কাজিনদের সাথে গ্রীন পার্ক ভ্রমণ || পর্ব - ১
আসসালামু আলাইকুম
সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। আজকে ভিন্ন ধরনের পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি।
ঈদুল আযহা উপলক্ষে এবার নানুর বাড়িতে গিয়েছিলাম। অর্থাৎ ঈদের পরের দিন গাজিপুর থেকে নোয়াখালী গিয়েছিলাম। যেহেতু ঈদের পরে গিয়েছিলাম তাই ঈদ উপলক্ষে সেভাবে কোন জায়গায় ভ্রমণ করা হয়নি। তাই আমরা কাজিনরা মিলে ভাবলাম একটা জায়গায় ঘুরতে যাব। তারপর সবাই মিলে এই গ্রীন পার্কে যাওয়ার প্ল্যান করলাম। এই পার্কের মুহূর্তগুলোই আপনাদের সাথে শেয়ার করব। আজকে প্রথম পর্বটা শেয়ার করছি। যেহেতু পার্ক টা অনেক বড় তাই একটা বা দুইটা পোষ্টের মাধ্যমে শেষ করা সম্ভব নয়। আশা করছি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
আমরা অনেকদিন ধরে প্ল্যান করেছিলাম তবে যেহেতু বর্ষার মৌসুম বৃষ্টির কারণে বেশ কয়েকবার ক্যান্সেল হয়েছে। কিন্তু যেহেতু একবার বলেছি যাব সেজন্য আর না গিয়ে থাকলাম না। আমরা সাতজন কাজিন মিলে একসাথে গিয়েছিলাম। আমাদের নানু বাড়ি থেকে খুব একটা দূরে নয়। গ্রামের মধ্যে খুব সুন্দর একটা পার্ক তৈরি করা হয়েছে। আর পার্কের এরিয়াটা ও ভীষণ বড়। আমরা দুপুরে তাড়াতাড়ি করে খাওয়া দাওয়া করে রেডি হয়ে বের হলাম। যেদিন গিয়েছিলাম সেদিনের ওয়েদারটা মোটামুটি ভালোই ছিল। বৃষ্টি ছিল না তবে প্রচন্ড গরম ছিল। গরম থাকলেও ঘুরে ঘুরে দেখা যাবে তবে বৃষ্টি থাকলে সেটা সম্ভব নয়। তারপর আমরা সবাই রেডি হয়ে একসাথে বের হলাম। বাড়ি থেকে বের হয়ে একটা সিএনজি রিজার্ভ করলাম। ১০০ টাকা ভাড়া নিয়েছে।
পার্কটাতে আমি অনেক বছর আগে একবার গিয়েছিলাম তবে তখন এতটা উন্নত ছিল না। এইবার গিয়ে প্রথমে গেটটা দেখেই বেশ ভালো লেগেছে। খুব সুন্দর এবং কালারফুল একটা মেন ফটক তৈরি করেছে তারা। ঢাকা কিংবা গাজীপুরের বিভিন্ন পার্কেই আমার ঘোরা হয়েছে তবে গ্রামের মধ্যে এত সুন্দর ভাবে তারা পার্কটা করেছে আমার কাছে সত্যিই অনেক ভালো লেগেছে। গাড়ি থেকে নেমে আমি প্রথমে মেন গেটের কয়েকটা ছবি তুললাম। তারপর চলে গেলাম টিকেট কাউন্টারে। সাত জনের জন্য ৭ টা টিকেট নিলাম। একটা টিকিটের মূল্য ছিল ১০০ টাকা। যেহেতু ভীষণ বড় একটা পার্ক তাই এন্ট্রি ফি একটু বেশি ছিল।
পার্কের প্রধান গেটের সামনে দেখলাম বেশ বড় বড় দুইটা হাতির ভাস্কর্য তৈরি করা হয়েছে দুপাশে। বেশ ভালো লাগছিল এগুলো দেখতে। আর এগুলো আকারেও অনেকটা বড় ছিল। টিকিট কাউন্টারটাও কিন্তু তারা খুব সুন্দর ভাবে তৈরি করেছে। বিশেষ করে আমার কাছে মেন গেটের কালারফুল দৃশ্যটা অনেক বেশি ভালো লেগেছে। পার্কের সামনেও বিভিন্ন গাছকে খুব সুন্দর ভাবে ডেকোরেশন করা হয়েছিল। আর গাছগুলোর নিচে সেখানে বসারও খুব সুন্দর ব্যবস্থা ছিল।
চলবে......
Location
এই ছিলো আমার আজকের পোস্ট। আশা করি আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে। পোস্ট টি পড়ার জন্য ধন্যবাদ এবং সবার জন্য অনেক শুভকামনা রইল 💕💕
ধন্যবাদান্তে
@isratmim
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আসলেই বৃষ্টির কারণে চাইলেও ঘুরতে যাওয়া যায় না। তবে কাজিনরা মিলে সব ঠিকঠাক করে যাওয়ার মজাই আলাদা।পার্কের ছবি দেখে মনে হচ্ছে পার্ক টা বেশ সুন্দর। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায়। ধন্যবাদ
ঠিকই বলেছেন পার্কটা দেখতে খুবই সুন্দর।সুন্দর ও গঠনমূলক মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ।
বৃষ্টির দিনে ঘুরাঘুরি করতে বিরক্ত লাগে। মানে বৃষ্টির দিনে প্রয়োজনীয় কাজে বের হলেই তো মেজাজ খারাপ হয়ে যায়। তাই রৌদ্রময় দিনে ঘুরাঘুরি করতে সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে। যাইহোক কাজিনদের সাথে তো খুব সুন্দর একটি পার্কে ঘুরতে গিয়েছিলেন। পার্কের নামটা যেমন সুন্দর, তেমনি মেইন গেইটও খুব সুন্দর। ফটোগ্রাফি গুলো দারুণ হয়েছে। যাইহোক ১০০ টাকা করে এন্ট্রি টিকেট কিনে ভিতরে ঢুকে কি কি করলেন, সেটা দেখার অপেক্ষায় রইলাম আপু। পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার মূল্যবান মন্তব্য প্রকাশ করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
ঈদ উপলক্ষে নানু বাড়িতে গিয়েছিলেন আর সেখানে গিয়ে সবার সাথে এই পার্কে ঘুরতে গিয়েছিলেন জেনে ভালো লাগলো। আর আপনি অনেক সুন্দর করে ঘুরার মুহূর্তগুলো তুলে ধরেছেন। জায়গাটি সত্যিই দারুণ। আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম আপু।
সুন্দর ও গঠনমূলক মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
পার্কে ভ্রমণ করার মজাই আলাদা৷ আজকে আপনি খুবই সুন্দর একটি পার্কে ভ্রমণ করেছেন এবং কাজিনদের সাথে ভ্রমণ করে আজকে আপনি সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফির মাধ্যমে সবকিছু ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছেন৷ এখানে দেখছি অনেক সুন্দর সুন্দর কিছুই রয়েছে৷ আজকে এর প্রথম পর্বই দেখে নিলাম যা দেখে খুবই ভালো লাগলো৷ পরবর্তীতে আরো কিছু পর্ব দেখার আশায় রইলাম৷