কাজিনদের সাথে গ্রীন পার্ক ভ্রমণ || পর্ব - ৩
আসসালামু আলাইকুম
সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। আজকে ভিন্ন ধরনের পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি।
ঈদে এবার নানুর বাড়িতে গিয়েছিলাম। অর্থাৎ ঈদের পরের দিন গাজিপুর থেকে নোয়াখালী গিয়েছিলাম। যেহেতু ঈদের পরে গিয়েছিলাম তাই ঈদ উপলক্ষে সেভাবে কোন জায়গায় ভ্রমণ করা হয়নি। তাই আমরা কাজিনরা মিলে ভাবলাম একটা জায়গায় ঘুরতে যাব। তারপর সবাই মিলে এই গ্রীন পার্কে যাওয়ার প্ল্যান করলাম। এই পার্কের মুহূর্তগুলোই আপনাদের সাথে শেয়ার করব। আজকে তৃতীয় পর্বটা শেয়ার করছি। যেহেতু পার্ক টা অনেক বড় তাই একটা বা দুইটা পোষ্টের মাধ্যমে শেষ করা সম্ভব নয়। আশা করছি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
গত দুই পর্বে আপনাদের সাথে পার্কে প্রবেশের কিছু মুহূর্ত এবং কিছুক্ষণ ঘোরাঘুরি করে একটি রাইডে ওঠার মুহূর্ত পর্যন্ত শেয়ার করেছিলাম। আজকে আপনাদের সাথে আরো দুটি রাইডে ওঠার মুহূর্ত শেয়ার করছি। গত পর্বে আপনাদের সাথে স্কাই হুইল রাইডে ওঠার মুহূর্ত শেয়ার করেছিলাম। সেই রাইড থেকে নেমে এরপর আবারো কিছুক্ষণ ঘুরাঘুরি করলাম। হাঁটতে হাঁটতে অন্য একটা রাইডের সামনে এলাম। এটা ছিল ড্রপ টাওয়ার। এর সাথে আরও একটা রাইড ছিল। দুটো রাইডের টিকিটের মূল্য ১০০ টাকা করে।
নিচের এই ফটোগ্রাফির রাইড এর নাম আমার মনে নেই। তবে এই জিনিসটায় উঠার পর বেশ ভালোই লেগেছিল। পুরো জিনিসটা ঘুরতে ঘুরতে এক পাশ থেকে অন্য পাশে যায়। প্রথমদিকে ভালই লাগে তবে শেষ থেকে কিছুক্ষণ মাথা ঘুরায়। আমরা সবাই ওঠার পর খুবই ইনজয় করেছিলাম এই রাইড টা তে।
আর নিজের ফটোগ্রাফি এই রাইড টার নাম ছিল ড্রপ টাওয়ার। উপরের এই গোল অংশটুকুতে বসিয়ে উপরে উঠানো হয় এবং এরপর অনেক দ্রুত বেগে নিচে নামানো হয়। এখানে অবশ্য আমরা সব উঠিনি। দূর থেকে দেখলাম যারা উঠেছে সবাই বেশ ভয় পেয়েছে। আমাদের মধ্যে আমি এবং আমার এক খালাতো বোন এই রাইডে উঠলাম। রাইডে যখন ওপরে ওঠায় তখন তেমন কোন ভয় লাগে না। কিন্তু যখন নিচে নামায় তখন অনেক বেশি ভয় কাজ করে। আর এই টাওয়ার টা মোটামুটি উঁচু ছিল। ভয় লাগলেও বেশ ভালো লেগেছে। আমরা এই তিনটা রাইডেই উঠেছিলাম। এরপর বাকি সময়টা পুরো পার্কে ঘুরেছি। সেগুলো বাকি পর্ব গুলোতে শেয়ার করব।
নিচের এই ফটোগ্রাফি টা ছিল দোলনা রাইড এর ফটোগ্রাফি। আমার ছোট ভাইকে এখানে উঠিয়েছিলাম। কারণ আমরা যেই দুটি রাইডে উঠেছি সেগুলো বড়দের জন্য ছিল সেখানে ছোটরা এলাও ছিল না। তাই ওকে এক্সট্রা ভাবে এখানেও উঠালাম।
আমি ইসরাত জাহান মিম। আমার গ্রামের বাড়ি নোয়াখালীতে কিন্তু বাবার ব্যবসার কারণে ছোটবেলা থেকেই অবস্থান করছি গাজীপুরে। আমি আমার পড়াশুনা এইচ এস সি পর্যন্ত করেছি এবং এখন পরবর্তী পর্যায়ের ভর্তি প্রস্তুতি নিচ্ছি। আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মের "আমার বাংলা ব্লগ" পরিবারের একজন সদস্য এজন্য আমি অনেক উৎসাহিত ও আনন্দিত। আমি বই পড়তে পছন্দ করি, সেই সাথে নতুন নতুন ফটোগ্রাফি করতে ও ইউনিক রেসিপি এবং নতুন নতুন ইউনিক ডাই তৈরি করতে বেশ পছন্দ করি। তবে সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে বিভিন্ন নতুন নতুন জায়গায় ঘুরে বেড়াতে ও প্রকৃতির কাছাকাছি থেকে প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য অবলোকন করতে। আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে যাত্রা শুরু করেছি ২০২০ সালের ১৭ই ডিসেম্বর। স্টিমিট প্ল্যাটফর্মকে আঁকড়ে ধরে ভবিষ্যতে আরো এগিয়ে যেতে চাই এটাই আমার লক্ষ্য।
চলবে......
Location
এই ছিলো আমার আজকের পোস্ট। আশা করি আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে। পোস্ট টি পড়ার জন্য ধন্যবাদ এবং সবার জন্য অনেক শুভকামনা রইল 💕💕
ধন্যবাদান্তে
@isratmim
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
X - Promotion
এই তৃতীয় পর্ব এসে আপনি তিনটি রাইডে চড়ার অভিজ্ঞতা আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনি যে ড্রপ টাওয়ার এ চড়ার অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেছেন এটি আসলেই অনেক ঝুঁকিপূর্ণ যারা দুর্বল মনের মানুষ তারা কিন্তু এখানে উঠলে বিপদ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে কারণ দ্রুত উঠলে সেটা সহ্য করা যায় কিন্তু যখন কিছু দ্রুত বেঁকে নিচে নেমে এসে তখন আসলে অনেক রিস্ক হয়ে যায় তারপরও আপনি চড়েছেন এবং এবং ভালো একটা অনুভূতি লাভ করেছেন এটা জেনে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপু।
সুন্দর ও গঠনমূলক মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
এক সাথে সবাই মিলে ঘুরাঘুরি করলে অনেক ভালো লাগে আপু। আর আপনারা সব কাজিনরা মিলেই পার্কে গেছিলেন এর আগের পর্ব পড়েছিলাম। সুন্দর একটি পার্ক ফটোগ্রাফি দেখে বুঝা যাচ্ছে। যৌথভাবে ঘুরাঘুরি করলে অনেক মজা পাওয়া যায়। সুন্দর একটি মুহূর্ত আপনি আমাদের সাথে ধারাবাহিকভাবে শেয়ার করে নিচ্ছেন। অনেক ভালো লাগলো আপু অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনার মূল্যবান মত প্রকাশ করে আমাকে উৎসাহিত করার জন্য ধন্যবাদ।
ঈদের ছুটির পুরোটা সময় নানা বাড়িতে কাটিয়েছেন নিঃসন্দেহে সময়টা সেরা ছিল। আজকের তৃতীয় পর্বে বেশ কিছু রাইড এর ফটোগ্রাফি ও শেয়ার করেছেন। আপনি রাইড করছেন সেই সমস্ত ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করলে বেশি ভালো হতো হা হা হা।
মন্তব্য প্রকাশ করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ
ঈদের ছুটিতে আপনি নানির বাড়ি গিয়েছিলেন আশা করছি সময়টা বেশ ভালো কাটিয়েছেন। সেখানে গিয়ে কাজিনদের সাথে গ্রীন পার্কে ঘুরে বেড়িয়েছেন৷ এর মাঝে মাঝে বেশ কিছু জায়গার ফটোগ্রাফি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। ধন্যবাদ আপু অনেক সুন্দর মুহূর্ত গুলা আমাদের মাঝে শেয়ার করে নেয়ার জন্য।