নিউজিল্যান্ড এবং ভারত উভয় টিম এই ম্যাচের আগে চলতি বিশ্বকাপে সবগুলো ম্যাচ জিতেছিল। তবে এই ম্যাচটি দারুণ উপভোগ করেছি। মিচেল এবং রবীন্দ্র দারুণ ব্যাটিং করেছে। ভারতের এমন ফিল্ডিং দেখে আমার মেজাজ খারাপ হয়ে গিয়েছিল। রবীন্দ্র জাদেজা এককথায় দুর্দান্ত ফিল্ডার, কিন্তু এই ম্যাচে জাদেজাও বাজে ফিল্ডিং করেছে। গত ম্যাচে বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলার সময় মুশফিকুর রহমানের দুর্দান্ত একটি ক্যাচ নেয় পয়েন্টে দাঁড়িয়ে থাকা জাদেজা। যাইহোক শারদুল ঠাকুরের পরিবর্তে মোহাম্মদ শামিকে নিয়ে খুব ভালো করেছে এই ম্যাচে। শামি এককথায় দুর্দান্ত বোলিং করেছে এই ম্যাচে। নয়তো ৩০০ রান ক্রস করে ফেলতো নিউজিল্যান্ড। যাইহোক ভারতীয় ইনিংসের শুরুতে রোহিত শর্মা এবং শুভমান গিল উড়ন্ত সূচনা করেছিল। রোহিত শর্মার ওভার বাউন্ডারি গুলো চোখ ধাঁধানো ছিলো। তারা দুইজন আউট হয়ে যাওয়ার পর কোহলি এবং শ্রেয়াস আইয়ার ছোটখাটো একটি পার্টনারশিপ গড়ে তোলে। তবে কোহলি অলওয়েজ কিং। পুরো ম্যাচটাকে বলতে গেলে একাই টেনে নিয়ে গিয়েছে। এতো চাপে খেলেও স্ট্রাইক রেট খুব ভালো ছিলো কোহলির। শেষের দিকে জাদেজা কোহলিকে ভালোই সঙ্গ দিয়েছে। কিন্তু অল্পের জন্য কোহলির সেঞ্চুরিটা মিস হয়ে গেল। নয়তো টানা দুটি সেঞ্চুরি পেতো কোহলি এবং শচীন টেন্ডুলকারের মতো ৪৯ টি সেঞ্চুরিতে পৌঁছে যেতো কোহলি। ওয়ানডেতে শচীনের সেঞ্চুরি ৪৯ টি এবং কোহলির ৪৮ টি। মাত্র ৫ রানের জন্য এমন রেকর্ড থেকে বঞ্চিত হলো কিং কোহলি। আশা করি এই বিশ্বকাপে মিনিমাম আরো দুটি সেঞ্চুরি করবে কোহলি। তাহলে ওয়ানডেতে সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরির মালিক হবে কোহলি। কোহলি আসলেই বিশ্বের সেরা খেলোয়াড়দের মধ্যে একজন এবং জেনুইন চেজ মাস্টার। পোস্টটি পড়ে খুব ভালো লাগলো দাদা। শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।