এক বন্ধুর আবেগ জড়ানো প্রথম প্রেমের একটি গল্প।পর্ব-৪
আমার প্রিয় বন্ধুগন, সবাই কেমন আছেন? সবাইকে আমার আন্তরিক মোবারকবাদ এবং অন্তরের অন্তস্থল থেকে আপনাদেরকে জানাই শুভেচ্ছা।
এক বন্ধুর আবেগ জড়ানো প্রথম প্রেমের একটি গল্প। |
---|
আজকে আমি আমার এক বন্ধুর প্রথম প্রেমের একটি গল্প শেয়ার করতে যাচ্ছি।হয়তো এক পর্বে তুলে ধরা সম্ভব নয় তাই কয়েক পর্বে শেয়ার করবো।তবে গল্পটা আমি তার আবেগ জড়ানো নিজ কন্ঠে শুনেছি। তো কথা না বাড়িয়ে শুরু করি বন্ধুর প্রথম প্রেমের গল্প।প্রেম নিয়ে প্রথমেই দু-চারটা লাইনে নিজের মত করে কবিতা লিখি, তারপর গল্পতে ফিরে যাবো।
ধরা নাহি যায়।
যার নসিবে রাখে বিধাতা,
সেই শুধু পায়।
কেউবা আবার প্রেম করে,
সদ্য প্রেম হারায়।
কেউবা আবার প্রেম করে,
বিয়ের কাঠগড়ায়।
আমার বন্ধুর প্রেমের কথা বলতে গেলে কোথায় থেকে শুরু করবো, কোথায় শেষ করবো সেটা আসলে বলা মুশকিল। তাই চিন্তা করলাম একপাশ থেকে শুরু করি যেখানে গিয়ে শেষ হয়।তবে গল্পের আকর্ষণ বজায় রাখতে বন্ধুর জায়গাতে আমি নিজেকেই কল্পনা করে গল্পটি লিখছি চলুন শুরু করা যাক।
খালামণি অনেক আন্তরিক ছিলো।বললো আমার বোনের কোন ছেলে নেই। তুই আমার বোনের ছেলের মত, যে কোন সময় আসবি খালামণিকে দেখার জন্য। আমি বললাম ঠিক আছে খালামনি আমি যখনই আপনাদের ওদিকে যাব আপনার সাথে দেখা করে আসবো। খালামণির প্রতি অনেক বেশি আন্তরিক হয়ে গেলাম। কিন্তু আপনারা বুঝতে পারছেন আমার তো টার্গেট আমার সেই প্রথম ভালবাসাকে দেখতে হবে কাছে থেকে। তাই এই বাহানা বানানো আর কি।
তারপর একদিন আমি সাহস করে আমার এক বন্ধুকে নিয়ে চলে গেলাম সেই খালামনির বাড়িতে।প্রথমে খালামনির সাথে ফোনে যোগাযোগ করে যেনে নিলাম কিভাবে যাবো। যাওয়ার পরে সেখানে মেয়েটিকে দ্বিতীয় বারের মত সরাসরি দেখতে পেলাম।তখন মেয়েটাকে দেখে আনন্দে মনটা ভরে গেলো।মনে হলো সে আমার ভালোবাসার মানুষ।
যাইহোক মেয়েটা যাখন খালামনির ঘরে আসে তখন খালামনি আমার সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়।তারপর আমরা একে অন্যের সাথে অনেক কথা বলতে শুরু করি।এক পর্যায়ে অনেকটা আপন ও অনেক ক্লোজ হয়ে গেলাম মনে হচ্ছিলো।কথা বলতে বলতে জানতে পারলাম সে আমার ক্লাসমেট।মানে আমি ক্লাস টেন এ ছিলাম সেও টেন এ পড়ে।
এরপর খালামনি তার জা এর সাথে আমার পরিচয় করিয়ে দিলো।মেয়েটির আম্মু আমাকে অনেক বেশি আন্তরিকতা দেখিয়েছিল।আর তার আন্তরিকতা আমার মন কেড়ে নিলো। একেবারে জামাইয়ের মতো আন্তরিকতা দেখাতেছিলো।আবার সেদিন দুপুরে তাদের বাসায় খেলাম।আমাদের জন্য ঘরের মুরগি জবাই করলো, পুকুর থেকে কাতলা মাছ উঠালো আরো কত কি করলো বলে শেষ করা যাবেনা।
খাওয়া দাওয়া শেষে আসার আগে নিজেদের গরুর দুধ দিয়ে কফি বানিয়ে খাওয়ালো। আর তাদের সবার কথায় বোঝা গেল সবাই অনেক বেশি আন্তরিক।আর তাদের চলা ফেরা কথা বার্তায় বোঝা যাচ্ছিল খুব বংশধর একটি পরিবার। তবে এর আগে আমি কখনো ওই বাড়িতে যাইনি। এই প্রথম একটা বাহানা বানিয়ে যাওয়া হলো।আর বাহানাটা কি তা তো আপনারা জানেন।
যাইহোক যখন বিকেল বেলায় আমরা দুজন চলে আসতেছি। তখন মেয়েটি বললো থাকার জন্য।আমি বললাম এখন তো থাকা যাবে না তবে সুযোগ পেলে অন্য কখনো আসবো। তবে স্বল্প সময়ে ও অল্প আলাপে সে যে আমাকে থাকার জন্য বললো সেটাও মন কেড়ে নিলো। ভাবলাম মেয়েটি হয়তো আমাকে পছন্দ করে।যাই হোক ফিরে গেলাম বাড়িতে। বাড়িতে আসার পরে পড়াশোনায় মন বসে না।
বইয়ের পাতা উল্টাতেই মেয়েটির চেহারা ভেশে উঠতো। যেখানে সেখানে আনমনে মেয়েটির কথা ভাবতাম। তখন চিন্তা করলাম এখন তো মোবাইলের যুগ প্রেম তো খুবই সহজ। তাই একটা ওয়ারিদ সিম কিনলাম কেননা তখন ওয়ারিদ সিম নতুন আসলো মার্কেটে । আর প্রতিদিন ৫০ টাকা করে একটি কার্ড কিনতাম মেয়েটার সাথে কথা বলার জন্য।
যদিও এখনো সে কার্ডগুলো আছে তবে সে গুলো দিয়ে আমাদের আলমারির জন্য চাবির রিং বানিয়ে রেখে দিয়েছি। যাই হোক শুরু করলাম ফোন আলাপ। খালামণিকে ফোন দিতাম এবং কথা বলতাম। কিছুক্ষণ খালামণির সাথে কথা বলে মেয়েটিকে দিতে বলতাম। মেয়েটিও আমার সাথে কথা বলতো। খুব সুন্দর করে দুজনে কথা বলতাম।যখন ব্যালেন্স শেষ হয়ে যেত মনে হতো পৃথিবীতে আমার মত গরীব আর কেউ নেই।
নিজের মনকে খুব কষ্টে বেঁধে রাখতাম,আর বুঝাতাম কালকে আবার বাজারে গেলে ৫০ টাকার কার্ড নিয়ে আবার কথা বলবো।আসলে তখন তো ছিলাম স্টুডেন্ট এত টাকা পাবো কই রাত দিন কথা বলার জন্য। তাই কোনভাবে যেটুকু ম্যানেজ করতাম সেটা ফোন আলাপে উড়িয়ে দিতাম।তার সাথে কথা বলতে এত ভালো লাগতো সেটা বলে বোঝানো যাবে না।আজ এতটুকু বাকিটা আগামী পর্বে।
আগের পর্ব গুলো পড়তে চাইলে এখানে লিঙ্ক রয়েছে পড়ে নিতে পারেন।
https://steemit.com/hive-129948/@nevlu123/yrypv
https://steemit.com/hive-129948/@nevlu123/2ea7ll
https://steemit.com/hive-129948/@nevlu123/2rgywe
তো বন্ধুরা এই ছিল আজকের ব্লগ যেটি আমার মত করে আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। যদি ভালো লেগে থাকে অবশ্যই মন্তব্য করে জানাবেন।আর কষ্ট করে ব্লগটা যারা পড়েছেন তাদেরকে মনের অন্তস্থল থেকে জানাই অনেক অনেক ধন্যবাদ।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
ফোনের বিবরণ
ক্যামেরা | স্যামসাং গ্যালাক্সি |
---|---|
ধরণ | অনুভূতি। |
ক্যামেরা.মডেল | এম ৩২ |
ক্যাপচার | @nevlu123 |
সম্পাদনা | রিসাইজ &সেচুরেশন। |
অবস্থান | বাংলাদেশ |
আমি বাংলাদেশ থেকে ইমদাদ হোসেন নিভলু।আমার স্টিমিট আইডি হল @nevlu123।আমি আমার বাংলা ব্লগের একজন ভেরিফাইড মেম্বার।২০১৮ সালের জানুয়ারি মাস থেকে আমি স্টিমিট এ কাজ করি।আর এই প্লাটফর্মে জয়েন করি শখের বসে। আর সে থেকেই আজ অব্দি ভালোলাগা থেকেই কাজ করি।জাতিগতভাবে আমি মুসলিম। কিন্তু ভাষাগতভাবে আমি বাঙালি। কারণ আমি বাংলা ভাষায় কথা বলি।আমার সবচাইতে বড় শখ হচ্ছে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরাঘুরি করা।এ পর্যন্ত আমার তিনটি দেশ ভ্রমণ করা হয়েছে যদিও আরও ইচ্ছে রয়েছে অন্যান্য দেশ ভ্রমণ করার।যাইহোক শখের মধ্যে আরো রয়েছে গান,ভিডিও ইডিটিং, ফটোগ্রাফি, ভিডিওগ্রাফি,আর্ট এবং টুডি থ্রিডি ডিজাইন এর কাজ।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
🙏🙏🌿
আপনার লেখা এই গল্পটা পড়তে কিন্তু খুব ভালোই লাগতেছে। আপনার বন্ধুতো দেখছি ওখানে গিয়ে ভালোই আদর-যত্ন পেয়েছে। আর মেয়েটার প্রতি তো আরো বেশি দুর্বল হয়ে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত। অন্যদিকে প্রতিদিন এত টাকা করে সিম কিনে ওই মেয়েটার সাথে কথা বলে সব উড়িয়ে দিচ্ছে। এখন দেখা যাক পরবর্তীতে কি হবে। আপনার ওই বন্ধুর সাথে কি তার প্রেমটা হয় নাকি এটা জানার জন্য অপেক্ষায় থাকলাম। আশা করছি খুব শীঘ্রই পরবর্তী পর্বের রিভিউটা শেয়ার করে নিবেন।
ধন্যবাদ।
তোমার সেই বন্ধু তাহলে সেই মেয়েটার সাথে কথা বলার জন্য য়ারিদ সিম এ ৫০ টাকা করে ঢুকাতো।তবে সেই মেয়েটার সাথে কথা বলতে পারাটা তোমার বন্ধুর সার্থকতা মনে হতো। আসলে এরকম আবেগ জড়িত প্রেম কত কিছু যে ঘটায়, যাক বাকিটা আগামী পর্বে দেখবো।
হুম ঠিক বলেছো।