ভালোবাসা শুরুটা কলেজ লাইফ থেকে।।পার্ট-৭
প্রিয় আমার বাংলা কমিউনিটির ভাইবোন বন্ধুরা,
গতপর্বের শেষের কিছু অংশ
তাই সুইসাইড এর চিন্তা বাদ দিয়ে ভাবলাম মা-বাবার জন্য কিছু একটা করবো। আর ভাগ্যে যদি থাকে শোভার সাথে নিশ্চয়ই একদিন দেখা হবে। এই ডিসিশন নিয়েই আমি পরের দিন আবার কলেজ যেতে শুরু করে দিলাম। আসলে কিছুদিন আগে সেকেন্ড ইয়ার ক্লাস শুরু হয়ে গেছিল কিন্তু এই কয়দিন এই কষ্ট নিয়ে কলেজে যাওয়া হয়নি। অনেকদিন পরে কলেজ গেলাম কিন্তু এখন আমার আর আগের মতো চঞ্চল ভাবে ঘুরে বেড়াতে ভালো লাগেনা। সবার সাথে কথা বলার পরিমাণটা অনেক কমিয়ে দিলাম। এবং শুধু পড়াশোনা করতে চাইলাম। তারপর থেকেই মনোযোগ দিয়ে পড়াশোনা করা শুরু করে দিলাম। যাই হোক এভাবেই কেটে গেল পাঁচ বছর।
আজকে আমার পড়াশোনা শেষ। সেদিন পড়াশোনায় মনোযোগ দিয়েছিলাম বলে আজকে এতদূর আসতে পেরেছি। এখনো মাঝে মাঝে শোভার কথা মনে পড়ে। আর শোভার কথা মনে পড়লেই ওকে ধন্যবাদ জানাই। সেদিন যদি আমাকে ছেড়ে না যেত তাহলে আমি আজ এই অব্দি আসতে পারতাম না। কিন্তু ওর জন্য আমি আজও অপেক্ষা করে আছি এই আশায় যে কবে ও আমার কাছে এসে বলবে জিহাদ আমি ফিরে এসেছি। কিন্তু দেখতে দেখতে পাঁচ বছর কেটে গেল কিন্তু আজও শোভার কোন খোঁজ পেলাম না। যাই হোক যেহেতু পড়াশোনা শেষ হয়ে গেছে,আর আমার রেজাল্ট ভালো তাই আমি এবার একটা ভালো চাকরি করতে চাই। কিছুদিন আগেই আমার একটা বন্ধু একটা ভালো চাকরির কথা বলেছিল। চাকরিটা আমার বেশ পছন্দ ছিল। ভাবছিলাম ওই চাকরিটা করব কিন্তু সেই চাকরিটা করতে হলে আমাকে অন্য একটা শহরে যেতে হবে। তাই ভাবছিলাম অন্য একটা জব দেখব। কিন্তু অনেকদিন খোঁজাখুঁজির পরেও আমার পছন্দমত কোন জব খুঁজে পাচ্ছি না।
তাই সিদ্ধান্ত নিলাম বন্ধুর বলা সেই চাকরিটাই করব। আর আমার বন্ধু ওই শহরেই থাকে। তাই ভাবলাম ওখানে থাকতে আমার কোন সমস্যা হবে না হয়তো। কিন্তু বাবা মাকে ছেড়ে একা একা অন্য শহরের চাকরি করতে যেতে আমার ভালো লাগছে না। আর শহরটা এখান থেকে অনেক দূরে ছিল তার জন্য আরও যেতে ইচ্ছে করছেনা। তাই পরে আবার সিদ্ধান্ত নিলাম যে অন্য একটা চাকরি খুঁজে নিব। যাই হোক একদিন এই বিষয় নিয়ে বাবার সাথে কথা বললাম। তখন বাবা আমাকে বলল,খোঁজখবর নিয়ে দেখ তো ওই শহরটাতে কি কোন পল্লী বিদ্যুৎ অফিস আছে। তখন আমি বললাম সেটা জেনে তুমি কি করবে। তখন বাবা বলল তুই আগে দেখ তো আছে কি-না তারপর আমি বলছি। আমি তখন বাবার কথামতো আমার বন্ধুকে ফোন দিয়ে খোঁজখবর নিয়ে দেখলাম যে ওই শহরটাতে পল্লী বিদ্যুৎ অফিস আছে। তখন আমি সেটা বাবাকে গিয়ে বললাম। তখন বাবা আমাকে বলল যা তুই তোর পছন্দ চাকরি করতে চলে যায়। আমি তখন অবাক হয়ে বললাম আর তোমরা কি করবে? তখন বাবা আমাকে বলল যে বল আমি কোন অফিসে চাকরি করি? আমি বললাম পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে।
তখন এর উত্তরে বাবা আমাকে বলল আরে বোকা এখনো বুঝতে পারছিস না,ওখানেও একটা পল্লী বিদ্যুৎ অফিস আছে তার মানে আমি এখান থেকে ট্রান্সফার নিয়ে ওখানে যেতে পারব। আমি বললাল ও আচ্ছা, এই ব্যাপার কিন্তু ট্রান্সফার দেবে? তখন বাবা বলল আমি এখানে অনেক বছর যাবত সৎভাবে চাকরি করি হয়তো তারা দিয়ে দিবে। তখন আমি বললাম ঠিক আছে তাহলে তোমার স্যারকে বলে দেখো কি বলে। এই বলে আমি আমার রুমে চলে গেলাম। যাই হোক পরের দিন রাত্রে বাবা অফিস থেকে এসে বলল আমি স্যারকে ট্রান্সফারের বিষয়ে বললাম। আমি তখন এর উত্তরে বললাম তোমার স্যার কি বলল? তখন বাবা বলছে স্যার আমাদের ট্রান্সফার করে দিতে রাজি হয়েছে। আমি তো খুশিতে নাচতে শুরু করে দিলাম। কিন্তু তখন বাবা বলল এত লাফাস এখনো এক মাস সময় লাগবে। কারণ আমি যেখানে ট্রান্সফার হয়ে যাব ওদের কেউ তো বিষয়টা জানাতে হবে। তখন আমি এর উত্তরের বাবাকে বললাম আরে আমার তো বেশিদিন সময় নাই আমি কি করবো। তখন বলল যদি সময় না থাকে তাহলে তুই আগে আগে চলে যা আমরা পরে চলে আসব। যেহেতু বাবার সম্মতি দিয়েছি আর আমার বন্ধুও ওখানে থাকে,তাই ভাবলাম আমি একা একাই অচেনা শহরের উদ্দেশ্যে রওনা দিব। তাই সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললাম কালকেই চলে যাব। যেই কথা সেই কাজ পরের দিন বেরিয়ে পড়লাম অচেনা শহরের উদ্দেশ্যে......
চলবে,,,,
প্রথম পর্বের লিংক
দ্বিতীয় পর্বের লিংক
তৃতীয় পর্বের লিংক
চতুর্থ পর্বের লিংক
পঞ্চম পর্বের লিংক
ষষ্ঠ পর্বের লিংক

Thank you, friend!


I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.