এক বন্ধুর আবেগ জড়ানো প্রথম প্রেমের একটি গল্প।পর্ব-২
আমার প্রিয় বন্ধুগন, সবাই কেমন আছেন? সবাইকে আমার আন্তরিক মোবারকবাদ এবং অন্তরের অন্তস্থল থেকে আপনাদেরকে জানাই শুভেচ্ছা।
এক বন্ধুর আবেগ জড়ানো প্রথম প্রেমের একটি গল্প। |
---|
আজকে আমি আমার এক বন্ধুর প্রথম প্রেমের একটি গল্প শেয়ার করতে যাচ্ছি।হয়তো এক পর্বে তুলে ধরা সম্ভব নয় তাই কয়েক পর্বে শেয়ার করবো।তবে গল্পটা আমি তার আবেগ জড়ানো নিজ কন্ঠে শুনেছি। তো কথা না বাড়িয়ে শুরু করি বন্ধুর প্রথম প্রেমের গল্প।প্রেম নিয়ে প্রথমেই দু-চারটা লাইনে নিজের মত করে কবিতা লিখি, তারপর গল্পতে ফিরে যাবো।
ধরা নাহি যায়।
যার নসিবে রাখে বিধাতা,
সেই শুধু পায়।
কেউবা আবার প্রেম করে,
সদ্য প্রেম হারায়।
কেউবা আবার প্রেম করে,
বিয়ের কাঠগড়ায়।
আমার বন্ধুর প্রেমের কথা বলতে গেলে কোথায় থেকে শুরু করবো, কোথায় শেষ করবো সেটা আসলে বলা মুশকিল। তাই চিন্তা করলাম একপাশ থেকে শুরু করি যেখানে গিয়ে শেষ হয়।তবে গল্পের আকর্ষণ বজায় রাখতে বন্ধুর জায়গাতে আমি নিজেকেই কল্পনা করে গল্পটি লিখছি চলুন শুরু করা যাক।
যাইহোক আমি নিজেও ফ্রেশ হওয়ার জন্য জামা কাপড় পরিবর্তন করে পুকুর থেকে গোসল করে আসলাম। তবে মেয়েটিকে দেখতে পেলাম না আর।তখন মনে হলো কোন একটি রুমে সে লুকিয়ে আছে লাজুক লতার মত।
হঠাৎ আমাদের একটি রুমে দেখতে পাই মেয়েটি বসা এবং টিভি চলছিলো পুরো রুম ভর্তি মানুষ। আমাদের মেহমানরা একসাথে রুমে বসে টিভি দেখছিলো।ওদের মাঝখানে মেয়েটিও বসা ছিল।তখন মনের কৌতুহল ও মনের আকুতি মিনতি মেয়েটাকে একপলক দেখার।তাই সরাসরি রুমে গিয়ে দেখতে মন চাইলেও কোনভাবে লজ্জার কারণে যেতে পারছিলাম না।
আমাদের ওই রুমের দরজা খোলা ছিলো, তবে তাকে দেখার নেশায় আমি একবার রুমের সামনে দিয়ে একদিকে হেটে গেলাম। আবার ওই দিক থেকে আগের দিকে পুনরায় ফিরে গেলাম।কিছুক্ষণ পরপর এই ভাবে করে করে কয়েকবারের মেয়েটিকে এক পলক দেখলাম। তখন বুকের বাম পাশে কেমন করে একটা সংকেত প্রদান করল, মনে হলো মেয়েটা আমার অনেক পরিচিত,অনেক আপনজন অনেক আগে থেকে চেনা। এই মেয়েটাকে আমার দেখতেই হবে, কথা বলতেই হবে।এরকম একটা মনোভাব চলে এসেছে।
বুঝতে পারছেন যে ছেলেটা এত লাজুক তার মধ্যে হঠাৎ কি চলছে এখন। যাই হোক তারপর মেয়েটিকে সরাসরি আরো এক পলক দেখতে পেলাম। যখন মেয়েটি রুম থেকে বাইর হয়েছিল তখন। সেটা দেখার পরে নিজের মনের মধ্যে অনেক উতাল-পাতাল শুরু হলো। আর এত সুন্দর একটি মেয়ে আমাদের ঘরে কিভাবে এসেছে, কার মাধ্যমে এসেছে, সেটা জানার তখন আগ্রহ বেড়ে গেল।
কারণ তখন ও পর্যন্ত আমি জানিনা যে, মেয়েটি কে এবং জানতে চাইওনি। কারণ আমার প্রধান লক্ষ্য হলো মেয়েটিকে দেখা।বলতে গেলে দেখার নেশায় মগ্ন ছিলাম আমি।কারণ যতই দেখি ততই ভালো লাগে। আর সেই ভালোলাগা থেকেই শুরু হয় ভালোবাসা। যেটাকে বলা হয়।Love at First Sight.(প্রথম দেখাতেই ভালোবাসা)।
যাইহোক মেয়েটিকে দেখার পরে অনেক খুশি হলাম।তারপর আমি আমাদের ঘরে খাওয়া দাওয়া করলাম। দুপুরে খাওয়া-দাওয়া করা শেষে আমি মাঠে গেলাম ক্রিকেট খেলার জন্য।তখন খেলাধুলা অনেক বেশি করতাম।যাইহোক খেলাধুলা শেষ করে তাড়াতাড়ি আসবো এটা আগে থেকেই চিন্তা করেছিলাম,কারণ মেয়েটিকে দেখার জন্য।
ভাবলাম আমাদের বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে থাকবো।মেয়েটি যখন রিকশায় করে বাইর হবে, তখন আমি তাকে অপলক নয়নে দেখবে। সেই আশায় তাড়াতাড়ি খেলাধুলা শেষ করে বাড়ি ফিরলাম, এবং বাড়ির দরজায় অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে ছিলাম। কিন্তু হায় অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকার পরেও মেয়েটিকে দেখতে পেলাম না।মনের ভিতরে কেমন যেন চিনচিন ব্যাথা শুরু হয়ে গেল আর মনটা খারাপ হয়ে গেলো , তখন চলে গেলাম বাড়িতে।
বাড়িতে গিয়ে ফ্যামিলির লোকজনকে জিজ্ঞেস করলাম মেহমান কি চলে গেছে?তখন চাচাতো বোন বলে তারা তো অনেক আগেই চলে গেছে। তখন তো মাথায় আসমান ভেঙ্গে পড়লো।কেন যে খেলতে গেলাম কেন যে তাকে হারালাম।তবে তখনো জানতাম না যে মেয়েটি কার সাথে এসেছিল এবং কার সাথে গেলো।কারণ ঘরে অনেক মেহমান ছিল এখন কাকে জিজ্ঞাসা করি কার সাথে এসেছে এবং কে কি মনে করে সেজন্য লজ্জায় কাউকে জিজ্ঞাসাও করতে পারেনি।আর এভাবেই মেয়েটি মধ্যে বাড়ি থেকে চলে গেল। যাওয়ার সময় এক পলকও দেখা হলো না। আজ এতটুকু বাকিটা আগামী পর্বে।
প্রথম পর্ব পড়তে চাইলে এখানে লিঙ্ক রয়েছে পড়ে নিতে পারেন।
https://steemit.com/hive-129948/@nevlu123/yrypv
তো বন্ধুরা এই ছিল আজকের ব্লগ যেটি আমার মত করে আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। যদি ভালো লেগে থাকে অবশ্যই মন্তব্য করে জানাবেন।আর কষ্ট করে ব্লগটা যারা পড়েছেন তাদেরকে মনের অন্তস্থল থেকে জানাই অনেক অনেক ধন্যবাদ।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
ফোনের বিবরণ
ক্যামেরা | স্যামসাং গ্যালাক্সি |
---|---|
ধরণ | অনুভূতি। |
ক্যামেরা.মডেল | এম ৩২ |
ক্যাপচার | @nevlu123 |
সম্পাদনা | রিসাইজ &সেচুরেশন। |
অবস্থান | বাংলাদেশ |
আমি বাংলাদেশ থেকে ইমদাদ হোসেন নিভলু।আমার স্টিমিট আইডি হল @nevlu123।আমি আমার বাংলা ব্লগের একজন ভেরিফাইড মেম্বার।২০১৮ সালের জানুয়ারি মাস থেকে আমি স্টিমিট এ কাজ করি।আর এই প্লাটফর্মে জয়েন করি শখের বসে। আর সে থেকেই আজ অব্দি ভালোলাগা থেকেই কাজ করি।জাতিগতভাবে আমি মুসলিম। কিন্তু ভাষাগতভাবে আমি বাঙালি। কারণ আমি বাংলা ভাষায় কথা বলি।আমার সবচাইতে বড় শখ হচ্ছে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরাঘুরি করা।এ পর্যন্ত আমার তিনটি দেশ ভ্রমণ করা হয়েছে যদিও আরও ইচ্ছে রয়েছে অন্যান্য দেশ ভ্রমণ করার।যাইহোক শখের মধ্যে আরো রয়েছে গান,ভিডিও ইডিটিং, ফটোগ্রাফি, ভিডিওগ্রাফি,আর্ট এবং টুডি থ্রিডি ডিজাইন এর কাজ।
This post has been upvoted by @italygame witness curation trail
If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness
Come and visit Italy Community
Hi @nevlu123,
my name is @ilnegro and I voted your post using steem-fanbase.com.
Come and visit Italy Community
যাক তাহলে অনেক কৌশল করে মেয়েটাকে এক পলক হলেও দেখা হল। তবে খেলতে যাওয়াতে শেষ আশাটা পূর্ণ হল না জেনে দুঃখ লাগলো। আমার মনে হয় খেলা থেকে আরেকটু জলদি আসলে সে তার সাথে দেখা করতে পারতো। যাইহোক বাকি পর্বে কি হলো সেটা জানার অপেক্ষায় থাকলাম।