গল্প:) ভালোবাসার গোলক ধাঁধা ❣️ (শেষ পর্ব) || Story:) Love sphere puzzle.
(শেষ পর্ব) |
---|
আদ্রিতা তাকে ভালোবাসে জেনে সত্যিই বেশ অবাক হয়ে গেলো অর্নব। কিভাবে বোঝাবে তাকে, অর্নব যে আগেই বলেছিল ভালোবাসায় হিন্দু মুসলমান কোন ব্যাপার না। সম্ভাব্য খারাপ পরিস্থিতির আভাস পাচ্ছে সে। অসীম নির্ঘাত অবিশ্বাস করবে তাকে, সে ভেবেই নেবে অর্নব তার সাথে প্রতারণা করেছে আদ্রিতাকে পাওয়ার জন্য। অর্নব আমতা আমতা করে বললো, আদ্রিতা আমি তোমাকে ভালোবাসতে পারবোনা।কারণ হিসেবে বলতে পারি, তুমি অসীমের ভালোবাসা।
আদ্রিতা চোখের জল ফেলছে, আমি অসীমকে তো ভালোবাসি না। আমার মন প্রান আর হৃদয় জুড়ে শুধুই তোমার আনাগোনা। আমাকে গ্রহণ করো অর্নব, তোমাকে ছাড়া আমি বাঁচবো না। অর্নব বেশ অপ্রস্তুত হয়ে বললো আদ্রিতা আমি এমন কোন আহামরি সুপুরুষ নই আর এমন কোন বিত্তবান মানুষ নই যে আমাকে ভালোবাসতেই হবে। সবথেকে বড় বিষয় এই ভালোবাসা কেউ মেনে নেবে না। আর তোমার সাথে অসীমের সম্পর্ক গড়ে দেয়ার জন্য আমার এতো কিছু করা। সুতরাং আমি আমার বন্ধুর সাথে প্রতারণা করতে পারবো না, আশাকরি তুমি বুঝতে পেরেছো। দয়াকরে আমাকে ফোন করবে না। ফোনের অপর পাশে শুধু কান্নার শব্দ ভেসে এলো। অর্নব ফোন কেটে দিয়ে বেশ দুশ্চিন্তায় পড়ে গেলো কারন আদ্রিতাকে ও যতদূর বুঝেছে সে বেশ আবেগ প্রবন মেয়ে, হঠাৎ কিছু করে বসলে বিপদ হবে।
অর্নব সিদ্ধান্ত নিল অসীমকে সবকিছু খুলে বলতেই হবে। কিন্তু অসীম সেই মুহূর্তে বাইরে থাকায় তার সাথে কথা বলা হলো না। এদিকে আদ্রিতা সত্যিই পাগলামো করে নিজেকে নিজে আঘাত করে শরীর রক্তাক্ত করেছে। খবরটা দ্রুত তার বান্ধবী মারফত অসীমের কানে পৌঁছালো। অসীম বেশ রেগে গিয়ে ছুটতে ছুটতে মেসে এসে হাজির। অর্নব তুই আদ্রিতাকে তোর প্রেমে ফাঁসিয়ে নিলি ? এই কাজটা তুই আমার সাথে করতে পারলি ? অর্নব যে ভয়টা পাচ্ছিল ঠিক তাই হলো, অবিশ্বাসের আগুন।
অর্নব তাকে বললো একটু ঠান্ডা হয়ে বস তোর সাথে কথা আছে। অসীম বেশ রেগে বললো তোর কি বলার আছে তাড়াতাড়ি বল। অসীমের এই রুপ সে কখনো দেখিনি, নিজের মাঝেই ভীষণ খারাপ লাগছিল তার। অর্নব বললো দেখ আমার মূল উদ্দেশ্য ছিল তোর সাথে আদ্রিতার সম্পর্ক করিয়ে দেয়া কিন্তু ও আমাকেই ভালোবেসে ফেলবে আমি সত্যিই ভাবতে পারিনি। আর তার সাথে এমন কোন কথাও হয়নি যাতে আমাদের মাঝে কোন সম্পর্ক গড়ে উঠতে পারে। এটা একদমই অপ্রত্যাশিত একটা ব্যাপার। অসীম রেগে গিয়ে বললো কেউ কারো প্রেমে পরে যায় এমনি এমনি? তুই আমাকে ধোঁকা দিয়ে আদ্রিতাকে তোর প্রেমে ফাঁসিয়ে এখন নাটক করছিস। অর্নব এখন বেশ রেগে গেল কারন যেখানে তার কোন অপরাধ নেই তবুও সে দোষী। বললো দেখ আমার যদি খারাপ ইচ্ছে থাকতো তাহলে তোকে সবকিছু বুঝিয়ে বলতাম না আর ও নিজেকে রক্তাক্ত করতো না।
অসীম বেশ রেগে রয়েছে তার ধারণা অর্নব তার সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। সে অর্নবকে আর মেস ছেড়ে চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিল। অর্নব আরো কয়েকবার তাকে বোঝানোর চেষ্টা করলো কিন্তু সে বোঝার মানুষ নয়। পরদিন সকালে অসীম মেস ছেড়ে চলে গেলো। অর্নব সত্যিই মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়েছে। সে না পারলো অসীমকে বোঝাতে, আর অপর দিকে আদ্রিতাকে গ্রহন করলে বন্ধুত্বে বেইমানি হয়ে যাবে। অর্নব ভালোবাসার এক কঠিন গোলক ধাঁধায় পড়ে গেছে, যার কোন সমাধান খুঁজে না পেয়ে নিজেকে নিজেই দোষারোপ করতে থাকে। আসলেই কি অর্নবের কোন দোষ ছিল ? আপনাদের কি মনে হয় ?
Hello friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
ভোট করা হয়েছে।
ধন্যবাদ আপনাকে।
https://twitter.com/emranhasan1989/status/1571738133259243520?t=QMaPXG9-S_-SHBWaNozzKQ&s=19
সত্যিই এখানে অর্নবের কেন দোষ ছিনা সে আসলে একজন ভালো বন্ধুর পরিচয় দিয়েছে। তবে এটাই সত্যি যে কেউ কারো ভালো করতে গেলে ঠিক উল্টো হয়ে যায়। শেষে অসীম ও বুঝতে চাইলনা আর এদিকে অর্নব আদ্রিতা কেও বোঝাতে পারলো না। আপনি ঠিকই বলেছেন অর্নব ভালোবাসার এক কঠিন গোলক ধাঁধায় পড়ে গেছে। ধন্যবাদ আপনাকে চমৎকার একটি গল্প শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য দোয়া রইল 🤲
ধন্যবাদ লিমন।
প্রতিটি গল্পের শিক্ষনীয় কিছু বিষয় আছে, তুমি মূল বিষয়বস্তু বুঝতে পেরেছো। আসলে অর্নব বেশ ভালো মনের মানুষ বিধায় এই বিপদের মধ্যে পরেছে।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আমি এখানে অর্নবের কোনো দোষ দেখছি না ভাই। এখানে যা হয়েছে সেটা হলো ভুল বোঝাবুঝি। তবে জীবনে আমি যতটা দেখেছি বন্ধুত্বের সম্পর্ক নষ্ট হয় দুইটা কারণে টাকা এবং মেয়ে মানুষ। এখানেও তাই হলো। বেশ শিক্ষনীয় ছিল গল্পটা। ভালো লিখেছেন ভাই।।
ধন্যবাদ তোমাকে ভাই।
আমার গল্পটা পড়ে সঠিক বিষয়বস্তু বুঝতে পেরেছো। আসলে প্রতিটি ঘটনা সঠিক যাচাই বাছাই করা উচিত। এখানে একতরফা অর্নব দোষী হয়েছে।
আমি এখানে অর্নবের কোনো দোষ দেখছি না ভাই। এখানে যা হয়েছে সেটা হলো ভুল বোঝাবুঝি। তবে জীবনে আমি যতটা দেখেছি বন্ধুত্বের সম্পর্ক নষ্ট হয় দুইটা কারণে টাকা এবং মেয়ে মানুষ। এখানেও তাই হলো। বেশ শিক্ষনীয় ছিল গল্পটা। ভালো লিখেছেন ভাই।।
প্রথমেই আপনাকে ধন্যবাদ জানাই শিক্ষণীয় একটি বিষয়ের উপর গল্প লিখে আমাদেরকে উপহার দেওয়ার জন্য।। পৃথিবীতে একজনের সাথে একজনের সম্পর্ক নষ্টের মূলে দুইটি বিষয়ে আমি মনে করি তার একটি হচ্ছে টাকা আরেকটি নারী।। এখানে ঠিক তেমনি দেখলাম।। আসলে আমার দৃষ্টিকোণ থেকে আমি অর্ণবের কোন দোষ খুঁজে পেলাম না এখানে।। এতটুকুনি বুঝতে পারলাম যে ভুল বোঝাবুঝির মাধ্যমেই সম্পর্কটা এরকম হয়েছে।।
অনেক ধন্যবাদ ভাই আমার গল্পটি পড়ার জন্য।
জি এখানে একজন নারীর জন্য এখানে সম্পর্কে ফাটল ধরেছে। তবে বন্ধুত্বের সম্পর্ক অনেক দামী অসীম সেটা বুঝতে পারলো না।