ফুলকপি এবং কৈ মাছের সুস্বাদু রেসিপি

in আমার বাংলা ব্লগlast year
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।

আজকে আপনাদের সাথে আমি একটা রেসিপি শেয়ার করে নেবো। এই রেসিপিটা হলো কৈ মাছ আর ফুলকপির তরকারি। এই কৈ মাছগুলো কিন্তু হাইব্রিড জাতীয় সেটা দেখলেই বোঝা যাচ্ছে। তবে কৈ মাছ যেমনই হোক না কেন, আমার কাছে অনেক টেস্টি লাগে। কৈ মাছ তরকারি বা ভাজা যাই হোক না কেন খেতে আসলেই ভালো লাগে। আর কৈ মাছটা ফুলকপির সাথে খেতে অনেক ভালো লেগেছিলো। তবে এখন আসলে একটা সমস্যা হয়েছে যে বর্তমানে বাজারে সবকিছুর দাম কেমন যেন হঠাৎ করে উর্ধমুখী চলছে, যে সবজিই দাম করা হয় আগের থেকে ডাবল বলে। যদিও ফুলকপির দাম একটু কম, কিন্তু তাও বেশি, কারণ নন সিজনে এই সবজিগুলো বিক্রি হলেও আগে এতো দাম ছিল না। আর ব্রকোলির কাছে যাওয়ার মতো না, আরো বেশি। সব থেকে লঙ্কার দামটা বেশি উর্ধমুখী হয়েছে, আমাদের এখানে কেজি প্রতি ২০০ টাকা বা কোথাও কোথাও তার থেকে একটু বেশি বিক্রি হচ্ছে। লঙ্কার যে দাম, তাতে মনে হচ্ছে এরপর থেকে লঙ্কা বাদ দিয়ে তরিতরকারি খেতে হবে। মোট কথা কোনো কিছুরই দাম আর ঠিক জায়গায় নেই, বাজারদর আগুন হয়ে গেছে। যাইহোক, কৈ মাছ আর ফুলকপির এই সুস্বাদু রেসিপিটার মূল পর্বের দিকে চলে যাবো।


☫প্রয়োজনীয় উপকরণসমূহ:☫

❣উপকরণ
পরিমাণ❣
কৈ মাছ
৫০০ গ্রাম
ফুলকপি
১ পিস
আলু
৪ টি
পেঁয়াজ
২ টি
কাঁচা লঙ্কা
৮ টি
লঙ্কার গুঁড়ো
১ চামচ
গোটা জিরা
১ চামচ
সরিষার তেল
পরিমাণমতো
লবন
৫ চামচ
হলুদ
৪.৫ চামচ
জিরা গুঁড়ো
২ চামচ


কৈ মাছ, ফুলকপি, আলু, পেঁয়াজ


কাঁচা লঙ্কা, সরিষার তেল, লবন, হলুদ, জিরা গুঁড়ো


❣এখন রেসিপিটি তৈরির ধাপসমূহ নিচের দিকে তুলে ধরবো---


✠প্রস্তুত প্রণালী:✠


❖কৈ মাছগুলো কেটে রাখা ছিল এবং আমি পরে একবার ভালো করে ধুয়ে নিয়েছিলাম। এরপর ফুলকপির পিসগুলো কেটে নিয়ে পরে ধুয়ে রেখেছিলাম।

❖আলুগুলোর খোসা ছালিয়ে নিয়ে কেটে পিস করার পরে ধুয়ে নিয়েছিলাম। এরপর পেঁয়াজ কেটে নিয়েছিলাম এবং সেই সাথে লঙ্কাগুলোও কেটে নিয়েছিলাম।

❖কৈ মাছের পিসগুলোতে প্রথমে ২ চামচ করে লবন আর হলুদ গুঁড়ো দিয়ে দিয়েছিলাম এবং পরে প্রত্যেক পিসের গায়ে ভালোভাবে মাখিয়ে নিয়েছিলাম।

❖একটি কড়াই চুলার উপরে বসিয়ে তাতে সরিষার তেল অল্প করে দিয়ে গরম করে নিয়েছিলাম এবং পরে তাতে কৈ মাছের পিসগুলো অল্প করে দিয়ে দিয়ে ভালোভাবে ভেজে তুলে নিয়েছিলাম।

❖মাছ ভাজার সাথে সাথে পাশে আরেকটি কড়াইতে তেল দিয়ে ফুলকপির পিসগুলো দিয়ে ভেজে নিয়েছিলাম।

❖ফুলকপি ভাজা করে নেওয়ার পরে কড়াইতে আরেকটু তেল দিয়ে তাতে আলুর পিসগুলো দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর আলু ভালোভাবে ভাজা হয়ে আসলে তুলে নিয়েছিলাম।

❖আলু ভাজা শেষ হলে কড়াইতে আরেকবার তেল দিয়ে জিরা দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর তাতে পেঁয়াজ কুচি দিয়ে দিয়েছিলাম এবং জিরার সাথে ভালোভাবে ভেজে নিয়েছিলাম।

❖ভাজা হয়ে এলে তাতে একেবারে আলুর পিসগুলো দিয়ে দিয়েছিলাম এবং সেই সাথে ফুলকপির পিসগুলোও দিয়ে দিয়েছিলাম।

❖ফুলকপির পিস দেওয়ার পরে তাতে লঙ্কা দিয়ে দিয়েছিলাম এবং পরে স্বাদ মতো লবন, হলুদ, লঙ্কার গুঁড়ো দিয়ে দিয়েছিলাম।

❖মশলাগুলো সবজির সাথে মিক্স করে নেওয়ার পরে পরিমাণমতো জল ঢেলে দিয়েছিলাম।

❖তরকারিটা বেশ কিছুক্ষন ফুটিয়ে নিয়ে আলু আর ফুলকপি সেদ্ধ করে নিয়েছিলাম। এরপর তাতে ভেজে রাখা কৈ মাছের পিসগুলো সব দিয়ে দিয়েছিলাম।

❖মাছ দেওয়ার পরে তরকারির থেকে কিছু সেদ্ধ আলু তুলে নিয়ে গলিয়ে নিয়েছিলাম।

❖গলানো হয়ে গেলে সেটি পুনরায় তরকারিতে দিয়ে মিশিয়ে দিয়েছিলাম এবং সেই সাথে তাতে চামচখানিক জিরা গুঁড়ো দিয়ে আরো কিছুক্ষন ফুটিয়ে নিয়েছিলাম তরকারিটা ভালোভাবে সম্পন্ন হয়ে আসার জন্য।

❖তরকারির ঝোলটা ঘন হয়ে আসলে পরে নামিয়ে নিয়েছিলাম এবং পরিবেশনের সময়ে তাতে আরো একটু জিরা গুঁড়ো দিয়ে একটি পাত্রে তুলে নিয়েছিলাম।

রেসিপি বাই, @winkles

শুভেচ্ছান্তে, @winkles


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

Sort:  
 last year 

দ্রব্যমূল্য উর্ধমুখীর কারণে সাধারণ মানুষরা আরও বেশি ভোগান্তির মধ্যে পড়েছে। মাছের বাজার থেকে শুরু করে সবজি বাজার সব জায়গাতে দ্রব্যমূল্যের বাজার উর্ধমুখী। হয়ত মানুষের আয় রোজগার সেভাবে বাড়েনি কিন্তু প্রত্যেকটি জিনিসপত্রের দাম অনেক বেড়ে গেছে। বিশেষ করে কাঁচা লঙ্কার দাম সত্যি অনেক বেড়ে গেছে। কিছুদিন তো বাংলাদেশে ১২০০ টাকা কেজি ছিল। এরপর আর কাঁচা লঙ্কা সেভাবে কেনাই হয়নি। দাম যাই হোক কিছু কিছু প্রয়োজনীয় এবং নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য আছে যেগুলো বাধ্য হয়ে বেশি দামে কিনতে হয়। এই সময় ফুলকপি পাওয়া যায় জানতাম না দাদা। শীতের সময় ফুলকপি বাজারে বেশি দেখতে পাওয়া যায়। আর এই সময় যেহেতু ফুলকপি পাওয়া যাচ্ছে তাই দামটা একটু বেশি নিবেই। কৈ মাছের সাথে আলু ও ফুলকপি রান্না করলে খেতে অনেক মজা হয়। কৈ মাছ ভাজা আর গরম ভাত হলেও খেতে বেশ ভালো লাগে। দারুন একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি দাদা।

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 last year 

আসলে দাদা আমাদের এই দিকে তো মরিচের কেজি আরও বেশি। প্রত্যেকটা জিনিসের দাম এখন অনেক বেশি বেড়ে গিয়েছে। আসলে এটা তো আমারও মনে হচ্ছে এখন মরিচ ছাড়া সবকিছু রান্না করা লাগবে। তবে আমাদের একটা সুবিধা রয়েছে, তা হচ্ছে আমরা আগে থেকেই কয়েকটা মরিচের গাছ রোপন করে রেখেছি, যার কারণে ওখান থেকে নিয়ে খাওয়া যাচ্ছে এখন। তবে যাই হোক, দাদা আপনি তো দেখছি নন সিজন এই ফুলকপি পেয়ে গিয়েছেন। তবে আপনার করা ফুলকপির সাথে কৈ মাছের এরকম মজাদার সাথে দেখে অনেক বেশি সুস্বাদু মনে হচ্ছে। কৈ মাছ আমার কাছেও খেতে ভীষণ ভালো লাগে। আর যদি হয় এরকম ভাবে ফুলকপির সাথে রান্না করা তাহলে তো কোন কথা নেই। অনেক বেশি লোভনীয় এবং সুস্বাদু মনে হচ্ছে আপনার রেসিপিটা। এরকম মজাদার রেসিপিগুলো তৈরি দেখলে ইচ্ছে করে নিজেই নিয়ে খেয়ে নিতে। আমার তো এখন ইচ্ছে করছে ফুলকপি দিয়ে এভাবে কৈ মাছের রেসিপি তৈরি করতে। যদিও ফুলকপি এখন আমাদের এদিকে একেবারেই পাওয়া যাবে না। সম্পূর্ণটা খুব ভালো লাগলো দাদা।

 last year 

দাদা প্রত্যেকটা জিনিসের দামের কথা আর কি বলব, এখন দশ বিশ হাজার টাকার বাজার করলেও একেবারে চোখে লাগেনা। প্রত্যেকটা জিনিসের দাম অনেক বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। আমাদের এই দিকে মরিচের দাম একেবারে আকাশ ছোঁয়া। যার জন্য বেশিরভাগ মরিচ কেনা হয় না। আমার তো মনে হয় ইন্ডিয়াতে তবুও দাম কিছুটা কম রয়েছে। ইন্ডিয়ার থেকে দুই তিন ডাবল দাম হবে আমাদের এইদিকে প্রত্যেকটা জিনিসের। আপনি ফুলকপি এবং কৈ মাছের বেশ মজাদার রেসিপি তৈরি করেছেন দাদা। আপনার তৈরিকৃত রেসিপি গুলো দেখলে আমার খুব লোভ লেগে যায়। আসলে এরকম মজাদার রেসিপি দেখলে লোভ সামলানো যায় না। ফুলকপি দিয়ে কৈ মাছ রান্না করলে অনেক বেশি ভালো লাগে খেতে, এই রেসিপিটা বেশ কয়েকবার খাওয়া হয়েছে আমার। ধাপে ধাপে উপস্থাপনা করে এত সুন্দর করে রেসিপিটা আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দেখে ভালো লাগলো দাদা।

 last year 

সত্যি ই দাদা সবকিছুর দাম ডাবল হয়ে গেছে।আমার এখানে কাঁচামরিচ ৩০০ টাকা কেজি হয়েছে।আপনার মতো আমারও কৈ মাছ খুব পছন্দ। সেটা হোক চাষের বা এমনি।আর সব রকমের রান্না করা কৈ ই খেতে আমার ভালো লাগে।আপনার মতো আমিও শীতের সময় কৈ মাছ ফুলকপি,আলু,টমেটো দিয়ে রান্না করি। খেতে ভীষণ মজার হয়।আপনার রেসিপি দেখে লোভ লেগে গেলো দাদা।আমি আবার শীতের সবজি গরমে বাসায় আনিনা।তাই এখন ফুলকপি খাওয়াও হয়না।খুব মজার রেসিপি শেয়ার করেছেন। রেসিপিটি খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করলেন আমাদের মাঝে।খুব ভালো লাগলো। শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ দাদা আপনাকে।

 last year 

দাদা আপনার রেসিপির কালার টা দেখে তো আমার জিভে জল চলে এসেছে।ফুলকপি এবং কৈ মাছের সুস্বাদু রেসিপি। এই রেসিপিটা আমার অনেক প্রিয় একটি রেসিপি। ফুলকপি আলু মাছ দিয়ে রান্না করলে শুধু মন চাই খেয়ে যা। আপনার রেসিপির কালার টি দেখে বোঝা যাচ্ছে দাদা কতটা সুস্বাদু হয়েছে।ফুলকপি এবং কৈ মাছের সুস্বাদু রেসিপি, ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি রেসিপি পোস্ট উপহার দেওয়ার জন্য, শুভকামনা রইল আপনার জন্য দাদা।

 last year 

দ্রব্যমূল্যের দাম এতো বাড়ছে, যা বলার মতো নয়। কয়েক ধরনের মাছ এবং সবজি কিনতে গেলেই ৪/৫ হাজার টাকা খরচ হয়ে যায়। আর কাঁচা মরিচের কথা না বলাই ভালো। যাইহোক ফুলকপি এবং কৈ মাছের রেসিপির কালার দেখেই বুঝা যাচ্ছে খেতে খুব সুস্বাদু হয়েছে। ফুলকপি এবং কৈ মাছ আমার খুব পছন্দ। এই দুটি উপকরণ এর কম্বিনেশনটা এককথায় দুর্দান্ত হয়েছে। রেসিপির উপস্থাপনা এবং পরিবেশনাও চমৎকার হয়েছে। আপনার রেসিপি গুলো সবসময়ই দারুণ লাগে দাদা। প্রতিনিয়ত এতো মজার মজার রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।

 last year (edited)

দাম নিয়ে ঊর্ধ্বমুখী কি বলছেন দাদা, বলতে গেলে এখন কোন একটা জিনিস কিনতে গেলে সেটা আগের দামের চেয়ে ডাবল হয়ে গিয়েছে। ওই দামটা চিন্তা করেই আমাদেরকে এখন বাজারে যেতে হয়। তবে একটা কথা ঠিক বলেছেন, কৈ মাছ আমার কাছেও ভাজা কিংবা রান্না করলে ভীষণ ভালো লাগে খেতে। বিশেষ করে আমি আবার ভাজা করে খেতে বেশী পছন্দ করি। কিন্তু আমি ভাবছি আপনি এখন নন সৃজনে ফুলকপি রান্না করেছেন সেটার তো দাম বেশি হবেই। আসলে ফুলকপি শীতকালে বেশি পাওয়া যায় । আর শীতকালে ফুলকপিটা খেতেও বেশি মজা লাগে। তবে আপনার আজকের রান্নাটা দেখে ভীষণ ভালো লাগলো। কারণ দেখে মনে হচ্ছে খুব মজা হয়েছে খেতে। আপনার প্রত্যেকটা রেসিপি আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে।

 last year 

বর্তমানে ঊর্ধ্বমূল্য যেন ছাড়িয়ে গেছে। ঠিকই বলেছেন এখন প্রত্যেকটা জিনিসের দাম ডাবল হয়ে গেছে। আমার তো এখন বাজারে যেতে একদম ইচ্ছে করে না। কারণ কোন কিছু কিনতে গেলে দামের কারণে ভালো লাগেনা। আর নন সিজনাল জিনিসের তো আকাশছোঁয়া দাম। এইজন্য প্রথমেই আপনার টাইটেল দেখে ভাবছি আপনি তো অনেক দামি সবজি রান্না করেছেন ‌। ফুলকপি আর কৈ মাছ রান্না দেখে আমার তো একদম জিভে জল চলে আসলো। বিশেষ করে ফুলকপি আমার অনেক পছন্দের একটা সবজি। শীতের সময় আমি ফুলকপি সবজিটা বেশি খেয়ে থাকি। আর কই মাছটাও অনেক ভালোই লাগে। আপনাদের রেসিপিটা দেখে আমার একদম খেতে ইচ্ছে করছে।

 last year 

দাদা নন সিজনে ফুলকপির রেসিপি দেখলাম। আমাদের দেশে হয়তো আর কিছু দিন পর থেকে ফলকপি বের হবে। আর লংকার কথা বললেন। আপনাদের দেশে দুইশত টাকা কেজি। আর আমাদের দেশে বর্তমানে তিনশত বিশটাকা কেজি আছে। একহাজার বারোশত টাকা কেজি পর্যন্ত হয়েছিল। এখন চিন্তা করেন আমরা কোন দেশে বসবাস করছি। কি সিন্ডেকেট হয় আমাদের দেশে। ধন্যবাদ দাদা।

Coin Marketplace

STEEM 0.16
TRX 0.15
JST 0.028
BTC 56560.74
ETH 2390.02
USDT 1.00
SBD 2.34