কাজিনদের সাথে গ্রীন পার্ক ভ্রমণ || পর্ব - ৫
আসসালামু আলাইকুম
সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। আজকে ভিন্ন ধরনের পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি।
ঈদে এবার নানুর বাড়িতে গিয়েছিলাম। অর্থাৎ ঈদের পরের দিন গাজিপুর থেকে নোয়াখালী গিয়েছিলাম। যেহেতু ঈদের পরে গিয়েছিলাম তাই ঈদ উপলক্ষে সেভাবে কোন জায়গায় ভ্রমণ করা হয়নি। তাই আমরা কাজিনরা মিলে ভাবলাম একটা জায়গায় ঘুরতে যাব। তারপর সবাই মিলে এই গ্রীন পার্কে যাওয়ার প্ল্যান করলাম। এই পার্কের মুহূর্তগুলোই আপনাদের সাথে শেয়ার করব। আজকে ৫ নম্বর পর্বটা শেয়ার করছি। যেহেতু পার্ক টা অনেক বড় তাই একটা বা দুইটা পোষ্টের মাধ্যমে শেষ করা সম্ভব নয়। আশা করছি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
এই পার্কটার মধ্যে অনেক কিছুই ছিল। বেশ বড় একটা পার্ক। আমি গত কয়েকটা পর্বে আপনাদের সাথে বেশ কয়েকটা রাইডে এ ওঠা এবং সেখানে একটা বড় লেকের আশেপাশের কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছিলাম। গতপর্বেই লেকের ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করলাম। লেকের চারপাশে ঘুরাঘুরি করার পর আমরা চলে গিয়েছিলাম এই জায়গাটাতে। এখানে মূলত একটা কৃত্রিম ঝর্ণা তৈরি করা হয়েছে। ছোট ছোট পাহাড় তৈরি করে সেখানে ঝর্ণা তৈরি করা হয়েছে। পার্কের এই জায়গাটা আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে। এর চারপাশে পানের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের কালারফুল মাছ ছিল। বলতে গেলে চারপাশের ছোট খালের মত তৈরি করা হয়েছে। আর এই ছোট্ট জায়গাটুকু পার হওয়ার জন্য সেখানে খুব সুন্দর ব্রিজ তৈরি করা হয়েছে দুইপাশে। দূর থেকে ব্রিজ গুলো দেখে মনে হচ্ছিল বড় গাছের ডাল দিয়ে তৈরি করা এগুলো। এত বেশি ভিড় ছিল যার কারণে ভালোভাবে ফটোগ্রাফিও করতে পারিনি।
পুরো জায়গাটার মধ্যে সাদা রঙের এই জিনিস গুলো তৈরি করা ছিল। এর ভিতরে মূলত গাছ রয়েছে। আর কৃত্রিম ঝর্ণার পেছনে পুরোটাই সবুজে ঘেরা। পার্কের নামের সাথে পার্ক টার আসলেই মিল রয়েছে। প্রত্যেকটা জায়গাতেই বেশ বড় বড় গাছ ছিল। এছাড়াও সৌন্দর্য বর্ধক কয়েকটা ছোট ছোট উদ্ভিদ ছিল। আর ঝর্ণার পরে বড় বড় এই ক্যাকটাসগুলো কৃত্রিমভাবে তৈরি করা। দূর থেকে দেখে মনে হচ্ছিল না এগুলো কৃত্রিম। মূলত এই ঝর্ণা টা থাকার কারণে এই জায়গাটুকুতে প্রচন্ড ভিড় ছিল। দূর থেকে পানির সাউন্ডটা অনেক বেশি ভালো লাগছিল শুনতে। ভিড় ঠেলে অনেক কষ্টে আমরা আস্তে আস্তে সামনের দিকে গেলাম। তবে ঝর্ণার কাছে গিয়ে দাঁড়াবো সেই জায়গাটুকু পর্যন্ত নেই। এত বেশি মানুষ ছিলো। যাইহোক, অনেক কষ্টে গেলাম। ঝর্নাটা কৃত্রিম হলেও বেশ ভালোই লাগছিল দেখতে।
পুরো তিনটা সাইড নিয়ে এই ঝর্ণা টা তৈরি করা হয়েছে। খুব বেশি উঁচু না তবে অনেকটা জায়গা জুড়ে ছিল এটা। এরপরেই ছিলো খেজুরের বাগান, ডাইনোসর এরিয়া আরো অনেক কিছু ছিল। সেগুলো পরের পর্বে শেয়ার করব।
চলবে......
Location
এই ছিলো আমার আজকের পোস্ট। আশা করি আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে। পোস্ট টি পড়ার জন্য ধন্যবাদ এবং সবার জন্য অনেক শুভকামনা রইল 💕💕
ধন্যবাদান্তে
@isratmim
X - Promotion
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
কাজিনদের সাথে গ্রীন পার্কে ঘুরতে যাওয়ার খুব সুন্দর একটি মুহূর্ত আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। এবং সেখানে অনেকগুলো ফটোগ্রাফি করেছেন ফটোগ্রাফি গুলো দেখে মনে হচ্ছে ওখানকার পরিবেশ অনেক ভালো এবং অনেক সুন্দর। ফটোগ্রাফির মধ্যে কৃত্তিম ঝরনা ফটোগ্রাফিটা আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ সুন্দর মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
গ্রীন পার্ক ভ্রমণ করেছেন দেখে খুবই ভালো লাগলো আপু। এর আগেও আপনার ভ্রমণের পর্বগুলো দেখেছিলাম। ঈদের ছুটিতে সবাই পরিবার-পরিজন নিয়ে ঘুরতে যেতে পছন্দ করে। আপনিও সবার সাথে ঘুরতে গিয়েছিলেন আর মুহূর্তগুলো শেয়ার করেছেন এজন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি আপু।
গ্রীন পার্কের ছবিগুলো খুব ভালো হয়েছে। যে কোন উৎসবের দিনে পরিবার-পরিজনদের নিয়ে ঘুরতে বেড়ানোটাই বিরাট আনন্দের। আর এমন মনোরম পারতো আনন্দদায়ক হবে। আপনার ছবির মধ্যেই আমিও যেন আপনাদের সাথে পার্কে ঘুরে নিলাম। এমনই আনন্দে থাকুন ভালো থাকুন।