতে পেরেছে, অর্ণব কিছুটা রাগান্বিত হল, তার হাসি মুখটা নিমিষেই অন্ধকার কালো হয়ে গেল, সে প্রতিদিন চারটা সাবজেক্ট পড়াতেন, কিন্তু আজ বইয়ের পাতায় তার নাম দেখে একটি সাবজেক্ট কম পাড়ালেন, যখনই তার চোখে পড়ল তার নিজের নাম তখনই সে বইটা রেখে বললো মিনু আজকে আর পড়বো না আমি আসি, মিনু কিছুটা ভয় পেল এরকম রাগান্বিত সে কখনো হয়নি, অর্ণব রাগী ভাব নিলেও মনে মনে সে কিছুটা খুশি হয়েছে একটি মেয়ে মনের অজান্তেই তার জন্য অনুভূতি হচ্ছে, যদিও তার গার্লফ্রেন্ড আছে তবুও তবুও কেন যেন সে মনে মনে হাসছে যেটা তার চেহারায় প্রকাশ পাচ্ছে না……………..
আমি সাজ্জাদ সোহান
আমি টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এর একজন শিক্ষার্থী। আমি ঢাকাতে বসবাস করি। আমি ট্রাভেল করতে অনেক ভালোবাসি, এছাড়া অবসর সময়ে মুভি দেখি, ফটোগ্রাফি করি, গান করি। আমি একটু চাপা স্বভাবের তাই কম কথা বলি কিন্তু আমি একজন ভালো শ্রোতা। ভালোবাসি নতুন জিনিস শিখতে, মানুষকে ভালবাসি তাই মানুষের সহযোগিতায় এগিয়ে আসি।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
এখানেই শেষ করতে হলো।পড়তে ভালোই লাগছিলো।যাই হোক তারপর অর্নব স্যারের কি হলো, পরবর্তী পর্বে পড়তে পারবো।ধন্যবাদ
আলহামদুলিল্লাহ এ পর্বে অনেকগুলো পাঠক পাওয়া গেল, এই গল্পের প্রথমভাগে মাত্র একজন পাঠক ছিল, অবশ্যই আমি এর পরবর্তী পর্ব আপনাদেরকে উপহার দেয়ার চেষ্টা করব।
পড়তেই কেমন যেন শেষ হয়ে গেল ভাই। অনেক ইন্টারেস্টিং মনে হচ্ছে গল্পটি। স্যারের কাহিনি পরবর্তী পর্বে পড়ার অপেক্ষায় রইলাম। ধন্যবাদ আপনাকে
ভেবেছিলাম গল্পটির মধ্যে কেও কমেন্ট করবেনা কিন্তু আপনাদের কমেন্টস দেখে উৎসাহ পেলাম, অবশ্যই শীঘ্রই এর পরবর্তী পর্ব নিয়ে আসব, ধন্যবাদ ভাই আপনাকে।
মৃদু হাসি ও মুঁচকি হাসিতে অনেক কিছু অবলোকন করার মত থাকে ।গল্পের শেষ পর্যায়ে এমনটি আপনি বললেন। গল্পটি ভালো ছিল।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ, অভিজ্ঞ একটি কমেন্ট করেছেন, আপনার কমেন্টের মধ্যে লুকিয়ে আছে আমার এই গল্পের রহস্য।
শুভকামনা রইল
মিনু নিশ্চয় অর্নব স্যারকে ভালোবেসে ফেলেছে তাই হয়তো বইয়ের অর্নব স্যারের নাম লিখে দিয়েছে। মজার ছিল গল্পটি। পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম ভাই
এই গল্পের আরো একটি অংশ রয়েছে সেটি পড়লে এই গল্পের অনেক কিছু আরো বোঝার সহজ হয়ে যাবে, আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ পোস্টের মন্তব্য করার জন্য।
আপনার পুরো পোস্টটি পড়ে খুব ভালো লাগলো। সত্যিই খুবই অসাধারণ হয়েছে। পরবর্তী পোস্টের জন্য অপেক্ষা থাকলাম। ভালো থাকবেন ।
খুব বেশিদিন অপেক্ষা করতে হবেনা চেষ্টা করব খুব শীঘ্রই আপনাদের মাঝে গল্প নিয়ে আসার জন্য, আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
টুইস্ট শুরু হলো আপনি শেষ করে দিলেন। খুব ভালো লিখেছেন। পরবর্তী পর্ব মনে হয় আরো মজাদার হবে। অপেক্ষায় রইলাম।
টুইস্টার মধ্যে শেষ করেছি তাই তো আপনি কমেন্ট করেছেন, এখন আপনার কমেন্ট দেখে আরও উৎসাহ পেলাম এবং খুব শীঘ্রই পরবর্তী পর্ব চলে আসবে। ধন্যবাদ আপনাকে।