রান চেজ মাস্টার-বিরাট কোহলি

in আমার বাংলা ব্লগ10 months ago
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।


স্ক্রিনশর্ট: ষ্টার স্পোর্টস

আজকে আপনাদের সাথে খেলাধুলা বিষয়ক একটি পোস্ট শেয়ার করবো। গতকাল একটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ ছিল আর এটা একে-অপরের জন্যেও চ্যালেঞ্জিং ছিল। এই চ্যালেঞ্জিং এর একটা কারণও আছে, সেটা পরে আসছি। গতকাল ভারত আর নিউজিল্যান্ড এর সেই কাঙ্খিত ম্যাচটি ছিল। আজ এই ২০২৩ এর বিশ্বকাপে একমাত্র এই দুটি টিমই আছে যে একটা ম্যাচও হারেনি, তবুও কোথাও না কোথাও পয়েন্ট টেবিলে ভারতের থেকে নিউজিল্যান্ড একটু এগিয়ে আছে। আর মোটামুটি বাকি টিমগুলোর কথা বললে সবাই মাইনাস পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর গতকালের ম্যাচটাও হয়েছে হিমাচল প্রদেশের ধর্মশালাতে, যেখানে তাপমাত্রা ৬-৭ ডিগ্রিতে খেলেছে। যাইহোক, তাও এই পিচ তুলনামূলক একটু ধীর গতির পিচ, যেখানে ২৫০ রান করলেই একটা বড়ো চ্যালেঞ্জ তৈরি হয়ে যায় বিপক্ষ টিমের জন্য।


স্ক্রিনশর্ট: ষ্টার স্পোর্টস

ইন্ডিয়া যদিও টসে জিতে আগে বরাবরের মতো ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে। প্রথম দিকে প্রেসার দিয়ে রাখে ঠিকই এবং সিরাজের দ্বারাই প্রথম উইকেটের সূচনা ঘটে। বুমরাহ ভালো বল করলেও সেভাবে গতকাল কন্ট্রোলে রাখতে পারেনি। প্রথম দুই উইকেট পড়ে যাওয়ার পরে রান রেটের অবস্থা খুবই খারাপ চলতে থাকে, যেন মনে হচ্ছিলো রান ১৫০ পর্যন্ত উঠতে পারে। তবে রবীন্দ্র আর মিচেল দুইজন এমনভাবে সেট হয়ে যায় যে, রান রেট খুবই দ্রুত বেড়ে যায়, বিশেষ করে এইধরণের পিচে। তবে এটাও সম্ভব ছিল না, ভারতের ফিল্ডিং মাঝখানে খুবই এলোমেলো হয়ে গিয়েছিলো, এই দুজনের ক্যাচ কমপক্ষে দুইবার ছেড়েছে। আর এইরকম সেট ব্যাটসম্যানের ক্যাচ ছেড়ে দেওয়া মানেই রানের উর্ধগতি। জাদেজা একদমই একটা সহজ ক্যাচ ছেড়ে দিয়েই এই বিপদ ঘটিয়েছিল। এছাড়া বুমরাহ এর ফিল্ডিংও বাজে ছিল আজকে বলতে গেলে।


স্ক্রিনশর্ট: ষ্টার স্পোর্টস

তবুও এই দুইজনের পার্টনারশীপ ভাঙা খুবই জরুরি ছিল, তা না হলে রান ৩০০ ক্রস করে যেত এক কোথায়। সামি এখানে ভালো ব্যাকআপ দেয়, যার কারণে এদের এই ১৫০ রানের বড়ো পার্টনারশীপ ভেঙে দিতে সক্ষম হয়। নিউজিল্যান্ড এর লাস্ট ৪০ ওভার পর্যন্ত যে রানের উর্ধগতি ছিল, তাতে লাস্ট ১০ ওভারে নিশ্চিত করা গিয়েছিলো ৩০০ হয়ে যাবে, কিন্তু এখানে প্লানিং ছিল অসাধারণ। লাস্ট ১০ ওভারে এমন প্রেসার দেয় বলে যে রান তো দূরের কথা, ৬ উইকেট হামেশাই পড়ে যায়। মিচেল না থাকলে এই রানের আশাও ছিল না। যাইহোক, তাও এই রান ভালো ফর্মে থাকা টিমের সাথে চ্যালেঞ্জিং এর বিষয়। নিউজিল্যান্ড বরাবরই বিশ্বকাপে এসে দারুন খেলে, আর এদের ফিল্ডিং সব উড়ন্ত ফিল্ডিং, জাম্পিং দিয়ে দিয়ে ফিল্ডিং করে, বাউন্ডারি সহজে বের হতেই দেবে না। বোলিং লাইনও যথেষ্ট হার্ড তাদের, সেখানে দাঁড়িয়ে ইন্ডিয়া প্রথমে ওপেনিং শুরু করে ভালোই, কিন্তু পর পর ২ উইকেট পড়ে যায়।


স্ক্রিনশর্ট: ষ্টার স্পোর্টস

একটা ভয়ও ছিল, কারণ প্রায় এসে বেশিক্ষন টিকতে পারছিলো না, কোহলি বলতে গেলে একাই ম্যাচটাকে পুরো শেষ পর্যন্ত টেনেছে, বলা যায় সেই অস্ট্রেলিয়ার সাথে খেলার মতো। তবে কোহলি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত রানটা করেও লাস্টে সেঞ্চুরি করতে পারলো না, মাত্র ৬ টা রান বাকি ছিল। কিন্তু এদিকে ম্যাচ জিততে গেলে আবার ৫ রান বাকি ছিল, ফলে তার ওই ৬ মারা ছাড়া উপায় ছিল না সেঞ্চুরি করার জন্য, মেরেছিলো ভালোই কিন্তু ক্যাচ হয়ে যায় হঠাৎ। তাছাড়া এই রান করা মুশকিল হয়ে দাঁড়িয়ে যাচ্ছিলো, কোহলি একটা অসাধারণ চেজ মাস্টার। কোহলি এইধরণের যে কয়টা ম্যাচে রান চেজ করেছে তার মধ্যে অধিকাংশ ম্যাচই উইনার হয়েছে। এইবার আসি সেই চ্যালেঞ্জিং এর কোথায়, আসলে ভারতের সাথে নিউজিল্যান্ড এর এই পর্যন্ত বিশ্বকাপে ০-৫ উইনিং ছিল অর্থাৎ নিউজল্যান্ড প্রত্যেকটা ম্যাচ জিতেছে, তবে ২০১৯ এর বিশ্বকাপে সেমিফাইনালে ভারতকে হারানোর একটা চরম প্রতিশোধ নিয়েছে আজকে। আর এই খেলাটা যারা দেখেছেন তারা দেখেছেন নিশ্চই যে, মাঠে দর্শকের উল্লাস, বাজিতে ভরিয়ে দিয়েছে। এইটা ৪ বছরের প্রতীক্ষার একটা অবসান বলা যায়।


শুভেচ্ছান্তে, @winkles


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

Sort:  
 10 months ago 

আশা করি দাদা ভালো আছেন? গত কালকের ভারত নিউজিল্যান্ড ম্যাচটি দেখেছি বেশ ভালো লেগেছে আমার কাছে । পুরো ম্যাচটি বেশ টান টান উত্তেজনাপূর্ণ ছিলো। বিরাট কোহলি মাত্র পাঁচ রানের জন্য সেঞ্চুরি করতে পারে নাই। আসলে সত্যি বর্তমান ক্রিকেট বিশ্বে বিরাট কোহলি বেশ চমৎকার ক্রিকেটার। মোহাম্মদ সামির অসাধারন পাঁচটা উইকেট নিয়েছে। যা ভারতকে ম্যাচ জেতাতে সাহায্য করেছে। ভারত বনাম নিউজিল্যান্ড ম্যাচটি খেলা দেখার অনুভূতি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 10 months ago 

নিউজিল্যান্ড এবং ভারত উভয় টিম এই ম্যাচের আগে চলতি বিশ্বকাপে সবগুলো ম্যাচ জিতেছিল। তবে এই ম্যাচটি দারুণ উপভোগ করেছি। মিচেল এবং রবীন্দ্র দারুণ ব্যাটিং করেছে। ভারতের এমন ফিল্ডিং দেখে আমার মেজাজ খারাপ হয়ে গিয়েছিল। রবীন্দ্র জাদেজা এককথায় দুর্দান্ত ফিল্ডার, কিন্তু এই ম্যাচে জাদেজাও বাজে ফিল্ডিং করেছে। গত ম্যাচে বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলার সময় মুশফিকুর রহমানের দুর্দান্ত একটি ক্যাচ নেয় পয়েন্টে দাঁড়িয়ে থাকা জাদেজা। যাইহোক শারদুল ঠাকুরের পরিবর্তে মোহাম্মদ শামিকে নিয়ে খুব ভালো করেছে এই ম্যাচে। শামি এককথায় দুর্দান্ত বোলিং করেছে এই ম্যাচে। নয়তো ৩০০ রান ক্রস করে ফেলতো নিউজিল্যান্ড। যাইহোক ভারতীয় ইনিংসের শুরুতে রোহিত শর্মা এবং শুভমান গিল উড়ন্ত সূচনা করেছিল। রোহিত শর্মার ওভার বাউন্ডারি গুলো চোখ ধাঁধানো ছিলো। তারা দুইজন আউট হয়ে যাওয়ার পর কোহলি এবং শ্রেয়াস আইয়ার ছোটখাটো একটি পার্টনারশিপ গড়ে তোলে। তবে কোহলি অলওয়েজ কিং। পুরো ম্যাচটাকে বলতে গেলে একাই টেনে নিয়ে গিয়েছে। এতো চাপে খেলেও স্ট্রাইক রেট খুব ভালো ছিলো কোহলির। শেষের দিকে জাদেজা কোহলিকে ভালোই সঙ্গ দিয়েছে। কিন্তু অল্পের জন্য কোহলির সেঞ্চুরিটা মিস হয়ে গেল। নয়তো টানা দুটি সেঞ্চুরি পেতো কোহলি এবং শচীন টেন্ডুলকারের মতো ৪৯ টি সেঞ্চুরিতে পৌঁছে যেতো কোহলি। ওয়ানডেতে শচীনের সেঞ্চুরি ৪৯ টি এবং কোহলির ৪৮ টি। মাত্র ৫ রানের জন্য এমন রেকর্ড থেকে বঞ্চিত হলো কিং কোহলি। আশা করি এই বিশ্বকাপে মিনিমাম আরো দুটি সেঞ্চুরি করবে কোহলি। তাহলে ওয়ানডেতে সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরির মালিক হবে কোহলি। কোহলি আসলেই বিশ্বের সেরা খেলোয়াড়দের মধ্যে একজন এবং জেনুইন চেজ মাস্টার। পোস্টটি পড়ে খুব ভালো লাগলো দাদা। শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

Posted using SteemPro Mobile

 10 months ago 

গতকাল বিরাট কোহলির সেঞ্চুরি টা মিস হওয়াই বেশ খারাপ লেগেছে আমার কাছে। আশা করে বসেছিলাম যে বিরাট সেঞ্চুরি করবে। তবে তার প্রশংসা করতেই হয়। চাপের মুখে কী অসাধারণ ব‍্যাটিং করে দলকে জিতিয়ে দিল ম‍্যাচ। আর মোহাম্মদ সামির অসাধারন পাঁচটা উইকেট এর কথা বলতেই হয়। অসাধারণ পারফরমেন্সে ভারতের পাঁচে পাঁচ।

Posted using SteemPro Mobile

 10 months ago 

এক মাত্র কিং কোহলির দ্বারাই এটা সম্ভব। ওয়ার্ল্ডের গ্রেটেস্ট প্লেয়ারদের রান চেসের গড়ে বিরাট কোহলি এগিয়ে। আসলে এমন কোহলি আর আসবে কি না কে জানে। নিউজিল্যান্ড এর সাথে শেষ অবধি খেলাটাকে নিয়ে গেছে।

 10 months ago 

ভারত এবং নিউজিল্যান্ড দুটি দল অনেক ভালো খেলে। আর এই দুই দলের মধ্যে লড়াই মানে বেশ চ্যালেঞ্জিং একটি ব্যাপার বুঝতে পারছি দাদা। যদিও সম্পূর্ণ খেলা দেখা হয়নি। তবে মাঝেমধ্যে একটু একটু দেখেছিলাম। আসলে দুই দল যখন শক্ত হয় তখন একে অপরকে হারানোর জন্য বেশ লড়াই করে। আর দুই দলের পক্ষেই ম্যাচটা জেতা চ্যালেঞ্জিং হয়ে যায়। অন্যদিকে ৬-৭ ডিগ্রি তাপমাত্রায় খেলাটাও বেশ কঠিন ছিল। আসলে সব মিলিয়ে কালকের ম্যাচটা উত্তেজনায় পরিপূর্ণ ছিল। রবীন্দ্র আর মিচেল এই দুজনের পার্টনারশিপ সত্যি দারুন ছিল। আসলে পার্টনারশিপ যদি ভালো হয় তাহলে খুব সহজেই বেশি রান করা যায়। আর বিরাট কোহলির পারফরমেন্স নিয়ে হয়তো নতুন করে কিছুই বলার নেই। তিনি সবসময় সেরা। আসলে তিনি সিচুয়েশন হ্যান্ডেল করার জন্য অনেক চ্যালেঞ্জিং ভাবে খেলায় নেমেছিলেন। সত্যি দাদা বিরাট কোহলি সত্যি একজন চেজ মাস্টার। তবে শেষে গিয়ে যদি ছয়টা হয়ে যেত তাহলে সত্যিই অনেক ভালো লাগতো। আসলে শেষ মুহূর্তে ক্যাচ হয়ে বিপদ হয়ে গেল। দাদা আপনি অনেক সুন্দর করে এই খেলার রিভিউ আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন এজন্য অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

 10 months ago 

দাদা দুটি ভালো দল যদি একসাথে খেলে তাহলে সেই ম্যাচটা অনেক বেশি আকর্ষণীয় হয়। সেই খেলাটা দেখার মধ্যে অন্যরকম আনন্দ উল্লাস কাজ করে। ভারত এবং নিউজিল্যান্ড কিন্তু অনেক ভালো দল। দুই দলই কিন্তু বেশ ভালো খেলে। এই ম্যাচটা দেখছি বেশ ভালোই জমজমাট হয়েছিল। আর এমনিতে দুই দল যদি শক্তভাবে নিজেদের দলটা গঠন করে এবং ভালোভাবে খেলে, তাহলে ওপর দলকে হারিয়ে দেওয়া অনেক বেশি কঠিন হয়ে পড়ে। এই খেলাটার রিভিউ পড়তে আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে দাদা। আপনি অনেক সুন্দর করে এই খেলাটার রিভিউ পোস্ট করেছেন। এই ম্যাচের মাধ্যমিক কিন্তু ভারত চরম একটা প্রতিশোধ নিয়েছে দেখছি। চার বছরের প্রতীক্ষার একটা অবসান ঘটেছে এটা দেখে অনেক বেশি ভালো লাগলো আমার কাছে। এই ম্যাচটা আমার না দেখা হলেও আপনার পোষ্টের মাধ্যমে এটির সম্পর্কে সবকিছু জেনে নিলাম। এই পোস্টটা শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাই দাদা।

 10 months ago (edited)

একথা সত্য যে রান চেজ করার মাস্টার বা কিং হলো আমাদের প্রিয় বিরাট কোহলি।

 10 months ago 

আসলে দাদা আমি বিরাট কোহলির খুবই ভক্ত। সেদিন বিরাট কোহলি সেঞ্চুরি উদযাপন করার জন্য সম্পূর্ণরূপে প্রস্তুত ছিলাম। কিন্তু সেদিন আমাদের সকলের জন্য খুবই দুর্ভাগ্য যে ইন্ডিয়া ম্যাচ জিতলেও আমাদের প্রিয় খেলোয়াড় সেঞ্চুরি থেকে বঞ্চিত হয়। তবে একথা সত্য যে রান চেজ করার মাস্টার বা কিং হলো আমাদের প্রিয় বিরাট কোহলি।

 10 months ago 

দাদা আমি আস্তে আস্তে খেলা সম্পর্কে অনেক ধারণা নিতে পারছি আপনার পোস্টগুলো পড়ে। আপনি অনেক সুন্দর করে খেলা বিষয়ক পোস্টগুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার কারণে খেলা না দেখলেও সেগুলোর সম্পর্কে পড়তে পারছি। এখানে তো দেখছি ভারত এবং নিউজিল্যান্ডের খেলা হয়েছিল, আর দুটি দল অনেক শক্ত এটা দেখে বুঝতে পারছি। দুই দলের মধ্যে খেলাটা বেশ জমে উঠেছিল নিশ্চয়ই। শামি কিন্তু দুর্দান্ত বোলিং করেছিল এটা অনেক ভালো লেগেছে। বিরাট কোহলির সেঞ্চুরিটা তাহলে মেন্স হয়ে গিয়েছে। মাত্র কয়েক রান বাকি ছিল সেঞ্চুরির জন্য। কিন্তু সেঞ্চুরিটা অর্জন করতে পারল না কোহলি। কোহলির প্রশংসা না করে কিন্তু থাকাই যায় না। এটা কিন্তু সত্যি দাদা কোহলি একজন অসাধারণ চেজ মাস্টার। দাদা আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই এত সুন্দর করে খেলা বিষয়ক একটা পোস্ট নিয়ে হাজির হওয়ার জন্য। অনেক সুন্দর করে সম্পূর্ণটা তুলে ধরেছেন দেখে ভালো লাগলো। আপনার খেলা বিষয়ক পরবর্তী পোস্টের অপেক্ষায় থাকলাম দাদা।

Coin Marketplace

STEEM 0.18
TRX 0.16
JST 0.031
BTC 60315.45
ETH 2606.97
USDT 1.00
SBD 2.53