এক বন্ধুর আবেগ জড়ানো প্রথম প্রেমের একটি গল্প পঞ্চম পর্ব
আমার প্রিয় বন্ধুগন, সবাই কেমন আছেন? সবাইকে আমার আন্তরিক মোবারকবাদ এবং অন্তরের অন্তস্থল থেকে আপনাদেরকে জানাই শুভেচ্ছা।
এক বন্ধুর আবেগ জড়ানো প্রথম প্রেমের একটি গল্প। |
---|
আজকে আমি আমার এক বন্ধুর প্রথম প্রেমের একটি গল্প শেয়ার করতে যাচ্ছি।হয়তো এক পর্বে তুলে ধরা সম্ভব নয় তাই কয়েক পর্বে শেয়ার করবো।তবে গল্পটা আমি তার আবেগ জড়ানো নিজ কন্ঠে শুনেছি। তো কথা না বাড়িয়ে শুরু করি বন্ধুর প্রথম প্রেমের গল্প।প্রেম নিয়ে প্রথমেই দু-চারটা লাইনে নিজের মত করে কবিতা লিখি, তারপর গল্পতে ফিরে যাবো।
ধরা নাহি যায়।
যার নসিবে রাখে বিধাতা,
সেই শুধু পায়।
কেউবা আবার প্রেম করে,
সদ্য প্রেম হারায়।
কেউবা আবার প্রেম করে,
বিয়ের কাঠগড়ায়।
আমার বন্ধুর প্রেমের কথা বলতে গেলে কোথায় থেকে শুরু করবো, কোথায় শেষ করবো সেটা আসলে বলা মুশকিল। তাই চিন্তা করলাম একপাশ থেকে শুরু করি যেখানে গিয়ে শেষ হয়।তবে গল্পের আকর্ষণ বজায় রাখতে বন্ধুর জায়গাতে আমি নিজেকেই কল্পনা করে গল্পটি লিখছি চলুন শুরু করা যাক।
নিজের মনকে খুব কষ্টে বেঁধে রাখতাম,আর বুঝাতাম কালকে আবার বাজারে গেলে ৫০ টাকার কার্ড নিয়ে আবার কথা বলবো।আসলে তখন তো ছিলাম স্টুডেন্ট এত টাকা পাবো কই রাত দিন কথা বলার জন্য। তাই কোনভাবে যেটুকু ম্যানেজ করতাম সেটা ফোন আলাপে উড়িয়ে দিতাম।তার সাথে কথা বলতে এত ভালো লাগতো সেটা বলে বোঝানো যাবে না।
যাইহোক এভাবেই অনেকদিন কথা বললাম। আর কথা বলতে বলতে কয়েক মাস পার হয়ে গেল। তখন তাদের বাড়িতে যাওয়ার জন্য আবার বাহানা বানাচ্ছিলাম।আর তখন আমি একটি ছড়াও লিখেছিলাম। ছড়াটি এরকম ছিল যে সুখের খোঁজে যাবো,সুখ নিয়ে আসবো। সারা গায়ে মাখবো। যতদিন না আবার পাবো।ততদিন ধরে রাখবো।
আর এই ছড়ার মানে হচ্ছে,সে ছিলো আমার সুখ তাই তাকে খুঁজতো যাবো।আর তার সাথে দেখা করবো এবং তাকে যতদিন আবার না দেখতে পাবো ততদিন পর্যন্ত নিজের স্মৃতিতে জড়িয়ে রাখবো। এটি ছিল আমার সেই কয়েকটা লাইনের মর্মার্থ।যাইহোক তখন একটা বাহানা ধরেই চলে গেলাম তাদের বাড়িতে।
যাওয়ার পরে সেখানে আবার পুনরায় জামাই আদর শুরু।সেদিন যখন নাস্তা দিল খাওয়ার জন্য,তখন আমি এবং মেয়েটি একসাথে বসে নাস্তা করলাম।নাস্তায় অনেক কিছুই ছিলো তবে তার মাঝে আমার জন্য একটি ডিমের অমলেট ছিলো। তখন আমি অমলেটের কিছু অংশ খেয়েছি, বাকি অংশ তাকে খেতে দিলাম আর সেও খেলো। সেটি দেখে অনেক ভালো লাগলো।
একটা মেয়ে আমার খাওয়ার বাকি অংশ সে খেলো এটা সচরাচর ঘটে না।তখন মনে হলো ভালোবাসা কিছুটা গভীরে যেতে লাগলো।যাইহোক সেদিন তারা থাকার জন্য বললো কিন্তু থাকার সুযোগ ছিলোনা।তাই বাড়িতে চলে আসতে হলো। আসার পরে প্রতিনিয়ত ফোন আলাপ হতেই থাকতো।
অনেক কথোপকথন হতো তার সাথে । অনেক মজা করতাম তার সাথে, তবে খারাপ কোন উদ্দেশ্য দুজনের মধ্যে ছিল না।কেননা প্রথম ভালোবাসা বলে কথা। প্রেম টা কিভাবে করে সেটাই জানতাম না,খারাপ উদ্দেশ্য কিভাবে জন্ম নেবে।আর প্রথম ভালোবাসা এমনিতেই পবিত্র হয়ে থাকে।তাই কেউ এ এই প্রথম ভালোবাসার অবজ্ঞা করে না।
যাইহোক এরপর কিছুদিন যেতে না যেতে আবারও গেলাম মেয়েটির বাড়িতে। যাওয়ার পরে সেই আবারো আদর আপ্যায়ন চললো।সেদিন বিকেলে আসার পথে মেয়েটি আমার নাম ধরে ডাকলো এবং বললো আজকে না যেতে। আমি বললাম না এখন থাকা যাবে না পড়াশোনা আছে যেতে হবে। আর সেও তো আমার ক্লাসমেট ছিল। মানে আমি ক্লাস টেনে পড়তাম, মেয়েটিও ক্লাস টেনে পড়তো। যার কারণে সমবয়সী ছিলাম আমরা।
কিন্তু প্রেম তো মানে না বয়স। মানে না সে কোন ক্লাসে পড়ে। প্রেম তো অন্ধ এক পলকেই হয়ে যায়। আর সেটি অনেক সময় কাল হয়ে দাঁড়ায়। যাই হোক মেয়েটি যখন বললো না যেতে তখন আমি বললাম আমার পড়াশুনা রয়েছে যেতে হবে। তখন চলে আসতে ছিলাম, সেদিন বিদায় বেলায় মেয়েটি আমার সাথে হাতে হাত মিলিয়ে ফ্রেন্ডশিপ করে। আর বলে থাকলে খুশি হতাম সবাই মিলে রাতে গল্প করতাম।যাইহোক উপায় না থাকায় চলে আসতে হলো।
তবে এই প্রথমবারের মতো মেয়েটির হাতে আমার হাত লাগে এবং প্রথম স্পর্শ তখনই হয়। কোন একজন গুণী লোক বলে গিয়েছেন প্রথম প্রেমের প্রথম ছোঁয়া,আগুন ছাড়া দারুন ধোয়া ঠিক তেমনি মনের অন্তরালে ধোয়া বের হচ্ছিল। কারণ প্রথম ভালবাসার হাত এই সর্বপ্রথম স্পর্শ করতে পেরেছি। বুকের ভিতর কেমন অনুভূতি হয়েছিল সেটা বলে অথবা লিখে বোঝানো সম্ভব না। যাইহোক এই অবস্থায়ও সেখান থেকে ফিরে আসলাম বাড়িতে।আজ এতটুকু বাকিটা আগামী পর্বে।
আগের পর্ব গুলো পড়তে চাইলে এখানে লিঙ্ক রয়েছে পড়ে নিতে পারেন।
https://steemit.com/hive-129948/@nevlu123/yrypv
https://steemit.com/hive-129948/@nevlu123/2ea7ll
https://steemit.com/hive-129948/@nevlu123/2rgywe
https://steemit.com/hive-129948/@nevlu123/7xxnaw
তো বন্ধুরা এই ছিল আজকের ব্লগ যেটি আমার মত করে আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। যদি ভালো লেগে থাকে অবশ্যই মন্তব্য করে জানাবেন।আর কষ্ট করে ব্লগটা যারা পড়েছেন তাদেরকে মনের অন্তস্থল থেকে জানাই অনেক অনেক ধন্যবাদ।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
![witness_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRXkkCEbXLYwhPEYqkaUbwhy4FaqarQVhnzkh1Awp3GRw/witness_proxy_vote.png)
![steempro....gif](https://steemitimages.com/0x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmTE3978V85byJ3jjoLdrAFUo5xUhDe7Hp6bDUeqi9sW7p/20230619_2116256.gif)
ফোনের বিবরণ
ক্যামেরা | স্যামসাং গ্যালাক্সি |
---|---|
ধরণ | অনুভূতি। |
ক্যামেরা.মডেল | এম ৩২ |
ক্যাপচার | @nevlu123 |
সম্পাদনা | রিসাইজ &সেচুরেশন। |
অবস্থান | বাংলাদেশ |
আমি বাংলাদেশ থেকে ইমদাদ হোসেন নিভলু।আমার স্টিমিট আইডি হল @nevlu123।আমি আমার বাংলা ব্লগের একজন ভেরিফাইড মেম্বার।২০১৮ সালের জানুয়ারি মাস থেকে আমি স্টিমিট এ কাজ করি।আর এই প্লাটফর্মে জয়েন করি শখের বসে। আর সে থেকেই আজ অব্দি ভালোলাগা থেকেই কাজ করি।জাতিগতভাবে আমি মুসলিম। কিন্তু ভাষাগতভাবে আমি বাঙালি। কারণ আমি বাংলা ভাষায় কথা বলি।আমার সবচাইতে বড় শখ হচ্ছে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরাঘুরি করা।এ পর্যন্ত আমার তিনটি দেশ ভ্রমণ করা হয়েছে যদিও আরও ইচ্ছে রয়েছে অন্যান্য দেশ ভ্রমণ করার।যাইহোক শখের মধ্যে আরো রয়েছে গান,ভিডিও ইডিটিং, ফটোগ্রাফি, ভিডিওগ্রাফি,আর্ট এবং টুডি থ্রিডি ডিজাইন এর কাজ।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আপনার বন্ধুর প্রেম কাহিনী পড়তে তো ভালোই লাগছে আমার কাছে। আপনার বন্ধুতো ধীরে ধীরে মেয়েটাকে আরো বেশি ভালোবেসে ফেলেছে। কিন্তু মেয়েটার মনে কি আছে এটা জানার জন্য কিন্তু অনেক বেশি আগ্রহ জন্মেছে। মেয়েটার হাতের স্পর্শ পেয়ে তো দেখছি আপনার বন্ধুর মনে আরো অনেক বেশি লাড্ডু ফুটেছে। যাই হোক এখন দেখা যাক শেষ পর্যন্ত কি হয়। অপেক্ষায় থাকলাম পরবর্তী পর্বের জন্য। আশা করছি অনেক তাড়াতাড়ি আপনি শেয়ার করবেন পরবর্তী পর্ব।
বেশ অনেক কিছু জানতে পারলাম আজকের এই গল্প পড়ে। মন থেকে যে সমস্ত ভালোবাসাগুলো সৃষ্টি হয় সেখানে কোনো খারাপ অনুভূতি থাকে না। তবে এমন একটা সময় আসে খারাপ দিকে ধাবিত করে থাকে। তবে যাই হোক বেশ জানতে পারলাম গল্পটা পড়ে।
গল্পটা যদিও অনেক আগে তোমার কাছ থেকে শোনা হয়েছে, তবে এখন আবার পর্বগুলোর মাধ্যমে পড়তে পারলাম।তোমার বন্ধু মেয়েটির হাতের স্পর্শ করতে পেরে অনেক বেশি আনন্দিত হয়েছিল। আর এটা হওয়ারই কথা। যাইহোক আগামীপর্বের অপেক্ষায় রইলাম ধন্যবাদ।