ভয়ঙ্কর দুর্সাহস-৪ || ১০% প্রিয় লাজুক-খ্যাকের🦊 জন্য থাকলো
আসসালামু আলাইকুম
আমি @sajjadsohan from 🇧🇩.
২০শে জুন,সোমবার।
আ মার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা। আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় ভাল আছি। আজ অনেকদিন পর মনের অজান্তে একটি বাস্তব ঘটনাকে আমি আমার কাল্পনিক জগতের মাধ্যমে উপস্থাপন করতে চাই। পূর্বে আমি এর কয়েকটি পার্ট নিয়ে এসেছিলাম। তারই ধারাবাহিকতায় আজকের নতুন আরেকটি পর্ব। আশা করি সকলের ভাল লাগবে।
ভয়ঙ্কর দুর্সাহস|| ১০% প্রিয় লাজুক-খ্যাকের🦊 জন্য থাকলো
ভয়ঙ্কর দুর্সাহস-২ || ১০% প্রিয় লাজুক-খ্যাকের🦊 জন্য থাকলো
ভয়ঙ্কর দুর্সাহস-৩ || ১০% প্রিয় লাজুক-খ্যাকের🦊 জন্য থাকলো
পরীক্ষা শেষ এখন মিনুর হাতে অনেক সময়, এখন আন্টি আর তাকে এতটা চোখে চোখে রাখে না, সে সারা দিন টিভি দেখলেও এখন আর তার মা তাকে বকে না, সে চাইলেই বারান্দায় ঘন্টার পর ঘন্টা আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকতে পারে।
চাইলেই সে বিকেল বেলা ছাদে যেতে পারে, এতসব স্বাধীনতার মধ্যেও তার ভালো না থাকার একটি বড় কারণ হল এখন তার পড়াশোনার চাপ নেই আর পড়াশোনার চাপ নেই মানে ওর আর্ণব ভাইয়ার অস্তিত্ব নেই। সে সাপ্তা খানেকের মধ্যে খুব বিরক্ত হয়ে গেল এখন আর তার টিভি দেখতে ভালো লাগে না অথচ একটা সময় টিভি দেখার জন্য মায়ের হাতে বকা খেতে।
যে মেয়েটা মনে মনে ভাবতো স্কুল-কলেজ কিভাবে শেষ করে ভার্সিটিতে ভর্তি হওয়া যায়, সে এখন তার স্কুল জীবন টাকে খুব মিস করছে, তার বান্ধবী শ্রাবণী কেমন যেন পর হয়ে গেল। খুব করে একদিন বকা দিলো শ্রাবণী যেন বিকেলবেলা তার বাসায় আসে, শ্রাবণীকে এটাও বললো সে যেন তার মোবাইলটা নিয়ে আসে, শ্রাবণীর বয় ফ্রেন্ড শ্রাবণী কে একটি এন্ড্রয়েড মোবাইল উপহার দিয়েছিল, এটিতে সে গোপনে লুকিয়ে লুকিয়ে ফেসবুক চালায় এবং বয় ফ্রেন্ডের সাথে কথা বলে।
সে খুব করে বলল জানো সাথে কিছু এমবি কার্ড নিয়ে আসে ও টাকা দিয়ে দিবে, এমবির কথা শুনে শ্রাবণী খুশি হয়ে গেল, ঠিক বিকেল চারটায় দোকান থেকে কিছু এমবি কার্ড কিনে নিয়ে আসলো, এবং মিনুর বাসায় কলিং বেল চাপলো।
কলিংবেলের শব্দ শুনেই মিনু দৌড়ে এসে দরজা খুললো এবং জড়িয়ে ধরে দুজন চিৎকার করে উঠলো, মিনুর মা এসে দেখল তার বান্ধবী এসেছে, তাই এতো হইচই হচ্ছে। মিনুর মা শ্রাবণী কে বসতে বলল, কিন্তু মিনু শ্রাবণী কে নিয়ে সোজা তার রুমে চলে গেল। মিনুর মা তেমন কোনো কিছুই ভাবলো না নাস্তা তৈরী করতে ব্যস্ত হয়ে গেল।
রুমে আসার পরই মিনু জিজ্ঞাসা করল তুই কি তোর মোবাইল ফোন টা সাথে করে নিয়ে এসেছিস? উত্তরে শ্রাবণী বলল হ্যাঁ নিয়ে এসেছি, আর তোকে যে বলেছিলাম কিছু এমবি কার্ড কিনে নিয়ে আসতে? উত্তরে শ্রাবণী বলল হ্যাঁ নিয়ে এসেছি। এখন বল কেন মোবাইল নিয়ে আসতে বলেছিস?
মিনু বলল তুই না আমার সব থেকে ভালো বন্ধু, তুই আমার জান, তুই আমার কলিজা,তুই আমাকে একটা উপকার করবি?
শ্রাবণী বললো হ্যা হ্যা হয়েছে বুঝতে পেরেছি তোকে একটা ফেসবুক একাউন্ট খুলে দিতে হবে এইতো ,অর্ণব ভাইয়ের সাথে কথা বলবি তো এর জন্য আমাকে এত পাম দিতে হবে না আমি খুলে দিচ্ছি।
শ্রাবণী বলল মোবাইলে এমবি নেই তাই এমবি কার্ড থেকে কিছু এমবি ভরে নিতে হবে, এর মধ্যেই মিনুর মা চলে আসলো নাস্তা নিয়ে, শ্রাবণী হুরমুড়িয়ে তাড়াতাড়ি কোনরকম তার মোবাইল টাকে লুকিয়ে ফেলল, আন্টি কিছু সময় তাদের সাথে বসলো এবং তারপর চলে গেল।
এরপর শ্রাবণী তাকে একটি ফেসবুক আইডি খুলে দিতে লাগলো, কি নাম দেয়া যায়? মিনু বলল কেন আমার নাম দিয়ে খুলবো শুধু প্রোফাইল পিকচার টা না দিলেই তো হল? শ্রাবণী বলল বাহ তোর মাথায় তো ভালো বুদ্ধি।
যেই ভাবা সেই কাজ ফেসবুকের দুনিয়াতে মিনুর রহমান নামে একটি নতুন আইডির জন্ম হলো, প্রোফাইল পিকচারে ছোট্ট একটা পরীর ছবি।
ফেসবুক আইডিটা খোলার সাথে সাথেই লাস্ট পরীক্ষার সেই প্রশ্নপত্রটা বের করল, সেখানে লেখা আছে তার প্রিয় মানুষটার ফেসবুক আইডি, শ্রাবণী যেহেতু এই সকল বিষয়ে খুব পটু, খুব সহজে ফেসবুক আইডি খুলে ফেলল এবং অর্ণব ভাইয়ার আইডি টা বের করতে তার খুব বেশি সময় লাগল না।
ফেসবুকের প্রোফাইল পিকচার দেখে তো মিনু আরো প্রেমে পড়ে গেল, বাস্তব থেকে প্রোফাইল পিকচারে যেন তার স্বপ্নের রাজপুত্র কে আরো বেশি সুন্দর লাগছে, শ্রাবণী তো বলেই ফেলল তোর বয়ফ্রেন্ড তো হেভি স্মার্ট। 😝😂
মিনু বলল যা শয়তান নজর দিস না, ওকি এখন আমার বয়ফ্রেন্ড এখনো তো ভালোবাসার কথা বলতেই পারলাম না। শ্রাবণী বলল খুব তাড়াতাড়ি সবকিছু হয়ে যাবে এইনে রিকুয়েস্ট পাঠিয়ে দিয়েছি এক্সেপ্ট করলেই তো মনের কথা খুলে বলতে পারবি।
আচ্ছা শোন আমি আজকে যাইরে, শ্রাবণী বলল। মিনু বলল সবেমাত্র তো রিকোয়েস্ট পাঠালাম আরেকটু সময় অপেক্ষা কর যদি এক্সেপ্ট করে, শ্রাবণী বলল মাকে বলে এসেছে কিছু সময়ের মধ্যেই চলে আসব এখন অনেকটা সময় হয়ে গেছে সন্ধ্যা হয়ে গেলে আবার মা রাগ করবে।
মিনু বলল আচ্ছা শোন ও যদি আমার ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট একসেপ্ট না করে। শ্রাবণী বলল আরে বোকা আমি তাকে এখনই একটা মেসেজ পাঠিয়ে দিয়ে রাখছি, ওগো আমার প্রাণপ্রিয় অর্ণব আমি তোমার প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছি 🥰😅।
মিনু ঠাস করে শ্রাবনীর পিঠে একটা থাপ্পড় দিল, তুই এসব বলিস না এমনি একটা মেসেজ দে, আমি মিনু আমার রিকোয়েস্ট টা অ্যাকসেপ্ট করবেন প্লিজ।
মেসেজ সেন্ড করার সাথে সাথেই অর্ণব ম্যাসেজটা সীন করেছে, এটি দেখেতো শ্রাবণী এবং মিনু দুজনেই আনন্দে আত্মহারা কিন্তু অর্ণব কোন উত্তর দিল না । শ্রাবণী এবং মিনু দুজনেই অনেকটা সময় অপেক্ষা করল কিন্তু অর্ণব কোন উত্তর দিল না, শ্রাবনীর পক্ষে আর দেরী করা সম্ভব ছিল না তাই সে বলল আমি ঠিক কালকে একই সময়ে তোর বাসায় আসব।
বেশ অনেকটা দিন পর মিনু তার অর্ণব ভাইয়া কে দেখতে পেল ফেসবুকের মাধ্যমে, এতেই সে অনেক এক্সাইটেড ছিলাম, সারারাত ঘুমাতে পারিনি শুধু এই ভাবনা তেই অর্ণব বুঝি তার ফেসবুকে রিকোয়েস্ট এক্সেপ্ট করলো, আগে অর্ণব ভাইয়াকে একনজর দেখার জন্য অপেক্ষা করত কখন বিকাল চারটা বাজবে, আর আজ সে একই কারণে অপেক্ষা কখন বিকেল চারটা বাজবে শ্রাবনীর মোবাইল আর ফেসবুকে অর্ণব ভাইয়ার সেই প্রোফাইল পিকচার…………….. 💖🥀
আমি সাজ্জাদ সোহান
আমি টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এর একজন শিক্ষার্থী। আমি ঢাকাতে বসবাস করি। আমি ট্রাভেল করতে অনেক ভালোবাসি, এছাড়া অবসর সময়ে মুভি দেখি, ফটোগ্রাফি করি, গান করি। আমি একটু চাপা স্বভাবের তাই কম কথা বলি কিন্তু আমি একজন ভালো শ্রোতা। ভালোবাসি নতুন জিনিস শিখতে, মানুষকে ভালবাসি তাই মানুষের সহযোগিতায় এগিয়ে আসি।
.gif)
| 250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
𝕋𝕙𝕒𝕟𝕜 𝕪𝕠𝕦 𝕖𝕧𝕖𝕣𝕪𝕠𝕟𝕖
আপনি আস্তে আস্তে এই গল্পের রহস্যটা বাড়িয়া তুলছেন ভাই। গত পর্ব গুলোর মত এবারো অত্যন্ত দারুন এবং সুন্দর ছিল। আগামী পর্বগুলোতে কতটা রোমাঞ্চকর হতে পারে সেটাই ভাবছি। আপনার জন্য অনেক শুভকামনা থাকবে সাজ্জাদ ভাই।
আপনি আমার গল্পটা পড়েছেন এ জন্য আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ এবং আপনার জন্য শুভকামনা।
মিনু আর অর্নবের প্রেমটা শুরু হবে কখন। নাকি আদৌ হবে না। গল্পের টুইস্ট যে বেড়েই চলছে।
আপনার লেখা গল্পটি দিয়ে খুব সুন্দর একটি নাটক তৈরি করা যাবে।
পরবর্তী পর্বের জন্য অধীর অপেক্ষায় রইলাম।
হবে হবে যে প্রেম যত দেরিতে শুরু হয় সে প্রেম তত বেশি গভীর হয় ভালো কিছুই থাকবে আপনাদের জন্য।😜
যদিও আপনার এর আগের পর্ব গুলো পড়া হয়নি শুরু থেকে। তার পরেও বলব এই পর্বটারে বেশ আগ্রহ পূর্ন ছিল পড়ার । অনেক মনযোগ দিয়ে পরছিলাম ,মিনুর ভালোবাসা কি হবে সেই অপেক্ষায় রইলাম। জলদি পরের পর্ব প্রকাশ করবেন , দেরি হলে পরতে ভুলে যাব হাহাহহ। শুভকামনা
আপনি চাইলেই আগের পর্বগুলো দেখে আসতে পারেন এই পোস্ট সেগুলোর লিংক দেয়া আছে।