একদম কম ঝোলে কুমড়ো আর গলদা চিংড়ির সুস্বাদু রেসিপি
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি। |
---|
আজকে আপনাদের সাথে একটি রেসিপি পোস্ট শেয়ার করে নেবো। এটি হলো গলদা চিংড়ি দিয়ে কুমড়োর রেসিপি। মিষ্টি কুমড়ো গলদা চিংড়ি দিয়ে খেতে বেশ দারুন লাগে, গলদা চিংড়ি ছাড়াও এটা যেকোনো চিংড়ি দিয়েই ভালো লাগে। মিষ্টি কুমড়ো আমরা সবাই জানি অনেক উপকারী একটি ফলজাতীয় সবজি। আর পুষ্টিগুণেও ভরপুর। এটা খেলে যেকোনো প্রাণীদেহের অনেক উপকারী কাজ হয়ে থাকে, বিশেষ করে আমাদের মতো মানব শরীরের জন্য। মিষ্টি কুমড়োয় আছে নানান ভিটামিন এবং এই ভিটামিনগুলো আমাদের শরীরকে রোগ মুক্ত রাখতে অনেক সাহায্য করে, বিশেষ করে আমরা সবাই একটা ভিটামিন এর সাথে ভালোভাবে পরিচিত যে ভিটামিন এ এর জন্য মিষ্টি কুমড়ো অনেক জনপ্রিয়। মিষ্টি কুমড়োটা বিশেষ করে আমাদের চোখের জন্য অনেকটা বেশি কার্যকরী হয়ে থাকে, এখন বর্তমানে প্রায়ই দেখা যায় যে অল্প বয়েস থেকে অনেকের চোখের সমস্যা দেখা দেয়। আর এটা হয়ে থাকে এই ভিটামিন এ এর অভাবে। অনেকের তো আবার চোখে ছানিও পড়ে থাকে। তো এইসব সমস্যার ক্ষেত্রে কুমড়ো দারুন কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে। এই সবজিটার একটা ভালো বিষয় হলো, সারা বছরই পাওয়া যায়, আর এটা যেকোনো ভাবে একটা নিয়ম অনুযায়ী যদি খাওয়া যায় তাহলে চোখের এইসবের সমস্যা থেকে অনেকটা পরিত্রান পাওয়া যায়। যাইহোক, কুমড়ো দিয়ে এই গলদা চিংড়ির রেসিপিটা বেশ কিছুদিন আগেই করেছিলাম আর এটি একদমই কম ঝোলে তৈরি করেছিলাম। কুমড়ো কম ঝোলে কিন্তু দারুন একটা স্বাদ অনুভব করা যায়। যাইহোক, এখন রেসিপিটার ধাপসমূহের দিকে অগ্রসর হবো।
✠প্রয়োজনীয় উপকরণসমূহ:✠
დএখন রেসিপিটা যেভাবে প্রস্তুত করলাম---
☀প্রস্তুত প্রণালী:☀
❖মিষ্টি কুমড়োটির খোসা ভালোভাবে ছালিয়ে নেওয়ার পরে কেটে পিস পিস করে নিয়েছিলাম এবং পরে একবার জল দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে নিয়েছিলাম। এরপর আলুগুলোর খোসা ছালিয়ে নিয়েছিলাম এবং তারপর ছোট ছোট পিস করে ধুয়ে রেখেছিলাম।
❖রসুনের কোয়াগুলো আলাদা করে নিয়ে তার থেকে খোসাগুলো ছালিয়ে নিয়েছিলাম। এরপর কাঁচা লঙ্কাগুলো কেটে নেওয়ার পরে ধুয়ে রেখেছিলাম।
❖গলদা চিংড়িগুলো একবার ধুয়ে নিয়ে তাতে হাফ চামচ করে লবন আর হলুদ দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর প্রত্যেক পিসের গায়ে ভালোভাবে মাখিয়ে নিয়েছিলাম।
❖কড়াইতে তেল দিয়ে দেওয়ার পরে তাতে গলদা চিংড়ির পিসগুলো দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর ভালো করে ভাজা সম্পন্ন হয়ে আসলে পাত্রে তুলে নিয়েছিলাম।
❖চিংড়ি ভেজে তোলার পরে তাতে অল্প তেল দিয়ে আলুর পিসগুলো দিয়ে দিয়েছিলাম এবং ভালো করে ভেজে নিয়েছিলাম।
❖আলু ভেজে তুলে নেওয়ার পরে তাতে আরেকটু তেল দিয়ে কুমড়োর পিসগুলো দিয়ে দিয়েছিলাম। কুমড়ো ভালো করে ভাজা হয়ে গেলে পরে পাত্রে তুলে রেখেছিলাম।
❖চিংড়ি এবং সবজি ভেজে নেওয়ার পরে কড়াইতে আরেকবার তেল দিয়ে গোটা জিরা দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর তাতে রসুনের কোয়াগুলো দিয়ে দিয়েছিলাম।
❖রসুনের কোয়া হালকা ভেজে নেওয়ার পরে তাতে আগে থেকে ভেজে রাখা আলুর পিসগুলো দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর তাতে ভাজা কুমড়োর পিসগুলো দিয়ে দিয়েছিলাম এবং পরে কাঁচা লঙ্কার পিসগুলো দিয়ে দিয়েছিলাম।
❖লঙ্কা দেওয়ার পরে তাতে স্বাদ মতো লবন আর হলুদ দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর সবজিগুলোর সাথে ভালোভাবে মিক্স করে নিয়েছিলাম।
❖মিক্স করা হয়ে গেলে তাতে পরিমাণমতো জল দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর তরকারি মোটামুটি কিছু সময় ফুটিয়ে নিয়ে আলু আর কুমড়ো সেদ্ধ করে নিয়েছিলাম।
❖আলু সেদ্ধ হয়ে গেলে পরে আমি সেইসময় ভেজে রাখা গলদা চিংড়ির পিসগুলো কড়াইতে দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর তরকারি খানিক্ষন ফুটিয়ে নেওয়ার পরে একটু জিরা গুঁড়ো দিয়ে দিয়েছিলাম।
❖তরকারিটা মোটামুটি হয়ে আসলে পরে ঝোলটা আরেকটু জ্বাল দিয়ে কমিয়ে নিয়েছিলাম। এরপর নামানোর আগে আরেকবার জিরা গুঁড়ো ছড়িয়ে দিয়ে একটি পাত্রে কিছুটা পরিবেশনের জন্য তুলে নিয়েছিলাম।
রেসিপি বাই, @winkles
শুভেচ্ছান্তে, @winkles
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
দাদা আপনি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আলু মিষ্টি কুমড়া দিয়ে গলদা চিংড়ি মাছের রেসিপি তৈরি। আসলে বিভিন্ন ধরনের সবজি দিয়ে যেকোন মাছ রান্না করলে খেতে বেশ ভালো লাগে। আসলে গলদা চিংড়ি আমার প্রিয় একটি মাছ। আমি বাজার থেকে প্রায় দিনই এই মাছ কিনে নিয়ে এসে খাই। রেসিপি দেখে তো মনে হচ্ছে খেতে বেশ সুস্বাদু হবে দাদা। ধন্যবাদ এত সুন্দর ভাবে রেসিপি তৈরীর পদ্ধতি শেয়ার করার জন্য।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আসলে দাদা মিষ্টি কুমড়োর উপকারিতা অনেক বেশি। আর মিষ্টি কুমড়া খেলে অনেক বেশি ভালো লাগে এবং কি অনেক উপকার হয় নিজের শরীরের জন্য। আপনি কুমড়ো আর চিংড়ির সুস্বাদু রেসিপি তৈরি করেছেন যা দেখে আমার জিভে জল চলে এসেছে। আপনার এই মজাদার রেসিপি টা দেখতেই অনেক বেশি লোভনীয় মনে হচ্ছে। এভাবে কখনো মিষ্টি কুমড়ো দিয়ে গলদা চিংড়ি রান্না করে খাওয়া হয়নি আমার। আসলে মিষ্টি কুমড়ো যেভাবেই রান্না করা হোক না কেন খাওয়ার মজাটাই একেবারে আলাদা হয়। আমি মিষ্টি কুমড়ো অনেক ভাবেই রান্না করে খেয়েছি, আর গুলো খেলে অনেক উপকারিতা ও পাওয়া যায়। আমাদের সবারই উচিত যে খাবারের মধ্যে উপকারিতা বেশি সেগুলো খাওয়া। আর এই রেসিপিটা আপনি কম ঝোলে তৈরি করেছেন দেখে মনে হচ্ছে আরো অনেক মজাদার হয়েছিল। দাদা অনেক সুন্দর করে আপনি পুরোটা আমাদের মাঝে ভাগ করে নিয়েছেন। এরকম পোস্ট এগুলো পরবর্তীতে দেখার অপেক্ষায় থাকলাম। আর এই রেসিপিটা তো আমিও অবশ্যই তৈরি করব।
মিষ্টি কুমড়ার উপকারিতা সম্পর্কে আপনি খুব সুন্দর ভাবে বর্ণনা দিলেন দাদা অনেক ভালো লাগলো পড়ে। মিষ্টি কুমড়া আমার অনেক প্রিয় একটি সবজি বিশেষ করে চিংড়ি দিয়ে ঝোল করে খেতে বেশ ভালোই লাগে। আমি প্রায় সময় এই রেসিপি রান্না করে থাকি ঘরের মধ্যে। আপনি গলদা চিংড়ি দিয়ে খুব কম ঝোল দিয়ে মিষ্টি কুমড়া রেসিপি রান্না করলেন অনেক ভালো লাগবে খেতে। মিষ্টি কুমড়া খেতে পারলে আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক ভাল। অনেক ধন্যবাদ দাদা বিস্তারিত পড়ে ভালো লাগলো।
মিষ্টি কুমড়া এবং চিংড়ি মাছের কম্বিনেশনটা এককথায় দুর্দান্ত লাগে আমার কাছে। মিষ্টি কুমড়া ভাজিও আমার খুব পছন্দ। মিষ্টি কুমড়া খেতে যেমন সুস্বাদু তেমনি উপকারিতাও অনেক। আপনার রেসিপির কালারটা খুবই সুন্দর হয়েছে দাদা। বরাবরের মতো মাছ এবং সবজি ভেজে নেওয়ায়, রেসিপির স্বাদ মনে হচ্ছে অনেকাংশে বেড়ে গিয়েছে। যাইহোক এতো মজাদার একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।
দাদা আপনি রেসিপির প্রথমেই মিষ্টি কুমড়ার উপকারিতা সম্পর্কে বেশকিছু তথ্য আমাদের মাঝে শেয়ার করলেন।আসলে ছোটবেলা থেকেই শুনে আসছি হলুদ সবুজ শাকসবজি খেলে চোখের জন্য ভালো।আর মানবদেহের মধ্যে চোখ খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ।আপনি আজ মিষ্টি কুমড়া গলদা চিংড়ি দিয়ে রান্না করলেন।রেসিপিটি খুবই লোভনীয় লাগছে।আসলে মিষ্টি কুমড়া যেভাবেই রান্না করা হোক না কেন খেতে ভীষণ ভালো লাগে। তবে চিংড়ি দিয়ে রান্না করলে তো আর কথাই নেই।দারুন স্বাদের হয়েছে বেশ বুঝতে পারছি। আপনি রান্নার ধাপগুলো খুব সুন্দর ভাবে তুলে ধরেছেন। অনেক ধন্যবাদ দাদা রেসিপির প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত খুব সুন্দর ভাবে তুলে ধরার জন্য। অনেক অনেক অভিনন্দন দাদা আপনাকে।
দাদা আমি কুমড়ো খেতে যেমন পছন্দ করি, তেমনি গলদা চিংড়ি তো আরো বেশি পছন্দের। আর দুটি পছন্দের খাবার যদি একসাথে রান্না করা হয় তখন তো আরো বেশি ভালো লাগবে খেতে। কুমড়োর অনেক উপকারিতা রয়েছে যেগুলো কিন্তু আমাদেরকে অনেক উপকার করে। আর চোখের অনেকটা পরিত্রাণ পাওয়া যায় এটা কিন্তু সত্যি বলেছেন। ফল জাতীয় এই সবজিটা খেলে ইচ্ছে করে বারবার খেতে। দাদা আপনি সবসময় মজার মজার খাবার রান্না করেন। আর আপনার এই মজার মজার খাবার গুলো দেখলে আমার অনেক লোভ লেগে যায়। তেমনি ইচ্ছা করছে কিছুটা কুমড়ো এবং চিংড়ি মাছ তুলে নিয়ে গরম ভাত এনে খেয়ে ফেলি। খাবারটা অনেক লোভনীয় লাগছে। নিশ্চয়ই অনেক মজাদার হয়েছিল এবং খুব মজা করে খেয়েছিলেন। যারা মিষ্টি কুমড়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানেনা তারা কিন্তু আপনার পোস্টটা পড়লে সবকিছু বুঝতে পারবে দাদা। সবকিছু এত সুন্দর করে তুলে ধরে শেয়ার করেছেন দেখে ভালো লেগেছে দাদা।
মিষ্টি কুমড়া দিয়ে গলদা চিংড়ির সঙ্গে দারুন একটা রেসিপি করেছেন। তার পাশাপাশি মিষ্টি কুমড়ার গুণাবলী সম্পর্কে অনেক সুন্দর ধারণা পেশ করলেন ।আসলে সবজি জাতীয় খাবার যেটা আমাদের জন্য খুবই উপকারী তার ইফেক্টিভ প্রভাব একদমই নেই ।আমাদের সে জন্য উচিত যে কোন ধরনের সবজি বেশি বেশি খাওয়া। চোখের সমস্যায় এখন বেশিরভাগ মানুষেরই থাকে সেজন্য ভিটামিন এ জাতীয় খাবার মিষ্টি কুমড়া এবং পেঁপে যেটা চোখের জন্য খুবই উপকারী। ভালো লাগলো গলদা চিংড়ি দিয়ে মিষ্টি কুমড়ার রেসিপি তৈরি।
দাদা আপনার আজকে গলদা চিংড়ির সাথে মিষ্টি কুমড়া রেসিপি টা দেখে ভালো লাগলো। আসলে মিষ্টি কুমড়ার উপকারিতা বলে শেষ করা যাবে না। বিশেষ করে চোখের জন্যই কিন্তু অনেক উপকারী । আমি মনে করি বর্তমানে চোখের সমস্যাটা সবারই বেড়েছে। এমনকি কম বয়স থেকেই চোখের সমস্যা দেখা দিয়েছে সবার। তাই জন্য আমার মনে হয় যাদের এসব সমস্যাগুলো বেশি তারা মিষ্টি কুমড়ো খাওয়াটা প্রয়োজনীয়। মিষ্টি কুমড়ো আমার কাছে একটু মিষ্টি মিষ্টি লাগে খেতে। তবে একটু ভাজা করলে আমার কাছে বেশি ভালো লাগে। আবার রুটি দিয়ে খেতেও অনেক বেশি মজা হয়। আর গলদা চিংড়ি দিলে তো কোন কথাই নেই। আপনার রান্না দেখেই বোঝা যাচ্ছে খুবই সুস্বাদু হয়েছে। সত্যি আপনার রেসিপিগুলো দেখেই আমার তো খেতে ইচ্ছে করে। কিন্তু আসলে কিছুই করার নেই। এখানে শুধু দেখা ছাড়া আর কিছুই করার নেই।
দাদা গলদা চিংড়ির কথা শুনেই তোর জিভে জল চলে আসলো। আমার কাছে গলদা চিংড়ি দিয়ে কুমড়োর রেসিপি টা কিন্তু দারুন লাগে খেতে। সত্যি বলতে মিষ্টি কুমড়া খেতে আমি খুবই পছন্দ করি। তাছাড়া মিষ্টি কুমড়ার বিভিন্ন উপকারিতা তো রয়েছেই। আমার এমনিতেই অনেকগুলো উপকারিতার কথা জানা রয়েছে। তবে আপনার পোস্ট পড়ে আজকে মিষ্টি কুমড়া সম্পর্কে অনেক বেশি তথ্য জানতে পারলাম। আসলেই বর্তমানে ভিটামিন এ এর খুব প্রয়োজন আমাদের। তাই জন্য আমি মনে করি মিষ্টি কুমড়া যেহেতু এর ঘাটতি পূরণ করে, তাহলে আমাদের সবজি হিসেবে মিষ্টি কুমড়াটা খাওয়া দরকার। আর আপনার রেসিপির কথা কি বলবো, এমনিতেই মিষ্টি কুমড়া খেতে পছন্দ করি আর তার সাথে যদি গলদা চিংড়ি হয় তাহলে তো কোন কথাই নেই। সব মিলিয়ে বেশি দুর্দান্ত একটি রেসিপি তৈরি করলেন। ভাবছি আমি নিজেও বাজারে গেলে মিষ্টি কুমড়া কিনে নিয়ে আসবো। তবে আপনার পুরো রেসিপি দেখে ভীষণ ভালো লেগেছে।