আমার শেয়ার করা সাতটি মিষ্টি খাবার এর রেসিপির সংগ্রহশালা || 10% Beneficiary To @shy-fox 🦊
হ্যালো বন্ধুরা
সবাই কেমন আছেন? আশা করছি মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে ভালো আছেন সবাই। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
আজ আমি এসেছি আমার মিষ্টি জাতীয় খাবারের সংগ্রহশালা নিয়ে। আমার এই পোষ্টের মাধ্যমে আমার সাতটি মিষ্টিজাতীয় খাবার এর পোস্ট একসাথে থাকবে। আমি আমার এই পোষ্টে সবগুলো পোস্ট এর লিঙ্ক সংযুক্ত করে দেবো। এতে করে কেউ যদি আমার পোস্টগুলো দেখে না থাকেন তাহলে দেখে নিতে। পারবেন
পোস্ট-১
পাস্তা একটি ইতালিয়ান খাবার। সাধারণত পাস্তা আমরা ঝাল ঝাল করে খেতেই অভ্যস্ত। কিন্তু পাস্তা দিয়ে মিষ্টি জাতীয় খাবার ও তৈরি করা যায়। আমি আমার এই পোস্ট এ পাস্তার পায়েস তৈরি করে দেখিয়েছিলাম। দুধ, চিনি, পাস্তা, সাদা এলাচ দিয়ে তৈরি করা এই পাস্তা খেতে খুবই সুস্বাদু। আপনারা যদি পাস্তার পায়েস বানানোর রেসিপি দেখতে চান তাহলে উপরে দেয়া লিঙ্কে ক্লিক করে আমার পোস্টটি ঘুরে আসবেন।
পোস্ট-২
সুজি বেশিরভাগ সময়ই দুধ দিয়ে রান্না করে। কিন্তু সব সময় তো একই ভাবে খেতে ভালো লাগেনা। তাই ডিম দিয়ে এভাবে সুজির পিঠা বানিয়ে খেলে সুজির প্রতি বিরক্তিটা আর থাকবে না। আর এই পিঠা খুব সহজেই বানিয়ে বানিয়ে নেয়া যায়। ডিম সুজির পিঠার রেসিপির লিঙ্ক আমি উপরে দিয়ে দিয়েছি। আপনারা যদি রেসিপিটি দেখতে চান তাহলে লিংকে ক্লিক করে আমার পোস্টটি ঘুরে আসবেন।
পোস্ট-৩
পাউরুটি তো আমরা সকলেই জেলি দিয়ে কিংবা ডিম দিয়ে ভেজে খাই। এছাড়াও পাউরুটির একটি মজাদার খাবার আইটেম হলো শাহী টুকরা। এর নামটা যেমন শাহী , স্বাদ এর মধ্যে ও সেরকম শাহী শাহী একটা ভাব আছে। কিন্তু এই মিষ্টি খাবারের আইটেম তৈরি করা খুবই সহজ। সহজেই শাহী টুকরা বানানোর রেসিপি শিখতে হলে উপরে দেয়া লিঙ্কে ক্লিক করে আমার পোস্টটি ভিজিট করে আসবেন।
পোস্ট-৪
রসমালাই খেতে আমরা সকলেই পছন্দ করি। দুধের ছানা তৈরি করে সেই ছানা দিয়ে রসমালাই বানানোর পদ্ধতিটা কিছুটা জটিল বলে বেশিরভাগ সময় বাইরে থেকে কিনে খাওয়া হয়। কিন্তু গুঁড়া দুধ এর সাহায্যে খুব সহজেই এবং কম সময়ে রসমালাই তৈরি করা যায়। এই রসমালাই এর স্বাদ ছানা দিয়ে বানানো রসমালাই এর স্বাদ এর থেকে কোনো অংশে কম হয়না। আমি রসমালাই বানানোর রেসিপির পোষ্টের লিংক উপরে দিয়ে দিয়েছি। আপনারা এই পদ্ধতিতে রসমালাই বানানো শিখতে হলে উপরে দেয়া লিঙ্কে ক্লিক করে পোস্টটি ঘুরে আসবেন।
পোস্ট-৫
আমরা বাঙালিরা হরেক রকম পিঠা খেয়ে থাকে। আর বিশেষ করে শীতকালের পিঠা খাওয়ার ধুম পড়ে যায়। অনেক সময় সময়ের অভাবে কিছু কিছু পিঠা বানিয়ে খাওয়া সম্ভব হয় না। কিন্তু কিছু কিছু পিঠা আছে যা খুব কম সময়ে বানিয়ে নেয়া যায়। ঠিক তেমনি একটি পিঠা হচ্ছে দুধ খেজুরের নকশি পিঠা। আমি খুব কম সময়ে আটা, খেজুরের গুড় এবং দুধ এর সাহায্যে এই পিঠা তৈরি করেছিলাম। আমার পিঠা বানানোর পদ্ধতি দেখতে হলে ওপরে দেয়া লিঙ্কে ক্লিক করে আমার পোস্টটি ঘুরে আসবেন।
পোস্ট-৬
ডিমের এই মিষ্টি আইটেমটি কে না পছন্দ করে। ডিম আর দুধ দিয়ে বানানো ক্যারামেল পুডিং যেরকম পুষ্টিকর ঠিক সেরকমই সুস্বাদু। আর ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা এক চামচ পুডিং মুখে দেওয়ার সাথেই শান্তি লাগে। খুব সহজেই ক্যারামেল পুডিং বানানোর পদ্ধতি আমার পোস্টে উল্লেখ করা আছে। উপরের দেয়া লিংকে ক্লিক করে আমার পোস্টটি ঘুরে আসলে আপনারাও ক্যারামেল পুডিং বানানোর পদ্ধতি শিখে নিতে পারবেন।
পোস্ট-৭
***সচরাচর যেভাবে দুধ দিয়ে লাচ্চা সেমাই রান্না করা হয় বেশিরভাগ মানুষই তা পছন্দ করে না। এমনকি আমি নিজেও এভাবে লাচ্চা সেমাই রান্না করে খেতে পছন্দ করি না। কিন্তু লাচ্চা দিয়ে তৈরি করা এই নবাবী সেমাই আমার মনে হয় না কেউই অপছন্দ করে। নওয়াবি সেমাই একবার খেলে মুখে স্বাদ লেগে যায়। নবাবী সেমাই বানানোর পদ্ধতি জানতে হলে উপরে দেওয়া লিংকে ক্লিক করে আমার পোস্টটি ঘুরে আসবেন।
আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোস্ট টি ভিজিট করার জন্য। আমার বানানো মিষ্টি খাবারের আইটেম গুলো আপনাদের কেমন লেগেছে তা মন্তব্য করে জানাতে ভুলবেন না।
সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন সাবধানে থাকবেন।
আপনার রেসিপি পোষ্ট গুলো আবার একসাথে দেখতে পেয়ে খুবই ভালো লাগছে। আপনার প্রত্যেকটা রেসিপি পোস্ট দেখে ছিলাম এবং খুবই মজাদার রেসিপি পোষ্ট আপনি আমাদের সাথে শেয়ার করেছিলেন। আবারো দেখতে পেয়ে খুবই ভালো লাগলো।
আমার মিষ্টি জাতীয় খাবারের রেসিপি গুলো আপনি সবগুলোই দেখেছেন এটা জানতে পেরে সত্যিই খুব ভালো লাগলো।
আপনার আজকের রিভিউটি আমার অনেক পছন্দ হয়েছে কেননা আমি বিষয়ভিত্তিক পোস্ট বেশি পছন্দ করি। বিশেষ করে অনেকে হ-য-ব-র-ল সবগুলো পোস্ট এর একসাথে রিভিউ দিয়ে থাকে। কিন্তু আমি মনে করি কোন বিষয় ভিত্তিক যদি রিভিউ দিয়ে থাকে সেটি একটি সংগ্রহশালা হিসেবেও বিবেচিত হয়। যেমন আপনার মিষ্টি খাবারের সবগুলো পোস্ট একসাথে রিভিউ করার কারণে সব গুলো সংগ্রহীত থাকবে।যাইহোক অনেক ভালো কিছু পোস্ট শেয়ার করেছিলেন ধন্যবাদ আপনাকে।
আমার শেয়ার করা মিষ্টি জাতীয় খাবারের রেসিপি গুলো যাতে একসাথেই থাকে সেজন্য এই সংগ্রহশালার পোস্টটি করলাম। আপনার মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
একদম চমৎকার একটি কাজ করেছেন এবং আমিও চাই সবাই বিষয়ভিত্তিক রিভিউ করুক। তবে বিষয়ভিত্তিক রিভিউ আমার পছন্দ ধন্যবাদ আপনাকে
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
মিষ্টি জাতীয় খাবার আমার কম পছন্দ । তবে এগুলোর মধ্যে পুডিং আমার অনেক পছন্দ। আপনার রেসিপি গুলো দেখে মনে হচ্ছে খাবার গুলো বেশ দারুন হয়েছে। আমার তো ইচ্ছে করছে মিষ্টি হলেও এখান থেকে রেসিপিগুলো টেস্ট করে দেখতে। কারণ রেসিপি গুলো খুবই লোভনীয় লাগছে। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু মিষ্টি এত্ত ধরনের রেসিপি রিভিউ পোষ্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।আপনার জন্য শুভেচ্ছা রইল।
মিষ্টি যে আমিও খুব একটা পছন্দ করি তা না। মিষ্টি জাতীয় খাবার গুলো খাই তবে কম মিষ্টি দিয়ে। আমার শেয়ার করা রেসিপি গুলো প্রতিটি আমার অনেক পছন্দের। ট্রাই করে দেখবেন ভালো লাগবে।
আপনার এই মিষ্টির রেসিপি গুলো দেখে আমি লোভ সামলাতে পারছিনা। আমার ইচ্ছে করছে সবগুলো রেসিপি একটু টেস্ট করে দেখি। তবে সবগুলো রেসিপির মধ্যে আমার কাছে আনকমন লেগেছে ইতালিয়ান খাবারটি। পাস্তা আমরাও সবসময় ঝাল করে খেয়েছি কিন্তু এভাবে মিষ্টি জাতীয় করে রান্না করা হয়নি। আসলেই একবার টেষ্ট করা দরকার।
আপু এত সুন্দর সুন্দর পোস্ট গুলো শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
পাস্তার পায়েস ও কিন্তু অনেক সুস্বাদু। আমি মাঝে মাঝে এভাবে পাস্তা পায়েস বানিয়ে খায়। একবার ট্রাই করে দেখবেন আশা করি খারাপ লাগবে না।
সুন্দর একটি মন্তব্যের মাধ্যমে আমার পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ আপু। ভালো থাকবেন।
আপনার ইয়াম্মি ইয়াম্মি রেসিপি গুলো দেখেই আমার কাছে খুবই ভালো লাগলো। একসাথে যদি এতো সুস্বাদু খাবার দেখতে পাই তাহলে তো আরো অনেক ভালো লাগে। আপনার ইয়াম্মি রেসিপি গুলো দেখেই আমার খুব লোভ হচ্ছে 😋 ধাপে ধাপে পুরোটা অনেক সুন্দর ভাবে উপস্থাপনা ও করলেন। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
আসলেই প্রত্যেকটি খাবার ই খুবই ইয়াম্মি। আরে এমনি খাবার দেখে যেহেতু আপনার লোভ লেগে গেছে তাই দেরি না করে বানিয়ে খেয়ে ফেলুন। শুভকামনা রইল আপু।
দারুন মজার মজার রেসিপি শেয়ার করেছেন। মিষ্টি জাতীয় খাবার গুলো আমার খুব পছন্দের। বিশেষ করে সুজির পিঠা এবং অনেক অনেক অনেক বেশি পছন্দ। আমার কাছে খেতে খুব ভালো লাগে এবং অনেক ধন্যবাদ।
সুজির পিঠা তো আমারও অনেক ভালো লাগে। আর সুজির পিঠা তৈরি করতে সময় খুব কম লাগে। আপনার যেহেতু মিষ্টি জাতীয় খাবার অনেক পছন্দের, আপনি আমার শেয়ার করা রেসিপিগুলো বাসায় ট্রাই করতে পারেন। ভালো লাগবে।
সত্যিই আপনার এত ধরনের মিষ্টি জাতীয় খাবারের রেসিপি দেখে আমার তো একদম খিদে পেয়ে গেল। সবগুলো খাবার একসাথে সংগ্রহশালা তৈরি করেছেন দেখে বেশ ভালো লাগলো। আমি আবার এই প্রত্যেকটা খাবার পছন্দ করি। নওয়াবি সেমাই এর রেসিপি টা আমার কাছে দারুন লাগে খেতে। আবার পুডিং যেকোনো সময় ভালো লাগে। এত সুন্দর সুন্দর রেসিপি গুলো আর একবার দেখতে পেয়ে বেশ ভালো লাগলো।
খিদা লাগলে খাওয়া ছাড়া আর কোন উপায় নেই। ঝটপট বানিয়ে ফেলতে পারেন তা বানিয়ে খেয়ে ফেলুন। এক্ষেত্রে নবাবী সেমাই বাদে প্রত্যেকটি আইটেমই খুব কম সময়ে বানিয়ে ফেলা যায়। নওয়াবি সেমাই খেতে অনেক সুস্বাদু তাই একটু সময় নিয়ে বানাতে হয়। আপনার মন্তব্য পড়ে খুবই ভালো লাগলো আপু। ভালো থাকবেন।
মিষ্টি জাতীয় খাবার আমি একটু কম খাই। মিষ্টি পাস্তা কখনো খাইনি। তাই রেসিপি টা ইউনিক বলতেই হয়। এবং ডিম দিয়ে তৈরি ক্যারামেল ফুডিং টাও বেশ চমৎকার লেগেছে। সবমিলিয়ে দারুণ ছিল রেসিপি গুলো। আপনার রেসিপি গুলো ভালো ছিল। অনেক সুন্দর হয়েছে পোস্ট টা।
পাস্তার পায়েস দেখে অনেকেই খায়নি। তবে মিষ্টি রাস্তার স্বাদ ও কম কিছু না। একবার বানিয়ে খেয়ে দেখুন খুব কম সময়েই এই পায়েস বানিয়ে নেয়া যায়। শুভকামনা রইল।