ভয়ঙ্কর দুর্সাহস-৫ || ১০% প্রিয় লাজুক-খ্যাকের🦊 জন্য থাকলো
আসসালামু আলাইকুম
আমি @sajjadsohan from 🇧🇩.
২৬শে জুন,রবিবার।
আ মার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা। আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় ভাল আছি। আজ অনেকদিন পর মনের অজান্তে একটি বাস্তব ঘটনাকে আমি আমার কাল্পনিক জগতের মাধ্যমে উপস্থাপন করতে চাই। পূর্বে আমি এর কয়েকটি পার্ট নিয়ে এসেছিলাম। তারই ধারাবাহিকতায় আজকের নতুন আরেকটি পর্ব। আশা করি সকলের ভাল লাগবে।
ভয়ঙ্কর দুর্সাহস|| ১০% প্রিয় লাজুক-খ্যাকের🦊 জন্য থাকলো
ভয়ঙ্কর দুর্সাহস-২ || ১০% প্রিয় লাজুক-খ্যাকের🦊 জন্য থাকলো
ভয়ঙ্কর দুর্সাহস-৩ || ১০% প্রিয় লাজুক-খ্যাকের🦊 জন্য থাকলো
ভয়ঙ্কর দুর্সাহস-৪ || ১০% প্রিয় লাজুক-খ্যাকের🦊 জন্য থাকলো
প্রায় সপ্তাহখানেক পর অর্ণব মিনুর ফেসবুকের ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট একসেপ্ট করল, তৃতীয় দিনের দিন ভেবেছিল অর্ণব ভাইয়া বুঝি তার রিকোয়েস্ট একসেপ্ট করবে না। শ্রাবণী যখন দেখল মিনুর আইডিতে একটি নোটিফিকেশন এসেছে এবং সেটা এসেছে অর্ণব ভাইয়ার আইডি থেকে, তখন থেকেই সে ছটপট করছিল তখন সে মিনুর সাথে দেখা করবে।
বিকেল চারটা কলিংবেলের শব্দ টিং টং, দরজার ওপাশে শ্রাবণী। আজ মিনুর থেকে শ্রাবণী বেশি খুশি কারণ তার কাছে সুখবর রয়েছে, এক দৌড়ে চলে গেল মিনুর ঘরে। তারপর যখন ঘটনা খুলে বললো গত দিনের রাতের কথা একদিকে ভয় অন্যদিকে আনন্দে মিনুর যেন হাত-পা কাপা শুরু করল।
অর্ণব রাতের বেলা রিকোয়েস্ট একসেপ্ট করে মেসেজ এর রিপ্লাই দিয়েছিল ভার্সিটির প্রোগ্রামের জন্য ব্যস্ত ছিল বেশ কয়েকটা দিন তাই ফেসবুকে আসার সময় হয়নি, শ্রাবণী রিপ্লাইতে বলেছিল মোবাইলটা শ্রাবণীর, সে যদি কথা বলতে চায় তাহলে পরেরদিন বিকেল চারটার সময় অনলাইনে আসার জন্য অর্ণব ভাইয়াকে বল্লো।
শ্রাবনীর কথামতো অর্ণব সেদিন ক্রিকেট খেলতে যায়নি বিকাল চারটার সময় অপেক্ষা করছিল তার ছাত্রী মিনুর সাথে ফেসবুকে চ্যাট করার জন্য, যদিও এটা সে কেন করছে জানেন না তবে মেয়েটি যখন কথা বলতে চায় তাহলে বলতে ক্ষতি কি? এই ভেবে অর্ণব মিনুর সাথে কথা বলেন।
এভাবে কয়েক সপ্তাহ অর্ণব ক্রিকেট খেলা বাদ দিয়ে মিনুর সাথে ফেসবুকে চ্যাটিং করলো, এদিকে অর্নবের বন্ধুবান্ধবরা বেজায় রাগ, অর্নবের আর ভালো লাগছে না বিকেলবেলা খেলতে না গেলে তারও ভালো যায় না দিন। অর্ণব বলল মিনু কে , তার কাছে অতিরিক্ত একটা মোবাইল রয়েছে যেটা বেশ পুরোনো তবে সেইটা দিয়ে ফেসবুক চালানো যায়, তুমি চাইলে আমি তোমাকে সেটা দিতে পারি তাহলে আমরা রাতে কথা বলবো বিকেলে আমি একটু ব্যস্ত থাকি।
মিনুও রাজি হয়ে গেল কারণ শ্রাবনীর ফোন দিয়ে চ্যাট করতে ভালো লাগে না কারন ওই সময় শ্রাবণী সামনে বসে থাকে এবং বিরক্ত হয় কারণ সেও তার বয়ফ্রেন্ডের সাথে কথা বলার জন্য বাসা থেকে বের হয়।
অর্ণব ভাইয়ের কাছ থেকে মোবাইল নিয়ে এসে মিনুর কাছে দেয়ার এই কাজটি সম্পন্ন হয় শ্রাবণের হাত দিয়ে, অর্ণব শ্রাবণীর কাছে মোবাইল সেট পাঠিয়ে দেয় যা পরবর্তী দিন মিনুর হাতে চলে যায়।
পুরনো হলেও এটা তার জীবনের প্রথম মোবাইল, তার ওপর এটা তার ভালোবাসার মানুষের ব্যবহার করা মোবাইল 💖🥰, খুশিতে মেনু রাতে ঘুমাতে পারে না। সারারাত জেগে অর্ণব এর সাথে ফেসবুকে চ্যাটিং করতে থাকে। যেহেতু ছুটি তাই দিনের বেলা ঘুমালেও মিনুর মা তেমন কিছু বলে না। আস্তে আস্তে মোবাইলে মেগাবাইট কেনার জন্য মিনু তার মায়ের থেকে টাকা চুরি করা শুরু করলো, মাঝে মাঝে অর্ণব তাকে মেগাবাইট এর কার্ড পাঠায়।
এভাবে তাদের মধ্যে ভাল একটা বন্ধুত্ব তৈরী হয়ে যায়, এভাবে কিছুদিন চলার পর অর্নবের যেই বর্তমান গার্লফ্রেন্ড ছিল তাকে অর্ণব যথেষ্ট পরিমাণ সময় দেয় না, এই নিয়ে তাদের মধ্যে অনেক ঝগড়া হতো। তার জন্য অর্ণব একটু বেশি খিটখিটে মেজাজের হয়ে যায়। সে বুঝতে পারছিল না কেন তার গার্লফ্রেন্ড তার সাথে রাগ করে, কারনটা যে সে যথেষ্ট পরিমাণ সময় পাচ্ছে না তার প্রাপ্য সময়টা যে মিনুকে দেয়া হচ্ছে এইটা অর্ণব বুঝতে চাইত না।
অর্ণব মিনুকে খুলে বলে তার রিলেশন ভালো যাচ্ছে না, তার প্রেমিকা তাকে একদমই বুঝতে চায় না, এগুলো শুনে মিনু অর্ণব কে সান্তনা দিলেও মনে মনে কিন্তু সে খুশি হত। এভাবে কিছুদিন চলার পর অর্নবের রিলেশনের বিচ্ছেদ ঘটে। এনিয়ে অর্ণব বেশ হতাশ হয়ে যায়, এসময় অর্ণবকে ভালো একটি সাপোর্ট দিয়েছিল মিনু। কারণ এটাই তার উত্তম সময় অর্ণব ভাইয়া কে নিজের করে নেওয়ার। এভাবে তাদের বন্ধুত্ব গভীর হতে থাকে। অর্ণব বুঝতে পারে তাদের মধ্যে বোধহয় ভালবাসার একটা সম্পর্ক তৈরি হয়ে যাচ্ছে। মিনু তো প্রথম থেকেই অর্ণব এর উপর ক্রাশ।
এভাবে বেশ কয়েকটা দিন যাচ্ছে রেজাল্টের সময় হয়ে গেল এবং মিনু ভালো একটা রেজাল্ট করলো এবার তার কলেজে ভর্তি হবার পালা। মিনুর মা নতুন কোন টিচারের সন্ধান না পেয়ে কলেজের ভর্তি পরীক্ষার এবং পরবর্তী সময়ের জন্য অর্ণবকে আবার নিয়োগ দিলেন।
আন্টির ফোন কল পেয়ে অর্ণব আর না করল না, সেও রাজি হয়ে গেল। আগামী সপ্তাহ থেকে বিকেল চারটার সময় অর্ণব তাদের বাসায় আসবে তাকে পাড়ানোর জন্য, এই কয়েকটা দিন অর্ণব এবং মিনুর মধ্যে আরও সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ হতে থাকে। তবে অর্ণব তাকে প্রথমেই জানিয়ে দেয় আমরা শুধু বন্ধু, মিনু ব্যাপারটা খুব হালকাভাবে নেয় এবং বলে জি ভাইয়া।
আজ আবার মিনুকে পড়ানোর শুরুর দিন, আগে কখনো এরকম অনুভব করেনি মিনুর বাসায় যাওয়ার সময় অর্ণব। আজ কেন যেন একটু নতুন শার্ট একটু স্মার্ট ভাবে যাওয়ার চেষ্টা করছে।
আজ কেন যেন পড়ার টেবিলে অর্ণব মিনুর দিকে তাকাতে পারছে না, আজ কেন যেন মিনুর ফর্সা গাল দুটো লাল হয়ে আছে, এটা কি লজ্জায় লাল? দুজনের চোখে মুখে যেন কৌতূহলের ছাপ………………💖🥀
আমি সাজ্জাদ সোহান
আমি টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এর একজন শিক্ষার্থী। আমি ঢাকাতে বসবাস করি। আমি ট্রাভেল করতে অনেক ভালোবাসি, এছাড়া অবসর সময়ে মুভি দেখি, ফটোগ্রাফি করি, গান করি। আমি একটু চাপা স্বভাবের তাই কম কথা বলি কিন্তু আমি একজন ভালো শ্রোতা। ভালোবাসি নতুন জিনিস শিখতে, মানুষকে ভালবাসি তাই মানুষের সহযোগিতায় এগিয়ে আসি।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
সত্যি দারুন পোস্ট হয়েছে আপনার। আমি আগের পোস্ট গুলো কিছুটা মিস করে গেছিলাম। আপনার লিংকের মাধ্যমে পোস্ট গুলো আবার দেখা হলো। সত্যি প্রতিটা পর্ব দারুন ছিল। অসংখ্য ধন্যবাদ আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
আমার পোস্টগুলো পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ, আপনাদের জন্যই গল্পগুলো তৈরি করা, আপনাদের মন্তব্য আরো কয়েকগুণ উৎসাহ বাড়িয়ে দেয়।
আমরা আপনার পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষা করছি ভাই। আপনার গল্পটি পড়ে সত্যিই খুব ভালো লাগলো। একটা রহস্য দিয়ে আপনি শেষ করেছেন। পরবর্তী পর্ব পেলে হয়তো এই রহস্যের উন্মোচন হবে। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ এত সুন্দর গল্প দেওয়ার জন্য
খুবই ভালো লাগলো আপনার মন্তব্য পড়ে আপনি আমার গল্পটা পড়েছেন এর পূর্বের পার্ট গুলো পড়ে আসতে পারেন ভাল লাগবে আশা করি, খুব শীঘ্রই আপনাদের জন্য আগামী পর্ব গুলো চলে আসবে।